বজ্রপাত
যুক্তরাষ্ট্রে ৮২৯ কিমি দীর্ঘ বজ্রপাত, বিশ্বে রেকর্ড
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঘটে যাওয়া একটি বজ্রপাত বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ৫১৫ মাইল বা ৮২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বজ্রপাতকে ইতিহাসের দীর্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে মিসৌরির কানসাস সিটি পর্যন্ত বিস্তৃত। যা ইউরোপের প্যারিস থেকে ভেনিস পর্যন্ত দূরত্বের সমান।
এই বজ্রপাতটি পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের বজ্রপাত। এর আগের রেকর্ডটিও গ্রেট প্লেইন্স নামের একই অঞ্চলে ঘটেছিল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিলের ওই বজ্রপাতটি ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ।
২০১৬ সাল থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন বিস্তৃত বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সর্বশেষ ভূ-স্থির কক্ষপথে থাকা আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সহায়তায় ২০১৭ সালের বজ্রপাতটি শনাক্ত করা হয়।
স্যাটেলাইট চিত্র দিয়ে বজ্রপাতের বিভিন্ন অংশে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শাখাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে স্থলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে বজ্রপাতের সময় ও দূরত্ব পরিমাপ করা হতো, তবে এতে সীমাবদ্ধতা থাকত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পড়ুন: বাল্যবিবাহ ঠেকাতে প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলছাত্রীর দরখাস্ত
এ ছাড়া সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বজ্রপাতের রেকর্ডও প্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ১৮ জুন উরুগুয়ে ও উত্তর আর্জেন্টিনার আকাশে একটি বজ্রপাত টানা ১৭ দশমিক ১ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়া ও জলবায়ুর চরম অবস্থা বিষয়ক প্রতিবেদক অধ্যাপক র্যান্ডাল সারভেনি বলেন, ‘এমন দীর্ঘতম বজ্রপাতের ঘটনার দৈনন্দিন প্রভাব রয়েছে। বজ্রপাত মূল উৎস থেকে অনেক দূরেও আঘাত হানতে পারে। তাই বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি চলাকালে মানুষকে বাইরে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ ও পানির লাইন আছে এমন মজবুত ভবন অথবা সম্পূর্ণ বদ্ধ ধাতব ছাদবিশিষ্ট গাড়ির মধ্যে আশ্রয় নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)।
১২৬ দিন আগে
ময়মনসিংহে বজ্রপাতে প্রাণ গেল বাবা-ছেলের
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বজ্রপাতে এক প্রবাসী ও তার ছেলে নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৭ জুলাই) বিকালে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- প্রবাসী গোলাম মোস্তফা (৪৫) ও তার ছেলে আবদুল্লাহ (৯)।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী গোলাম মোস্তফা তার ছেলে আবদুল্লাহকে নিয়ে বাড়ির পাশে নিজ জমিতে ধানের বীজতলা প্রস্তুত করছিলেন। হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বজ্রপাতের শব্দ শোনা যায়। এরপর নিরাপত্তার জন্য জন্য ছেলেকে নিয়ে বীজতলা থেকে পাশের একটি জামগাছের নিচে আশ্রয় নেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে এক বিকট শব্দে জামগাছের উপর বজ্রপাত আঘাত হানে। এতে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা-ছেলে গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বজ্রপাতে মাদরাসাছাত্র নিহত, আহত ৩
পরে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু পথেই তাদের মৃত্যু হয়।
১৫১ দিন আগে
নড়াইলে বজ্রপাতে মাদরাসাছাত্র নিহত, আহত ৩
নড়াইল সদর উপজেলায় বজ্রপাতে জাবেদ বিশ্বাস মিঠুন (২২) নামে এক মাদরাসাছাত্র নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া, পৃথকস্থানে বজ্রাঘাতে নারীসহ আরও ৩ জন আহত হয়েছেন।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মিঠুন বিশ্বাস ওই গ্রামের আমিনুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি স্থানীয় জুড়ালিয়া মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালের দিকে মিঠুন ও তার বাবা আমিনুর তাদের বাড়ির পাশে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে মিঠুন গুরুতর আহত হন এবং তার বাবা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে নড়াইল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিন জেলার পৃথকস্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় আহত আরও দুজন নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারা হলেন—চাঁদপুর গ্রামের লাভলী বেগম (৩৮) ও নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার লিলি বেগম (৬০)।
আহতরা বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নড়াইল জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহেলী জামান বলেন, ‘মিঠুন নামে এক যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বজ্রপাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে গেছে। এ ছাড়া অপর আহতরা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
১৬১ দিন আগে
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. তামিম হোসেন আলিফ (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) বিকালে নয়ানগর বিলে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হন মো. তামিম হোসেন আলিফ। সে মোহনপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে ফের সচিবালয়ে বিক্ষোভ
নিহতের বাবা কবির মিজি জানান, নয়ানগর বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিল আলিফ। ওই সময় বজ্রপাতে পড়ে পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে ডিউটি ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’
১৮৬ দিন আগে
দিনাজপুরে বজ্রপাতে মেয়ে নিহত, মা আহত
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বজ্রপাতে জয়শ্রী রায় (১১) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে কিশোরীর মা কাকলী রানী রায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) দুপুর দিকে বৃষ্টি শুরু হলে ধান তোলার সময় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ধান শুকানোর সময় বৃষ্টি শুরু হলে তাড়াহুড়ো করে ধান তুলছিল মা ও মেয়ে। এ সময় তাদের ওপর বজ্রপাত ঘটে।’
১৯৭ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরমোহনপুর, বহরমপুর ও বারোঘরিয়া এলাকায় বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— চর মোহনপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম, রাণীহাটি ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া গ্রামের জালাল আলী ও শিবগঞ্জ নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের উপর সুন্দরপুর গ্রামের তাসবুর আলী।
আরও পড়ুন: মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নারী নিহত
স্থানীয়রা জানান, চরমোহনপুর এলাকার ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন খাইরুল। একই সময় বহরমপুর ও বারোঘরিয়ায় গরু নিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন জালাল আলী ও তাসবুর আলী।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছমিনা খাতুন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’
১৯৭ দিন আগে
চাঁপাইয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, আহত মা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে মিজানুর রহমান মিজান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যার দিকে শহরের শিবতলা-গুলবাগ মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তার মা সুফিয়া খাতুন আহত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক উম্মে হাবিবা বলেন, ‘সুফিয়া খাতুনের অবস্থাও গুরুতর।’
আরও পড়ুন: বজ্রপাত নিয়ে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিহত মিজানুর রহমান শিবতলা-গুলবাগের মনোয়ার হোসেনের ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টির সময় মিজান ও তার মা বাড়ির সামনের একটি আমগাছের নিচে দাড়ান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মিজান মারা যান ও তার মা আহত হন।’
২০৫ দিন আগে
বজ্রপাত নিয়ে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল ৮টা ৪৫ থেকে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।
এছাড়া, প্রতি ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে এই দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলাকে বজ্রপাতের এলাকা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
এ সময়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত হলে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে হবে।
তবে গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেওয়াও যাবে না। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখতে হবে।
কেউ জলাশয়ে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকুন। শিলা বৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
২০৫ দিন আগে
তাপপ্রবাহের মধ্যেই বজ্রপাত নিয়ে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বজ্রপাতের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আজ সোমবার (১২ মে) সকাল সাড়ে আটটা থেকে পরবর্তী ১-৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।
এছাড়া, প্রতি ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে এই দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, রংপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, রাঙামাটি ও বান্দরবানকে বজ্রপাতের এলাকা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এ সময়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত হলে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে হবে।
তবে গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেওয়াও যাবে না। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখতে হবে।
কেউ জলাশয়ে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকুন। শিলা বৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করুন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর
এদিকে, সোমবার সারা দেশের সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এদিন দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া, আজ (সোমবার) রাজধানী ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরের ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। পশ্চিম দক্ষিণ অথবা পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে গতকাল (রবিবার) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
২০৭ দিন আগে
বজ্রপাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জে নিহত ৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে বজ্রপাতের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার (১১ মে) বিকালে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও আখাউড়ায় উপজেলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, সরাইলের কালিকচ্ছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, নাসিরগরের গোর্কণ গ্রামের শামসুল হুদা, আখাউড়া উপজেলার রুটি গ্রামের সেলিম ও বনগজ গ্রামের জামির খাঁ।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বিকালে নাসিরনগরের টেকানগর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক কৃষক ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকায় ফসলি মাঠে কাজ করার সময় কৃষক শামসুল হুদা বজ্রপাতে মারা যান।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
এদিকে আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের ধান কাটার মেশিন নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় জামির খাঁ ও রুটি গ্রামে নিজ জমিতে কাজ করার সময় সেলিম মিয়া বজ্রপাতে মারা যান।
আখাউড়া ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজ্রপাতে চারজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে হবিগঞ্জে বজ্রপাতে বজ্রপাতে সাজু মিয়া (২০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। রবিবার (১১ মে) জেলার আজমিরীগঞ্জে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ডেমিকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাজু জমিতে পানি দেওয়ার ড্রেনে গোসল করছিলেন। গোসলরত অবস্থায়ই বজ্রপাতে আহত হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০৭ দিন আগে