নেটওয়ার্ক
এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
মার্কিন ডলারের জন্য খোলা বাজারে জনসাধারণের নির্ভরতা বাড়ায় প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২১ টাকায়।
সম্প্রতি খোলা বাজারে বেশি দামে ডলার বিক্রির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর খোলা বাজারে ডলারের সংকট আরও তীব্র হয়।
এ অবস্থায় অনেকেই তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতি ডলার ১২০-১২১ টাকায় ডলার বিক্রি করছেন। সূত্র জানিয়েছে, যারা চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণ করছেন তাদের জন্য তারা ডলারের একমাত্র উৎস হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
জানতে চাইলে ঢাকার মতিঝিল এলাকার একটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের মালিক জামাল (ছদ্মনাম) আজ ইউএনবিকে বলেন, আমরা ১১৫ টাকায়ও ডলার কিনতেও পারি না। ‘আমরা কীভাবে প্রতি ডলার ১১৩ দশমিক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে পারি।’
অন্যান্য অনেক মানি চেঞ্জার ও মার্কিন ডলারের স্বতন্ত্র ভাসমান ব্যবসায়ীরা মুদ্রার সরবরাহ সংকটের কারণে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
এক মাসের ব্যবধানে খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১১২ টাকা থেকে ১২০-১২১ টাকায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতি ডলার ১১৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি করতে বলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে মার্কিন ডলারের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে এবং টাকার মান কমছে। ফলে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছে।
বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউস এবং ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবি জানতে পেরেছে যে বেশিরভাগ মানি চেঞ্জারের কাছে ডলার নেই।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব শেখ হেলাল সিকদার বলেন, মানি চেঞ্জারদের জন্য ডলারের ক্রয়মূল্য ১১১ দশমিক ৮০ টাকা এবং ১১৩ দশমিক ৩০ টাকা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, ‘এই দামে কেউ ডলার পাচ্ছে না, তাই মানি চেঞ্জাররা এখন খালি হাতে বসে আছে।’
খোলা বাজারে ডলারের ঘাটতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ডলার লেনদেন হচ্ছে, কিন্তু সবাই তা বিক্রি করছে না।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
১ বছর আগে
দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি নিয়ে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলালিংক
বাংলালিংক ২০২২ সালের বাৎসরিক আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে ফোরজি নেটওয়ার্কে নিয়মিত বিনিয়োগ, যার ফলে বাংলালিংক-এর কাভারেজ ও নেটওয়ার্কের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া, বাংলালিংক-এর অভিনব ও আরও উন্নত ডিজিটাল সেবা এর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন-এর সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২২ সালের আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে বাংলালিংক-এর আয় পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১২.১% বেড়ে ৫ হাজার ৩৭৪ কোটিতে দাঁড়ায়। টানা তিন প্রান্তিকে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। বাংলালিংক-এর সেবা থেকে বাৎসরিক আয় ও ডেটা থেকে বাৎসরিক আয়ও ২০২২ সালে যথাক্রমে ১২.৩% ও ২৬.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস এই ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভিওন-এর গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু, বাংলালিংক-এর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার চেম ভেলিপাসাওগ্লু, বাংলালিংক-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত ও বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।
ডিজিটাল বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম টফি দেশে ডিজিটাল সেবায় বাংলালিংককে শীর্ষ অবস্থান নিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
২০২২ সালের শেষে টফি-এর সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখে এসে দাঁড়ায়।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কাতার ২০২২TM-এর এক্সক্লুসিভ লাইভস্ট্রিমিংয়ের কারণে এর জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
গত বছর টফি-এর দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৫২ লাখ, যা পূর্ববতী বছরের তুলনায় ৫ গুণ বেশি।
বাংলালিংক-এর সেলফ কেয়ার মোবাইল অ্যাপ মাইবিএল সুপার অ্যাপও বছর শেষে ৫৭ লাখ ব্যবহারকারী নিয়ে ভালো ফলাফল অব্যাহত রেখেছে।
গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলালিংক-এর গ্রাহক সংখ্যা পূর্ববর্তী বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭.১% বৃদ্ধি পায়। দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে বিশেষ এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বাংলালিংক গত বছর নেটওয়ার্ক প্রায় ৪০% সম্প্রসারণ করে, যার ফলে এর মোট সাইটের সংখ্যা ১৪ হাজার ১০০ অতিক্রম করে। উন্নত নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল সেবার জন্য বাংলালিংক সম্প্রতি ৪ কোটি গ্রাহক অর্জনেও সক্ষম হয়।
তিন বছরে টানা ষষ্ঠবারের মতো দেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা®️ স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড™️ অর্জনের পাশাপাশি বাংলালিংক ২০২২ সালে দেশের অপারেটরদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রাহক অর্জন করে।
বাংলালিংক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভিওন-এর গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু বলেন, ‘বাংলাদেশে ভিওন-এর ধারাবাহিক বিনিয়োগের সুস্পষ্ট ফলাফল দেখে আমি আনন্দিত। টানা তিন প্রান্তিকে বাংলালিংক-এর দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধিতে আমাদের সাফল্যের প্রমাণ। ডিজিটাল অপারেটর ভিত্তিক কৌশলের একটি অংশ হিসেবে বাংলালিংক প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমাণ ডিজিটাল মার্কেটে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ডিজিটাল সেবা দিয়ে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করবে বাংলালিংক।’
বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘সমগ্র দেশে বিস্তৃত অপারেটর বাংলালিংক ২০২২ সালে একটি ডিজিটাল পাওয়ার হাউস হিসেবে সবক্ষেত্রে ভালো ফলাফল করে প্রবৃদ্ধির একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। বছরটিতে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার টেলিকম খাতের মোট প্রবৃদ্ধির হারের দ্বিগুণ। দ্রুততম ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করে এবং দেশের প্রতিটি কোণে উন্নত ডিজিটাল সেবা নিয়ে আমরা সত্যিকারের দেশব্যাপী বিস্তৃত অপারেটরের মর্যাদা অর্জন করেছি। নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ গতি এবং দেশব্যাপী বিস্তৃতি নিয়ে আমরা এই বছর গ্রাহকদের সেরা মানের সংযোগ দিতে প্রস্তুত।’
বাংলালিংক গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ এবং উন্নত ডিজিটাল সেবা প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আয়ের প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
https://www.veon.com/investors/reports-results/reports-results/
আরও পড়ুন: জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
১ বছর আগে
কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
শুধুমাত্র কর্ম জীবনে উন্নতিতে নয়; জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কিং একটি গুরুত্বপূর্ণ সফ্ট স্কিল। একজনের কথা আরেকজন কত সহজভাবে বুঝতে পারছে তার ওপর নির্ভর করে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক। আর এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে পরিচালিত হয় তাদের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ। পরস্পরকে অনুধাবনের এই ব্যাপারটি যখন দু’জন থেকে অনেক মানুষে ছড়িয়ে পড়ে তখন এর প্রভাবও ব্যাপক আকার ধারণ করে। এই দক্ষতা অর্জন বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং এটি প্রতিনিয়ত অনুশীলনের দাবি রাখে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, শিক্ষাজীবন থেকেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
শিক্ষাজীবনেই প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরির দিক-নির্দেশনা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যারিয়ার অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা
ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন অথবা অ্যাডমিনের অধীনেই আভ্যন্তরীণ স্টুডেন্ট গ্রুপ সহ ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যকলাপের খোঁজ মেলে। ইউনিভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই এই খোঁজের কাজটি করে নেয়া যায়। পাশাপাশি অনুষদের কর্মকর্তা এবং এর সাথে সংযুক্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথেও গড়ে তোলা যায় সুসম্পর্ক।
এই স্টুডেন্ট গ্রুপ এবং একাডেমিক বিভাগ অধ্যয়নরত এবং সদ্য স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এই ক্যারিয়ার সেন্টারের লক্ষ্যই থাকে একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার উন্নত করতে সঠিক লোকদের সাথে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করা। এই সেন্টার নতুন শিক্ষার্থীদের সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন থেকে শুরু করে ইন্টারভিউয়ের পূর্বপ্রস্তুতির জন্য একজন পরামর্শদাতা নিয়োগ করে দেয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেয়া
স্কুল ও কলেজ শেষ করার পর সেখানকার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপটিকেও সমান গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। পুরনো ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত পুনর্মিলনীগুলো এক্ষেত্রে যেমন তাৎপর্যবহুল তেমনি বেশ আবেগেরও ব্যাপার। পুরনো বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার অনুভূতি সত্যিই অতুলনীয়।
আর ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বর্ষ থেকেই সংযুক্ত হওয়া যায় অ্যালামনাই গ্রুপের বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে। এর মাধ্যমে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিতে সফল তাদের কাছ থেকে কর্মজীবনের নানা দিক সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান লাভ করা যায়। এমনকি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিমেষেই পৌঁছে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত নিয়োগকর্তার কাছে। তাই তাদের ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকতে তাদের সামাজিক মাধ্যম, ইউনিভার্সিটির নোটিশ বোর্ড এবং বিভিন্ন ইভেন্টে যোগদান করতে হবে।
লিঙ্ক্ডইন এবং অন্যান্য সামাজিক মিডিয়াগুলো ব্যবহার করা
গত এক দশক জুড়ে করপোরেট জগতে লিঙ্ক্ডইড সামাজিক মাধ্যমটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন এই মাধ্যমটি শুধু পেশাজীবী লোকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকা বিশ্বে এখন শিক্ষাজীবন থেকে কর্মমুখী হওয়া আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ইউনিভার্সিটির প্রথম বছর থেকেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্জনগুলো দিয়ে সামাজিক প্রোফাইলটি ভরতে হবে। এভাবে স্নাতক পাশ করার সঙ্গে সঙ্গে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে পোর্টফোলিওটা। লিঙ্ক্ডইনের ফিচারের মাধ্যমে সদ্য পাশ করা স্নাতক ডিগ্রীধারীর অর্জনগুলো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। ফলে তারা নিমেষেই নিয়োগকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
পেশাজীবীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার সুবাদে প্রতি মাসে দুই লাখেরও বেশি কলেজ ও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী লিঙ্কডইন-এ যোগদান করছে। ইতিমধ্যেই লিঙ্কডইনে তিন কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী প্রোফাইল রয়েছে। নিদেনপক্ষে, কলেজ-ই হচ্ছে লিঙ্ক্ডইন প্রোফাইল করার সেরা সময়।
শিক্ষকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা
কলেজ ও ইউনিভার্সিটির লেকচারারদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকেন যারা খুব সহজেই শিক্ষার্থীদের মন জয় করে ফেলেন। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করেন। এমন একজন শিক্ষক-ই যথেষ্ট শত শত শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গড়ে দেবার জন্য। তাই তাদের জীবনমুখী পরামর্শ পেতে শিক্ষার্থীদেরও তাদের সঙ্গে ঘন ঘন কথা বলা উচিত।
আরও পড়ুন: গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সম দক্ষতার লোকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট ক্যারিয়ার তৈরির পথটি সুগম হয়। এমনকি যারা কি নিয়ে পড়বে বা কর্মজীবন নিয়ে বিড়ম্বনায় থাকে তাদেরকেও তাদের পছন্দ-অপছন্দ যাচাই করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেন এই শিক্ষকরা। তাই শুধু অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া-নেয়ার মধ্যে না থেকে ছাত্র-শিক্ষক-এর সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়তার সম্পর্কে আরও যত্নবান হওয়া
স্কুলের বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশি, এলাকার বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত, আত্মীয়-স্বজন এমনকি পরিবারের সদস্যরাও এই গন্ডির অন্তর্ভূক্ত। অনেকের ক্ষেত্রে এই মাধ্যমটি সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হয়ে ওঠে। এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে- একজন শিক্ষার্থী তার ঘনিষ্ঠজনদেরকে নিজের ক্যারিয়ার পরিকল্পনার ব্যাপারে খুব সহজেই জানাতে পারে।
সরাসরি সাহায্য করতে না পারলেও তারা নিজেদের পরিচিতদের মধ্য থেকে এমন কাউকে খুঁজে দেয় যে প্রকৃতপক্ষে সাহায্য করতে পারবে। এমনকি প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায় খুব ভালো একটি চাকরির ব্যবস্থাও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
ভলান্টিয়ার বা ইন্টার্নশিপ বা পার্ট টাইম জব করা
কর্মক্ষেত্রের ওপর সরাসরি ব্যবহারিক জ্ঞান পেতে এই কার্যকলাপগুলোর কোন বিকল্প নেই। একটি নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতাই নয়; এর মাধ্যমে সখ্যতা হয় একই ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ করা লোকদের সঙ্গে। তাছাড়া ফুল টাইম চাকরি বাজার খুব কঠিন হলেও এই সুযোগগুলো অহরহই মেলে। এ সময় কাজের ধরনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে অভিজ্ঞতা ও সফ্ট স্কিল অর্জনকে।
প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায়, এরকম মাধ্যমগুলোতে কর্মরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। কর্মজীবনের এই ক্ষেত্রগুলো একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং পোর্টফোলিও তৈরির সর্বোৎকৃষ্ট উপায়।
করপোরেট বা সামাজিক নেটওয়ার্কিং ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ করা
ক্যারিয়ার বা জব ফেস্ট এবং বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মত করপোরেট ইভেন্টগুলো সারা বছরই হতে থাকে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন বা সংস্কারমূলক কাজে মহল্লার লোকদের একত্রিত হতে দেখা যায়। এই ইভেন্টগুলোতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
করপোরেট ইভেন্টগুলোর জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো কোম্পানির নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া পেজ। টিভি ছাড়াও এরা অধিকাংশ সময় ইউটিউব, ফেসবুকে তাদের ইভেন্টের প্রোমোশন করে। ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে যেগুলোতে এমন ইভেন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। সামাজিক ইভেন্টগুলোর ক্ষেত্রেও একই উপায় অনুসরণ করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে কোন সামাজিক মিলনমেলা এড়ানো উচিত নয়। এগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্দেশ্য হাসিল না হলেও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় থাকে। যার সূত্র ধরে পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রের জন্য বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পাওয়া যায়।
নেটওয়ার্কের সদস্যদের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া
এই কাজটিকে একটি বড় বিনিয়োগ হিসেবে চিন্তা করা যেতে পারে। পরস্পরের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে একটি নতুন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যায়। আর কর্মক্ষেত্রের জন্য একটি সুসম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই সহযোগিতাগুলো দীর্ঘ সময় ধরে নেটওয়ার্কের যত্ন নেয়। পাশাপাশি এটি নিজের মার্কেটিং-এরও একটি বড় উপায়।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কের লোকদের কাছে খুব সহজেই স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি হওয়ার দরুণ নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে চরম বিপদের মুহুর্তে সাহায্যের প্রতিদান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এভাবেই আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে নেটওয়ার্কটি।
অনুসরণীয় ব্যক্তিবর্গের মেন্টরশীপ নেয়া
নির্দিষ্ট কোন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি জায়গা করে নিতে সেখানে সফল কোন ব্যক্তির প্রচেষ্টাকে অনুসরণ করা যেতে পারে। আর এই অনুসরণীয় ব্যক্তিকে ক্যারিয়ার মেন্টর হিসেবে পেলে সেই প্রচেষ্টার পথটি আরও সাবলীল হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো তাদের কাছে পৌঁছানো। প্রচন্ড ব্যস্ততার দরুণ তারা সাধারণত সবার সঙ্গে সময় দিতে পারেন না।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে পরিবেশনের জন্য অধিক সৃজনশীল ও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। সেই অনুসরণীয় ব্যক্তিটিকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। তাদের ভালো লাগা মন্দ লাগার ব্যাপারে জানতে হবে। এমনকি তারা প্রতিদিন কি করছেন, সে ব্যাপারেও অবহিত থাকতে হবে। এর জন্য তার লিঙ্ক্ডইন, ফেসবুক প্রোফাইল অনুসরণ করা যেতে পারে। পরিচয়ের শুরুতে সঠিক শব্দ বাছাই করে উপযুক্ত একটি বার্তা প্রেরণের সময় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে সময় কাজে লাগানোর উপায়
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা
কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে থাকাকালীন নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বাইরেও বাড়িয়ে দিতে হবে বন্ধুত্বের হাত। এটি কর্মক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এর জন্য দুই বা ততোধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সংঘটিত ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে হবে। স্বভাবতই এখানে প্রয়োজন হবে ঘন ঘন পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের।
এই প্রবণতাটি বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং বিরাট নেটওয়ার্ক তৈরিতে অনেক কার্যকরি ভূমিকা রাখে। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্কেলগুলোতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার মাধ্যমে প্রবেশাধিকার পাওয়া যায় সেখানকার ক্যারিয়ার সেন্টার ও স্টুডেন্ট ক্লাবগুলোতে। এমনকি সেখানকার শিক্ষকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
শেষাংশ
এই প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি এবং তা অটুট রাখার মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখার নৈপুণ্য একটি আবশ্যক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষাজীবন থেকে প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং তৈরি অনুশীলন শুরু করলে কর্মজীবনে প্রবেশের আগেই নিজেকে প্রস্তুত করে নেয়া যাবে। শুধু তাই নয়; অনুশীলনের সময়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন কাজে এর সুফল পাওয়া যাবে। ঘন ঘন পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমগুলোতে অংশ নেয়ার মাধ্যমে উন্নত করা যাবে নিজের পোর্টফোলিওকে। যা সদ্য স্নাতক পাশ করার পরে কাজের অভিজ্ঞতাহীন অবস্থার বাধাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
২ বছর আগে
উন্নত মোবাইল নেটওয়ার্ক-ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কল ড্রপ, দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে কল বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ভোগান্তি দূর করে স্বচ্ছ ভয়েস কল, দ্রুত গতির ইন্টারনেট এবং স্থিতিশীল মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক, মোবাইল ইন্টারনেট সংক্রান্ত সমস্যা এবং গ্রাহকদের অভিযোগের দ্রুত সমাধানে বিটিআরসির ‘অভিযোগ সেলের’ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছেন আদালত।
কমিটিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর্স অব বাংলাদেশের (এমটব) একজন প্রতিনিধিকে কমিটিতে রাখতে বলা হয়েছে। আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর আজ রবিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, জাতীয় দৈনিক ও টিভি চ্যানেলে দেয়া বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, মুঠোফোনে কলের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার শব্দ, গতিশীল নেটওয়ার্ক ও স্থিতিশীল ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও গ্রাহকের কেনা মোবাইল ইন্টারনেট ডাটার পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে ডেটা প্যাকের জন্য মুঠোফোন অপারেটরদের নির্ধারিত মেয়াদ বাতিল করতে এবং কেন ডেটা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত গ্রাহকদের তা ব্যবহারের অনুমতি দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মানহানিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি, বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, রবির প্রধান নির্বাহী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক আস টাইগার্স ডেন ও টেলিটকের প্রধান নির্বাহী মো. শাহাব উদ্দিনসহ সাত বিবাদিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি ওই রিটটি করেন। আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি চারটি মোবাইল অপারেটরেরই গ্রাহক। কল ড্রপ, দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের মেয়াদসহ নানা ভোগান্তি নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি বিটিআরসিতে অভিযোগ করেন। কিন্তু বিটিআরসির অভিযোগ সেল থেকে এর প্রতিকার না পেয়ে গত ১০ জানুয়ারি তিনি আইনি নোটিস দেন। কিন্তু বিবাদীদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে গত সপ্তাহে রুল ও নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির পরই রুল ও নির্দেশনা দিলেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম এ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আইনজীবী এম এ মাসুম পরে সাংবাদিকদের বলেন, বিটিআরসির অভিযোগ সেল বিভিন্ন সেল বিভিন্ন সময় অভিযোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই সেলটি যথাযথভাবে কাজ করছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যদি কাজ করত তাহলে এসব মোবাইল গ্রাহকদের ভোগান্তিগুলো থাকত না। সে জন্যেই আমরা রিট আবেদনে বিটিআরসির অভিযোগ সেলটির কর্মকাণ্ড তদারকি করতে একটি কমিটি চেয়েছিলাম। আদালত সে কমিটি করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
২ বছর আগে
লো-কার্বন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক
মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম ২০২১-এর দ্বিতীয় দিনে ‘গ্রিন ফাইভজি নেটওয়ার্ক ফর আ লো-কার্বন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট রায়ান ডিং।
প্রবন্ধে দ্রুত ডেটা ট্র্যাফিক বৃদ্ধির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পুরো শিল্পখাতের পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া এবং একইসাথে, উচ্চ পারফরমেন্স ও কম জ্বালানি খরচে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্কও গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ হুয়াওয়ে’র
ডিং এর মতে, যেসব দেশে ফাইভজি’র দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে ও অপারেটররা এক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করছে, তারা এর সুফলও পাচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, যখন ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়বে, তখনই অপারেটররা এর পুরোপুরি সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফাইভজি পেনিট্রেশন ২০ শতাংশে পৌঁছালে, এ প্রযুক্তির বিকাশ আরও দ্রুত হবে।
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও কুয়েতের মতো দেশগুলোতে অপারেটররা ব্যবহারকারীদের দ্রুত দেশব্যাপী কভারেজ প্রদান ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করছে। তারা ব্যবহারকারীদের সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ নিয়ে এসেছে যা গ্রাহক ও অপারেটর উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক। ব্যবহারকারীদের নতুন নেটওয়ার্কে স্থানান্তর ও নেটওয়ার্কের বিকাশকে ত্বরাণ্বিত করতে অপারেটররা ফোরজি’র চেয়ে উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। এসব দেশে ২০ শতাংশেরও গ্রাহক বেশি ফাইভজি’তে সেবা নিতে শুরু করেছে যার ফলে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে এবং ব্যবসায়িক আয় ও নেটওয়ার্ক নির্মাণে ইতিবাচক প্রবণতা এনেছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
উচ্চমানের ফাইভজি নেটওয়ার্ক মোবাইল ডেটা ট্রাফিকের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাবে। ধারণা করা যায় যে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর মাসিক ডেটা ট্র্যাফিক ৬শ’ জিবিতে পৌঁছাবে। ডিং বলেন, আইসিটি শিল্পের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ ৪৫ শতাংশ কমাতে উচ্চ পারফরম্যান্স ও কম জ্বালানি খরচের গ্রিন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে অপারেটরদেরকে বিদ্যমান পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
বক্তব্যের শেষে ডিং বলেন, সৌদি আরব, গ্রিস, পাকিস্তান ও সুইজারল্যান্ড সহ ১শ’র বেশি দেশে হুয়াওয়ে লো-কার্বন সাইট সল্যুশন স্থাপন করেছে, যা অপারেটরদের ৪০ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করছে। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠান হিসেবে, সবুজ বিপ্লবকে কেন্দ্র করেই হুয়াওয়ে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক তৈরিতে বিশ্বজুড়ে অপারেটরদের সাথে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে কাজ করে।
৩ বছর আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি বিকাশ করলেই ক্যাশব্যাক
একাডেমিক ফি পরিশোধ করলে দেশের ৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীকে ক্যাশব্যাক দিচ্ছে মোবাইল ওয়ালেট সার্ভিস বিকাশ। প্রতিবার ১০ টাকা করে ৬ বারে মোট ৬০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন তারা।
৩ বছর আগে
ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে বিটিআরসির নীতিমালা আগামী বছর
ঢাকা, ০৩ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- আগামী বছরের শুরুতেই ফাইভ-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
৫ বছর আগে