তালেবান
আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামিক স্টেট ও তালেবানের কায়দায় বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সামসময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে কর্মসূচি ঘোষণা দিতে সংবাদ সম্মেলন করা হতো। এখন দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির কর্মসূচির ঘোষণার সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মসূচির ঘোষণার কোনো পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে যেসব নিষিদ্ধ সংগঠন থাকে, তারা যেরকম কর্মসূচি ঘোষণা করে, সেই আদলে অর্থাৎ তালেবানি কায়দায় কর্মসূচি ঘোষণা করা শুরু করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন তারা যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করত কিংবা ইসলামিক স্টেট যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করে, ঠিক একই কায়দায় অনলাইনে তারা এখন কর্মসূচি ঘোষণা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের কর্মসূচি বলতে কার্যত অবরোধের নামে গাড়িঘোড়া, মানুষের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ করা। আমরা বহু বছর বিরোধী দলে ছিলাম, কলেজে ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, ১৬ বছর বয়স থেকে। আমরা পিকেটিং করতাম, রাস্তায় বড়োজোর রিকশার পাম্প ছেড়ে দিতাম, মানুষকে বোঝাতাম, মিছিল করতাম—এর বেশি কিছু না। তাও পুলিশের লাঠিপেটা খেতাম।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারেন, কিন্তু বিএনপি সেটা করছে না। ইসরায়েলি বাহিনীর হাত থেকে যেমন হাসপাতাল, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স রেহাই পাচ্ছে না, বিএনপির হাত থেকে কোনো কিছু রেহাই পাচ্ছে না। শিক্ষার্থী বহনকারী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। যেমন ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী দলে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে আইনে আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর। তারা ভেবেছে, একের পর এক অবরোধ ডেকে দেশকে অস্থিতিশীল করবে।
তিনি বলেন, তারা দেখতে পাবে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে, জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, সরকারের কিছু করতে হবে না। আমরা জনগণের সঙ্গে থাকব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশে বসে গুজব রটনানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা নানা ধরনের গুজবও রটাচ্ছে। দেশ ও বিদেশ থেকে। যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদেরও শনাক্ত করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ ভেবেছে, বিদেশে বসে গুজব রটিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে, যেখান থেকে বসে গুজব রটানো হচ্ছে, আমরা সেই দেশে বসে সেখানকার আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিদেশ থেকে যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে বাংলাদেশি কমিউনিটি আছে। এরআগেও বাংলাদেশি অভিবাসীরা গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সেখানকার আইনে ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের অনেককে আইনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া জোরদার করা হবে। পাশাপাশি আমাদের মিশনও সেখানকার সরকারকে বিষয়টি জানাবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
১ বছর আগে
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার: তালেবান মুখপাত্র
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার জনে।
তালেবান মুখপাত্র তথ্যটি জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ প্রাথমিকভাবে ৩২০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিলেও পরে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখনও যাচাই করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দপ্তরের একই হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ১০০ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
হালনাগাদ তথ্যে আরও বলা হয়েছে, ৪৬৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১৩৫টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
জাতিসংঘ বলেছে, ‘অংশীদার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে। কারণ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু লোক ধসে পড়া ভবনের নীচে আটকা পড়তে পারে এমন খবর পাওয়া গেছে।’
দুর্যোগ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জান জানিয়েছেন, হেরাত প্রদেশের জেন্দা জান জেলার চারটি গ্রাম ভূমিকম্প ও পরবর্তী আরও কম্পনের (আফটারশক) কবলে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পটি ঘটার পর তিনটি খুব শক্তিশালী আফটারশক হয়েছিল, যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩, ৫ দশমিক ৯ এবং ৫ দশমিক ৫। এর পাশাপাশি মৃদু কম্পনও হয়েছিল।
হেরাত শহরের বাসিন্দা আবদুল শাকর সামাদি বলেন, দুপুরের দিকে শহরে অন্তত পাঁচটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ
নেপালে জোড়া ভূমিকম্পের আঘাত, দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত
১ বছর আগে
পুরুষের সামনে মুখ দেখালে নারীর মর্যাদা কমে যায়: তালেবান কর্মকর্তা
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বলেছেন, জনসমক্ষে পুরুষদের সামনে মুখ দেখালে নারীদের মর্যাদা কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ধর্মীয় নেতারা একমত যে বাড়ির বাইরে থাকার সময় নারীদের মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
তালেবান সরকার ২০২১ সালের আগস্টে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর থেকে পার্ক, চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশিরভাগ জনপরিসরে নারীদের নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে তারা যথাযথভাবে হিজাব (মাথা ঢেকে রাখার ইসলামিক পোশাক) পড়তে ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছে।
তালেবানের ভাইস ও ভার্চু (পাপ ও পূণ্য) মন্ত্রণালয়ের (পূর্বনাম নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়) মুখপাত্র মৌলভী মোহাম্মদ সাদিক আকিফ বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, নারীদের মুখ জনসমক্ষে দেখা গেলে ফিতনা বা পাপে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
আকিফ বলেন, ‘কিছু এলাকায় (বড় শহর) নারীদের (হিজাব ছাড়া) খুবই খারাপভাবে দেখা যায়। আমাদের পণ্ডিতরাও একমত যে নারীদের মুখ ঢেকে রাখা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন না যে এতে তার মুখের কোনো ক্ষতি হবে। একজন নারীর নিজস্ব মর্যাদা আছে এবং পুরুষরা তাকে দেখলে সেই মর্যাদা কমে যায়। আল্লাহ হিজাব পরা নারীদের সম্মান দেন এবং এতে মর্যাদা রয়েছে।’
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ডিভিনিটি অনুষদের ইসলামিক স্টাডিজের শেখ জায়েদ লেকচারার টিম উইন্টার বলেছেন, নারীর মুখ ঢেকে রাখার ব্যাপারে ইসলামে কোনো শাস্ত্রসম্মত কোনো আদেশ বা হাদিস নেই। এ ছাড়া তালেবানরা ইসলামি ধর্মগ্রন্থে (কোরআন) এমন কিছু খুঁজে পাবে না যা তাদের হিজাবের নিয়মের ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে।
তিনি এপিকে বলেন, ‘তাদের নাম থেকেই বোঝা যায় যে তারা ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন। তালেবান শব্দের অর্থ শিক্ষার্থী (জ্ঞান আহরণকারী)।’
তিনি বলেন, তালেবানরা গ্রামের মাদরাসা ও ধর্মীয় বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা চালান। এ ছাড়া তালেবান শাসনের দুই মেয়াদে আফগানিস্তানে যাওয়া মুসলিম পণ্ডিতদের ধর্মীয় জ্ঞানের দ্বারা তারা প্রভাবিত। তাই ‘তারা বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায় থেকে এত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নারীদের বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ করেছে তালেবান
মেয়ে ও নারীদের উপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে কিছু মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশসহ বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
বুধবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আফগান মেয়ে ও নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অধিকার হরণ করায় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তালেবান নেতাদের বিচার করা উচিত।
ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রণালয়ের প্রধান মুখপাত্র আকিফ বলেন, মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজে সাধারণ মানুষ কোনো বাধা দেয়নি। বরং আফগানরা এই আইনগুলোতে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখানে শরিয়া (ইসলামি আইন) বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। এখন আমরা শরিয়া বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি আরও বলেন, এগুলো সব ইসলামিক বিধি-বিধান। তালেবানরা এতে অতিরিক্ত কিছুই যোগ করেনি। ‘শরিয়ার আদেশ ১৪০০ বছর আগে জারি করা হয়েছিল এবং তা এখনও আছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনে পুরুষরা আগের সরকারের আমলের মতো নারীদের হয়রানি করবে না বা তাকাবে না।
তালেবান সরকার আরও বলেছে, তারা মদ্যপান ও ছেলেশিশুদের শ্লীলতাহানীর মতো ‘ঘৃন্য’ কাজ বন্ধ করেছে।
এই মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দারুল আমান প্রাসাদের কাছে একটি সুরক্ষিত কম্পাউন্ডে অবস্থিত। নারীদের মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে ঢোকা নিষেধ।
আকিফ বলে, জনগণ নিয়ম মেনে চলছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা ও তথ্যদাতাদের নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ন্যায়পালরা বাজার, উন্মুক্ত স্থান, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদে ঘুরে বেড়ায়। ‘তারা এই সব জায়গায় যান এবং লোকজনদের দেখেন। তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের শিক্ষা দেন। আমরা তাদের পর্যবেক্ষণ করি এবং লোকেরাও আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং আমাদের জানায়।’
নারীরা পার্কে যেতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জায়গা থেকে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কিছু শর্ত পূরণ করে তারা সেখানে যেতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সেখানে কোনো পুরুষ না থাকে তাহলে নারীরা পার্কে যেতে পারে। কিন্তু যদি পুরুষ থাকে, তাহলে শরিয়া তা অনুমোদন করে না। আমরা বলি না যে একজন নারী খেলাধুলা করতে পারবে না, তবে সে পার্কে গিয়ে খেলতে বা দৌড়াতে পারবে না। সে এসব করতেই পারে, তবে অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে পুরুষদের মধ্যে এসব করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: কাবুলে তালেবান শাসন: ম্যানিকুইনেরও মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ!
কাবুলে শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৯: তালেবান
১ বছর আগে
আফগানিস্তানে নারীদের বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ করেছে তালেবান
আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার নারীদের বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ করছে। মঙ্গলবার দেশটির একজন সরকারি মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
এটি আফগান নারী ও মেয়েদের অধিকার ও স্বাধীনতার ওপর তালেবানের সর্বশেষ থাবা।
শিক্ষা, জনপরিসরে যাতায়াত এবং বেশিরভাগ কর্মসংস্থান থেকে নারীদের বিরত রাখার জন্য দেওয়া অসংখ্য নির্দেশনার মধ্যে এটি একটি।
তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র মোহাম্মদ সিদিক আকিফ মাহাজার নিষেধাজ্ঞার বিশদ বিবরণ দেননি।
তিনি শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একটি চিঠির বিষয়বস্তু নিশ্চিত করেছেন।
২৪ জুন মন্ত্রণালয়ের জারি করা চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি তাদের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার একটি মৌখিক আদেশ।
চিঠিতে রাজধানী কাবুল এবং সারাদেশের সকল বিউটি পার্লার বন্ধ করার জন্য এক মাসের নোটিশের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভয়াবহ পঙ্গপালের বিষয়ে সতর্কতা জারি জাতিসংঘের
এসময়ের পরে পার্লার মালিকদের অবশ্যই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে এবং তাদের ব্যবসা বন্ধের নিশ্চয়তা দিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
তবে চিঠিতে নিষেধাজ্ঞার কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
অথচ কয়েকদিন আগেই তালেবান প্রধান আখুন্দজাদা দাবি করেন যে তার সরকার আফগানিস্তানের নারীদের জীবনের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
১৯৯০-এর দশকে তাদের শাসনকালের তুলনায় এবার আরও অনেক বেশি শিথিল শাসনের প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহার করার পর আফগানিস্তান দখল করার পর থেকে কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করেছে তালেবান।
তারা পার্ক ও জিমের মতো পাবলিক স্পেসে নারীদের বিচরণে বাধা দিয়েছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ক্রমাহত আধিপত্য বিস্তার করছে।
তাদের এসব পদক্ষেপের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে নিন্দার ঝড় উঠেছে এবং এতে এমন সময়ে দেশটির বিচ্ছিন্নতা বৃদ্ধি করেছে যখন এর অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং এর গভীর মানবিক সংকট আরও দুঃসহ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৯ নারীসহ ২৭ জনকে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত
আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ
১ বছর আগে
কাবুলে তালেবান শাসন: ম্যানিকুইনেরও মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ!
তালেবান শাসনামলে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলজুড়ে নারীদের পোশাকের দোকানের পুতুলের (ম্যানিকুইন) মাথা কাপড় বা কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
এই পুতুলগুলো তালেবানের শুদ্ধতাবাদী শাসনের অন্যতম প্রতীক।
অন্যদিকে, এটি কাবুলের পোশাক ব্যবসায়ীদের খাপ খাইয়ে নেয়া ও সৃজনশীলতার একটি ক্ষুদ্র প্রদর্শনী।
প্রথমত তালেবানরা পুতুলগুলোর মাথা কেটে ফেলতে চেয়েছিল।
২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের কিছুদিনের মধ্যেই তালেবানের ভাইস অ্যান্ড নেচার মন্ত্রণালয় আদেশ দেয় যে, দোকানের জানালা থেকে সব পুতুল সরিয়ে ফেলতে হবে অথবা তাদের মাথা খুলে ফেলতে হবে।
এই আদেশটি তারা ইসলামী কঠোর আইনের ব্যাখ্যা দ্বারা তৈরি করেছে। যাতে মূর্তি ও মানুষের ছবি আঁকা বা কাঠামো তৈরি নিষিদ্ধ। যেহেতু এগুলো প্রতিমা হিসেবে পূজা করা যেতে পারে।
যদিও এটি নারীদের বিষয়ে তালেবানের মতাদর্শ প্রচারের সঙ্গেও জড়িত।
কিছু পোশাক বিক্রেতা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়, কিন্তু অন্যরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে।
তারা অভিযোগ করেছে, এ সিদ্ধান্ত মানলে হয় তারা তাদের জামাকাপড় সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হবে অথবা তাদের মূল্যবান ম্যানেকুইনগুলোকে ধ্বংস করতে হবে।
পরবর্তীতে তালেবানদের তাদের এই আদেশ সংশোধন করতে হয় এবং পরিবর্তে দোকান মালিকদের পুতুলের মাথা ঢেকে রাখতে বলা হয়।
একটি দোকানে পুতুলগুলোর মাথা তাদের তৈরি ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মতো একই নকশা করা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল।
পুতুলটি একটি বেগুনি রঙের পোশাকে কাউরি শেল দিয়ে সাজানো ছিল এবং গায়ে বেগুনি রঙের হুড ছিল। আরেকটি পুতুল লাল গাউন পরে ছিল, যার মাথায় সোনার মুকুটসহ লাল ভেলভেটের মুখোশ ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাক ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘আমি প্লাস্টিক বা কুৎসিত জিনিস দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে পারি না, কারণ এতে আমার দোকান ও এর জানালা কুৎসিত দেখাবে।’
তিনি বলেন, ‘দোকান মালিকদের পোশাকগুলো আকর্ষণীয় ভাবে রাখতে হয়, যাতে ক্রেতা সেগুলো দেখে পছন্দ করে কেনে। তবে তালেবান দেশের ক্ষমতা দখলের পর থেকে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক অর্থায়নের অবসান ঘটেছে। যা প্রায় পুরো জনসংখ্যাকে দারিদ্র্যের মুখে ফেলেছে।’
আফগানিস্তানে বিয়ের জন্য বড় ঘের যুক্ত পোশাক সব সময়ই জনপ্রিয়। দেশটির রক্ষণশীল সমাজে হাতে গোনা যে কয়েকটি অনুষ্ঠানে নারীরা তাদের সেরা পোশাক পরার সুযোগ পায়, বিয়ে তার মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন: ১১ লাখ আফগান শিশু ভয়াবহ অপুষ্টির মুখে পড়তে পারে
কিন্তু উপার্জন এতটাই কমে গেছে যে বিয়েতেও তারা জনপ্রিয় এই পোশাকগুলো কিনতে পারছে না।
ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘তার বিক্রি আগের তুলনায় অর্ধেক হয়ে গেছে। বিয়ে, সন্ধ্যার অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক কেনা এখন আর মানুষের কাছে অগ্রাধিকার নয়। মানুষ খাদ্য ও বেঁচে থাকার বিষয়ে বেশি চিন্তা করে।’
আরও একটি দোকানের মালিক হাকিম সিদ্ধান্ত নেন যে, পুতুলগুলোর মাথা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দ্বারা মোড়ানো যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি এই নিষেধাজ্ঞা থেকে একটি পরিকল্পনা করেছি, যাতে পুতুলগুলো আগের চেয়ে আরও আকর্ষণীয় হয়।’
তবে সবাই বিষয়টিতে এত মনোযোগ দেয়না।
একটি দোকানে স্লিভলেস গাউন পরা পুতুলগুলোর মাথা কালো প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে ঢাকা ছিল।
মালিক বলেন,তার আর সামর্থ্য নেই।
আরেক দোকানের মালিক আজিজ বলেন, উপসচিব ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা নিয়মিত দোকান ও শপিংমলগুলোতে টহল দিয়ে থাকে, তারা নজরদারি করে যে পুতুলগুলোর মাথা কেটে ফেলা হয়েছে বা ঢেকে রাখা হয়েছে কিনা।
তিনি এই নিয়মের জন্য তালেবানের যৌক্তিকতা প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, ‘সবাই জানে ডামিগুলো মূর্তি নয় এবং কেউ তাদের উপাসনা করবে না। সব মুসলিম দেশেই পোশাক প্রদর্শনের জন্য ম্যানিকুইন ব্যবহার করা হয়।’
দেশটির বিভন্ন দোকানের ডিসপ্লে উইন্ডোতে অল্প সংখ্যক পুরুষ ডামি দেখা যায়, তাদেরও মাথা ঢেকে রাখা হয়। যাতে বোঝা যায় যে কর্তৃপক্ষ একইভাবে পুরুষ পুতুলের জন্যও একই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
প্রথমদিকে তালেবান বলেছিল যে তারা তাদের আগে মেয়াদের মতো (১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে) সমাজের ওপর কঠোর নিয়ম চাপিয়ে দেবে না। কিন্তু ক্রমান্বয়ে তারা আরও বেশি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে,বিশেষ করে নারীদের ওপর। তারা নারী ও মেয়ে শিশুদের ষষ্ঠ শ্রেণীর পরে স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে, নারীদের ঘরের বাইরে বেশিরভাগ কাজ থেকে নিষিদ্ধ করেছে এবং বাইরে যাওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখার আদেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি লাইসি মরিয়ম স্ট্রিটে কেনাকাটা করা এক নারী মুথ ঢেকে রাখা পুতুলগুলো দেখে বলেন,‘আমি যখন তাদের দেখি আমার তখন মনে হয়, এই পুতুলগুলোও ধরা পড়েছে এবং আটকা পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমি এই দোকানের জানালার কাঁচে নিজেকে দেখছি, এমন একজন আফগান নারী; যাকে তার সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাবেক আফগান ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর শতাধিক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে: জাতিসংঘ
ওআইসির বৈঠকে আফগান শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান বাংলাদেশের
১ বছর আগে
কাবুলে অভিযানে ৭ আইএস সদস্য হত্যার দাবি তালেবানের
আফগানিস্তানের কাবুলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে। বুধবার একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত ও আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তালেবানের অন্যতম মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটে বলেছেন, ‘ইসলামী আমিরাতের নিরাপত্তা বাহিনী বুধবার সন্ধ্যায় কাবুলের কালাচা ও শুহাদাই সালেহেন এলাকায় আইএস জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চালায়। এর ফলে সাত আইএস বিদ্রোহী নিহত এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ১৮, আহত ২১
এর আগে বুধবার বিকালে কাবুলের বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন যে পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট ৮-এর কারতা-ই-নাউ এলাকা এবং এর আশেপাশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
মুজাহিদ আরও বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বুধবার ভোরে পশ্চিম নিমরোজ প্রদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস বা ইসলামিক স্টেট গ্রুপের দুই সশস্ত্র বিদ্রোহীকে আটক করেছে।
আইএস বেশ কয়েকবার আফগান সরকারের বিরুদ্ধে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে কাবুলের একটি সামরিক বিমানবন্দরের গেটে সর্বশেষ হামলায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত ও আহত হয়।
তবে, তালেবানের হামলার বিষয়ে আইএস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
‘আফগানিস্তান যুদ্ধের অবশিষ্ট অস্ত্রের বিস্ফোরণে ৪ শিশু নিহত’
১ বছর আগে
তালেবানদের হাতে বন্দি কর্মকর্তাদের উদ্ধারে পাকিস্তানে অভিযান শুরু
পাকিস্তানের বিশেষ বাহিনী একটি প্রত্যন্ত উত্তর-পশ্চিম জেলায় একটি সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানি তালেবান জঙ্গিদের একটি গ্রুপের হাতে জিম্মি হওয়া বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মুক্ত করতে এই অভিযান শুরু করেছে।
মঙ্গলবার দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নুর কেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে তাদের রক্ষীদের পরাস্ত করে তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের জিম্মি করার পরে এই অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ভ্যান খাদে পড়ে নিহত ২০, আহত ১৩
সোমবার জিম্মিকারীদের হাতে কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জিম্মিকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ৪০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ওই এলাকায় মোতায়েন বিশেষ বাহিনী কম্পাউন্ডে হামলা চালায়। তারা বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
মঙ্গলবার বিকাল নাগাদ, দু’টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর কম্পাউন্ডের ভেতর থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উড়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে(এপি)কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এলাকা জুড়ে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
জিম্মিকারী বা তালেবান যোদ্ধাদের কী হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। কোনো সামরিক বা সরকারি মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে, কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে কেন্দ্রটি দখলে নেয়ার সঙ্গে প্রায় ৩০ তালেবান যোদ্ধা জড়িত ছিল। জিম্মিকারীরা জঙ্গি গোষ্ঠীর সাবেক শক্ত ঘাঁটিতে নিরাপদে সরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছিল।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে রবিবার কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ হারানো সরকারের নির্লজ্জভাবে অক্ষমতার প্রতিফলন।
পাকিস্তানি তালেবান তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামেও পরিচিত। তারা আলাদা কিন্তু আফগান তালেবানদের মিত্র যারা গত বছর প্রতিবেশী আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করেছিল কারণ মার্কিন এবং ন্যাটো সৈন্যরা ২০ বছরের যুদ্ধের পর দেশ থেকে তাদের প্রত্যাহারের শেষ সপ্তাহে ছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে মর্টার বিস্ফোরণে নিহত ৪, নিখোঁজ ২০
১৯৭১ সালের পরাজয়কে ‘সামরিক ব্যর্থতা’ বললেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
আফগানিস্তানে ৯ নারীসহ ২৭ জনকে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত
তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে ব্যাভিচার, চুরি, মাদক ও অন্যান্য অপরাধে শাস্তি হিসেবে বৃহস্পতিবার ২৭ জনকে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জন নারী। দেশটির এক আদালত কর্মকর্তা জানিয়েছেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানের নতুন কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের আগস্টে দেশটির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কঠোর নীতি প্রয়োগ করেছে, যা তাদের ইসলামী আইন বা শরিয়াহ’র প্রতিফলন।
আপিলের পর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেয়। এক বিবৃতিতে আদালত বলেছে যে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ পারওয়ানে বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১৮ জন পুরুষ ও ৯ জন নারীকে শাস্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ১৮, আহত ২১
আদালতের একজন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম রশিদ বলেন, নারী ও পুরুষ প্রত্যেককে ২৫ থেকে ৩৯ বার বেত্রাঘাত করা হয়। দণ্ডিতদের কয়েকজনকে প্রাদেশিক রাজধানী চারিকারে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রশিদ বলেন, ‘স্থানীয় ও সরকারি কর্মকর্তাদের সামনেই তাদের বেত্রাঘাত করা হয়।’
প্রাদেশিক কর্মকর্তারা ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই শাস্তিতে অংশ নেন। এই সময় কর্মকর্তারা শরিয়া আইনের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় নিহত ৯
কাবুলে শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৯: তালেবান
১ বছর আগে
কাবুলে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদে বুধবার মাগরিবের নামাজের সময় বোমা বিস্ফোরণে একজন বিশিষ্ট আলেমসহ কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।
হামলার ঘটনায় কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত দায় স্বীকার করেনি। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাজধানীর সিদ্দিকিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। নিহত আলেমের নাম মোল্লা আমির মোহাম্মদ কাবুলি।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জনেরও বেশি।
রাজধানী কাবুলে ইতালির একটি বেসরকারি ইমার্জেন্সি হাসপাতাল, যারা হাসপাতালটি পরিচালনা করে তারা জানিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণের স্থান থেকে পাঁচ শিশুসহ অন্তত ২৭ জন আহত বেসামরিক নাগরিককে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
কাবুলের পুলিশ প্রধানের তালেবান-নিযুক্ত মুখপাত্র খালিদ জাদরান উত্তর কাবুলের একটি মসজিদের ভিতরে বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা বা মৃত ও আহতদের কোনো তথ্য তিনি জানাননি।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদও বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের শিগগিরই বিচারের আওতায় আনা এবং শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
পরমাণু চুক্তি আলোচনায় ‘লিখিত প্রতিক্রিয়া’ পেশ ইরানের
২ বছর আগে
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে অন্তত ৯২০ জন নিহত
আফগানিস্তানের পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে বুধবার ভোরে ৬ দশমিক ১ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৯২০ জন নিহত এবং আরও ৬০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে যা খোস্ত শহরের প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। খোস্ত প্রদেশেও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৯ রেকর্ড করেছে মার্কিন জিওলজিকাল সার্ভে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা
অনেক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা জটিল হতে পারে। উদ্ধারকর্মীরা হেলিকপ্টারে করে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পাকতিকা প্রদেশের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্তদের হেলিকপ্টারে করে ওই এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্যদের সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আফগান জরুরি কর্মকর্তা শরাফুদ্দিন মুসলিমের দেয়া নিহতের তথ্যের ভিত্তিতে ২০০২ সালের পর দেশটিতে সংঘটিত এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর আগে ২০০২ সালে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ৬ দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
এর আগে দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত বাখতার বার্তা সংস্থার মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াহিদ রায়ান টুইটারে লেখেন, পাকতিকায় ৯০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
তালেবান সরকারের উপ-মুখপাত্র বিলাল কারিমি এক টুইটবার্তায় বিপর্যয় এড়াতে অবিলম্বে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় টিম পাঠাতে সব সহযোগিতা সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ তৎপরতার সমন্বয়ের জন্য কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে এক জরুরি সভা আহ্বান করেছেন।
২ বছর আগে