বিচার বিভাগ জনগণের পাশে দাঁড়াবে বলে আশ্বাস দিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য এরই মধ্যে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে 'সুশাসনের জন্য জনকেন্দ্রিক সংস্কার: সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা' শীর্ষক নাগরিক সম্মেলন ২০২৪-এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা একদম ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছি। বিগত বছরগুলোতে বিচার প্রক্রিয়ায় আমাদের বিচারবোধ ও ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ বিনষ্ট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সততার বদলে অসততা, অধিকারের বদলে বঞ্চনা, বিচারের বদলে নিপীড়ন, আশ্রয়ের বদলে নির্যাতনকে স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত করা হয়েছে। অথচ এরকম সমাজ ও রাষ্ট্র আমরা চাইনি। এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু করতে হবে। আমি যে মূল্যবোধের বিকৃতি ও দূষণের কথা বলেছি, সেগুলো আমাদের আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজ থেকে প্রতিটি শ্রেয় শুভ হোক। কল্যাণ ও কর্মে সকলে গণমুখি ও জন কেন্দ্রিক বিচারবিভাগকে আপনাদের পাশে পাবেন।’
আরও পড়ুন: বিচারিক দক্ষতা নৈতিক বাধ্যবাধকতা, শুধু প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়: প্রধান বিচারপতি
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগও ভগ্নদশা থেকে মুক্ত নয়। তবে এ পর্যায়ে আমি দৃপ্তকণ্ঠে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাইছি- এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে এক নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিজয়ের এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক সুবর্ণ সুযোগ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে। আমরা যেন এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমাদের সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে।’
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিটিজেন্স প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এতে বক্তব্য দেন-প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কোরিন হেনচোজ পিগনানি এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলার।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ