দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, তালিকাভূক্ত গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিতে এরই মধ্যে কাজ করছে সরকার।
বুধবার কক্সবাজারে একটি হোটেলে আয়োজিত ইউকে ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংগঠন হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাংলাদেশ দা রোল মডেল ফর ইনক্লুসিভ ডেভলপমেন্ট শীর্ষক অভিজ্ঞতা ও অর্জন বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কয়েক ধাপে তুলে দেয়া হয়েছে দুই লাখের বেশি ঘরের চাবি, বাকী সাত লাখ গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। যা দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নেয়া শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করতে সরকারের পাশাপশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মাণ করা কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় ৩৪৫ টি সেমি পাকা ঘরের চাবি তুলে দেন হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে।
ঘরের চাবি পেয়ে উপস্থিত পরিবারগুলোর মাঝে আনন্দ বিরাজ করে। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনকে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তারা।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, জেলার আটটি উপজেলায় অসহায় ও আবাসনে পিছিয়ে পড়া পরিবারের জন্য তৈরি করা হয় ৩৪৫টি ঘর। চারপাশের ইটের দেয়াল আর চালে ব্যবহার করা হয় টিন। রাখা হয়েছে দুটি কক্ষ, বাথরুম ও রান্নাঘরের জন্য আলাদা স্থান।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ দৌজা এবং হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ওবায়দুর রহমান।
এছাড়াও হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন এর সহযোগী এনজিও প্রতিষ্ঠান ইসপা, একতা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থা'র চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মীরা ছাড়াও সমাজের বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী