রমনার বটমূল
উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতির পর পূর্ণ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সারাদেশে বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ পালিত হচ্ছে।
ভোরে ছায়ানটের শিল্পীরা রমনার বটমূলে ঠাকুরের বিখ্যাত গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো’ দিয়ে দিনটিকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৯কে স্বাগত জানাতে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক স্পটগুলোতে নতুন আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ ভিড় করছে।
তবে পবিত্র রমজান মাসে পহেলা বৈশাখ পালিত হওয়ায় উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে নববর্ষ উদযাপন করতে হয়েছে। এ বছর করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে।
পড়ুন: বাঙালি সংস্কৃতি ধারণ করেই আমরা এগিয়ে যাব: মেয়র তাপস
২ বছর আগে
এবারও মহামারিতে উত্তাপ ছড়াতে পারল না পহেলা বৈশাখ উদযাপন
করোনা মহামারির কারণে এ বছরও বাংলাদেশের মানুষ উৎসবহীনভাবে পালন করছে বাংলা বছর ১৪২৮ এর প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।
প্রতি ইংরেজি বছরের ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়। কিন্তু করোনা প্রকোপ রোধে সরকারের দেয়া লকডাউনের কারণে গতবছরের মতো এ বছরও বাঙালি উৎসবমুখরভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন থেকে বঞ্চিত হল।
বুধবার সকালে প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেলই ঘরে থাকা মানুষকে বছরের প্রথম দিনটি আনন্দময় করে তুলতে প্রচার করে বিশেষ অনুষ্ঠান।
প্রায় ছয় শতাব্দী পূর্বে, ১৫৫৬ খ্রীস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তনের পর থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়ে ওঠে বাঙালি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রতি বছরই এই দিনটিতে সরকারি ছুটি থাকায় বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষই অত্যন্ত আনন্দ-সমারোহের সাথে দিনটি উদযাপনে অংশ নেয় আর নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এটাই বাঙালির ঐতিহ্য।
আরও পড়ুন: দেশে নতুন লকডাউন: দুর্দান্ত কোনো ফলাফলের বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বাংলাদেশের যেসকল সংগঠন অগ্রগামী যেমন, ছায়ানট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সকলেই বর্ষবরণ উপলক্ষে সারাদিনব্যাপী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।
বাংলাদেশের বাঙালির পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম দুই আকর্ষণ হল ভোর সকালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে গানের আসর এবং ঢাবির চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্র। এদেশের মানুষের কাছে এই দুইয়ের উপস্থিতি ছাড়া যেন পহেলা বৈশাখের দিন ই শুরু হয় না। কিন্তু এ বছরও এই দুইয়ের অনুপস্থিতি থাকছে বাঙালি বর্ষবরণে।
১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এবং প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা না হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিসার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ কারণে আমরা চারুকলে অনুষদ প্রাঙ্গনে প্রতীকীভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ব্যবস্থা করেছি। ঐতিহ্যের কথায় মাথায় রেখে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সহ মাত্র ২০ জনের উপস্থিতিতে একটি প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা ভিডিও ধারণ করা হয়।’
সোমবার ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ লিসা বলেন, ‘আমারা জনসমাগমের উপস্থিতি ছাড়াই প্রথাগতভাবে বর্ষবরণের সকল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু গতছরের মতো এবারও আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করব।’
বিটিভি ছাড়াও ছায়ানট তাদের ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।
আরও পড়ুন: মানুষের জীবন সর্বাগ্রে: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়াও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংগঠন নিজেদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী আলাদা বার্তায় দেশ ও বিদেশের সকল বাঙালি ভাষাভাষী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উভয়েই দেশের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি সীমিত পরিসরে বর্ষবরণ উদযাপনের আহ্বান জানান।
৩ বছর আগে
করোনাভাইরাস: রমনায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাতিল করেছে ছায়ানট
করোনাভাইরাসের কারণে চলমান দুর্যোগের সময়ে রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন না করে বরং বিপন্ন দুস্থ মানুষের অন্ন যোগানোর কাজে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছায়ানট।
৪ বছর আগে