লোকালয়
কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ২ বানর
কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছে দুটি বানর। বানর দুটি দেখে ভয় ও আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে টিনের চাল,ঘরের সানসেটে, গাছের ডালে দাপিয়ে বেড়া বানর দুটিকে দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় করছে। তবে কেউ বলতে পারছে না বানর দুটি কোন জায়গা থেকে এসেছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পলাশবাড়ী পাঠান এলাকায় বানর দুটি দেখে এলাকাবাসী।
ওই এলাকার বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন বলেন,সকালে হঠাৎ আমার সুপারি বাগানে পাশাপাশি দুটি বানর চোখে পড়ে।বিভিন্ন গাছে পাতা ধরে টিনের চালে হাঁটাহাঁটি করছে।কখনো ঘরের সানসেটে বসে থাকছে।এর আগে বানর দুটি আমাদের চোখে পড়ে নাই। বানর দেখতে অনেক লোক জড়ো হয়েছে। কেউবা আবার বানর আতঙ্কে আছে।
আরও পড়ুন: খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
তবে এখন পর্যন্ত বানর দুটি কারো ক্ষতি করে নাই। এর পরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কুড়িগ্রাম বন বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বানর দেখে মো. আদনান সিয়াম বলেন,আমি টিভিতে, চিড়িয়াখানায় বানর দেখছি।বানরের খেলা দেখেছি তবে এমন খোলামেলা পরিবেশ টিনের চাল থেকে গাছে, গাছ থেকে ঘরের সানসেটে দৌড়াদৌড়ি করা বানরের চলাফেরা দেখি নাই। দেখে খুব মজা করছি। আবার একটু ভয় লেগেছিল।
কুড়িগ্রাম জেলা সহকারি বন সংরক্ষক মোহাম্মদ রাশিদ আরিফ বলেন,কুড়িগ্রামে আশে পাশে বড় বন না থাকায় এ অঞ্চলে বানর আসার সুযোগ নেই। তবে সীমান্ত পেরিয়ে ফলের ট্রাকে ফল খাওয়ার লোভে আসতে পারে। এ বানরগুলো কোথাও স্থির থাকে না। একটু পর পর স্থান বদল করে। তারপরও আমরা বিষয়টি দেখতেছি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
১ বছর আগে
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
কুড়িগ্রাম পৌরশহরে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে দু’টি বানর। এতে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
মঙ্গলবার সকালে শহরের থানা পাড়া এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে,কুড়িগ্রাম পৌরশহরের জলিল বিড়ি মোড়,পুরাতন থানা পাড়া, সাদ্দির মোড়,কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ও গাছের ডালে খাবারের জন্য বানর দু’টি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুড়িগ্রাম শহর থেকে ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত এলাকার দুরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
কুড়িগ্রাম বনবিভাগ জানান,এসব বানর সীমান্ত এলাকা ভারত থেকে আসতে পারে। ক্ষুধার্ত বানরগুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে। পরে বানরদের সুবিধামত জায়গায় নেমে খাবারের সন্ধান করে। প্রতিনিয়তই লোকালয়ে এমন অভুক্ত বানর দেখা যায়। বাড়ির ছাদে উঠলে লোকজন খাবারও দিচ্ছে। অনেকের মাঝে আবার ভীতিও বিরাজ করছে।
পুরাতন থানা পাড়ার বাসিন্দা বিপ্লব বলেন,সকাল ৮টার দিক আমার বাড়ির সামনে বানরগুলোকে দেখতে পাই, এসময় আমরা কলা,আপেল,বাদাম এসব খাবার দিয়েছি। চালের ওপর থেকে খাবারগুলো নিয়ে তারা খাচ্ছে।'
আরেক বাসিন্দা অর্পনা সরকার বলেন,'গত দু’দিন ধরে বানর দেখা যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে আঘাত করেনি। খাবার না পেয়ে হয়তো বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে।'
কুড়িগ্রাম বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বলেন,হয়তো বানরগুলো দল ছুট হয়ে ভারত থেকে ভুরুঙ্গামারীর সীমান্ত দিয়ে চলে এসেছে। তারা এরকম খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসে। তাদের খাবার কিংবা ঢিল দিয়ে বিরক্ত করা যাবেনা। তারা এমনিতেই আবার বনে চলে যাবে। বানরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
২ বছর আগে
মাগুরায় খাবারের সন্ধানে বনের হনুমান লোকালয়ে
মাগুরার শালিখার লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে দুটি হনুমানকে ঘুরতে দেখা গেছে। গত কয়েক দিন ধরে হনুমান দুটি খাবারের সন্ধানে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, হাটবাজারে ঘোরাফেরা করছে।
হনুমান দুটি পূর্ণবয়স্ক। এদের মধ্যে একটি ছোট এবং অন্যটি অপেক্ষাকৃত একটু বড়।
এছাড়া হনুমান দুটি যেখানে যাচ্ছে তাদের পিছু পিছু হেটে ছোট, বড়সহ নানা বয়সী মানুষ। অনেকেই আবার তাদের খাবারও কিনে দিচ্ছেন।
ধারণা করা হচ্ছে খাবারের খোঁজে হনুমান দুটি লোকালয়ে এসেছে।
জানা গেছে, হনুমান দুটিকে কখনো কলা, পাউরুটি, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবার ছুঁড়ে দিচ্ছে উৎসুক জনাতা। কখনো আবার তাদের দিকে ইট-পাটকেলও ছুঁড়ছে অনেকে। এতে করে এক প্রকার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে হনুমান দুটি।
আরও পড়ুন: বিরল প্রজাতির বন্য হনুমান উদ্ধার
তবে কোথা থেকে এই প্রাণী দুটি এসেছে তা বলতে পারেনা কেউ। কেউ বলছে হনুমানের আগমন হলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কেউ বলছে হনুমানের আগমন হলে বন্যা দেখা দেয়।
তবে কারও কথারই বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতা নেই বলে দাবি সচেতন মহলের।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুসারে হনুমান দুটিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ পূর্বক যথা স্থানে অবমুক্তকরণ করলে জনসাধারণের নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে পারে বলে মনে করছেন সুধী সমাজ।
শ্রী ইন্দ্রনীল গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সংগঠক শ্রী ইন্দ্রনীল বলেন, আমাদের এলাকায় সাধারণত বৃহত্তর যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর থেকে হনুমানগুলো আসে।
যেহেতু হনুমান একটি বন্যপ্রাণী তাই তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জনসাধারণের উৎপাত থেকে রক্ষা করে প্রাণী দুটিকে যথাস্থানে অবমুক্তকরণ করতে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি প্রথম শুনলাম। তবে বন্যপ্রাণী দুটিকে দেখামাত্রই বন বিভাগকে অবহিত করার অনুরোধ করেছি, পাশাপাশি প্রাণী দুটিকে সংরক্ষণপূর্বক যথাযথ স্থানে পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিলুপ্তির পথে যশোরের কালো মুখ হনুমান
২ বছর আগে
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব চালিয়েছে। শনিবার একদল বন্যহাতির তাণ্ডবে উপজেলায় আব্দুল মোতালেব নামে এক দিনমজুরের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর আব্দুল মোতালেব ওই এলাকার মৃত জানলি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
সংবাদ পেয়ে শনিবার (৫ নবেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান।
ইউএনও তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর আব্দুল মোতালেব জানান, শনিবার ভোর আড়াইটার দিকে বন্যহাতির একটি দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে বসত ঘরের সিমেন্টের খুঁটি, বেড়া, রান্নাঘর ভেঙে তছনছ করে। বসতঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পা দিয়ে পিষে নষ্ট করে।
এসময় ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়েছেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। শুধু তাই নয়, ঘরে রাখা চাল ও ধান নষ্ট করেছে ক্ষুধার্ত হাতির দলটি।
এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহমত আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, গারো পাহাড়ে প্রায় বছরই বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়।
বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
বান্দরবানে বুনো হাতির আক্রমণে নিহত ২, আহত ১
২ বছর আগে
মনপুরায় মায়াবী হরিণ লোকালয়ে
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলায় বন থেকে একটি হরিণ মিঠা পানির সন্ধানে লোকালয়ে চলে এলে সেটিকে বন বিভাগ উদ্ধার করে অবমুক্ত করে।
৪ বছর আগে