গৃহহীন
গৃহহীন মুক্ত দেশ হতে চলেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আর ১১ হাজার বাড়ি বিতরণের পর বাংলাদেশে আর কোনো গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ থাকবে না।
ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, 'আর মাত্র ১১ হাজার ঘর বিতরণ করলেই বাংলাদেশ গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত দেশ হবে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বস্তিবাসীদের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেছে। সেখানে তারা বস্তির সমান ভাড়া পরিশোধ করে থাকতে পারবে।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলন অযৌক্তিক, বিষয়টি বিচারাধীন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের মধ্যে ঘর বিতরণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে কাউকে ঘর ও ভূমিহীন রাখা হবে না।
কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য এগুলো খোলা হয়েছে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইইউ।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তার পরবর্তী কর্মস্থল ব্রাসেলসে। সেখানে তিনি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে কাজ করবেন এবং তিনি বাংলাদেশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
'ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ' চালু প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই স্কিম আইনি পথে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে অভিবাসনের দ্বার উন্মুক্ত করবে। কারণ বাংলাদেশি দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিরা এ সুযোগ গ্রহণ করবে এবং কাজের জন্য বৈধ অনুমোদন পাবে।
তিনি বলেন, যারা ইমিগ্রেশন করবেন তারা ৪-৫ বছর পর দেশে ফিরতে পারবেন, তাই এক্ষেত্রে মেধা পাচারের কোনো আশঙ্কা থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এবং দেশের জন্য অবদান রাখবে। ‘সুতরাং, আমি এটিকে মেধা পাচার হিসেবে মনে করি না।’
লাকসাম-চট্টগ্রাম রুটে রেল সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, এটি ব্যয়বহুল ও অলাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে। ইইউ এই প্রকল্পে সমর্থন দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
প্রেস সচিব প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকায় সরকার ইইউয়ের অর্থায়নে একটি উপযুক্ত ও টেকসই প্রকল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশ-ভারত কানেক্টিভিটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়। বাংলাদেশের মধ্য দিয়েও ভারতের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, 'আমরা ট্রান্স-এশিয়ান রেল কানেকটিভিটিকেও আমরা সেভাবে বিবেচনা করছি।’
বিমসটেককে শক্তিশালী করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। কারণ থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ এর পরবর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া দুই ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান ইইউ রাষ্ট্রদূত।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সব সময় এই ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে শান্তির আহ্বান জানিয়ে আসছেন। ‘শুধু ইউক্রেন-রাশিয়া ও গাজায় নয়, আমরা সর্বত্র শান্তি চাই।’
এ সময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীকে ত্রিমাত্রিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক
৪ মাস আগে
আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন।
বুধবার (৯ আগস্ট) তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে আধা-পাকা ঘর বিতরণের ঘোষণা দেন।
১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত হলো।
আরও পড়ুন: আরও ৩৯,৩৬৫টি গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘর-জমি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও ২ দশমিক ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১লাখ ১৫ হাজার মানুশের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
মুজিববর্ষের পর ষষ্ঠবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
১২৩টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে- শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট; কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, নিকলী, হোসেনপুর, বাজিতপুর, মিঠামইন ও করিমগঞ্জ; টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর, কালিহাতী ও বাসাইল; মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর ও সদর; মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ী; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সদর; ফরিদপুরের বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদর; ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা ও সদর; শেরপুরের শ্রীবরদী ও সদর; জামালপুরের ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ী; কক্সবাজারের পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ; চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও আনোয়ারা; চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ ও সদর; কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, বরুড়া, হোমনা, তিতাস, মেঘনা, মেঘনা ও বুড়িচং; ফেনীর দাগনভূঁইয়া, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী; রংপুরের বদরগঞ্জ; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও সদর।
আরও পড়ুন: গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে
১ বছর আগে
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সব গৃহহীন মানুষ যাতে জমিসহ বাড়ি পায় তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।’
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ দফায় আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি দুই দশমিক ৩৬ শতাংশ জমি প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার পক্ষে জনপ্রতিনিধিরা-মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান--এর পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সারা দেশে ৪৯৩টি উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের স্থানে উপস্থিত থেকে তারা সুবিধাভোগীদের হাতে বাড়ির সার্টিফিকেট ও জমির কাগজপত্র তুলে দেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৪র্থ ধাপের ঘর বিতরণের ফলে নয়টি জেলা ও ২১১টি উপজেলায় এখন বাড়ি ও ভূমিহীন কেউ নেই।
এর আগে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় দফায় ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় দফায় ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি প্রদান করেন শেখ হাসিনা।
চতুর্থ দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি।
প্রধানমন্ত্রী আরও সাতটি জেলা এবং আরও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। সাতটি জেলা হলো মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে ঘর পাচ্ছেন ৫৫৬ গৃহহীন পরিবার
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে কুড়িগ্রামে ৫৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছেন। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ৪র্থ পর্যায়ে সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছে।
এরমধ্যে মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে 'ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ' করায় সংঘর্ষ, আহত ১০
কুড়িগ্রামে ৩য় পর্যায়ে অবশিষ্ট ১০৬টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৪৫০টিসহ ৫৫৬টি সুবিধাভোগী জমিসহ ঘর বরাদ্দ পেল।
এদিকে বুধবার সকাল সোয়া ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সময়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার, সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য প্রমুখ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
কুড়িগ্রামে ভিজিডি কার্ডের টাকা না দেয়ায় মাথা ফাটালেন ইউপি সদস্য
১ বছর আগে
দেশের ৯ জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমির মালিকানাসহ আরও ৩০ হাজার ৩৬৫টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থেকে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চতুর্থ পর্যায়ে ৩০ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশের ৯টি জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখুন, বিদেশের আইনকে সম্মান করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৮৩১টি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর ফলে সারাদেশে উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখে পৌঁছেছে।
এছাড়া সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭।
এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৬৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। এতে করে চিহ্নিত ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭টি পরিবারের মধ্যে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর সম্পন্ন হচ্ছে।
অবশিষ্ট ৪৩ হাজার ৪১০টি পরিবারের মধ্যে ২২ হাজার ১০টি পরিবার চিহ্নিত করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই শতাংশ জমিসহ একক গৃহ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২১ হাজার ৪০৪টি পরিবার চিহ্নিত করে তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে ‘দেশের কোনও মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না’ বলে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এই প্রোগ্রামে সুবিধাভোগীর সংখ্যা হল ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন। প্রতি পরিবারে পাঁচ জন সদস্যের ওপর ভিত্তি করে গণনা।
এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭ পরিবারকে সরাসরি পুনর্বাসন করা হয়েছে।
অবশিষ্ট দুই লাখ ১৬ হাজার ৭০৪ পরিবারকে ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুরূপ কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এদিকে বরিশালের বানারীপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গৃহহীনদের বাড়ি-ঘর ও ঠিকানা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে বাড়ি দেয়া তার অঙ্গীকার ও উদ্যোগ।
তিনি উল্লেখ করেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৪২টি ঘর বিতরণ করবেন এবং আগামী দিনে আরও ১৬৩টি বাড়ি বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে ভালোবাসেন এবং সর্বদা জনগণ ও তাদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন।
শাহে আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়ার পদক্ষেপটি অনন্য।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বানারীপাড়া উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
ইউএনও ফাতিমা আজরিন তন্বী বলেন, প্রকৃত গৃহহীনদের খুঁজে বের করতে প্রশাসন অনেক কঠোর ও সতর্ক ছিল।
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানার লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়া সরকার অসহায় মানুষদের বাড়ি ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে।
শুক্রবার নগরীর বান্দ রোডস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজের শেখ রাসেল স্মৃতি মিলনায়তনে বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও অর্থিক চেক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় ১৩৯ পোল্ডার তৈরি করা হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়, দেশ এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম হবে শহর। প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। শহরের সকল সুবিধা পৌঁছে যাবে গ্রামে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি বেঁচে থাকতে একটা মানুষও না খেয়ে থাকবে না।
এসময়, বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বিসমিল্লাহ চর কান্দা জামে মসজিদ, চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাড়ী জামে মসজিদ, চরকাউয়া ইউনিয়নের তালুকদার জামে মসজিদ, চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের মধ্য চন্দ্রমোহন জামে মসজিদ, উত্তর চন্দ্রমোহন জামে মসজিদ, চাদপুরা ইউনিয়নের রাধা গোবিন্দ মন্দির, রায়পুরা বুনিয়াদি স্কুল সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, চাদপুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ দুর্গাপুর দুর্গা মন্দির, চরমোনাই ইউনিয়নের জাবেদ আলী ইনস্টিটিউশন, চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের নবদিগন্ত পাঠাগার ও যুব সংঘ ক্লাব, চরবাড়িয়া ইউনিয়নের হামিদা বেগম, সোহাগ হাওলাদার, চাদপুরা ইউনিয়নের রশিদ মোল্লা, মবির হোসেন হাওলাদার, মো. মন্নান হাওলাদার, চরকাউয়া ইউনিয়নের মো. রহিমা বেগম, মেঘা, টুঙ্গিবাড়ীয়া ইউনিয়নের মো. রিপন আকন, বিসিসি'র ১৫ নং ওয়ার্ডের হামেদ সিকদার ও ১১ নং ওয়ার্ডের মেজবাহ উদ্দিন জাকিরকে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সর্বোমোট ২০০ বান ঢেউটিন বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধুসহ বরিশাল জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁধের কাজ করতে হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ভোলাসহ উপকূল রক্ষায় বাঁধের উচ্চতা বাড়াতে সমীক্ষা চলছে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
গৃহহীনদের আশ্রয়ণ বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর সমান মালিকানা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকের নিজস্ব বাড়ি, জমি এবং ঠিকানা তিনি নিশ্চিত করতে চান। কারণ তার সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য বাংলাদেশে একজনও গৃহহীন থাকবেন না, তা নিশ্চিত করা। ভূমিহীন পরিবারের স্বামী ও স্ত্রীর সমান মালিকানার অধিকার প্রদান করা।’ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ধারণা কীভাবে তার কাছে এসেছিল তাও তিনি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
আশ্রয়ণ প্রকল্প-গৃহহীনদের জন্য বাড়ি- একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসেবে দেখা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তার প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন এবং ১০ লাখ পরিবার বাড়ি পেয়েছে। ‘ আর যদি আমরা গণনা করি তাহলে দেখা যায় প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ স্থায়ী আশ্রয় পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু গৃহহীনদের বাড়িই দিচ্ছেন না, জনগণকে আয়বর্ধক কাজে যুক্ত হতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ নগদ সহায়তা এবং বাজারে তাদের পণ্য বিক্রির সুযোগও করে দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে সারাদেশে সফরের মাধ্যমে কিছু জায়গায় মানুষকে বাড়ি পেতে সাহায্য করার কথাও স্মরণ করেন। কিন্তু তিনি দেখলেন যে সে বাড়িগুলো কয়েকদিন পর বিক্রি করে দিয়েছেন তারা।
এরপরেই তিনি কিছু উপায় বের করলেন, যাতে অসহায় মানুষদের তাদের বাড়ি বিক্রি করতে না হয়।
তিনি ১৯৯৭ সালে একটি ঘূর্ণিঝড়ের পরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সফরে গিয়ে ৭০টি পরিবারকে ঘরবাড়ি ছাড়া অবস্থায় বসবাস করতে দেখার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন।
তিনি সেসময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তায় তাদের জন্য বাড়ি তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের জমি নিয়ে এগিয়ে আসেন। ‘আমি বাড়িগুলো ডিজাইন করেছি। শুরুটা এভাবেই হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাড়ির মালিকানা স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েরই তা তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বা স্বামী স্ত্রীকে ত্যাগ করলে মালিকানা স্ত্রীর কাছে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, তালিকাভূক্ত গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিতে এরই মধ্যে কাজ করছে সরকার।
বুধবার কক্সবাজারে একটি হোটেলে আয়োজিত ইউকে ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংগঠন হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাংলাদেশ দা রোল মডেল ফর ইনক্লুসিভ ডেভলপমেন্ট শীর্ষক অভিজ্ঞতা ও অর্জন বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কয়েক ধাপে তুলে দেয়া হয়েছে দুই লাখের বেশি ঘরের চাবি, বাকী সাত লাখ গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। যা দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নেয়া শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করতে সরকারের পাশাপশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মাণ করা কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় ৩৪৫ টি সেমি পাকা ঘরের চাবি তুলে দেন হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে।
ঘরের চাবি পেয়ে উপস্থিত পরিবারগুলোর মাঝে আনন্দ বিরাজ করে। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনকে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তারা।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, জেলার আটটি উপজেলায় অসহায় ও আবাসনে পিছিয়ে পড়া পরিবারের জন্য তৈরি করা হয় ৩৪৫টি ঘর। চারপাশের ইটের দেয়াল আর চালে ব্যবহার করা হয় টিন। রাখা হয়েছে দুটি কক্ষ, বাথরুম ও রান্নাঘরের জন্য আলাদা স্থান।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ দৌজা এবং হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ওবায়দুর রহমান।
এছাড়াও হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন এর সহযোগী এনজিও প্রতিষ্ঠান ইসপা, একতা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থা'র চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মীরা ছাড়াও সমাজের বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি গৃহহীন নাগরিক বাংলাদেশে একটি করে ঘর পাবে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমি ‘প্রত্যেক নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী’।
তিনি বলেন, ‘দেশটি আমাদের সকলের। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার মানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দেখাশোনা করা আমার দায়িত্ব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে মতামত বা আদর্শের পার্থক্য থাকতে পারে তবে ‘আমি প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাই প্রতিটি নাগরিকের একটি সুন্দর জীবন হোক। এটাই আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা।’
তিনি দলমত নির্বিশেষে অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সকলকে ভূমিহীন ও গৃহহীন আছে কি না সরকারকে জানানোর অনুরোধ করেন যাতে তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সমস্ত সরকারি কর্মচারী এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যে কোনও ভূমিহীন এবং গৃহহীন লোকদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমরা তাদের একটি বাড়ি এবং ঠিকানা দিতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের জন্য ঘর তৈরি করব, তাদের একটি ঠিকানা দেব এবং তাদের জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করব।’
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে মোট ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক যুগান্তকারী অর্জনে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন সকলের আশ্রয় নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় ও মাগুরার নয়টি উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলার মোট ৫২টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের দেয়া ঘরগুলো সংরক্ষণ করা সুবিধাভোগীদের দায়িত্ব।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দেয়া ঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা নিছক ঘর নয়, এটা আপনার পরিবার ও আপনার পরবর্তী প্রজন্মের আশ্রয়, ঠিকানা ও ভবিষ্যৎ।’
পড়ুন: পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে সরকার সার ও খাদ্য সংগ্রহে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে, সারা বিশ্বে খাদ্যের অভাব চলছে, এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ বেশ ভালোভাবে চালাচ্ছি, তবে আমাদের এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি সাশ্রয় এবং খাদ্য উৎপাদনের জন্য তাদের জমির প্রতিটি ইঞ্চি ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান প্রকল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন।
প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চগড়, মাগুরা, বাগেরহাট, লক্ষ্মীপুর ও ময়মনসিংহের বেশ কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলেন।
পড়ুন: আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক যুগান্তকারী অর্জনে বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তরের সময় এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা খুব আনন্দিত যে দুই জেলার সব উপজেলায়ই এখন সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষমুক্ত হয়েছে। ‘আমাদের উদ্যোগের ফলে আজ এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে’।
এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৪৩টি উপজেলাও একই মর্যাদা পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা একটা বড় অর্জন। আমি আশা করি বাংলাদেশের সব জেলা ও উপজেলা একদিন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত হবে। ‘দেশের প্রতিটি মানুষের একটি বাড়ি এবং ঠিকানা থাকবে।’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে ৪ হাজার ৮৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন লোক খুঁজে পেয়েছে সরকার এবং তাদের সবার জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা জেলায় ৬৭৮টি পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন সকলের জন্য আশ্রয় নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই ৫২টি উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৭৮০টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, দুই জেলা ও ৫২টি উপজেলায় কাউকে ভূমিহীন পাওয়া গেলে দ্রুত তাদের জমিসহ ঘর দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভূমিহীন ৫২ উপজেলা হলো ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোণার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর ও ফুলবাড়িয়া, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ, ফেনীতে ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেতুলিয়া ও বোদা, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রানীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া, নাটোরের বাগাতিপাড়া, পাবনার ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরায় মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর ও শালিখা, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া ও পটুয়াখালীর দশমিনা।
পড়ুন: আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, আশ্রয়ণ-২-এর তৃতীয় প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে, ২১ জুলাই হস্তান্তর করা হয়েছে ২৬ হাজার ২২৯টি এবং বাকি ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি এবং ২০ জুন প্রথম দুই দফায় দেশে গৃহহীনদের মধ্যে ভূমিসহ এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি আধা-পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আশ্রয়ণ ঘরের জন্য প্রায় ৪ হাজার ২৯কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সরকার সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ৫ হাজার ৫১২ একর খাস জমি উদ্ধার করে। এই জমির আনুমানিক বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।
এছাড়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য সরকার ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯১ দশমিক ৭৯ একর জমি ক্রয় করেছে। আর এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৬২টি ভূমিহীন পরিবারকে সংগৃহীত জমিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এই আবাসন প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত করতে অবদান রাখবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও সরকার আশ্রয়-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন চালিয়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা
জনবল সংকটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা বন্ধ
২ বছর আগে