হাজতি
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে মেহেদী হাসান পাপ্পু (৩২) নামে এক হাজতির আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। পাপ্পু সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্দি মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী পলাতক
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার রেজা বলেন, ‘পাপ্পু মাদক ও মারামারির পৃথক ২টি মামলায় ১ বছর ২ মাস ধরে জেল হাজতে ছিল। শুক্রবার সকালের দিকে কারাগারের বাথরুমে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাজতি ও কারারক্ষীরা উদ্ধার করেন।’
তিনি বলেন, ‘পরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার লাশ ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা
মাগুরায় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
৩ মাস আগে
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নাদিম নামে এক হাজতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মৃত্যু হয়।
হাজতি মো. নাদিম রাজধানী ঢাকার মুগদার খ্রিস্টান গলির বাসিন্দা। তার বাবার নাম জব্বার।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও তার স্ত্রীর মৃত্যু
কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে নাদিম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু
মাদারীপুরে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু, আহত ১০
৮ মাস আগে
বাগেরহাট কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারে কামাল হোসেন মিজান (৪৩) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৫ জন, মৃত্যু নেই
হাজতি কামাল হোসেন বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের মোকলেছ হোসেনের ছেলে।
২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে আলমসাধু উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারের সুপার শংকর কুমার মজুমদার জানান, কামাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখানে রাত সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে কামাল হোসেনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০
১০ মাস আগে
কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রতন মিয়া (৪৫) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
রতন গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার ব্যাংকের মাঠ এলাকার সিরাজুল মৃধার ছেলে। এ কারাগারে তার হাজতি নম্বর-১৭০৫/২৩ ছিল।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন হাজতি রতন। এ সময় তাকে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, তার নামে টঙ্গী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ছিল। ওই মামলায় তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
১ বছর আগে
কাশিমপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে কছিরন (৪৫) নামের এক নারী হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে কছিরনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
তিনি জামালপুর সদর থানার গোপালপুর এলাকার লোকমান হোসেনের স্ত্রী।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর থানায় হত্যা মামলার আসামি কছিরন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কছিরনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার জানান, কছিরনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন কছিরন। সেখানে তিনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় তাকে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখান থেকে গত ১৯ আগস্ট তাকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। দুই-তিনদিন পর তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে হাজতি পাঠাগার উদ্বোধন
ঠাকুরগাঁওয়ে হাজতে থাকা আসামিদের জন্য ‘হাজতি পাঠাগার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন ) ফিতা কেটে পাঠাগারের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁওয়ের মুখ্য বিচারিক হাকিম নিত্যানন্দ সরকার।
ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও মুখ্য বিচারিক হাকিম নিত্যানন্দ সরকার, মুখ্য বিচারিক হাকিম এস. রমেশ কুমার ডাগা, বিচারিক হাকিম আরিফুর রহমান, বিচারিক হাকিম মো. আলাউদ্দীন, চিটাগাং গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী আহসান হাবিব আলমগীর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো. আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, জেলা কারাগারের জেলার খোন্দকার মো. আল-মামুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা শনিবার উদযাপন করতে যাচ্ছে ‘ফেত দো লা মিউজিক ২০২৩’
এছাড়াও অনুষ্ঠানে কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল ওয়াহেদ ও আদালতের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশের বিভিন্ন সদস্য, জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও হাজতিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঠাকুরগাঁও মুখ্য বিচারিক হাকিম নিত্যানন্দ সরকার বলেন, হাজতবাসকারী ব্যক্তিদের চিন্তা, চেতনাকে বিকশিত করার জন্য এ হাজতি পাঠাগার উদ্বোধন করা হলো। আমরা বলি হাজতিরা কিন্তু আমাদের সমাজেরই একটি অংশ। তাদেরকে ঘৃণা বা অবহেলা করার কথা কিন্তু আমাদের আইন বলে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র কাউকে বৈষম্য করতে পারে না। সবাই সমান। পাঠাগারে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে বইগুলো সাজানো হয়েছে। এখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিভিন্ন ধর্মীয়, বিভিন্ন আইন জানার বইসহ জীবনকে উজ্জ্বল করার জন্য বিভিন্ন মনিষীদের লেখা বই রাখা রয়েছে। বই সম্পর্কে ভাল ভাল উক্তি তুলে ধরা হয়েছে, যাতে করে তারা বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়। হাজতিরা যেন কখনও মনে না করে তারা অপরাধি।
তিনি আরও বলেন, বই পড়ার মধ্য দিয়ে এই হাজতখানাকে একটি কারেকশন সেন্টারে পরিণত করতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত না করে ততক্ষণ পর্যন্ত সে অপরাধী নয়। আমরা আশা করি হাজতবাসীগণ উদ্বুদ্ধ হবেন এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সমাজ ব্যবস্থাকে কারেকশন করে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মনে করছি।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রি
ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
১ বছর আগে
ফরিদপুরে গণপিটুনিতে আহত হাজতির মৃত্যু
ফরিদপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনির তিন দিন পর আহত এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন এলাকায় বিকালে নিজ গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত হাজতি হলেন- রিপন শেখ (৩৫)। তিনি মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের চান শেখে ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
ফরিদপুর কারাগারের জেল সুপার তায়েব উদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, রিপন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে আসার পর গত ১৮ জুন আবার অসুস্থ হলে তাকে মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
তার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার জোয়ারের মোড় এলাকায় গত ৯ জুন ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তার নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
রিপন ৯-১৩ জুন পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিল।
তিনি বলেন, ১৮ জুন সন্ধ্যায় রিপন হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আমরা তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
হাজতির মৃত্যু প্রসঙ্গে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন সরকার জানান, রিপন গণপিটুনিতে আহত হওয়ার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
এরপর তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
সাতকানিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
১ বছর আগে
ঢামেক হাসপাতালে যুদ্ধাপরাধী হাজতির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বৃহস্পতিবার এক যুদ্ধাপরাধী হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত নিজামুল হক মিয়া (৭৬) গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সাধুহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরাণীগঞ্জ) ডেপুটি জেলার সুভাষ চন্দ্র বালা বলেন, মানবতা বিরোধী অপরাধের দ্বায়ে কারাবন্দী (যুদ্ধ অপরাধী) নিজামুল হককে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভোরে কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরাণীগঞ্জ) থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কারারক্ষী মো. সোলায়মান প্রধানসহ কারারক্ষীরা তাকে সকাল ৬টা ৮ মিনিটের দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
১ বছর আগে
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাজতি মো. একরামুল হোসেন এরশাদ (৩৫) কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারী এলাকার শওকত আলীর ছেলে।
এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ- পুলিশি নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আর পুলিশ জানায়, নিহত একরামুল এলাকার চিহ্নত মাদক কারবারি ও মাদক সেবনকারী। তাকে নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
জানা যায়, গত বুধবার বিকালে ওই হাজতিকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে আটক করে পুলিশ। তার কাছে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য না পেলেও বৃহস্পতিবার সকালে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ অবস্থায় শনিবার একরামুল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগার থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
হাজতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার আবু সাইম।
তিনি জানান, একরামুল হোসেন নামের ওই হাজতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর পর একরামুল হোসেনের বোন শিউলি বেগম অভিযোগ করেন- তার ভাইকে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ মাদকের অভিযোগে ধরে নিয়ে আসার পর টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে দেরি হওয়ায় পুলিশ তাকে নির্যাতন করে কারাগারে পাঠায়।
পুলিশের নির্যাতনের ফলে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, একরামুল হোসেন এলাকার একজন চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবনকারী।
তিনি জানান, তার নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় ৮-৯টি মাদকের মামলা রয়েছে। মাদক কেনা-বেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার কাছে মাদক না পাওয়া গেলেও ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, তবে তাকে কোনো প্রকার নির্যাতন করা হয়নি। নির্যাতনের বিষয়টি মিথ্যা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
১ বছর আগে
শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
শেরপুর জেলা কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
হাজতি মো. আল আমিন (২৫) নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. শরাফত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
তিনি মারধর ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় প্রায় দুই মাস ২০ দিন ধরে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার আবদুস সেলিম হাজতি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল ও জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হাজতি আল আমিন জেলা কারাগারে আটক ছিল। তার হাজতি নং ৪৫৪/২৩।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে কারাগারের ভেতরে আল আমিন হাটাহাটি করার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষীরা তাকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে হাজতি আল আমিন হাসপাতালের বিছানায় মারা যায়।
এ ঘটনায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেলের উপস্থিতিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাজতি আল আমিনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের সদস্যদের নিকট তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ওই যুবকের সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
১ বছর আগে