সহায়তা
বেসরকারি ব্যাংকের তারল্য সংকট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর: আব্দুল আউয়াল মিন্টু
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চলমান তারল্য সংকট স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সহযোগিতা চেয়েছি। ব্যাংকগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য গভর্নর আমাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান সংকট নিয়ে কথা বলেন মিন্টু।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) চেয়ারম্যান মিন্টু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব তারল্য সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক এই সহায়তা দিলে ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের তারল্য সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
ব্যাংকগুলোর সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে মিন্টু স্বীকার করেন, এনবিএলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান খেলাপি ঋণ ও নগদ প্রবাহ সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ব্যাংকও যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এনবিএলেরও একই সমস্যা রয়েছে।’
মিন্টু আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায়ে এনবিএলের কৌশল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এনবিএলের খেলাপি ঋণ আদায়ে আদালতে যাওয়াসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
সুদ মওকুফের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিন্টু বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ মওকুফ করেছে, কিন্তু আমরা সম্ভাব্য এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও বলেছি। ব্যাংকিং প্রবিধান মেনেই যে কোনো রেজোলিউশন করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আব্দুল আউয়াল মিন্টুর হাইকোর্টে আগাম জামিন
১ মাস আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ এবং সহায়তার জন্য বিএনপি এই তহবিল ও ত্রাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে।
এছাড়া দলের নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগেও বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
বিএনপির ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সভাপতি জাহিদ বলেন, 'আমরা বিএনপি ও আমাদের অন্যান্য সংগঠন গত ২৫ আগস্ট থেকে বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য ২০ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করেছি।’
তিনি জানান, সংগৃহীত অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এরই মধ্যে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরের বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ প্রদান এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয় করেছেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির ত্রাণ সংগ্রহ কমিটি।
জাহিদ বলেন, তাদের প্রাথমিক ত্রাণ তৎপরতা ছিল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের লক্ষ্য। ‘পরে, আমরা অভাবীদের খাবার দিয়েছি। দলের জেলা, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের স্থানীয় নেতারা এসব প্রচেষ্টা পরিচালনা করেন।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যজনিত কারণে বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও রাজনৈতিক দলের দায়িত্বের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাহিদ বলেন, 'আমাদের ত্রাণ সংগ্রহে আমরা শুধু বিএনপির সদস্যই নয়, সাধারণ মানুষ, গৃহবধূ, রিকশাচালক ও সাধারণ শ্রমিকদের সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা প্রতিটি অনুদানের রেকর্ড রেখেছি এবং যারা অনুদান দিয়েছেন, তাদের রশিদ সরবরাহ করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন তারা নৈতিক কারণে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেছিলেন। ‘আমরা আমাদের ত্রাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রেখেছি এবং আমরা আমাদের ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রেও সমানভাবে স্বচ্ছ রয়েছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বর্তমানে বিএনপির দীর্ঘদিনের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন তহবিলে সাত কোটি টাকারও বেশি জমা রয়েছে।
তিনি বলেন, পানি নেমে যাওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় কিছু সংক্রামক রোগসহ নানারকম রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। ‘দুর্গত এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা শুধু রোগী দেখছেন না, বিনামূল্যে পর্যাপ্ত ওষুধও দিচ্ছেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এই কাজে সহযোগিতা করছেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, বন্যায় সবকিছু ভেসে যাওয়ায় কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘কৃষকরা বীজ পাবেন কোথা থেকে? আমরা জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইল থেকে দুর্গত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধানের বীজ বা চারা পরিবহন করেছি এবং কৃষকরা এখন তাদের জমিতে এই বীজ রোপণ করছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারা বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছেন, যার মধ্যে শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণে সহায়তা করাও রয়েছে।
দেশের পূর্বাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে নিহত ১৩৭ জন শহীদের পরিবারকে তারা সহায়তা দেবেন বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
২ মাস আগে
বন্যার্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনে ১০ কোটি টাকা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-কানাডা
বন্যার্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনে ব্র্যাককে ১০ কোটি টাকা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। অস্ট্রেলিয়া ৭ কোটি ও কানাডা দিচ্ছে ৩ কোটি টাকা।
বন্যাকবলিত ১১ হাজার পরিবার এই তহবিল থেকে সহায়তা পাবে।
এছাড়া জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি, জীবিকা পুনরুদ্ধার, বাড়িঘর মেরামত, কৃষি উপকরণ ও পশুখাদ্যসহ কৃষি উপকরণ কেনায় সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: আর্থিক অপরাধ দমন অভিযানে সহায়তা করতে দুদকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন
অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার সঙ্গে ব্র্যাক বন্যার্তদের নগদ টাকা, ল্যাট্রিন, নিরাপদ পানি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো মেরামতে সহায়তা করবে।
ব্র্যাকের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ অ্যারেঞ্জমেন্ট (এসপিএ) বা কৌশলগত অংশীদারত্ব ব্যবস্থার আওতায় এই ১০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
ব্র্যাক ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার পরিবারকে খাদ্য, নিরাপদ পানি ও প্রয়োজনীয় ওষুধসহ জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় ব্র্যাকের প্রায় ৫ হাজার কর্মী মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
এছাড়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোতে নৌকা, ট্রাক্টর বা কখনো পায়ে হেঁটে ব্র্যাক কর্মীরা সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনসহ জরুরি সহায়তায় ব্র্যাক নিজস্ব তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এসপিএ তহবিলের এই ১০ কোটি টাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদাগুলো পূরণের জন্য ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও কমিউনিটি অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল বেসরকারি সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে ব্র্যাক।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কাজে বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই দুর্যোগের শুরু থেকেই মাঠে আছে ব্র্যাক। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগটি দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে ও বাংলাদেশের বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় ব্র্যাক এবং এর অংশীদারদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যাক্ত করে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সরাসরি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ
২ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যক্রম যেন থেমে না থাকে নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঢাকায় সদর দপ্তর ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খুব শিগগরই এ অর্থ তহবিলে জমা করা হবে। দেশের বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না: নাহিদ ইসলাম
২ মাস আগে
আর্থিক অপরাধ দমন অভিযানে সহায়তা করতে দুদকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন
আর্থিক দুর্নীতি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানে সহায়তা দিতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালকের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বেনজীরের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক, হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল
এতে আরও বলা হয়েছে, প্যানেলটি অনুসন্ধান অভিযানের সময় প্রমাণ জব্দ করতে এবং আইনি বিষয়গুলো পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।
প্যানেলের সদস্যরা হলেন দুদকের উপপরিচালক দেবব্রত মণ্ডল, হুমায়ুন কবির, সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী ও শোয়েব ইবনে আলম।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
বিএফআইইউ-দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজানো অপরিহার্য: টিআইবি
২ মাস আগে
যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জিএম কাদের
বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বন্যাদুর্গতরা আমাদের ভাই। যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠনবিষয়ক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের পাশে ছিলাম, আছি ও পাশে থাকব। এমন মানবিক বিপর্যয়ে ভাইদের পাশে আমরা সবসময় থাকব। একইসঙ্গে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজেও জাতীয় পার্টি দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে।’
আরও পড়ুন: আগে আওয়ামী লীগ গাছের মতো ছিল কিন্তু এখন পরগাছা হয়ে গেছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীরা স্থানীয়ভাবে বন্যাদুর্গতদের পাশে আছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে আমরা তাদেরও সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলেন, ‘যারা বন্যায় নিহত হয়েছেন তাদের যেন মহান আল্লাহ শহিদী মর্যাদা দান করেন।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোনো সতর্কীকরণ ছাড়া ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এই ভয়াবহ বন্যা।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোনো রাষ্ট্র যদি নদীর গেট খুলে দেয় তাহলে অবশ্যই ভাটির দেশগুলোকে আগাম জানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ ভারত সরকার বাংলাদেশকে সতর্ক করেনি।’
এই সভা থেকে ভারতের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান মুজিবুল হক চুন্নু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আইনজীবী মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, মোস্তফা আল মাহমুদ, শেরীফা কাদের, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, ড. নুরুল আজহার শামীমসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান জিএম কাদের
সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
২ মাস আগে
ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
চলমান পরিস্থিতিতে দেশের শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এফবিসিসিআই’র গুলশান কার্যালয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল মো. মঈন খান এবং বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতারা।
মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা গেলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতি গতিশীলতা ফিরে পাবে। এই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে ব্যবসায়ী সমাজ আশান্বিত।
মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে। এ জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের নিরাপত্তা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কর্তব্য। তাই কোন ব্যবসায়ী কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজিসহ হামলার হুমকি পেলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বন্দরের কন্টেইনার জট কমানো ও অন্যান্য অনিয়ম দূরীকরণে সেনাবাহিনী গুরুত্বের সঙ্গেও কাজ করছে বলে জানান তিনি।আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া বলেন, শিল্পের সুরক্ষায় ইতিমধ্যে অধিকাংশ পুলিশ সদস্য কাজে যোগদান করেছে। শিগগিরই বাকি সদস্যরা কাজে যোগদান করবেন। তাছাড়া বেশিরভাগ শিল্প কারখানায় শ্রমিক উপস্থিতি আশাব্যাঞ্জক বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা থাকলে বিনিয়োগ হবে না। এ জন্য তিনি সবার আগে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানান এবং ব্যবসায়ীরা তাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মীর নাসির হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ঢাকা চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতা, ঢাকা শিল্প পুলিশের ডিআইজি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
৩ মাস আগে
নিহত তামিমের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা জবি প্রশাসনের
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিমের পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বুধবার (৩১ জুলাই) গণিত বিভাগ ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।
তামিমের স্মৃতিচারণ করে তার মা বলেন, ‘রাত যায়, দিন যায়, আমি তামিমরে খুঁজে পাই না। ২০ বছর পাইলা বড় করছি, আজ আমার তামিম নেই। সবাই কে দেখি, কিন্তু আমার তামিমকে দেখি না।’
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ: শাস্তি এড়ানো, না কি বিবেকের ডাকে সাড়া?
এসময় শিক্ষকেরা তামিমের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং ধৈর্য ধরতে বলেন। এছাড়া পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ সবসময় পাশে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন শিক্ষকরা।
গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তামিমের অকালে চলে যাওয়া আমাদের ব্যথার কারণ। আমরা ক্লাসে অবশ্যই তামিমের শূন্যতা অনুভব করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা জানি, একটা সন্তানকে বড় করতে কত কষ্ট করতে হয়।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. জি. এম আল-আমীন, সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা, বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও গণিত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারহানা রশিদ, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, মো. আশরাফুল ইসলাম, ফয়জুন্নেসা খন্দকার ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোশফেয়ারা খানম।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব ও জাবি শিক্ষার্থীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
৩ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনকে সহায়তা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চীনে সফরকালে দেশটির নেতার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ওয়াং হানিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা ন্যাশনাল কমিটি অব দ্য পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে বলেন 'রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আমাদের সহায়তা করুন।’
গত জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর চীনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানো, আগামী বছর দু'দেশের মধ্যে অর্থবহ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গারা সাড়ে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'এই বিষয়টি বৈঠকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সিপিপিসিসি চেয়ারম্যান বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং এ বিষয়ে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি বলেন, 'আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব।’
মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা চীন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান এবং বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদের হার কমাতে এআইআইবির প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান
৪ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা এখন থেকে কেবল নগদে
এখন থেকে একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ লিমিটেড প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণ করবে।
রবিবার (২ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও নগদ লিমিটেডের মধ্যে একটি বহুপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা নগদ একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে এই ভাতা বিতরণ করবে।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নেন। যাত্রার শুরু থেকে বিভিন্ন শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নগদের ২ কর্মীকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই
২০১৬ সাল থেকে এই ভাতা বিতরণ করা হয় ডিজিটাল মাধ্যমেও। সে সময় থেকে গত বছর পর্যন্ত এই ভাতার উল্লেখযোগ্য একটা অংশ বিতরণ হতো নগদের মাধ্যমে। তবে এখানে অন্য মোবাইল আর্থিক সেবাও দায়িত্ব পালন করত। এবারের চুক্তির ফলে এমএফএসগুলোর মধ্যে নগদ এককভাবে এই ভাতা বিতরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা স্বচ্ছভাবে বিতরণ করায় নগদের সাফল্যের কারণেই ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাকে একক দায়িত্ব দিয়েছেন তারা। এছাড়া একাধিক মোবাইল আর্থিক সেবাকে দায়িত্ব দিলে হিসাব রাখা জটিল হয় এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায় না বলে এককভাবে এই প্রতিষ্ঠানকে তারা বেছে নিয়েছে।
নগদের সঙ্গে এই চুক্তি করায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এই শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গড়ে উঠেছে। আমরা চাই, এই ট্রাস্ট যেভাবে অসহায় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেয়, তা যেন স্বচ্ছভাবে বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ এখন সফলভাবে ডিজিটাল হয়েছে। সেজন্য আমরা সব সেবাই ডিজিটাল মাধ্যমে দিতে চাই। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে সরকারের সঙ্গে মিলে ডিজিটালাইজেশনের কাজ করছে। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা সফলতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিতরণ করছে। সেজন্যই নগদের উপর আস্থা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।
অনুষ্ঠানে নগদের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, নগদ শুধু ব্যবসা করার জন্য কাজ করে না। সরকারের অংশীদার হিসেবে দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি আমরা। তার অংশ হিসেবে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের ভাতা সাফল্যের সঙ্গে বিতরণ করছে নগদ। এবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণের জন্য একমাত্র এমএফএস হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।
করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা বিতরণের মাধ্যমে নগদ ভাতা বিতরণের কাজ শুরু করে। এরপর সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা ও প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণে তাদের দারুণ স্বচ্ছতা ও সাফল্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে উৎসাহিত করেছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্কিম পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আসাদুল হক এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি শিকদার।
চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পক্ষে সই করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) স্মৃতি কর্মকার।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পক্ষে সই করেন ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবু তালেব।
নগদ লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
বিনিয়োগ ছাড়াই নগদের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার: পলক
৫ মাস আগে