মার্কিন ডলারের জন্য খোলা বাজারে জনসাধারণের নির্ভরতা বাড়ায় প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২১ টাকায়।
সম্প্রতি খোলা বাজারে বেশি দামে ডলার বিক্রির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর খোলা বাজারে ডলারের সংকট আরও তীব্র হয়।
এ অবস্থায় অনেকেই তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতি ডলার ১২০-১২১ টাকায় ডলার বিক্রি করছেন। সূত্র জানিয়েছে, যারা চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণ করছেন তাদের জন্য তারা ডলারের একমাত্র উৎস হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
জানতে চাইলে ঢাকার মতিঝিল এলাকার একটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের মালিক জামাল (ছদ্মনাম) আজ ইউএনবিকে বলেন, আমরা ১১৫ টাকায়ও ডলার কিনতেও পারি না। ‘আমরা কীভাবে প্রতি ডলার ১১৩ দশমিক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে পারি।’
অন্যান্য অনেক মানি চেঞ্জার ও মার্কিন ডলারের স্বতন্ত্র ভাসমান ব্যবসায়ীরা মুদ্রার সরবরাহ সংকটের কারণে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
এক মাসের ব্যবধানে খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১১২ টাকা থেকে ১২০-১২১ টাকায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতি ডলার ১১৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি করতে বলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে মার্কিন ডলারের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে এবং টাকার মান কমছে। ফলে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছে।
বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউস এবং ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবি জানতে পেরেছে যে বেশিরভাগ মানি চেঞ্জারের কাছে ডলার নেই।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব শেখ হেলাল সিকদার বলেন, মানি চেঞ্জারদের জন্য ডলারের ক্রয়মূল্য ১১১ দশমিক ৮০ টাকা এবং ১১৩ দশমিক ৩০ টাকা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, ‘এই দামে কেউ ডলার পাচ্ছে না, তাই মানি চেঞ্জাররা এখন খালি হাতে বসে আছে।’
খোলা বাজারে ডলারের ঘাটতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ডলার লেনদেন হচ্ছে, কিন্তু সবাই তা বিক্রি করছে না।