স্টেডিয়াম
বেকেনবাওয়ারের সম্মানে বায়ার্নের স্টেডিয়ামের ঠিকানা পরিবর্তন
ব্রাজিলের পেলে, আর্জেন্টিনার দিয়েগো মারাদোনার মতোই জার্মানির গর্ব ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ার। বিশ্ব ফুটবলে জার্মানিকে তুলে ধরতে তার অবদানের কথা অনস্বীকার্য। এবার এই কিংবদন্তির সম্মানে দারুণ এক পদক্ষেপ নিয়েছে মিউনিখের স্থানীয় সরকার।
বেকেনবাউয়ারের সম্মানে বায়ার্ন মিউনিখের হোম স্টেডিয়াম আলিয়ান্স আরেনার ঠিকানা পরিবর্তন করে ‘বেকেনবাওয়ার স্কয়ার’ নামকরণ করা হয়েছে।
কিংবদন্তি এই ফুটবলারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে নতুন এই নাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে মিউনিখ প্রশাসন।
এ বিষয়ে মিউনিখের মেয়র ডিটার রাইটার বলেছেন, ‘সড়কের নাম পরিবর্তন করে বেকেনবাওয়ারের প্রতি মরণোত্তর সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হচ্ছে। তার প্রতি আমাদের যে গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি রয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ এই নামকরণ।’
আরও পড়ড়ুন: ৯-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একগাদা রেকর্ডে বায়ার্ন মিউনিখ
তিনি বলেন, ‘এই শহরের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদদের একজন বেকেনবাওয়ার। ফুটবলের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও সাফল্যের মাধ্যমে জার্মানির ক্রীড়া ক্ষেত্রকে তিনি একটি দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিয়ে গেছেন।’
১৯৭৪ সালে খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতেন বেকেনবাওয়ার। এরপর ১৯৯০ সালে তার কোচিংয়ে আবারও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি।
কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তিন ফুটবলারের একজন বেকেনবাওয়ার। বাকি দুজন হলেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম।
ক্লাব ফুটবলেও অসামান্য সাফল্যের দেখা পান এই ফুটবলার। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ১৯৭৩-৭৪, ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে টানা তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) উঁচিয়ে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরমেট: যা জানা প্রয়োজন
মিডফিল্ডার হিসেবে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করলেও ডিফেন্ডার হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় ওঠেন বেকেনবাওয়ার। তবে বিভিন্ন ভূমিকায় খেলার সামর্থ্য ছিল এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও তাকে অবদান রাখতে দেখা গেছে অনেক সময়। এর মাধ্যমে আধুনিক ফুটবলে ‘অ্যাটাকিং সুইপার’ পজিশন সৃষ্টি করেন এই কিংবদন্তি।
৭৮ বছর বয়সে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ব্যালন দ’র জেতা এই ফুটবল মহারথী।
৩ মাস আগে
যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
১ জুন থেকে শুরু হয়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সর্বমোট ৫৫টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট চলবে আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত। যৌথভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ৯টি ভেন্যুর মধ্যে ৩টি ইউএসএর- টেক্সাস, নিউইয়র্ক, এবং ফ্লোরিডায়। আর ৬টি ক্যারিবিয়ান ভেন্যু- অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, বার্বাডোস, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপভোগের পাশাপাশি শহরগুলোর দর্শনীয় স্থানগুলোও আকৃষ্ট করছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। চলুন, আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ আয়োজনকারী স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থান ও এর আশেপাশের পর্যটন স্থানগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
যে স্টেডিয়ামগুলোতে বসছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপের আসর
গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম, টেক্সাস
২০০৮ সালে চালু হওয়া এই স্টেডিয়ামটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত বেসবল খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এর মাঝে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সকার ইউনাইটেড সকার লিগ-২ এখানে তাদের ম্যাচগুলো মঞ্চস্থ করে। এরপর সংস্কারের পর ২০২৩ সালে মাঠটিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ। টেক্সাসের ডালাস কাউন্টির গ্র্যান্ড প্রেইরি শহরের লোন স্টার পার্কওয়েতে অবস্থিত মাঠটির বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার।
হলিউডের ওয়েস্টার্ন ছবির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া ডালাস কাউবয়ের দেখা মিলবে ডাউনটাউন থেকে ১৩ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বের টেক্সাস হর্স পার্কে। অদ্ভূত এক ঐতিহাসিক দিগন্তের দেখা পাওয়া যাবে ডিলি প্লাজার ষষ্ঠ তলা জাদুঘর, জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি ও মিউজিয়ামে। এছাড়া রিইউনিয়ন টাওয়ার জিও-ডেকের ১৭০-মিটার-উচ্চতার ওয়াচ টাওয়ার থেকে সমগ্র ডালাসের দৃশ্য সত্যিই শ্বাসরুদ্ধকর!
পেরোট মিউজিয়াম অব ন্যাচার অ্যান্ড সায়েন্সের অসাধারণ রত্ন সংগ্রহ এবং ডাইনোসর একচেটিয়াভাবে আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নিউ ইয়র্ক
৩৪ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সদ্যনির্মিত এই ক্রিকেট গ্রাউন্ড মূলত সর্বাঙ্গীনভাবে একটি মডুলার স্টেডিয়াম। ৩ জুন শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট লড়াইয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুর প্রথম ম্যাচ। মডুলার অবকাঠামোর এই অতিকায় মাঠটির অবস্থান নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ইস্ট মেডোতে আইজেনহাওয়ার পার্কের মাঠে।
এর আশেপাশে ভ্রমণের জন্য প্রথমেই যাত্রা শুরু করতে হবে লং বিচ থেকে। এই সৈকতে পাওয়া যাবে সার্ফিংসহ বিভিন্ন রোমাঞ্চকর কার্যকলাপের সুযোগ। ক্যাপট্রি স্টেট পার্কে নৌকা ভাড়া ফায়ার আইল্যান্ড ভ্রমণের সময় মাছ ধরা যায়। তবে রোমাঞ্চের ষোল আনা পূর্ণ হবে পায়ে হেঁটে ৩০০ বছরের পুরনো বন সানকেন পেরুনোর সময়।
সামার হোয়াইট হাউস, ওয়াশিংটন স্পাই ট্রেইল এবং গোল্ড কোস্ট ম্যানশনগুলোকে অনুসরণ করার সময় পশ্চিমের পুরো অতীতটা রীতিমতো লাফ দিয়ে চোখের সামনে এসে দাঁড়াবে। বলাবাহুল্য যে, স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং দেখে না এলে এই ভ্রমণটা পুরো বৃথাই যাবে।
সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড পার্ক এবং ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি স্টেডিয়াম, ফ্লোরিডা
এই লডারহিল ভেন্যু হলো সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ইউএস ক্রিকেট ভেন্যু, যা উন্মুক্ত করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ৯ নভেম্বর। এটি ফ্লোরিডার লডারহিলের একটি বৃহৎ কাউন্টি পার্ক এবং ইউএসএর প্রধান দুটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যে একটি। স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার।
গ্রেটার ফোর্ট লডারডেলের ৩৭ কিলোমিটার সোনালি তীরবর্তী অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করা যায় ৮টি উপকূলবর্তী শহরে। এখানকার আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ঘাসের নদী’ নামে খ্যাত জলাবদ্ধ তৃণভূমিতে কুমির দেখা, বাটারফ্লাই ওয়ার্ল্ডের বিশ্বের বৃহত্তম প্রজাপতি বাগান এবং হামিংবার্ড।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
দক্ষিণে গেলে চোখে পড়বে প্রাণবন্ত মিয়ামি শহরের আদিম সমুদ্র সৈকত। এ পথে হাজির হবে আফ্রো-অ্যামেরিকান ইতিহাস সমৃদ্ধ ওভারটাউন, সাউথ ডেডের মিকোসুকি নেটিভ-আমেরিকান সংস্কৃতি এবং লিটল হাভানার কিউবান সম্প্রদায়।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে এই স্টেডিয়ামটির। এর গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৭ সালে তৎকালীন ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে উদ্দেশ্য করে। সেন্ট জর্জের নর্থ সাউন্ডে অবস্থিত স্টেডিয়ামটিতে ১০ হাজার লোকের জায়গা দিতে পারে।
এর আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পর্যটকদের প্রথম আকর্ষণ হচ্ছে সেন্ট জর্জ প্যারিস চার্চ। এই অ্যাংলিকান চার্চটি স্থাপিত হয়েছিল ১৭৮৪ সালে। এরপরেই দেখা যেতে পারে ২০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির অর্কিডসমৃদ্ধ অর্কিড ওয়ার্ল্ড। প্রশান্তিদায়ক বাগানগুলো প্রদর্শন করতে প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যায়। পুরনো আমলে ঘরবাড়ি দেখার জন্য সেরা জায়গা হচ্ছে ফ্রান্সিয়া প্ল্যান্টেশন হাউস। এটি প্রাচীনতম মানচিত্র সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত।
কেন্সিংটন ওভাল, বার্বাডোস
১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কেন্সিংটন ওভালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৯৫ সালে। বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের পশ্চিম অংশে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে ২৮ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ধারণক্ষমতা ওভালকে ক্যারিবীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ভেন্যুতে পরিণত করেছে।
এই দ্বীপাঞ্চলটির পশ্চিম দিকে রয়েছে কার্লাইল বে, যেটি সূর্যাস্ত দেখার জন্য জনপ্রিয় স্থান। তুষার-শুভ্র বালি ও ঢেউ খেলানো তালগাছের এই সৈকত ইউনেস্কো মনোনীত মেরিন পার্কের অংশ।
বার্বাডোসের এই অঞ্চলটাতে পাওয়া যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা সব খাবারগুলো। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশতেই রয়েছে মাছের আধিক্য। বিশেষ করে বাজান এবং গ্রিলড মাহি মাহি এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার।
বার্বাডোস মিউজিয়াম ও হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি ভ্রমণের সময় দেখা মিলবে ৫ লক্ষেরও বেশি পুরনো স্থাপত্যের নিদর্শন।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ আসরের সমাপনী খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানা
২০০৭ সালে বোর্ডা বা জর্জটাউন ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডটি পুনর্স্থাপন করে বানানো হয় প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম। এটি নির্মিত হয়েছিল তৎকালীন ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার এইট ম্যাচ আয়োজনের জন্য। গায়ানার ডেমিরারা-মাহাইকা অঞ্চলের প্রোভিডেন্সে অবস্থিত এই ভেন্যুতে ২০ হাজার আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
গায়ানার অত্যাশ্চর্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রাল, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের বিল্ডিংগুলোর একটি। এর গথিক-শৈলী, সূক্ষ্ম নকশার কাঁচের জানালা, অদ্ভুত বেদী এবং কাঠের খিলানযুক্ত সিলিং দর্শনার্থীদের বিস্ময়ের খোরাক জোগায়।
জর্জটাউন বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্বাগত জানাবে বিচিত্র ধরনের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদ। শাপলা পুকুর, পাম এবং অর্কিড দেখতে দেখতে হেঁটে যাওয়ার সময় চমকে দিতে পারে নাম না জানা পাখিরা।
গায়ানার স্থানীয় সঙ্গীতের সুধা নিতে যেতে হবে রয় গেডেস স্টিল প্যান মিউজিয়ামে। এখানকার স্টিলের প্যানের সংগ্রহে মিশে রয়েছে গায়ানার বিবর্তনের ইতিহাস।
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সেন্ট লুসিয়া
এই মাঠটির সঙ্গে মিশে রয়েছে ২০১২ এবং ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরপর ২ বার আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস। প্রথমে ২০০২ সালে উদ্বোধনের সময় পার্শ্ববর্তী পাহাড়গুলোর নামানুসারে এর নাম রাখা হয়েছিল বিউসজোর ক্রিকেট গ্রাউন্ড। কিন্তু পরবর্তীতে সেই দুটি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামির সম্মানে ২০১৬ সালে মাঠটির নাম পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম
সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটের কাছে অবস্থিত এই মাঠটির ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার। স্টেডিয়ামটি রডনি বে-এর পর্যটন রিসোর্টের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। বিলাসবহুল ইয়ট এবং পালতোলা জাহাজে সব সময়ই ব্যস্ত থাকে রডনি বে মেরিনা। এখানে রয়েছে স্থানীয় রন্ধনশিল্পের দর্শনধারী বাহারি সব রেস্তোরাঁ।
পিজিয়ন আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কে ঢোকার পর থেকে সামনে পড়বে ফোর্ট রডনিসহ ঐতিহাসিক সব সামরিক ধ্বংসাবশেষ। এর সঙ্গে উপকূলের নজরকাড়া দৃশ্যে চোখ রেখে নৈসর্গিক ট্রেইল ধরে চলে যাওয়া যাবে সিগন্যাল পিক পর্যন্ত।
ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২০১৭ সালে চালু হওয়া এই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রায়ান লারার নামে। লারা ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকালের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী ছিলেন। দক্ষিণ ত্রিনিদাদের সান ফার্নান্দোর উপকণ্ঠের তারৌবাতে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে আসন রয়েছে মোট ১৫ হাজার।
ত্রিনিদাদের নান্দনিক সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে ওয়েস্টার্ন মেইন রোড ধরে গেলে। এখানে রাস্তার পাশের খাবারের দোকানসহ রয়েছে রঙিন বাজার। স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি এই দোকানগুলো স্যুভেনির কেনার জন্যও বেশ উপযুক্ত।
কুইন্স পার্ক সাভানার চারপাশ জুড়ে গাছ-গাছালি এবং নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনের বেষ্টনী। এছাড়াও রয়েছে ঔপনিবেশিক যুগের প্রাসাদ এবং রাজকীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন।
আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়াম, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স
১৯৮১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়ামটি। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের কাছেই অবস্থিত আর্নোস ভ্যালের ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার।
এখানকার কাছাকাছি পর্যটন স্থানের মধ্যে রয়েছে কিংসটাউন বোটানিক্যাল গার্ডেন। বেশ পুরনো আমলের হলেও এখানে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় গাছপালা এবং ফুলগুলো সুবিন্যস্ত করে সাজানো। এগুলোর মাঝে শোভা পায় বিখ্যাত ব্রেডফ্রুট গাছ।
১৮ শতকের একটি সুসংরক্ষিত ঐতিহাসিক দুর্গ কিংসটাউনের ফোর্ট শার্লট। অদূরে উপকূলরেখার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হাতছানি দিয়ে ডাকে। অন্যদিকে প্রাচীর এবং কামানগুলো মনে করিয়ে দেয় দ্বীপের ঔপনিবেশিক অতীতের কথা। সেই আবহ হৃদয়ে ধারণ করেই প্রবেশ করা যেতে পারে সামরিক যাদুঘরে।
শেষাংশ
২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনকারী এই স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রাচীন কেন্সিংটন ওভাল। আশির দশকে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের তীর্থস্থান হিসেবে স্থানীয় সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে আর্নোস ভ্যালে। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামির ধূলোতে লেগে রয়েছে বিংশ শতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক অর্জনের পরশ। ২০০৭ সাল স্মরণীয় হয়ে আছে একই সঙ্গে সাথে প্রোভিডেন্স, স্যার ভিভ রিচার্ডস, এবং সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড পার্কের উদ্বোধনের বর্ষ হিসেবে। আর পরের বছরেই চালু হওয়া গ্র্যান্ড প্রেইরি সবচেয়ে দর্শনীয় জায়গাগুলোর সান্নিধ্যে রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর আমেরিকান দেশটির ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি। অতঃপর আদ্যোপান্ত মডুলার স্টেডিয়াম হিসেবে সর্বপ্রথম ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করল নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
৬ মাস আগে
মাদাগাস্কারে ইন্ডিয়ান ওশান আইল্যান্ড গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্টেডিয়াম বিধ্বস্ত, নিহত ১২
মাদাগাস্কারের একটি স্টেডিয়াম বিধ্বস্তের ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ইন্ডিয়ান ওশান আইল্যান্ড গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রীড়া অনুরাগীরা যোগ দিতে জড়ো হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান এনটসে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দুর্ঘটনায় প্রায় ৮০ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাজধানী আন্তানানারিভোর মহামাসিনা স্টেডিয়ামের ওই অনুষ্ঠানে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা উপস্থিত ছিলেন। এসময় নিহতদের জন্য কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করতে জনতাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জুয়াড়ি সন্দেহে চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ৩ ভারতীয় আটক
প্রায় ৪১ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার জন্য নির্মিত স্টেডিয়ামটি এর আগেও মারাত্মক বিধ্বস্তের শিকার হয়েছিল। ২০১৮ সালে মাদাগাস্কার এবং সেনেগালের মধ্যে আফ্রিকান কাপ অব নেশনস সকার টুর্নামেন্টের জন্য বাছাইপর্বের খেলার আগে বিধ্বস্তের ঘটনায় একজন নিহত এবং কমপক্ষে ৩৭ জন আহত হয়েছিল। এছাড়াও ২০১৯ সালে ওই স্টেডিয়ামে একটি সঙ্গীত কনসার্টে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৫ জন মারা যায়।
ইন্ডিয়ান ওশান আইল্যান্ড গেমস হলো একটি বহুমাত্রিক খেলার একটি আসর, যেখানে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়। কোমোরোস, মালদ্বীপ, মৌতিরিয়াস, মায়োট, রিইউনিয়ন এবং সেশেলসের ক্রীড়াবিদরাও এই খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা কাপ অব নেশনস: ক্যামেরুনে স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে নিহত ৬
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে সিরিজ শুরু বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। আর খেলা শুরু হবে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই)। এদিন সকাল ৯টায় মাঠে গড়াবে যুবাদের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে খুলনা আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে।
ট্রফি উন্মোচন করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আহরার আমিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডেভিড টিগার। সিরিজ ভালো করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উভয় দলের অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচই কঠিন: তামিম ইকবাল
এর আগে আজ সকাল থেকে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল প্রথম ওয়ানডের অনুশীলন করেছে। আর বিকালে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের অনুশীলন।
সিরিজের প্রথম ৩ ওয়ানডে ম্যাচ হবে খুলনাতে, আর শেষ দুই ম্যাচের ভেন্যু রাজশাহী। সিরিজের সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে।
এদিকে প্রথম ওনানডে মাঠে গড়ানোর আগে আজ শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে টাইগাররা।
যুবাদের এই দলের সামনে একেবারেই নতুন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ফলাফল ভালো হয়নি টাইগারদের।
তবে এবার নিজেদের আরও বেশী প্রস্তুত করে নিয়েছে যুবারা। নতুন প্রতিপক্ষ হলেও এই সিরিজে ভালো করার আশা ক্রিকেটারদের। আগামী বছর বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের সিরিজ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতেও কাজে দিবে বলে আশা তাদের।
আর দীর্ঘ চার বছর পর খুলনায় কোনো বিদেশি ক্রিকেট দলকে আতিথিয়েতা দিতে প্রস্তুত শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামও।
খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ভেন্যু ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজকে সামনে রেখে ভেন্যুর বিভিন্ন স্থানে সংস্কার করা হয়েছে।
দর্শকদের জন্য উম্মুক্ত রাখা গ্যালারিতে নতুন করে রং করা হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ড্রেসিং রুমসহ ভেন্যুর অন্যান্য বিভিন্ন স্থাপনাও।
সূচি অনুযায়ী, আগামী ৬, ৯ ও ১১ জুলাই সিরিজের প্রথম তিনটি ওয়ানডে শেখ আবু আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
আর শেষ দু’টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে ১৪ ও ১৭ জুলাই। পাঁচ ম্যাচের এই সফর শেষ করে প্রোটিয়া যুবা দল বাংলাদেশ ছাড়বে ১৮ জুলাই।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
আফগানিস্তান সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও খেলতে বদ্ধপরিকর তামিম
১ বছর আগে
বিপিএল: লিগ পর্বে রংপুরকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করল কুমিল্লা
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ৭০ রানে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে দলের দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে এই জয় পায় দলটি।
তাদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভিক্টোরিয়ান্সের জয় পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে নিশ্চিত করেছে। ফলে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কোয়ালিফায়ারে তারা মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে।
একই দিনে এলিমিনেটরে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ দল ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স। এই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করবে কোন দল প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বে।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৩: ঢাকাকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফে রংপুর
প্রথম কোয়ালিফায়ারের বিজয়ী ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে যাবে। আর পরাজিতকে এলিমিনেটরের বিজয়ীর বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে বিজয়ী হওয়া দলটি তারপর প্রথম কোয়ালিফায়ারের বিজয়ীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ফাইনালে উঠবে।
শুক্রবারের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি একটি শক্তিশালী সূচনা করেছিলেন।
রিজওয়ান ২৪ রানে আউট হওয়ার আগে প্রথম উইকেটে ৪৩ রান সংগ্রহে অবদান রেখেছিলেন। এই চাপ সত্ত্বেও লিটন মাঝ পর্যন্ত দৃঢ় ছিলেন।
উচ্চাশা নিয়ে ক্রিজে এসেছিলেন সুনীল নারিন। কিন্তু তিনি তার শুরুটা ভালো করতে পারেনটি এবং মাত্র 8 রানে আউট হন। এটি দলকে একটি বড় ঝুঁকিতে ফেলে এবং রানের একটি নতুন উৎস খুঁজে বের করতে চাপে ফেলে।
তবে, লিটন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ৩৩ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও ছক্কায় ৪৭ রান করেন। প্রবল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি চালিয়ে যেতে পারেননি। এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও জাকের আলী যথাক্রমে ১৯ ও ৩৪ রান করে স্কোরকার্ড টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব নেন। নিঃসন্দেহে ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে তারকা খেলোয়ার ছিলেন খুশদিল শাহ, যিনি মাত্র ২০ বলে অসাধারণ ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুটি চার এবং তিন ছক্কা মেরেছিলেন। সর্বোপরি এই ইনিংসটি ভিক্টোরিয়ানদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পোস্ট করতে সহায়ক ছিল।
কুমিল্লা ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের একটি শক্তিশালী স্কোরের মধ্য দিয়ে তাদের ইনিংস শেষ করে।
রাইডার্সের পক্ষে আজমতুল্লাহ ওমরজাই ৩৪ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: বিপিএল-২০২৩: চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা জয় ধরে রাখল ভিক্টোরিয়ান্স
১৭৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে রংপুর রাইডার্সের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। কারণ, ওপেনার মোহাম্মদ নাইম মাত্র ৬ রানে আউট হন। রনি তালুকদার এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ ইনিংস স্থির করার চেষ্টা করেও উভয়ই যথাক্রমে মাত্র ১৩ এবং ২৯ রানের স্কোর নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
রংপুর রাইডার্স টম কোহলার-ক্যাডমোর, নুরুল হাসান এবং শামীম হোসেনের ওপর ভর করে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা চালায়। ব্যাট হাতে নিয়ে লড়াইও করে তারা।কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভারে ১০৭ রানে অলআউট হয়ে তাদের মিশন ব্যর্থ হয়।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলাররা অবশ্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তানভীর ইসলাম দুইটি উইকেট, নারিন ও মুস্তাফিজুর রহমান যথাক্রমে দুইটি ও তিনটি উইকেট নেন। আন্দ্রে রাসেলও একটি উইকেট নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৭০ রানের জয় নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত বিপিএলে ডিআরএস!
১ বছর আগে
কাতার বিশ্বকাপ: স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল বিক্রির অনুমতি নেই
কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য ব্যবহৃত আটটি স্টেডিয়ামে অ্যালকোহলযুক্ত সবধরনের বিয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ করবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) এ তথ্য জানিয়েছে।
কাতারে খেলা শুরু হওয়ার মাত্র দুই দিন আগে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানা যায়।
তবে সবমিলিয়ে ৬৪টি ম্যাচে স্টেডিয়ামে অ্যালকোহলমুক্ত বিয়ার পাওয়া যাবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
আয়োজকরা সিদ্ধান্তের বিষয়টি এখনও প্রকাশ না করায় গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তথ্যটি বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
২ বছর আগে
আফ্রিকা কাপ অব নেশনস: ক্যামেরুনে স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে নিহত ৬
ক্যামেরুনে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের খেলা চলাকালে স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে অন্তত ছয় জন মারা গেছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্যামেরুনের মধ্য অঞ্চলের গভর্নর নাসেরি পল বিয়ার বলেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘নিহতের সঠিক সংখ্যা এখন জানাতে পারছি না।’
আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের শেষ ষোল এর ক্যামেরুন ও কমোরোসের মধ্যকার ম্যাচ দেখার জন্য দেশটির রাজধানী ইয়াউন্ডে ওলেম্বে স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য দর্শকরা ভিড় করলে পদদলিতের ঘটনা ঘটে।
স্টেডিয়ামের নিকটবর্তী মেসাসি হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা কমপক্ষে ৪০ জন আহত ব্যক্তিকে পেয়েছেন, যাদেরকে পুলিশ এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। হাসপাতালটিতে সকলের চিকিৎসা করতে সক্ষম নয়।
আরও পড়ুন: পেনসিলভেনিয়ায় ১০০ বানর নিয়ে ট্রাক বিধ্বস্ত, নিখোঁজ অনেক
একজন নার্স ওলিঙ্গা প্রুডেন্স বলেন, ‘আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। যখন স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে দিয়ে দর্শকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না তখন ঘটনাটি ঘটে। খেলার আগে না খেলার সময় তা স্পষ্ট নয়।
সকার কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৫০ হাজার দর্শক স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার কিন্তু করোনার বিধিনিষেধের কারণে ৮০ শতাংশের বেশি দর্শক প্রবেশের সুযোগ ছিল না।
খেলায় ক্যামেরুন ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭, দগ্ধ ১৫
পাকিস্তানের মদদপুষ্ট ৩৫ ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল ভারত
২ বছর আগে
করোনার চিকিৎসায় প্রয়োজনে দেশের সকল স্টেডিয়াম ব্যবহার: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সকল স্টেডিয়াম বিশেষ করে ইনডোর স্টেডিয়ামসমূহ প্রয়োজনে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে সোমবার জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
৪ বছর আগে