আহ্বান
সৌদিতে আরও বেশি বাংলাদেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নিতে সৌদি সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসে সৌদি আরবের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এসা বিন ইউসূফ বিন এসা আলদুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে সৌদি আরবে বসবাসরত বৈধ পাসপোর্ট নেই এমন ৬৯ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু বা পুনরায় ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার। একক দেশ হিসেবে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কাজ করছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কর্মরত। এটিকে ৪০ লাখে উন্নীত করতে তিনি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে প্রভূত সহায়তা বিদ্যমান। সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল, অদূর ভবিষ্যতে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, করোনার সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তা সচল ছিল।
আরও পড়ুন: বিমসটেক অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে পারস্পরিক সহযোগিতা: কৃষি উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ী দেশে বসবাস ও চাকরি করাসহ আইনগত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই—এমন লোকের সংখ্যা আনুমানিক ৬৯ হাজার।
তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় ৬৯ হাজার ব্যক্তির পাসপোর্ট ইস্যু বা নবায়নের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল সই হয়েছিল এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিসহ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৮ দিন আগে
বিনিয়োগ আনতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দেশের শিল্পখাতে আরও বিনিয়োগ আনতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বেপজার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থনৈতিক কূটনীতির জন্য একটি টিম তৈরি করুন এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরুন। এর জন্য প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করুন।’
বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যারা চীন ও জাপানে আছেন তাদেরকে যুক্ত করে সেসব দেশের বিনিয়োগ আনা যায় কিনা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যেন ভাষাগত সমস্যা অতিক্রম করে এদেশে বিনিয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারে বিদেশে থাকা শিক্ষার্থীরা সহায়তা করতে পারে।’
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তনের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তারা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন। গত তিন সপ্তাহে আমরা চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি। আরও বিনিয়োগের আলোচনা চলছে।’
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানে আহতদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরও জানান, দেশে ৮টি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল চালু রয়েছে। যেখানে ৪৫২টি কারখানা রয়েছে। এসব জোনে আরও ১৩৬টি কারখানা নির্মাণাধীন। চালু কারখানার মধ্যে ১০০টির বেশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন এবং বাকি কারখানাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই যৌথ উদ্যোগ।
বেপজা চেয়ারম্যান জানান, কারখানাগুলোর ৫২ শতাংশ তৈরি পোশাক সামগ্রী, টেক্সটাইল পণ্য ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ উৎপাদন করে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো বহুমুখী উৎপাদন করে যেমন- কফিন ও খেলনা সামগ্রী।
তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, বেপজা এলাকায় বন্ডেড গুদামের সুবিধা, চট্টগ্রাম-সাংহাই সরাসরি ফ্লাইট চলাচল এবং চীনের সাংহাই শহরে ভিসা কাউন্সেলর সার্ভিসসহ বিনিয়োগকারীরা কয়েকটি বিষয়ে জানিয়েছেন। এসব সুবিধা পেলে বিনিয়োগ বাড়তে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বেপজাকে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার ও গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে, বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন কীভাবে করা যেতে পারে সে বিষয়েও বিশেষভাবে কাজ করতে বলেন।
প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে জ্বালানি আমদানি করে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেন।
তিনি জানান, সরকার দেশে বিদ্যমান প্ল্যান্টগুলো থেকে শিল্প কারখানায় যেন আরও বেশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পৌঁছাতে পারে সেজন্য একটি সমন্বিত বিতরণ ব্যবস্থা তৈরিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের উচিত বেপজার পাশাপাশি বেজাকেও আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং আরও বিনিয়োগ আনার জন্য বিশ্বজুড়ে এসব অঞ্চলে থাকা সুযোগ-সুবিধা প্রচার করা।’
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
১০১ দিন আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট: আতশবাজি না করার আহ্বান সরকারের
দেশব্যাপী ইংরেজি নববর্ষ বা থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সবার সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রণালয় বলছে, আতশবাজি ও পটকা ব্যবহার ক্ষতিকর ও বেআইনি।
আতশবাজি এবং পটকা ব্যবহার করে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের একটি ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই জাতীয় ক্রিয়াকলাপ বিদ্যমান শব্দ এবং বায়ু দূষণের মাত্রাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,অতীতে নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজির বিকট শব্দে ভয় পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড, নাশকতার আশঙ্কা
এছাড়াও, অতিরিক্ত শব্দ শ্রবণশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত, উদ্বেগ, আগ্রাসন, উচ্চ রক্তচাপ, টিনিটাস, মাথা ঘোরা, হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকসহ অসংখ্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নববর্ষ উদযাপনের সময় অননুমোদিত আতশবাজি এবং পটকা বিস্ফোরণ শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর বিধি ৭ লঙ্ঘন। এই ধরনের কর্ম একই প্রবিধানের বিধি ১৮ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়।
আইন অনুযায়ী, এই বিধিমালা লঙ্ঘন করলে প্রথম অপরাধের জন্য এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পরবর্তী বিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় খননের পরেও প্রাণ ফিরছে না খাকদোন নদীর
১১১ দিন আগে
মানবিক জাতি গঠনে চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
সমাজের উন্নয়নে চিকিৎসকদেরকে যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটি মানবিক জাতি গঠনের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি রয়েছে চিকিৎসকদের।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় চিকিৎসক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, 'চিকিৎসকরা চাইলে একটি মানবিক জাতি গঠন করতে পারেন।’
শফিকুর রহমান আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্ব দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই প্রক্রিয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো দেশের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য দূর করা।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কবর দিন: জামায়াত আমির
তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য দূর হলেই জাতি এগিয়ে যাবে।’
জাতীয় পরিবর্তনের বৃহত্তর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন,‘বাংলাদেশে সত্যিকারের পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে। এই পরিবর্তন ধরে রাখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই পরিবর্তনগুলো এমন একটি সমাজ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়, যা প্রত্যেকের উপকার করে, বিশেষত প্রান্তিকদের।
শফিকুর রহমান চিকিৎসা গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনে দৃষ্টান্ত স্থাপনে চিকিৎসকদের উন্নত গবেষণা পরিচালনার আহ্বান জানান। ‘স্বাস্থ্যসেবা একটি মানবিক জাতি গঠনের মডেল হতে পারে।, তাই চিকিৎসকদের গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ঐক্যের ডাক জামায়াত আমিরের
১১৩ দিন আগে
মিয়ানমারের সামরিক প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আহ্বান আইসিসির প্রসিকিউটরের
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সামরিক শাসনের প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান এই আহ্বান জানান।
মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে ২০২১ সালে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা গ্রহণকারী জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গণধর্ষণ, হত্যা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বাঁচতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে আদালতের শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি শিগগিরই মিয়ানমারের নেতাদের বিরুদ্ধে আরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করবেন।
বিট্রিশ এই ব্যরিস্টার বলেন, 'এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সব অংশীদারদের সঙ্গে মিলে দেখাবো যে রোহিঙ্গাদের ভুলে যাওয়া হয়নি। বিশ্বের অন্য সব মানুষের মতো তাদেরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের দমনে অভিযান শুরু করে।
মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান মিন অং হ্লাইং তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী এবং জাতীয় পুলিশকে রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’
খান বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। প্রধানত মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমার থেকে আসা। যারা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে ২০১৭ সালেই পালিয়ে এসেছেন প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। তাদের অধিকাংশকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বাঙালির ট্যাগ দিয়ে তাদেরকে দেশের ১৩৫তম বৈধ জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে আসছে। দেশটির দাবি- তাদের (রোহিঙ্গা) জন্মভূমি বাংলাদেশে এবং তারা অবৈধভাবে মিয়ানমারে বসতি স্থাপন করেছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ইউক্রেন ও গাজার সংঘাতের বিষয়টি সামনে আসায় রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে মনোযোগ কমে গেছে।
যখন সাত বছর আগে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নতুন করে নৃশংসতার ঘটনা ঘটছে। ঠিক তখনিই আইসিসির প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত এলো।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র আন্তর্জাতিক বিচার উপদেষ্টা মারিয়া এলেনা ভিগনোলি বলেন, 'নির্যাতন ও দায়মুক্তির চক্র ভাঙার ক্ষেত্রে আইসিসির সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচার চাইবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
১৪০ দিন আগে
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের আহ্বান বদিউল আলমের
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নির্ভরযোগ্যতা ও এর অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে যন্ত্রটির ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মজুমদার ইভিএমকে 'ত্রুটিপূর্ণ ও বিতর্কিত ডিভাইস' বলে উল্লেখ করেন।
নির্বাচনি আইন, বিধিবিধান ও প্রক্রিয়ার দুর্বলতা দূর করতে নির্বাচন সংস্কার কমিশন এ পর্যন্ত ২১টি বৈঠক করেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
বৈঠকগুলোতে আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন অধিকতর স্বচ্ছ ও দক্ষ নির্বাচনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রস্তুত করেছে।
বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শও করেছেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইট, ইমেল এবং সামাজিক মাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করছি। এখনও পর্যন্ত আমরা ৩৬৪টি ইমেইল ও মেসেজের মাধ্যমে মূল্যবান মতামত পেয়েছি।’
কমিশনের নিরপেক্ষতার কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'আমাদের কোনো গোপন কর্মসূচি নেই। আমাদের কাজ নিরপেক্ষ এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
মজুমদার আগের নির্বাচনগুলোতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কথিত ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করেন যে, তারা ভোটার এবং প্রার্থীদের বেআইনিভাবে হয়রানি করেছে। ‘যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। গণতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় এ ধরনের অনিয়মের কোনো স্থান নেই।’
ইভিএম ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ
প্রযুক্তিগত সমস্যা ছাড়াও ইভিএম সংক্রান্ত আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পরিচালনার অদক্ষতা এবং স্বচ্ছতার অভাবক। হঠাৎ করে ভোটকেন্দ্র এর ব্যবহারের ঘোষণা যৌক্তিক জটিলতা তৈরি করেছে, যা নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা আরও কমিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডে (বিএমটিএফ) বর্তমানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম মজুদ রয়েছে। এতে নিয়মিত গুদাম ব্যয় বহন করতে হচ্ছে, যা প্রাথমিক প্রকল্পের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, অংশীজনরাও আশা করছেন এই প্রচেষ্টাগুলো দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
১৫২ দিন আগে
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ-জটিলতা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান ইউনূসের
বিশ্বব্যাপী 'চ্যালেঞ্জ ও জটিলতা' মোকাবিলা করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, যখন আমরা একত্রিত হই, এক হয়ে কাজ করি, তখন ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমাদের থাকে। এই সম্মেলন ঠিক সেই বিষয়েই – ঐক্যের শক্তি, অভিন্ন উদ্দেশ্যের শক্তি।’
ইউনূস এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেখানে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগীরা নয়, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষ সমানভাবে ভোগ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই আশাবাদী। আমি সবসময় সৃজনশীল ও কল্পনা শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা যদি একসঙ্গে কল্পনা করতে পারি তবে এটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। চলুন আমরা সেটি করি।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং সিজিএসের চেয়ারম্যান মুনিরা খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার বা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি যাই হোক না কেন, তারা এমন সব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন যা অপ্রতিরোধ্য।
তিনি বলেন, ‘তারপরও বাংলাদেশে আমরা ঘুরে দাঁড়ানো, প্রতিকূলতা মোকাবিলা এবং তা থেকে সুযোগ তৈরি করার বিষয়ে কিছু জানি।’
তিনি জানান, এটি এমন একটি শিক্ষা যা তিনি কয়েক দশক আগে শিখেছিলেন গ্রামীণ জনগণের সঙ্গে কাজ করে, তাদের সাহস দেখে এবং তাদের শক্তির মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতাগুলোই আমাকে শিখিয়েছে, প্রতিটি সমস্যারই সমাধান আছে, যদি আমাদের ধৈর্য থাকে, চেষ্টা করার সাহস থাকে এবং এগিয়ে যাওয়ার অধ্যবসায় থাকে।’
তিনি বলেন, এই অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভুক্তভোগীদের সামনের সারিতে রয়েছে এবং প্রতি বছর, উপকূলীয় এলাকাবাসী ক্রমবর্ধমান জলোচ্ছ্বাস এবং পরিবর্তিত আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়। এর ফলে তাদের জীবন, ঘরবাড়ি ও জীবিকার উপর প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সমস্যা, যার সমাধানে তাৎক্ষণিক ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের প্রয়োজন। এটি এক দিনের জন্যও ফেলে রাখা যায় না।
তিনি বলেন, 'একই সঙ্গে আমাদের এ এলাকা অপার সম্ভাবনাময়। আমাদের দেশ তরুণদের দেশ।’
১৭ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বয়স ২৭ বছরের নিচে। এটি দেশকে সৃজনশীলতায় খুব শক্তিশালী করে তোলে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমাদের তরুণদের টেকসই উন্নয়নে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, সবুজ প্রবৃদ্ধির মডেল তৈরি এবং আমাদের পরিবেশের প্রচার করার ক্ষমতা রয়েছে।’
তবে এর জন্য সহযোগিতা, সাহস ও অভিন্ন ভবিষ্যতের প্রতি অবিচল বিশ্বাস প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
তরুণরাই নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে যাত্রা শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকারীদের কীভাবে নতুন বিশ্ব গড়া যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহিত করেন ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করি, একে অপরের কথা শুনি এবং পরিবেশগতভাবে নিরাপদ গ্রহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন জীবনধারাসহ নতুন বিশ্ব কল্পনা করার সাহস করি।’
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
নতুন সভ্যতা গড়ার আহ্বান জানিয়ে ইউনূস বলেন, শুধু পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতায় পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অতিরিক্ত সম্পদ আহরণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ তাদের থ্রি জিরো, নিট জিরো কার্বন নিঃসরণ, জিরো ওয়েলথ কনসেন্ট্রেশন-বিশ্ব তৈরি করতে হবে। মানুষের সমস্যাগুলো সমাধান করতে সামাজিক ব্যবসা চালু করে, মুনাফা বৃদ্ধি না করে এবং শূন্য বেকারত্ব, যেখানে যুবকদের চাকরিপ্রার্থী না হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, 'মানুষের জন্য কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, যদি আমরা সেটাকে কঠোরভাবে অনুসরণ করি।’
আন্তর্জাতিক অতিথিদের নতুন বাংলাদেশে স্বাগত জানান ইউনূস।
তিনি বলেন, ১০০ দিন আগে প্রায় হাজার ছাত্র ও তাদের সমর্থকরা পুরোনো সরকারের হাতে নিহত হয়েছেন এবং ২০ হাজার আহত হয়েছেন।
ইউনূস বলেন, 'এই আন্তর্জাতিক সমাবেশের মাধ্যমে আসুন আমরা তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং কেউ কেউ অঙ্গ, চোখ ও বিভিন্ন শারীরিক ক্ষমতা হারিয়েছেন।’
ঢাকার বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি দেখতে বিদেশি অতিথিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই স্বপ্ন, কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির দেশ। ‘এটি এখন আরও প্রকট, কারণ বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাগুলো মানুষের মনে এখনও তাজা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি লাখ লাখ কণ্ঠের কাজ, প্রায় সমগ্র জাতির কণ্ঠস্বর, যা পরিবর্তনের দাবি করেছে, যা আমাদের সবাইকে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) আয়োজনে ঢাকায় শনিবার শুরু হলো আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪’র তৃতীয় আসর।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।’
জিল্লুর রহমান বলেন, সিজিএস আয়োজিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন এবারের সম্মেলন।
সম্মেলনে ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী একত্রিত হবেন।
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। বিওবিসির তৃতীয় সংস্করণের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির চিন্তা করা উচিত: অধ্যাপক ইউনূস
১৫২ দিন আগে
রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জামায়াত সেক্রেটারির
শেখ হাসিনাকে মাস্টার মাইন্ড অভিহিত করে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ড হলো শেখ হাসিনা। তাই এমন নির্বাচন হতে হবে, যাতে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়। এজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট খানজাহান আলী আদর্শ আলিম মাদরাসা ময়দানে জেলা জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ার বলেন, ‘অত্যাচারী নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট এবং স্যাডিষ্ট, যারা মানুষ খুন করে, ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং রক্ত দেখে আনন্দ পায়- এই নিষ্ঠুর বর্বরতা রাজনীতিতে আর জায়গা পেতে পারে না। এজন্য আগামী নির্বাচনে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিশিয়ালি, কনস্টিটিউশন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার না করে নির্বাচন হলে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪- এর মতো নির্বাচন হবে।’
এছাড়া সকল দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ হটানোর আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মশিউর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
১৫৩ দিন আগে
গবেষণা খাতে বৈষম্য দূর করার আহ্বান দেশের গবেষক সমাজের
গবেষণা খাতে বৈষম্য এখন সচরাচর চোখে পড়ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান একের পর এক গবেষণায় বরাদ্দ পায়। কেউ কাজ করে, আবার কেউ কাজ করে না। তারপরও বৈষম্যমূলক এমন প্রকল্প বরাদ্দ বন্ধ হয়নি। এমনটাই অভিযোগ দেশের গবেষক সমাজের।
তাদের দাবি, প্রতিটি প্রকল্পের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঠিক করার ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞ জনবলের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
গত শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে (এনএপিডি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্ট আয়োজিত ৯ম সম্মেলনে দেশবরেণ্য গবেষকরা এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
বিআইএসআর ট্রাস্ট প্রতিবছর তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মাসে বাংলাদেশের সামাজিক গবেষণার ওপর এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। এবারের ৯ম পর্বে জেন্ডার, অর্থনীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু এবং জনস্বাস্থ্য, এই চারটি থিমের ওপর ওপর নতুন ২৮টি গবেষণা পেপার উপস্থাপন করছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকরা।
সম্মেলনে সামাজিক গবেষণার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন আলোচিত ‘পঞ্চব্রীহি’ ধানের উদ্ভাবক ও দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী।
একবার রোপণে একই শস্য থেকে বছরের ভিন্ন মৌসুমে মোট ৫ বার ফলনের কারণে ধানের নাম হয়েছে ‘পঞ্চব্রীহি’।
ড. আবেদ বলেন, ‘বিজ্ঞানটা আমাদের চেতনায় তিরোহিত, আমাদের চেতনায় একদম বিজ্ঞান নাই। আমাদের ডক্টর কুদরত-ই-খুদা, অধ্যাপক সালাম ফিজিক্সের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।’
বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক এবং বিআইএসআর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম বলেন, গবেষণায় কিছু প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পাচ্ছে, আর কিছু প্রতিষ্ঠান একদমই পাচ্ছে না। এমন না যে, তাদের যোগ্যতার অভাব আছে।
এক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার দাবি জানান তিনি।
ড. খুরশিদ আরও বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দাবি গবেষণায় বরাদ্দ কম বা তারা পাচ্ছেন না। এই দাবিটিও যেমন সত্য, তেমন এটাও সত্য যে অনেক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অলস পড়ে আছে। গবেষকরা গবেষণায় কম আগ্রহী। তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্যও গবেষণায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ কাজে আসবে বলে মনে করি।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় দর্শনের ক্ষেত্রে ড. খুরশিদ আলম বলেন, ওয়ান বাংলাদেশ থেকে নাম্বার ওয়ান বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে।
দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিচালনায় চারটি থিমের সেশনে নতুন প্রজন্মের গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
৩০টিরও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলনে মোট ২৮টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি নসরুল্লাহ
১৬৪ দিন আগে
মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, টেলিকমিনিকেশন খাতে উন্নতির জন্য সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
যুব সমাজের আগ্রহ ও চাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল কলরেট কমানো ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে: নাহিদ ইসলাম
রবিবার (৩ নভেম্বর) মোবাইল অপারেটর রবি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এই সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে ও সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। আর যদি না হয় তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যেহেতু আন্দোলন হয়েছিল কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
এসময় উপদেষ্টা নাহিদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পৃথক পৃথক বৈঠকে রবি আজিয়াটা পিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. শাহেদুল আলম, গ্রামীণফোনের নতুন চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: নাহিদ ইসলাম
১৬৫ দিন আগে