পেট্রাপোল
ভারতের পেট্রাপোলে বাংলাদেশির মৃত্যু
চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরে আসার সময় বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় পেট্রাপোল সীমান্তে হোসেন শেখ (৬৩) নামে এক বাংলাদেশি মারা গেছেন।
হোসেন শেখ বাংলাদেশের খুলনার দৌলতপুর থানার পারমানিক পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, কিছুদিন আগে হোসেন শেখ তার চিকিৎসার জন্য শ্যালিকাকে নিয়ে ভারতে যান। চিকিৎসা শেষে
বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরে আসার জন্য ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টে সিল মারার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল। অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকার এক পর্যায়ে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এসময় তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এক যাত্রী জানান, আজ ভোরে ভারত থেকে বাড়ি আসার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার থেকে ১৫-২০ জনের পেছন দাড়িয়ে ছিল ওই ব্যক্তি। একসময় মানুষের গাদাগাদির মধ্যে ওই লোকটি পড়ে যান, পরে কি হয়েছে জানিনা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এলাকায় একজন পাসপোর্ট যাত্রীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিস্তারিত কিছু জানি না।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল বন্দরে আগুন লেগে পণ্যসহ ৩টি ট্রাক ভস্মীভূত
পেট্রাপোল বন্দরে আগুনে পুড়ল তুলাবোঝাই ১২ ট্রাক
ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ২৬ বাংলাদেশি জেলে
ভারত থেকে তিন মাস পর দেশে ফিরলেন ২৬ বাংলাদেশি জেলে। মঙ্গলবার বিকালে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ট্রাভেল পাসে তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
ফেরত আসা ২৬ জেলে পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশি ২৬ জন জেলে ভারতের কাকদ্বীপের বুদ্ধপুর ফ্লাডসেন্টার ও মইপিঠ শেল্টার হোমের নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন। দুই দেশের সহযোগিতায় তাদেরকে বাংলাদেশে দ্রুত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি জেলেদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসা জেলেদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার আজই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
উল্লেখ্য গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন বাংলাদেশি এসব জেলেরা। সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তারা সাগরের ভারত সীমান্তে গেলে তাদের উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ৪০ জেলেকে ফেরত পাঠাল ভারত
সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
তবে, এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে পণ্যবোঝাই ৩০০ থেকে ৩৫০টি ট্রাক আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশ থেকেও দিনে গড়ে প্রায় ১৫০ ট্রাক পণ্য যায় ভারতে।
শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এ বন্দর দিয়ে। ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: টানা ৪ দিন বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বলেন, ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে দু’দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পত্র বিনিময় হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আ. রশিদ মিয়া জানান, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছুটি থাকায় আজ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে আগে থেকে পত্র বিনিময় হয়েছে। আগামীকাল (১০ অক্টোবর) সোমবার থেকে আবার স্বাভাবিক ভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পূজা: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল সীমান্তে একজন আটক, ২০ স্বর্ণের বার জব্দ
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বনগাঁসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ভারতে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন সে দেশের সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থে রবিবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য লোড আনলোডসহ কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। স্বাভাবিক আছে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল।
বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, আমাদের বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিএন্ডএফ মালিক, কর্মচারি, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাক চালকরা সকলে তাদের নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিবেন বলে আজ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না। নির্বাচন শেষে সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, পেট্রাপোল বন্দর থেকে তাদেরকে জানিয়েছেন রবিবার তাদের পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কারণে আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম হবে না। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শতশত পণ্য বোঝায় ট্রাক। সোমবার থেকে পুনরায় বেনাপোল পোট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি চালু হবে।
তিনি আরও জানান, বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গে পৌরসভা নির্বাচন থাকায় ভারত সরকার আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। সরকারি ছুটি থাকায় আজ এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা শিকদার জানান,
দুই দেশের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি রবিবার ভারতে নির্বাচনের কারণে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। তবে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস করে খালি ট্রাক ফিরে যেতে কোন বাধা নেই। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কার্যক্রম ও পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারতে নির্বাচনের কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমসে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
বেনাপোলে ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ আসামি গ্রেপ্তার
পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘট: বেনাপোলে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
বেনাপোলের ওপারে ভারেতের পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘটের কারণে সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
পেট্রাপোল বন্দরে এলপি ম্যানেজার কর্তৃক নানাবিধ হয়রানি প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন, যাত্রীবাহী পরিবহন সমিতিসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন।
পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি কাজে নতুন এলপি ম্যানেজার নতুন নতুন আইন তৈরী করার কারণে নানা হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হয়রানি বন্ধসহ নতুন এলপি ম্যানেজারের প্রত্যাহারের দাবিতে দফায় দফায় বৈঠক ও বিক্ষোভ সমাবেশ হলেও এলপি ম্যানেজার তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমসে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, মহামারি করোনার কারণে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৭ শ থেকে সাড়ে ৭শ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে রপ্তানি হতো। এখন মাত্র সাড়ে ৩শ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এরপর নতুন এলপি ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের আলোচনা না করে বন্দর এলাকায় প্রবেশের উপর নতুন নতুন আইন তৈরি করে বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। নতুন এলপি ম্যানেজার বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে পরিবহন স্টাফদের বন্দরের ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন কাজে জড়িত স্টাফদের আইসিপিতে প্রবেশের মুখে বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের পেট্রপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওপারে এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন আন্দোলন করছেন। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। গতরাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বিশেষ অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে পণ্যচালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কাস্টমস হাউসে পাঠিয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট সারথী এন্টারপ্রাইজ।
লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০ মেট্রিক টনের তরল অক্সিজেন আমদানি করে। ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লিনডে ইন্ডিয়া লিমিটেড
১৩টি চালানে এ পর্যন্ত রেলপথে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন।
বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অক্সিজেন এক্সপ্রেসটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছাবে। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এসব অক্সিজেন ট্যাংকারে করে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে রেলযোগে অক্সিজেন আমদানি শুরু হয়। সর্বশেষ ২৭ আগস্ট রাতে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। ১৩টি চালানে এ পর্যন্ত লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড নামে আমদানিকারক ২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করেছেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নিয়ামুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে গতরাতে ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হয়ে খালাসের অপেক্ষায় বেনাপোল রেল স্টেশনে আছে। সরকারি ডিউটি পরিশোধ করেই তরল অক্সিজেনের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। বিকালে পণ্যচালানটি তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
ভারতের উপহার আরও ৪০ অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ভারতের দেয়া আরও ৪০টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে বুধবার এসে পৌঁছেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে বলে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে, গত মার্চে বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে করোনা মহামারি মোকাবিলার যৌথ প্রচেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে ১০৯ টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ১৭ আগস্ট ৩১টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী চালানের ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স এখন পেট্রাপোলে এসেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। বাকি ৩৮টি অ্যাম্বুলেন্স সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। এই উপহার বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের সহায়তার জন্য ভারতের অব্যাহত এবং দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারের প্রতিফলন করে।
আর পড়ুন: ৩১টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর ভারতের
মোদির উপহারের ৩০ অ্যাম্বুলেন্স শিগগিরই ঢাকায় আসছে
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ৫ হাজার ট্রাক
দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে ৫ হাজার ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ফলে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। ইতিমধ্যে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
বেনাপোল বন্দরে কর্মহীন ২ হাজার শ্রমিক
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ২৪ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দুই হাজার শ্রমিক। সেই সাথে বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কয়েক শ বেসরকারি কর্মীও একই অবস্থায় পড়েছেন।