আহ্বান
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের আহ্বান বদিউল আলমের
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নির্ভরযোগ্যতা ও এর অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে যন্ত্রটির ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মজুমদার ইভিএমকে 'ত্রুটিপূর্ণ ও বিতর্কিত ডিভাইস' বলে উল্লেখ করেন।
নির্বাচনি আইন, বিধিবিধান ও প্রক্রিয়ার দুর্বলতা দূর করতে নির্বাচন সংস্কার কমিশন এ পর্যন্ত ২১টি বৈঠক করেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
বৈঠকগুলোতে আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন অধিকতর স্বচ্ছ ও দক্ষ নির্বাচনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রস্তুত করেছে।
বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শও করেছেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইট, ইমেল এবং সামাজিক মাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করছি। এখনও পর্যন্ত আমরা ৩৬৪টি ইমেইল ও মেসেজের মাধ্যমে মূল্যবান মতামত পেয়েছি।’
কমিশনের নিরপেক্ষতার কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'আমাদের কোনো গোপন কর্মসূচি নেই। আমাদের কাজ নিরপেক্ষ এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
মজুমদার আগের নির্বাচনগুলোতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কথিত ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করেন যে, তারা ভোটার এবং প্রার্থীদের বেআইনিভাবে হয়রানি করেছে। ‘যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। গণতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় এ ধরনের অনিয়মের কোনো স্থান নেই।’
ইভিএম ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ
প্রযুক্তিগত সমস্যা ছাড়াও ইভিএম সংক্রান্ত আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পরিচালনার অদক্ষতা এবং স্বচ্ছতার অভাবক। হঠাৎ করে ভোটকেন্দ্র এর ব্যবহারের ঘোষণা যৌক্তিক জটিলতা তৈরি করেছে, যা নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা আরও কমিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডে (বিএমটিএফ) বর্তমানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম মজুদ রয়েছে। এতে নিয়মিত গুদাম ব্যয় বহন করতে হচ্ছে, যা প্রাথমিক প্রকল্পের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, অংশীজনরাও আশা করছেন এই প্রচেষ্টাগুলো দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
১ দিন আগে
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ-জটিলতা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান ইউনূসের
বিশ্বব্যাপী 'চ্যালেঞ্জ ও জটিলতা' মোকাবিলা করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, যখন আমরা একত্রিত হই, এক হয়ে কাজ করি, তখন ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমাদের থাকে। এই সম্মেলন ঠিক সেই বিষয়েই – ঐক্যের শক্তি, অভিন্ন উদ্দেশ্যের শক্তি।’
ইউনূস এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেখানে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগীরা নয়, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষ সমানভাবে ভোগ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই আশাবাদী। আমি সবসময় সৃজনশীল ও কল্পনা শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা যদি একসঙ্গে কল্পনা করতে পারি তবে এটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। চলুন আমরা সেটি করি।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং সিজিএসের চেয়ারম্যান মুনিরা খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার বা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি যাই হোক না কেন, তারা এমন সব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন যা অপ্রতিরোধ্য।
তিনি বলেন, ‘তারপরও বাংলাদেশে আমরা ঘুরে দাঁড়ানো, প্রতিকূলতা মোকাবিলা এবং তা থেকে সুযোগ তৈরি করার বিষয়ে কিছু জানি।’
তিনি জানান, এটি এমন একটি শিক্ষা যা তিনি কয়েক দশক আগে শিখেছিলেন গ্রামীণ জনগণের সঙ্গে কাজ করে, তাদের সাহস দেখে এবং তাদের শক্তির মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতাগুলোই আমাকে শিখিয়েছে, প্রতিটি সমস্যারই সমাধান আছে, যদি আমাদের ধৈর্য থাকে, চেষ্টা করার সাহস থাকে এবং এগিয়ে যাওয়ার অধ্যবসায় থাকে।’
তিনি বলেন, এই অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভুক্তভোগীদের সামনের সারিতে রয়েছে এবং প্রতি বছর, উপকূলীয় এলাকাবাসী ক্রমবর্ধমান জলোচ্ছ্বাস এবং পরিবর্তিত আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়। এর ফলে তাদের জীবন, ঘরবাড়ি ও জীবিকার উপর প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সমস্যা, যার সমাধানে তাৎক্ষণিক ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের প্রয়োজন। এটি এক দিনের জন্যও ফেলে রাখা যায় না।
তিনি বলেন, 'একই সঙ্গে আমাদের এ এলাকা অপার সম্ভাবনাময়। আমাদের দেশ তরুণদের দেশ।’
১৭ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বয়স ২৭ বছরের নিচে। এটি দেশকে সৃজনশীলতায় খুব শক্তিশালী করে তোলে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমাদের তরুণদের টেকসই উন্নয়নে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, সবুজ প্রবৃদ্ধির মডেল তৈরি এবং আমাদের পরিবেশের প্রচার করার ক্ষমতা রয়েছে।’
তবে এর জন্য সহযোগিতা, সাহস ও অভিন্ন ভবিষ্যতের প্রতি অবিচল বিশ্বাস প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
তরুণরাই নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে যাত্রা শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকারীদের কীভাবে নতুন বিশ্ব গড়া যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহিত করেন ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করি, একে অপরের কথা শুনি এবং পরিবেশগতভাবে নিরাপদ গ্রহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন জীবনধারাসহ নতুন বিশ্ব কল্পনা করার সাহস করি।’
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
নতুন সভ্যতা গড়ার আহ্বান জানিয়ে ইউনূস বলেন, শুধু পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতায় পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অতিরিক্ত সম্পদ আহরণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ তাদের থ্রি জিরো, নিট জিরো কার্বন নিঃসরণ, জিরো ওয়েলথ কনসেন্ট্রেশন-বিশ্ব তৈরি করতে হবে। মানুষের সমস্যাগুলো সমাধান করতে সামাজিক ব্যবসা চালু করে, মুনাফা বৃদ্ধি না করে এবং শূন্য বেকারত্ব, যেখানে যুবকদের চাকরিপ্রার্থী না হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, 'মানুষের জন্য কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, যদি আমরা সেটাকে কঠোরভাবে অনুসরণ করি।’
আন্তর্জাতিক অতিথিদের নতুন বাংলাদেশে স্বাগত জানান ইউনূস।
তিনি বলেন, ১০০ দিন আগে প্রায় হাজার ছাত্র ও তাদের সমর্থকরা পুরোনো সরকারের হাতে নিহত হয়েছেন এবং ২০ হাজার আহত হয়েছেন।
ইউনূস বলেন, 'এই আন্তর্জাতিক সমাবেশের মাধ্যমে আসুন আমরা তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং কেউ কেউ অঙ্গ, চোখ ও বিভিন্ন শারীরিক ক্ষমতা হারিয়েছেন।’
ঢাকার বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি দেখতে বিদেশি অতিথিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই স্বপ্ন, কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির দেশ। ‘এটি এখন আরও প্রকট, কারণ বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাগুলো মানুষের মনে এখনও তাজা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি লাখ লাখ কণ্ঠের কাজ, প্রায় সমগ্র জাতির কণ্ঠস্বর, যা পরিবর্তনের দাবি করেছে, যা আমাদের সবাইকে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) আয়োজনে ঢাকায় শনিবার শুরু হলো আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪’র তৃতীয় আসর।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।’
জিল্লুর রহমান বলেন, সিজিএস আয়োজিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন এবারের সম্মেলন।
সম্মেলনে ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী একত্রিত হবেন।
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। বিওবিসির তৃতীয় সংস্করণের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির চিন্তা করা উচিত: অধ্যাপক ইউনূস
১ দিন আগে
রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জামায়াত সেক্রেটারির
শেখ হাসিনাকে মাস্টার মাইন্ড অভিহিত করে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ড হলো শেখ হাসিনা। তাই এমন নির্বাচন হতে হবে, যাতে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়। এজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট খানজাহান আলী আদর্শ আলিম মাদরাসা ময়দানে জেলা জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ার বলেন, ‘অত্যাচারী নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট এবং স্যাডিষ্ট, যারা মানুষ খুন করে, ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং রক্ত দেখে আনন্দ পায়- এই নিষ্ঠুর বর্বরতা রাজনীতিতে আর জায়গা পেতে পারে না। এজন্য আগামী নির্বাচনে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিশিয়ালি, কনস্টিটিউশন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার না করে নির্বাচন হলে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪- এর মতো নির্বাচন হবে।’
এছাড়া সকল দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ হটানোর আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মশিউর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
২ দিন আগে
গবেষণা খাতে বৈষম্য দূর করার আহ্বান দেশের গবেষক সমাজের
গবেষণা খাতে বৈষম্য এখন সচরাচর চোখে পড়ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান একের পর এক গবেষণায় বরাদ্দ পায়। কেউ কাজ করে, আবার কেউ কাজ করে না। তারপরও বৈষম্যমূলক এমন প্রকল্প বরাদ্দ বন্ধ হয়নি। এমনটাই অভিযোগ দেশের গবেষক সমাজের।
তাদের দাবি, প্রতিটি প্রকল্পের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঠিক করার ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞ জনবলের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
গত শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে (এনএপিডি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্ট আয়োজিত ৯ম সম্মেলনে দেশবরেণ্য গবেষকরা এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
বিআইএসআর ট্রাস্ট প্রতিবছর তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মাসে বাংলাদেশের সামাজিক গবেষণার ওপর এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। এবারের ৯ম পর্বে জেন্ডার, অর্থনীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু এবং জনস্বাস্থ্য, এই চারটি থিমের ওপর ওপর নতুন ২৮টি গবেষণা পেপার উপস্থাপন করছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকরা।
সম্মেলনে সামাজিক গবেষণার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন আলোচিত ‘পঞ্চব্রীহি’ ধানের উদ্ভাবক ও দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী।
একবার রোপণে একই শস্য থেকে বছরের ভিন্ন মৌসুমে মোট ৫ বার ফলনের কারণে ধানের নাম হয়েছে ‘পঞ্চব্রীহি’।
ড. আবেদ বলেন, ‘বিজ্ঞানটা আমাদের চেতনায় তিরোহিত, আমাদের চেতনায় একদম বিজ্ঞান নাই। আমাদের ডক্টর কুদরত-ই-খুদা, অধ্যাপক সালাম ফিজিক্সের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।’
বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক এবং বিআইএসআর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম বলেন, গবেষণায় কিছু প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পাচ্ছে, আর কিছু প্রতিষ্ঠান একদমই পাচ্ছে না। এমন না যে, তাদের যোগ্যতার অভাব আছে।
এক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার দাবি জানান তিনি।
ড. খুরশিদ আরও বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দাবি গবেষণায় বরাদ্দ কম বা তারা পাচ্ছেন না। এই দাবিটিও যেমন সত্য, তেমন এটাও সত্য যে অনেক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অলস পড়ে আছে। গবেষকরা গবেষণায় কম আগ্রহী। তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্যও গবেষণায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ কাজে আসবে বলে মনে করি।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় দর্শনের ক্ষেত্রে ড. খুরশিদ আলম বলেন, ওয়ান বাংলাদেশ থেকে নাম্বার ওয়ান বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে।
দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিচালনায় চারটি থিমের সেশনে নতুন প্রজন্মের গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
৩০টিরও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলনে মোট ২৮টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি নসরুল্লাহ
১ সপ্তাহ আগে
মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, টেলিকমিনিকেশন খাতে উন্নতির জন্য সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
যুব সমাজের আগ্রহ ও চাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল কলরেট কমানো ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে: নাহিদ ইসলাম
রবিবার (৩ নভেম্বর) মোবাইল অপারেটর রবি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এই সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে ও সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। আর যদি না হয় তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যেহেতু আন্দোলন হয়েছিল কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
এসময় উপদেষ্টা নাহিদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পৃথক পৃথক বৈঠকে রবি আজিয়াটা পিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. শাহেদুল আলম, গ্রামীণফোনের নতুন চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: নাহিদ ইসলাম
২ সপ্তাহ আগে
মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় কৃষিকাজের প্রাণী হিসেবে মহিষকে বিবেচনা করা হতো। আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সাভারের বিসিডিএম এ ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। মহিষের পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে নারীরা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চড়ে হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালে উপদেষ্টা বলেন, ইতোপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কীভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদি পশুর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিষ পালন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড (সিও২) হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
বক্তারা বলেছেন, উন্নত বিশ্ব মহিষের উৎপাদনশীলতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে তাদের প্রজনন কর্মক্ষমতা এবং দুধ উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে।
ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
অধ্যাপক ওমর ফারুকি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড.অশোক কুমার বালহারা, ড.যাদব, ড.হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জেলেদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান বিএনপির
সকল চক্রান্ত ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘নানা ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।’
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর)রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি না, তাতে কিছু যায় আসে না।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব চক্রান্ত মোকাবিলায় আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা জানি এই সরকার খুব শক্তিশালী নয়, কারণ এটি কোনো দল বা মতের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা দখল করেনি, জাতি তাদের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। যেহেতু আমরা সরকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছি সেহেতু আমাদের অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে। ‘দেশের বিভিন্ন খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। সাম্প্রতিক দুর্গাপূজার সময় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু আমরা সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছি।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক কারখানায় নারী ও পুরুষ শ্রমিকের সমতা নিশ্চিত করার দাবির কথা তিনি কখনো শোনেননি। ‘তবে, এ নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর, বন্ধ হয়ে যায়। যারা এই আন্দোলন করেছে তারা কি আসলেই শ্রমিক?’
দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, শুধু ক্ষমতায় নেই এবং দলের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গেছেন বলেই আওয়ামী লীগের দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সামর্থ্য নেই, এমনটা ভাবা ভুল।
তিনি বলেন, ‘তাদের সেই সক্ষমতা আছে এবং তারা বিভিন্নভাবে সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অথচ অন্যায় দমনের দায়িত্ব সরকারের। আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি, কিন্তু সরকারের পক্ষে তা করতে পারি না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রেখে জনগণকে স্বস্তি দিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি হঠাৎ কেন সামনে এল তা নিয়ে উদ্বেগ ও সংশয় প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। ‘বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’
৫ আগস্ট কারাগারে থাকা নজরুল বলেন, 'কারাগার থেকে আমরা টেলিভিশনে দেখেছি, রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পর এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হওয়া উচিত নয়।’
এরপর তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। পরে আমরা একটি টেলিফোন আলাপ শুনেছি যেখানে শেখ হাসিনা বলেছেন যেভাবে পদত্যাগ করা উচিত ছিল সেভাবে তিনি পদত্যাগ করেননি। এর অর্থ তিনি পদত্যাগ করেছেন... তাই তার পদত্যাগ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তিনি পদত্যাগ করেছেন কিনা, যেহেতু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, সেহেতু তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার দ্রুত পলায়নই তার পদত্যাগের প্রমাণ: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল হঠাৎ করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে ওকালতি করছে। ‘তারা এর আগে কখনো এটি নিয়ে আলোচনা করেনি এবং এমনকি কয়েকটি বড় দলও এখন এটি সমর্থন করছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।’
তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত তাদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভা নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে না, বিধানসভাতেও করে না। ‘পিআর সিস্টেমটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা ফ্রান্সেও প্রয়োগ করা হয় না। এমনকি ইংল্যান্ডে, যেখানে গণতন্ত্রের উৎপত্তি, সেখানেও পিআর সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় পিআর সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ‘আমরা এটাও দেখেছি যে নেপালে গত ৫-৭ বছরে কতবার সরকার বদল হয়েছে।’
তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ থাকা উচিত নয়। ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়, বরং সবার জন্য যেটা কল্যাণকর সেটাই আমাদের গ্রহণ করা উচিত।’
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের দোসররা এখনও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। ‘এই সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তবে তাদের রাজনীতিতে ফেরা এত সহজ হবে না।’
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই পণ্য উৎপাদনে দায়িত্বশীল উদ্যোগ নিতে আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
নির্মাতাদের টেকসই ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দায়িত্বশীল উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এছাড়াও শুধুমাত্র সাময়িক ট্রেন্ডিং অনুসরণ করতে গিয়ে কম সময়ের মধ্যে ইলেকট্রনিক পণ্য বাতিল না করতে ভোক্তাদের অনুরোধ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ই-বর্জ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘ফরমাল ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
সেমিনারে রিজওয়ানা হাসান সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনা বিধিমালা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে সহায়তা এবং পরামর্শ দিতে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, সরকার ই-ওয়েস্ট বিধিমালা ২০২১ বাস্তবায়ন করবে, যা ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে এবং রিসাইক্লিং শিল্পকে নিয়মিত ও উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
দেশব্যাপী একটি ব্যাপক ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, সরকার, বেসরকারি খাত ও সাধারণ নাগরিকদের একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে কাজ করা উচিত।
অনানুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিকর বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, ডব্লিউইইই সোসাইটি-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির ও বুয়েটের রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর ইসলাম।
সেমিনারে নীতিনির্ধারক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও শিল্প নেতারা ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
অনানুষ্ঠানিক রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া, যেমন উন্মুক্ত স্থানে পোড়ানোর মাধ্যমে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের কারণে সৃষ্ট দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে, যাদের ডিম বেশি দরকার তাদের জন্য তা সরবরাহ করতে হবে।
এছাড়াও তিনি আরও জানান, ডিমের মূল্য কমাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আপরও পড়ুন: দশমী পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামের নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা বাড়ে। ডিম সাধারণ খামারি থেকে কয়েকদফা হাত বদল হয়ে ভোক্তার কাছে যায়। এ কারণেই ডিমের দাম বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, এজন্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সরাসরি কীভাবে ডিম পৌঁছানো যায় সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে। এছাড়া রমজানে ডিমের ব্যবহার কমে যায়। তাই মজুদ নয় চাহিদার আলোকে আমাদের কোল্ডস্টোরেজ করার চিন্তা করতে হবে। বন্যার কারণে দেশের অনেক খামার নষ্ট হয়েছে। এসব খামার উৎপাদনে যেতে কিছুটা সময় লাগছে। সব মিলিয়ে সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সিন্ডিকেটের কারণে ডিমের মূল্য বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে সরকার। বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। পাইকারিতে কিছুটা দাম কমেছে। দ্রুতই দাম নাগালে আসবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং ওয়াপসা-বিবির যৌথ উদ্যোগে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও ওয়াপসার সভাপতি মসিউর রহমান।
আপরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও উজ্জ্বল করার দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের: ধর্ম উপদেষ্টা
১ মাস আগে
রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
রাষ্ট্র সংস্কারে মোট ৪১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে অন্যতম বিচার বিভাগ সংস্কার, ইভিএম বাতিল, পুলিশি আইন সংস্কার ও সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের সময়সীমা ৬২ বছর করা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতেই ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা জীবন দিয়েছে আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আওয়ামী লীগ দেশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য প্রশাসন, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করেছিল। হাজার হাজার মামলা দায়ের করে জুলুমের রাজনীতি কায়েম করেছিল।
বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা কারার প্রস্তাব দিয়ে তাহের বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন সংস্কার করতে হবে। দেওয়ানি মামলা ৫ বছর ও ফৌজদারি মামলা ৩ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এখন এটি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে।
পুলিশের আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে।
জামায়াত নেতা এসময় সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে। চাকরিতে বয়স সময়সীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ ও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর, আর অবসরের বয়স হবে ৬২ বছর।’
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
এ সময় সরকারি চাকরিতে প্রশ্নফাঁস বা দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছে, তাদের নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দুদককে শক্তিশালী করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থা করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পরপর দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন প্রস্তাবনা দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ব্যবহারে ভাগভাগি থাকতে হবে।
এ সময় শিক্ষা ও দেশের বিনোদন সেক্টর নিয়েও সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, সকল শ্রেণিতে হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয় যুক্ত করতে হবে। নাটক, সিনেমা ও কন্টেন্ট অশ্লীলমুক্ত করতে হবে।
চীন, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। পররাষ্ট্র বিষয়ে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক রাখতে হবে বলেও জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রস্তাব দেন। এতে হজ্জ ও ওমরার খরচ কমানোর জন্য কার্যকরী উদ্যেগ নেওয়ার কথাও বলা হয়।
অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণহত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের, আর একটা নির্বাচনের। তবে সময় যেনো অতি দীর্ঘ না হয়, আবার অতি সংক্ষিপ্ত না হয়। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণকে কোনো ব্যক্তিকে না, দলকে ভোট দিতে হবে।
আরও পড়ুন: যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
১ মাস আগে