বজ্রপাত
বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ৭
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে পটুয়াখালীর বাউফলে ২ জন ও পিরোজপুরে ২ জন এবং ঝালকাঠিতে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- রুবি বেগম, অনিল পাল, হেলেনা বেগম, মিনারা বেগম, মাহিয়া আক্তার, রাতুল ও সুফিয়া বেগম।
জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুরে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা।
এ সময় ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে গাছচাপায় রুবি বেগম নামে এক নারী মারা যান। এছাড়াও ঝড় থেমে যাওয়ার পর গ্রামের একটি খাল থেকে অনিল পাল নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি বলেন, রবিবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে অনিল পাল ঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যে পড়েন। ধারণা করছি, ঝড়ের কারণে সম্ভবত তিনি খালের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। ঝড় থামার পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ২০
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিহত পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করে পরে জানানো হবে।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজান আলী বলেন, ঝড়ের পরে রুবি বেগম নামে এক নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছ।
এদিকে ঝালকাঠির সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন ও কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ঝড়ের সময়ে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন- শেখেরহাট এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগম, আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের মৃত আলম গাজীর স্ত্রী হেলেনা বেগম ও পোনাবালিয়া এলাকার মো. বাচ্চুর ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া আক্তার ঈশান।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে ঝড় শুরু হয়।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে দুই উপজেলায় এক শিশু ও দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হবে।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ঝড়ে ঝড়ে রাতুল নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
রাতুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে- বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে সে মারা গেছে।
আর সুফিয়া বেগম দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী। ঘরের উপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।
দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা ভেঙে ও বজ্রপাতে লিকচান সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ও ফসলের খেত। এদিকে বিদ্যুতের ৩৪টি খুটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ৪ লাখ গ্রাহক।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
এলাকাবাসী জানায়, হঠাৎ করেই শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ ঝড়। সঙ্গে চলে বজ্রসহ বৃষ্টি। এই ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাতে লিকচান সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। এসময় ঝড়ে গাছপালা ও ঝুলন্ত বিলবোর্ড পড়ে ৮ জন আহত এবং একটি যাত্রীবাহী বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝড়ে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল, ফকিরহাট, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুৎ ও ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৩৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ায় শনিবার সকাল ১০টা থেকে বাগেরহাটের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুতের এজিএম সুশান্ত রায় বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের কমপক্ষে ২০টি খুটি ভেঙে যায় এবং অসংখ্য স্থানে বিদ্যু্তের তার ছিঁড়ে গেছে। ফলে সকাল ১০ টা থেকে ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ করছে।
বাগেরহাট ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহি প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, ঝড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে এবং অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। সকাল ১০টা থেকে শহরের ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে।
বাগেরহাট বাসাবাটি গির্জার ফাদার ডমিনিক হালদার জানান, কয়েক মিনিটের ঝড়ে মারিয়া পল্লির ২০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পল্লির বাসিন্দাদের ঘরের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই কষ্টে দিন পার করছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের সময় কচুয়ায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কিছু কাঁচাঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশ বিছু গাছপালা উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
সিলেটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
সিলেটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ঝড় চলাকালে বজ্রপাতে আছকির আলী নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোলাপগঞ্জ বাজারে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৪
আছকির আলী গোলাপগঞ্জ উপজেলার উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী ও পৌর শহরের টিকরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আছকির আলী শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পখে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতের বিকট শব্দে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পান। আশপাশের ব্যবসায়ীরা ও উপস্থিত লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের ঝুঁকি এড়াতে কুড়িগ্রামে তালগাছের চারা রোপন
মাগুরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
বজ্রপাতের ঝুঁকি এড়াতে কুড়িগ্রামে তালগাছের চারা রোপন
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে ধরলা নদীর পাড়ে সহস্রাধিক তালের চারা রোপন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন 'রণন'।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নদীর পাড় ঘেঁষা শেখ হাসিনা সেতুসংলগ্ন সড়কে সংগঠনটির উদ্যোগে এসব চারা রোপন করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘কুড়িগ্রাম একটি নদী-মাতৃক জেলা। এ জেলার চরাঞ্চলগুলোতে প্রতি বছর মানুষজন বজ্রপাতের ঝুঁকিতে থাকে। আমরা এর আগে ৫ হাজার বীজ বপন করেছিলাম সেগুলো এখন বড় হয়েছে।’
এসময় তালের চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরিফ।
এতে পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, ইউএনও রেহেনুমা তারান্নুম, ওসি প্রাণকৃষ্ণ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কানুটিয়া ও চরপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- একই উপজেলার কানুটিয়া গ্রামের জামান মির্জার ছেলে তন্ময় মির্জা (২২) ও চরপাড়া গ্রামের আকুল শেখের ছেলে উমেদ আলী (২০)।
মাগুরার মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহানুল ইসলাম বলেন, বিকালে জমিতে কৃষিকাজ করার সময় আকস্মিকভাবে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে তন্ময় ও উমেদ আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বজ্রপাতে ট্রলার থেকে ছিটকে বিষখালী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জেলের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে বিষখালী ও বলেশ্বর নদের মোহনাসংলগ্ন লালদিয়ার চর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানি।
আরও পড়ুন: নাটোরের গুরুদাসপুরে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
নিহত আউয়াল (৩৮) পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের আব্দুল হামিদ হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার নদীর লালদিয়া চর থেকে দক্ষিণে একটি ট্রলারে মাছ ধরছিলেন আউয়াল, জাহাঙ্গীর মাঝি, শাকিল ও রনি। সে সময় বজ্রপাত হলে ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায় আউয়াল। বাকি তিনজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কয়েকঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে তারা আউয়ালকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
কোস্ট গার্ডের কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার পর থেকে আউয়ালকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে রবিবার তার লাশ উদ্ধার হয়। আহত তিন জেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩
ময়মনসিংহে বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাছের খামারের ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করার সময় বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পাগলা থানা এলাকার লংগাইর ইউনিয়নের সতেরোবাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলের ছেলে সোহেল মণ্ডল (৪০) ও আকবর আলী মণ্ডলের ছেলে রাজিব মণ্ডল (৩২)। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা।
লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রবল বর্ষণে মাছের খামার তলিয়ে যাচ্ছে দেখে সোহেল মণ্ডল ও রাজিব মণ্ডল পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে যান। এ সময় বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ১
দিনাজপুরে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৪
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ১
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বজ্রপাতে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- ছাতিয়ান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী শান্তা (৩০) এবং তার ভাই রুবেল মিয়ার মেয়ে সাদিয়া (১৩)। তারা সম্পর্কে চাচি-ভাতিজি।
আহত শারমীন আক্তার (৪৫) সোহেল ও রুবেল মিয়ার মা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে নিহত ৩
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনজুর আহ্সান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ছাতিয়ান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গ্রামের রহমত আলী ও শারমীন আক্তার দম্পতির দুই ছেলে সোহেল মিয়া ও রুবেল মিয়া। ঘটনার দিন রহমত আলী তার স্ত্রী শারমীন আক্তার, তার পুত্রবধূ শান্তা আক্তার ও নাতনী সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে শিমুলঘর গ্রামে ছেনু মিয়ার বাড়িতে দাওয়াতে যান।
দাওয়াত বাড়ি থেকে ফেরার পথে শিমুলঘর সড়ক বাজারে পৌঁছামাত্র বজ্রপাত হয়। এসময় তাদের তিনজনকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রকিবুল ইসলাম শান্তা ও সাদিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত শারমীন আক্তারকে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহতের পরিবারকে সরকারি তহবিলের সহায়তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
লালমনিরহাটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে বজ্রপাতে রসুল মিয়া নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রসুল মিয়া রাসেল (২১) ওই গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
নিহতের পরিবার জানায়, সকালে নিজ ঘর হতে টিউবওয়েলে পানি আনতে যায় রসুল মিয়া রাসেল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে সেখানে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাসেলের।
পরে রাসেলের পরিবারের লোকজন তাকে টিউবওয়েলের পাশ থেকে ঘরে নিয়ে আসে। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে দেখালে তিনি রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে নিহত ৩
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নওগাঁয় বজ্রপাতে নিহত ৩
নওগাঁর মহাদেবপুর ও পোরশা উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুই আদিবাসী নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলার রাইগা ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের নেপাল পাহানের স্ত্রী শ্রীমতি পাহান এবং একই গ্রামের মৃত সুবেন্দ্রনাথ পাহানের স্ত্রী সবানী পাহান। আরেকজন হলেন- পোরশা উপজেলার চকবিষ্ণপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো কৃষকের
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বাড়ির পাশে ধানখেতে বেশ কয়েকজন আদিবাসী নারী-পুরুষ কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও একজন নারী আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অন্যদিকে নওগাঁর পোরশায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, দুপুরে নিহত রফিকুল ইসলাম পুনর্ভবা নদীতে মাছ ধরতে যান। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু