ভারতের সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ হয় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। এ পথে ভারত থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শ গাড়ি আমদানি করা পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। অপরদিকে বাংলাদেশ হতে প্রায় ১ থেকে ২ শ রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি ভারতে যায়। কিন্তু এখন সবই স্থবির হয়ে আছে।
চলমান পরিস্থিতিতে বন্দর নির্ভর মানুষজন যেমন বিপাকে পড়েছেন তেমনি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার। বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে।
বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক সজিব হাসান বলেন, ‘আমরা এখানে কাজ করে যে টাকা পাই তাতে সংসার ভালোভাবেই চলে যায়। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবাই অসুবিধায় পড়েছি।’
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী আমদানিকারণ ঢাকার ফ্যাশান ট্রেডার্সের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অনেক লোকশান হচ্ছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমির হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমদানি পণ্যবাহী হাজার হাজার গাড়ি বেনাপোলের ওপারে আটকে আছে। আর বেশি অসুবিধা হচ্ছে পচনশীল পণ্য নিয়ে। এ পথে পেঁয়াজ, মাছ ও পানের মতো অনেক পচনশীল পণ্য আমদানি হওয়ায় সেগুলো আটকে থাকায় সমস্যা হচ্ছে।’