করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৫ ও উপসর্গ নিয়ে তিন জন মারা গেছেন।
এর আগের শুক্রবার আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণ গেল ইবি শিক্ষার্থীর
জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৯২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৯২ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ১০০ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। হাসপাতালে এখন করোনা রোগীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৮৯টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ হাজার ৬০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন। এনিয়ে মারা গেছেন ৩১০ জন।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৭৬ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৭ জন, দৌলতপুরের ১৮, কুমারখালীর ১৭, ভেড়ামারার ৩৭, মিরপুরের তিন ও খোকসা উপজেলায় চার জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৭ হাজার ২৮৩ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার তিন হাসপাতালে করোনায় ১৫ মৃত্যু
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৮ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ১০৩ জন।