বাংলা নববর্ষ
বাংলাদেশ শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনেরও সম্মুখীন: রিজভী
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সময় ‘রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে পোশাক পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতিসহ বাংলাদেশি পরিচয়ের মৌলিক দিকগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
রিজভী আরও বলেন, ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইছামতি, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সৃষ্ট আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য- যা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রেখেছে, তা ভাঙতে পারবে না আওয়ামী লীগ।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে ঘিরে জাতির পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ সুরক্ষিত রয়েছে।
রিজভী বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসবের চেতনা ছেয়ে গেছে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার জন্য লড়াইকারীদের সংগ্রামে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কারাবন্দি। মাত্র কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদযাপনের আনন্দ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী
৭ মাস আগে
পহেলা বৈশাখে শেফ জাহিদার রেসিপি চিংড়ি মালাইকারি
কথায় আছে নালে ঝোলে বাঙালি। নববর্ষে বাঙালির মুখে লাগাম থাকে না। রসগোল্লা হোক বা ডাল ভাত সবেতেই জিভে পানি আসে। মিষ্টান্ন, হরেক রকমের আয়োজনে বাঙালির হেঁশেলে বাড়ে ব্যস্ততা। পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষ কাছাকাছি সময়ে উদযাপিত হচ্ছে। আর এই উদযাপনকে ঘিরে বাঙালিয়ানা রান্নার কদরও দেখা যাচ্ছে ঘরে ঘরে। তেমনই একটি আয়োজন হচ্ছে চিংড়ির মালাইকারি।
কমবেশি সবাই চিংড়ির মালাইকারি খুব বেশি পছন্দ করেন। তবে যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের চিংড়ি এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে যাদের কোনো সমস্যা নেই তাদের জন্য সোনায় সোহাগা। এটি একেবারে বাঙালি খাবার।
বাজার থেকে চিংড়ি এনে বানিয়ে ফেলতে পারেন চিংড়ি মালাইকারি। পর্যটন করপোরেশনের ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন (রন্ধন প্রশিক্ষণ) বিভাগের প্রধান শেফ জাহিদা বেগম বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ইউএনবির পাঠকদের জন্য শেয়ার করেছেন চিংড়ির মালাইকারি রেসিপি।
পরিবেশন: ৪ জন
উপাদান ও পরিমাণ: চিংড়ি ১ কেজি, পেঁয়াজ ২টি বড় সাইজের, আদা রসুন বাটা ১ থেকে ১/২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৬ পিস, গরম মসলা ১/৪ চা চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ৩ পিস, তেল ৫০ মিলি, নারকেলের দুধ ১ কাপ, টমেটো ১টি বড় সূক্ষ্মভাবে কাটা এবং লবণ পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালি:১. চিংড়ির খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. লবণ এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়া দিয়ে চিংড়িগুলো ভেজে মেরিনেট করুন। তারপর একটি প্যানে খুব অল্প পরিমাণে তেল দিয়ে ভেজে নিন।
৩. তারপর চিংড়ি তেল থেকে উঠিয়ে রেখে একই প্যানে আরও তেল দিন এবং পেঁয়াজের পেস্ট, তেজপাতা, আদা রসুনের পেস্ট, টমেটো দিয়ে ১০ মিনিট নাড়ুন।
৪. হলুদ, মরিচ, জিরা এবং গরম মসলা গুঁড়া যোগ করুন। সামান্য পানি দিয়ে আরও ১০ মিনিট রান্না করুন।
৫. চিংড়ি ভাজা, লবণ, নারকেল, মরিচ এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও ৮ থেকে ১০ মিনিট রান্না করুন।
৬. এরপর উপরে ঘি দিয়ে দিন। এবং
৭. ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।
গার্নিশ:কাটা ধনে পাতা, লেবুর ওয়েজ দিয়ে পরিবেশন করুন।
পুষ্টির পরিমাণ:প্রতি পরিবেশন: ক্যালরি ৭৬০, ফ্যাট ২৮ গ্রাম, কোলেস্টেরল ১০.২৪ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ২৩ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৮০ গ্রাম, সোডিয়াম ২২.৫৮, পটাসিয়াম ৩৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১২.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৪৭ মিলিগ্রাম।
৭ মাস আগে
নববর্ষের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ফানুস-আতশবাজি এবং ভুভুজেলা বাঁশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে দেওয়া দিক-নির্দেশনাগুলো হলো-
১. অনুষ্ঠানগুলোতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
আরও পড়ুন: নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী
২. রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগস্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।
৩. বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
৪. বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলা একাডেমি ও বিসিক আয়োজিত নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
৫. রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যে সব অনুষ্ঠান হবে তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
৬. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আয়োজকদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
৭. নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।
৮. নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগর ও সারাদেশের অনুষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে ও মেডিকেল টিম থাকবে।
৯. বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
১০. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘কোচ’ সম্প্রদায়ের নববর্ষ উৎসব ‘বিহু’
১১. নববর্ষে দেশের কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে।
১২. কোনো ধরনের ফানুস ওড়ানো বা আতশবাজি ফোটানো যাবে না।
১৩. বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষ কিভাবে উদযাপন করবেন? কোথায় ঘুরতে যাবেন?
৭ মাস আগে
মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখের সূচনা
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ শুক্রবার ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সার্বজনীন উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে।
সকাল ৯টায় ঢাবি উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উদযাপন শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে র্যালিটি বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় অংশ নেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
ভিসি বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ আশা ও সাফল্যের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এটি ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায়ও রয়েছে। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘শোভাযাত্রা বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখন এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত। তাই এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও।’
তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি মহান সম্পদ। এটি বজায় রাখা, সংরক্ষণ করা এবং সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব। এবং এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দর্শনকে প্রতিফলিত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি সব ধরনের চরমপন্থার বিরুদ্ধে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক আহ্বান।’
আরও পড়ুন: আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় হুমকির চিঠি দিয়েছে: র্যাবের মহাপরিচালক
এবারের র্যা লির প্রধান দুটি মোটিফ হচ্ছে মায়ের কোলে শিশু এবং নীল ষাঁড় (নীলগাই)। মায়ের কোলে শিশু যেমন নিরাপদ, সেখানে প্রতীকীভাবে বিশ্ব শান্তির বার্তা রয়েছে। এ ছাড়া বিপন্ন ও হারিয়ে যাওয়া প্রাণীর প্রতীক হিসেবে রাখা হয়েছে নীলগাইকে। এ ছাড়া শোভাযাত্রায় আরও চারটি মোটিফ প্রদর্শিত হয়েছে। তারা হল বাঘ, ময়ূর, ভেড়া ও হরিণ।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সমাবেশে পুরো সময় প্রটোকল প্রদান করে।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ‘আপনি জানেন হুমকি দেওয়া হয়েছে, একজন আইনজীবী এমনকি মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ করার জন্য হাইকোর্টে মামলা করেছেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিয়েছি।’
পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা উল্লুকের মুখোশ তৈরি করলেও নিরাপত্তার কারণে মুখোশ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাস এলাকায় ঢাবির স্টিকার লাগানো যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
টিএসসির পাশের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটেও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তালা দেওয়া থাকবে তবে রমনা কালী মন্দির, বাংলা একাডেমি, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাট গেটের পাশের গেট দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন তখন এলাকাটি তালাবদ্ধ থাকবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না তবে বের হতে পারবে।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত ঢাবি
১ বছর আগে
ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংকক দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপন করেছে। করোনা অতিমারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সীমিত পরিসরে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) আহমদ তারেক সুমীন ও মিনিস্টার (ইকনোমিক) সৈয়দ রাশেদুল হোসেন। অনুষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রার ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ
শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই উপস্থিত সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ কালক্রমে বাঙালি সংস্কৃতির সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে ইউনেস্কো-এর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রা এর অন্তর্ভূক্তির কথা উল্লেখ করে নববর্ষ উদযাপনের আন্তর্জাতিক করণের কথা তুলে ধরেন। বাংলা নববর্ষ উদযাপন আমাদের সংবিধান থেকে উৎসারিত। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সার্বজনীন এ উৎসবে মঙ্গল শোভাযাত্রা আশির দশকের শেষাংশে শুরু হলেও এর উপাদানগুলো প্রাচীন। মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে এবং এ উৎসবের আন্তর্জাতিকীকরণ হয়েছে। ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানটি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২ বছর আগে
দু বছর পর ফের বাংলা বর্ষবরণে মেতেছে চট্টগ্রামবাসী
আবারও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতেছে চট্টগ্রামবাসী। বরণ করছে বাংলা নববর্ষকে। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও পহেলা বৈশাখের কোনো আয়োজন হয়নি। এবার সংক্রমণ কমে আসায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। নগরীর ডিসি হিল, সিআরবির শিরীষতলা, শিল্পকলা একাডেমি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চবি) বিভিন্ন স্থানে হয়েছে নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার নানা আয়োজন।
তবে পবিত্র রমজানের কারণে উচ্ছাসে কিছু ভাটা পরিলক্ষিত হয়েছে। এবার বসেনি মেলা, নেই ভুভুজেলার উৎপাতও। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া ১১ নির্দেশনা মেনে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে পহেলা বৈশাখের নানা অনুষ্ঠান। গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিয়োজিত আছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন চলাচল। বর্ষবরণ উৎসবের সকল আয়োজনও করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত। অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে দুপুরের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টায় ডিসি হিলে নজরুল স্কয়ারে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এবার ৪৫তম বৈশাখ বরণের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির, সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’।
বর্ষবরণ করে নিতে ডিসি হিলে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। বর্ষবরণের ১ম অধিবেশনে ‘সংগীত ভবন, জয়ন্তী, ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদ, গুরুকুল সংগীত একাডেমি, সুর-সাধনা সংগীতালয়, গীতধ্বনি, ইমন কল্যাণ সংগীত বিদ্যাপীঠ, সৃজামি সাংস্কৃতিক অংগন, নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি, স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, গুরুকুল, নৃত্যম একাডেমি, ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্র, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি, নৃত্য নিকেতন, দি স্কুল অব ফোক ডান্স, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, স্বরনন্দন প্রমিত বাংলা চর্চা কেন্দ্র ও বিভাস আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’ সংগঠনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ
এখানে সকাল থেকে চলে পহেলা বৈশাখ বরণ। নাচে-গানে জমজমাট পুরো এলাকা। অনেক দিন পর প্রাণভরে শ্বাস নিতে ছুটে এসেছেন সবাই। বাঙালি নারীর ঐতিহ্য শাড়ি, পুরুষরা পাঞ্জাবি পড়ে এসেছেন অনুষ্ঠানস্থলে। শিশুরা মুখে বা হাতে রং-তুলি দিয়ে আঁকিয়ে নিচ্ছে ‘শুভ নববর্ষ’। গত ৪২ বছর ধরে পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে পুরনো আয়োজনটি হয়ে থাকে নগরীর ডিসি হিল এলাকায়। সংগীত ভবন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, ওডিসি ড্যান্স মুভমেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠন নাচ-গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেছে উৎসবে। এসব পরিবেশনা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা।
সিআরবির শিরীষতলায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। সেখানেও আসছেন নানান বয়সীরা। তবে এবার সেখানে বলীখেলা হচ্ছে না।
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সকাল ১০টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। রমজান মাসের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রা যাবে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত। চারুকলা অনুষদে এবারের আয়োজন চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর স্লোগান ‘শিল্পের প্রয়োজন; বিবেকের জন্য, জীবনের জন্য’কে প্রতিপাদ্য করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, গত দুই বছর বন্ধ ছিল নববর্ষ বরণের উৎসব। তবে এবার রোজার কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উৎসব চলছে।
এছাড়া চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সকাল ১০টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। রমজান মাসের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি যায় কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত।
চারুকলা অনুষদে এবারের আয়োজন চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর স্লোগান ‘শিল্পের প্রয়োজন; বিবেকের জন্য, জীবনের জন্য’কে প্রতিপাদ্য করা হয়েছে।
২ বছর আগে
বাংলা নববর্ষ: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা ও নেয়াসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এ ব্যাপারে বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি থাকায় দিনটি উদযাপনে দুই দেশেরএই বন্দর দিয়ে পণ্য আনা ও নেয়া এবং বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণেও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শনিবার থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
২ বছর আগে
পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
নতুন বছরে উষ্ণ এপ্রিলের অন্দরমহলে হালকা ঝড়ো হাওয়ায় আয়োজন চলছে চৈত্র সংক্রান্তির; রূপরেখায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৯। ১৪ এপ্রিল তারিখটি বাঙালিদের বিশেষ করে বাংলাদেশের উৎসব প্রিয় বাঙালিদের জন্য একটি আবেগের বিষয়। প্রকৃতির দেখাদেখি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নতুন করে বছর শুরুর উন্মাদনার আরেক নাম পহেলা বৈশাখ। শুধু ঝড় এলো বলে জীবনের বিপণীগুলো গুটিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌছা নয়, বাঙালির জীবন ও জীবিকার হিসেব-নিকেষ জড়িয়ে আছে গ্রীষ্মের এই প্রথম দিনটির নেপথ্যে। বেশ কয়েক শতাব্দি লেগেছে এই প্রথার ইতিহাস সমৃদ্ধ হতে। চলুন, নতুন করে আবারো হয়ে যাক বাংলা নববর্ষ কড়চা।
বাংলা নববর্ষের সূচনালগ্ন
বাংলা নববর্ষের গোড়াপত্তনের খোঁজে ফিরে যেতে হবে অনেক অনেক আগে অবাংলা অধ্যূষিত এলাকায়। খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে প্রাচীন ভারতের রাজা বিক্রমাদিত্যের নামানুসারে হিন্দু বিক্রমী পঞ্জিকা প্রণয়ন করা হয়েছিলো। এই পঞ্জি অনুসারে ভারতের পূর্বাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও নেপালের বিভিন্ন অংশে বসবাসরত গ্রামীণ বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে নিছক একটি ঋতু উৎসব হিসেবে প্রচলিত ছিলো পহেলা বৈশাখ।
তবে তার আমেজ বাংলা অব্দি পৌছতে চলে এসেছিলো ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ। ৭ম শতকে বাংলা বর্ষের প্রমাণ সময়ে বেশ পরিবর্তন এনে বাংলার বুকে বাংলা দিনপঞ্জির উদ্ভব ঘটান বাংলার প্রথম স্বাধীন নৃপতি গৌড়েশ্বর মহারাজাধিরাজ শশাঙ্ক মহাদেব।
পড়ুন: দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত ঢাবি
বাংলা পঞ্জিকা ও বাংলা নববর্ষ
ভারতবর্ষে মুঘল শাসনামলে আরবী হিজরী পঞ্জিকা অনুযায়ী কৃষি পণ্যের খাজনা আদায়ের কাজ করা হতো। কিন্তু এই বর্ষপঞ্জি কৃষিকাজের জন্য উপযোগী ছিল না, কারণ চন্দ্র বছরের ৩১ বছর সৌর বছরের ৩০ বছরের সমান। কৃষিকাজ সৌর বছরের হিসাবের ওপর নির্ভর করা সত্ত্বেও চন্দ্র বছরের হিসাবেই কৃষকদের রাজস্ব প্রদানে বাধ্য করা হতো। তাছাড়া চন্দ্র বছরের ৩৫৪ দিন আর সৌর বছর ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনের মধ্যে ১১ বা ১২ দিনের ব্যবধান। ফলে রাজস্ব আদায় সহ অন্যান্য কাজকর্মে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হতো। এমতাবস্থায় ১৫৮৫ সালের ১০ কিংবা ১১ মার্চ-এ মুঘল সম্রাট আকবর এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে প্রবর্তন করেন প্রাথমিক বাংলা সন তারিখ-এ-এলাহী। এই গণনা পদ্ধতির হিসেব কার্যকর হয়েছিলো সম্রাট আকবরের সিংহাসনের অধিষ্ঠিত হওয়া সময় অর্থাৎ ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর থেকে। তিনি একটি কর্মপোযোগী, বৈজ্ঞানিক, ও সার্বজনীন বর্ষপঞ্জি প্রণয়নের লক্ষ্যে সে সময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমীর ফতুল্লাহ সিরাজিকে নতুন বর্ষপঞ্জি তৈরির নির্দেশ দেন। এভাবে রাজস্ব আদায়ের সংস্কারের পটভূমিতে জন্ম নেয় আধুনিক বাংলা সন। প্রথমে ফসলি সন নামে প্রকাশ পেলেও, পরে তা বহুলভাবে পরিচিতি পায় "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ হিসেবে।
২ বছর আগে
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ (পহেলা বৈশাখ) উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উপলক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ও রেডিও স্টেশনগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি সম্প্রচারিত হবে।
আরও পড়ুন: সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
রমজানে বাংলা নববর্ষ কিভাবে উদযাপন করবেন? কোথায় ঘুরতে যাবেন?
গত বছরের মত আবারও একই সময়ে হাজির হলো রমজানে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উৎসবমুখর মৌসুম। তবে এবার আর লকডাউনের ভয় নেই। মাহেন্দ্রক্ষণটি বৃহস্পতিবার হওয়াতে একসঙ্গে টানা তিনদিনের ছুটি কাটাতে অনেকেই সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখার পরিকল্পনা করছেন। অবশ্য রোযা মুখে ছুটি কাটানো অন্য দিনগুলোর থেকে একটু আলাদাই হবে। নিদেনপক্ষে, যে কোন সময় হুট করে কিছু খেতে চাইলেই খেয়ে ফেলা যাবে না। কিন্তু দিন শেষে ইফতারে জম্পেশ খাবার ও আড্ডা ভুলিয়ে দিতে পারে সারাদিনের ক্লান্তিকে। চলুন, রোযার দিনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার কিছু উপায় জেনে নেয়া যাক।
ইফতারে বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী খাবার
ইফতার মানেই দিনের শেষে বাহারি খাবারের সমাহার। আর তার সঙ্গে বাংলা নববর্ষ যুক্ত হয়ে পুরো আনন্দটাকে রীতিমত এক মহোৎসবে রূপ দিয়েছে। একদিকে ইফতারের খেজুর সহ বিভিন্ন ধরনের ফলমুল, নানা পদের শরবতের সঙ্গে পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ছোলা-মুড়ি, জিলাপি। অন্যদিকে পহেলা বৈশাখের মিষ্টান্ন ভান্ডার। এ দুয়ে মিলে এক নতুন মাত্রা যোগ করে ভোজন রসিক বাঙালির ঐতিহ্যে। নববর্ষের সঙ্গে একদম অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক না থাকলেও যুগ যুগ ধরে চলে আসা সর্ষে ইলিশ দারুণ ভাবে মানিয়ে যেতে পারে ইফতারের দ্বিতীয় পর্বে।
রোযা মুখে দুপুরের পর থেকে শুরু হয়ে যায় রকমারি খাবারের আয়োজন। সেখানে নতুন নতুন রেসিপিতে মেলবন্ধন গড়তে পারে ইফতার ও নববর্ষের খাবার আইটেমের।
পরিবেশনের মুহুর্তে দারুণ সংযোজন হতে পারে নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী মুরালি, খৈ, বাতাসা, খাগড়াই, কদমা ও কালিজিরা ছিটানো হালকা গেরুয়া রঙের মচমচে নিমকি। হরেক রকমের নাড়ুর মধ্যে বাঙালির ঘরে ঘরে প্রচলিত আছে চিনার নাড়ু, তিলের নাড়ু, ঢ্যাপের নাড়ু, চিড়ার নাড়ু, ও নারকেলের নাড়। সেই পরিবেশনে শোভাবর্ধন করতে পারে পহেলা বৈশাখের নামকরা মিষ্টান্নগুলো। এগুলোর মধ্যে আমিত্তি, সরভাজা, হাওয়াই মিঠাই, সন্দেশ, রসে টইটম্বুর ধবধবে সাদা বড় রাজভোগ, আর খেজুর গুড়ের পায়েস পরিপূর্ণ করতে পারে বাংলা বর্ষবরণকে।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস: রূপরেখায় অপশক্তির অবসান কামনায় শান্তি মিছিল
২ বছর আগে