শরীয়তপুর
শরীয়তপুরে মুরগিকাণ্ডে ঝড়ল প্রাণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মুরগি নিয়ে বিরোধের জেরে নজরুল মাদবর নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের বাবা লতিফ মাদবর এবং ছোট ভাই সুমন মাদবর।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল মাদবর মারা যান।
এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে জাজিরা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম আড়াচন্ডি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন বলেন, এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নজরুলের বাড়ির মুরগির বাচ্চা প্রতিবেশী বোরহানের বাড়িতে ঢুকে পড়ায় সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় বোরহানের সঙ্গে স্থানীয় আবু সালাম, জলিল, রাজন ও মনু ধারালো অস্ত্র নিয়ে নজরুলের ওপর হামলা চালায়। এসময় তার বাবা লতিফ ও ভাই সুমন ছাড়াতে গেলে নজরুলসহ তার বাবা ও ভাই গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নজরুল ও সুমনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের দুই ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। লতিফকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়।
নিহতের স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের বাচ্চা মুরগি বোরহানের বাড়িতে গেলে তারা আমার স্বামীর ওপর হামলা করে। তখন আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর আমার দেবর ও শশুর আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন বলেন, মুরগি নিয়ে বিবাদের জেরে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মামা-ভাগ্নের, আহত ৪
২ দিন আগে
শরীয়তপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে দুর্বৃত্তের হামলায় ফারুক মোল্লা নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার চরকুমারীয়া ইউনিয়নের গনি মোল্লার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক মোল্লা ওই এলাকার আবদুল হাই মোল্লার ছেলে। তিনি চরকুমারীয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, দুর্বৃত্তদের হামলায় ফারুক মারাত্মকভাবে আহত হন। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
৩ মাস আগে
নিখোঁজের ২ দিন পর শরীয়তপুর হাসপাতালের বাথরুম থেকে রোগীর লাশ উদ্ধার
দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর শনিবার সকালে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বাথরুম থেকে বাবুল বেপারী (৪০) নামে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলার মেডিসিন বিভাগের বাথরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বাবুল বেপারী বরিশালের মুলাদী উপজেলার পূর্ব তয়কা এলাকার আলী বেপারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: যশোরে ফল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাবুল। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন মা রোকেয়া বেগম। ওই রাতে মা রোকেয়া বেগম ঘুম থেকে উঠে বিছানায় দেখতে পান ছেলে নেই। এরপর তিনি তার ছেলেকে হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেন এবং একপর্যায়ে বিষয়টি নার্সদের জানান। এরপরেও তার কোনো খোঁজ পাননি। শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি চলে যান মা রোকেয়া বেগম। পরে বিকালে আবার হাসপাতালে এসে ছেলের খোঁজ করেন। এরপর শনিবার সকালে অন্য রোগীরা বাথরুমে গেলে বাবুলকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
বাবুলের ভাতিজি হেনা আক্তার বলেন, আমার চাচু গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বাথরুমে গিয়ে যদি মারাও যান, তাহলে এই দুই দিন বাথরুম পরিষ্কার করা হয়নি। বাথরুম পরিষ্কার করলে ঠিক আমার চাচুকে আগে খুঁজে পাওয়া যেত। তারা চাচুকে না খুঁজে উল্টো রোগীকে পাওয়া যায়নি বলে, আমার দাদিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার
৪ মাস আগে
শরীয়তপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শরীয়তপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ বছর বয়সী মুনতাহা নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরের দিকে গোসাইরহাট উপজেলায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
নিহত শিশু মুনতাহা উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের চর জুশিরগাঁও গ্রামের ভেকু চালক রাসেল ফকিরের মেয়ে।
শিশুটির দাদা ইদ্রিস ফকির বলেন, মুনতাহা ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে কোনো এক ফাঁকে পুকুরে ডুবে যায়। যা আমরা কেউ টের পাইনি। পরে দেখি আমার নাতনি পুকুরে ডুবে আছে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক আফজাল হোসেন বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঝালকাঠিতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৪ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব: শরীয়তপুরে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছপালা ভেঙে পড়ে জেলার সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া গাছপালা ভেঙে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও কিছু কাঁচা ঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে ফসল-ফসলি জমিরও।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে কর্মজীবী-শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যাহত
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জেলার বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছন্ন হয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সখিপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছি। সখিপুরের হাজী শরীয়তুল্লাহ কলেজ এলাকায় বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ ভেঙে পড়েছে। এখনো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোনো লোক এসে গাছগুলো সরিয়ে দেয়নি।
গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মাইজারি গ্রামের বাসিন্দা শামিম আহমেদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে আছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমাদের কারও মোবাইলে চার্জ নেই। যার কারণে দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবরও নিতে পারছি না।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (তথ্য ও প্রযুক্তি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, সকাল থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ত্রুটিপূর্ণ। যার কারণে এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমরা হাতে পাইনি।
তিনি আরও বলেন, যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সাড়ে ৩ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। ৫০০ থেকে ৬০০ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটির উপরে গাছ পড়ে রয়েছে। লোকবল সংকট থাকার কারণে দ্রুত এসব গাছ সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করছি দ্রুত লাইনগুলো ঠিক করে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নিহত ৭
৫ মাস আগে
ঈদের দিন শরীয়তপুরে আগুনে ৩০টি দোকান পুড়ে ছাই
ঈদের দিন শরীয়তপুরের জাজিরায় আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মাঝির ঘাট বাজারে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা নদীর তীরবর্তী মাঝিরঘাট বাজারের ইউনুস খাঁনের মুদির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়লে ইউনুস খান, হাসান মাদবর, তাজেল মাদবর, রাসেল মিয়া, মঙ্গল খাঁন, ছালাম মাতবরের মুদি দোকান ও রাসেল মাতবরের মোবাইল রিচার্জের দোকানসহ ৩০টি দোকান পুড়ে যায়। খবর পেয়ে জাজিরা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার ইউনূস খাঁন বলেন, ঈদের জন্য দোকানে অনেক টাকার মাল উঠিয়েছিলাম। মালামাল সব দোকানে ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেল।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় ব্যবসায়ী নেছার উদ্দিন মাদবর বলেন, সকালে ঈদের জামাত হওয়ার কথা। আমরা কেবলই নামাজে দাঁড়িয়েছি। এর মধ্যেই শুনতে পেলাম আগুন লেগেছে। নামাজ রেখেই আমরা দ্রুত আগুন নেভাতে যাই। যেতে যেতেই ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। মূলত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।
৭ মাস আগে
শরীয়তপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৬ দোকান
শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান পুড়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নড়িয়া বাজার ব্রিজ রোডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
তারা আরও জানান, ভোর ৫টার দিকে মাহিয়া ইলেক্ট্রনিক্স ও বাবুল ইলেক্ট্রনিক্সের মাঝামাঝি জায়গায় প্রথম আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পরে আশপাশের দোকানে। খবর পেয়ে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে আশপাশের ৬টি দোকান পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নড়িয়া ইউনিট দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এতে ৬টি দোকান পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: তদন্তে জানা যাবে কারওয়ান বাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না: ডিএমপি কমিশনার
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চৈন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে রয়েছি।’
শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে গভীর সমবেদনা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
৯ মাস আগে
শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরে ফিরোজা বেগম নামে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)।
আসামিরা ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠীর বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর তিন আসামি পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার এলাকার ৫৫ বছর বয়সী ফিরোজা বেগম।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বিষয়ে রায় যেকোনো দিন
২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পুলিশ। বাকি আসামি চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পায়।
পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। ওই তিনজন আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম, আল-আমীন পলাতক। পরে ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে পলাতক। এ ঘটনায় পরবর্তীকালে পুলিশ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘ ৫ বছর যুক্তিতর্ক ও ২২ জনের স্বাক্ষগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
নিহত ফিরোজা বেগমের ছেলে শাহ্ জালাল হাওলাদার বলেন, অভিযুক্তদের পাঁচজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সানাল মিয়া বলেন, এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।
১০ মাস আগে
ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
শরীয়তপুরে সবজির বাজারে ব্যবসায়ীরা একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো লুটপাট করছে। কাটছে ভোক্তার পকেট। অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি করছে সবজি।
বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ১০০ টাকার উপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) শরীয়তপুরে সবজির বাজারে একটি লাউয়ের দাম উঠেছে ১২০ টাকা। যা তিন বা চার সদস্যের পরিবারে এক দিন হবে না।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে
এক কেজি বেগুনের দাম ১০০। শিমের কেজি এখনও ১২০ টাকা। এছাড়া একটি ফুলকপি ৬০ ও বাঁধাকপিও ৫০ টাকার কমে মিলছে না।
শীতের ভরা মৌসুমেও গত দুয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা। যদিও বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, তবে এবারের চিত্র ভিন্ন।
শনিবার শরীয়তপুরের ডোমসার বাজার, শৌলপাড়া, লাউখোলাসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৭০-১০০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ধরন ভেদে ৮০-১২০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) মান ভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সবজিবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত
বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা ও আকার ভেদে লাউ প্রতি পিস ৭০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ডোমসার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মাদবর বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
লাউখোলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক-সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মূলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন।
ডোমসার বাজারে কথা হয় এক মুদি দোকানির সঙ্গে।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের বিরামপুরে সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
লাউখোলা বাজারে আকবর হোসেন বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি সবজি কেনা কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি জানান, আমাদের এলাকায় এত সবজির চাষ হয়, তবুও এত দাম কেন জানি না। ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে সবজি কিনলে মাছ-মাংস কেনার টাকা আর থাকে না।
১০ মাস আগে
শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নাওডোবা ইউনিয়নে দাউদ খান নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন পশ্চিম নাওডোবা এলাকার মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত দাউদ খান মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইল খানের ছেলে।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী মৃত নুরুল ইসলাম মাতবরের ছেলে মোজাম্মেল মাতবরের পরিবারের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল দাউদ খানের পরিবারের।
যার ফলে স্থানীয়রা সন্দেহ করে মোজাম্মেল মাতবরকে অভিযুক্ত হিসেবে আটক করে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
নাওডোবা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি সকালে শুনেছি।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামতসহ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি স্থানীয়দের হাত থেকে মোজাম্মেল মাতবরকে উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি।
ওসি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
১০ মাস আগে