মাগুরার শালিখার লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে দুটি হনুমানকে ঘুরতে দেখা গেছে। গত কয়েক দিন ধরে হনুমান দুটি খাবারের সন্ধানে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, হাটবাজারে ঘোরাফেরা করছে।
হনুমান দুটি পূর্ণবয়স্ক। এদের মধ্যে একটি ছোট এবং অন্যটি অপেক্ষাকৃত একটু বড়।
এছাড়া হনুমান দুটি যেখানে যাচ্ছে তাদের পিছু পিছু হেটে ছোট, বড়সহ নানা বয়সী মানুষ। অনেকেই আবার তাদের খাবারও কিনে দিচ্ছেন।
ধারণা করা হচ্ছে খাবারের খোঁজে হনুমান দুটি লোকালয়ে এসেছে।
জানা গেছে, হনুমান দুটিকে কখনো কলা, পাউরুটি, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবার ছুঁড়ে দিচ্ছে উৎসুক জনাতা। কখনো আবার তাদের দিকে ইট-পাটকেলও ছুঁড়ছে অনেকে। এতে করে এক প্রকার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে হনুমান দুটি।
আরও পড়ুন: বিরল প্রজাতির বন্য হনুমান উদ্ধার
তবে কোথা থেকে এই প্রাণী দুটি এসেছে তা বলতে পারেনা কেউ। কেউ বলছে হনুমানের আগমন হলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কেউ বলছে হনুমানের আগমন হলে বন্যা দেখা দেয়।
তবে কারও কথারই বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতা নেই বলে দাবি সচেতন মহলের।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুসারে হনুমান দুটিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ পূর্বক যথা স্থানে অবমুক্তকরণ করলে জনসাধারণের নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে পারে বলে মনে করছেন সুধী সমাজ।
শ্রী ইন্দ্রনীল গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সংগঠক শ্রী ইন্দ্রনীল বলেন, আমাদের এলাকায় সাধারণত বৃহত্তর যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর থেকে হনুমানগুলো আসে।
যেহেতু হনুমান একটি বন্যপ্রাণী তাই তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জনসাধারণের উৎপাত থেকে রক্ষা করে প্রাণী দুটিকে যথাস্থানে অবমুক্তকরণ করতে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি প্রথম শুনলাম। তবে বন্যপ্রাণী দুটিকে দেখামাত্রই বন বিভাগকে অবহিত করার অনুরোধ করেছি, পাশাপাশি প্রাণী দুটিকে সংরক্ষণপূর্বক যথাযথ স্থানে পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিলুপ্তির পথে যশোরের কালো মুখ হনুমান