ওআইসি
আইইউটি সমাবর্তন: তরুণদের দেশ ও বিশ্বমানবতার সেবায় ব্রতী হতে আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
উচ্চশিক্ষা লাভ করে শুধু নিজের জন্য নয়, দেশ, সমাজ ও বিশ্বমানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, সময়ের বিবর্তনে মানুষ আজ ক্রমেই স্বার্থপর হয়ে উঠছে। অন্যের কথা আর ভাবতে চায় না। এই অবক্ষয় থেকে সমাজকে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে অগ্রণী হতে হবে।
মুসলিম দেশগুলো আরও ঐক্যবদ্ধ থাকলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন রোধ করা যেত উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান সংঘাত বন্ধে ও সংঘাতমুক্ত বিশ্ব গড়তে বিশ্ব জনমত তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র এবং স্বপ্ন আর প্রচেষ্টা এই যুদ্ধজয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয় না, সেই স্বপ্ন আর স্বপ্নজয়ের প্রচেষ্টা একাকার হলে বিপুল বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় শক্তির উদ্ভব হয়। আর এই শক্তি অপ্রতিরোধ্য।
এ সময় বাংলাদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনকে (ওআইসি) ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আইইউটি আজ দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষায় এক অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সামনের দিনগুলোতেও আইইউটি 'সেন্টার অভ এক্সিলেন্স' হিসেবে তার অবস্থান অক্ষুণ্ণ রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
আইইউটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ওআইসির সহকারী মহাসচিব ড. আহমদ কাওয়েসা সেনজেনডো।
৬ মাস আগে
রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ওআইসি সম্মেলনকক্ষে তাদের ব্রিফ করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকার জন্য তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে জোর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টায় ওআইসি রাষ্ট্রদূতদের সংহতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
ওআইসিভুক্ত দেশ সৌদি আরব, গাম্বিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, তুর্কি, ইরান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধিরা সময়োপযোগী এ ব্রিফিংয়ের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তারা উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
৩০ মে থেকে দুই দিনের সরকারি সফরে নিউইয়র্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী শান্তির প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের অগ্রভাগে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
৭ মাস আগে
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে ওআইসি বৈঠকে যোগ দিতে জেদ্দায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সদর দপ্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্ক থেকে জেদ্দায় যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান।
এর আগে সোমবার এই অধিবেশনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সিনিয়র অফিসিয়ালস মিটিং (এসওএম) অনুষ্ঠিত হয়।
জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের বক্তৃতায় ফিলিস্তিন ও আল-কুদস বিষয়ক সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত সামির বকর বলেন, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইসরায়েলি বাহিনী ভয়ংকর গণহত্যা চালায়। যেখানে খাদ্য সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল শত শত মানুষ, সেখানে তাদের জীবন হারাতে হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি আগ্রাসন বিষয়ক ওআইসির বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বকর বলেন, এই গণহত্যা ইসরাইলি দখলদার সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের উদাহরণ ও সাক্ষী। এর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে আইনি প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা প্রয়োজন। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের জবাবদিহি নেওয়ার জন্য বৈধ ও কার্যকর স্থান এই দুই আদালত।
বকর আরও বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যেভাবে নৃশংস অপরাধ ও গণহত্যা চালাচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও কার্যকর আন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে। এই নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবিলা করতে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে যৌথ আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত রেজুলেশন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক, আইনি ও গণমাধ্যমসহ সম্ভাব্য সব বৈধ উপায়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আজ (মঙ্গলবার) ওআইসির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে খসড়া নীতিমালা জমা দেবে এসওএম।
ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা ওআইসি বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব রিয়াদে আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে যৌথভাবে ওআইসি ও আরব রাষ্ট্রগুলোর লীগ।
এ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত কমিটির রাজধানীগুলোতে ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় সফর।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনে নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, ১৮ অক্টোবর ওআইসির সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১-৩ মার্চ তুরস্কে আয়োজিত আনতালিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশ নিয়ে এই অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ফোরামে হাসান মানবতা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য ইসরায়েলকে দায়বদ্ধ করে গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, গাজায় সহিংসতা ও নৃশংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত বৈশ্বিক পদক্ষেপের অভাব তুলে ধরেন হাসান।
সংঘর্ষে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুর মতো বেসামরিক লোকদের মৃত্যুর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা কেবল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শুধু মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়, জাতিগত নিধনও চলছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ‘যুদ্ধ ও গণহত্যা’ বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না বরং ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
তুরস্কের ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে এই নৃশংসতা মোকাবিলায় সমবেত বিশ্ব সম্প্রদায়কে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান হাসান।
ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি গাজায় এই নৃশংসতা, জাতিগত নিধন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে থামাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে পারি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় ফোরামটি ৩ মার্চ শেষ হয়।
‘অ্যাডভোকেসিং ডিপ্লোম্যাসি ইন টাইমস অফ টারময়েল’ প্রতিপাদ্যে এবারের ফোরামে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
ইসরায়েলি আগ্রাসন বিষয়ক ওআইসির বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৫ মার্চ জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের জেদ্দায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্ক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জেদ্দা যাবেন।
১-৩ মার্চ তুরস্কে অনুষ্ঠিত আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশগ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন।
ফোরামে হাছান মাহমুদ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নিধনের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
ওআইসি সদর দপ্তর জানিয়েছে,ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) খসড়া এজেন্ডা এবং কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ও গ্রহণ এবং খসড়া রেজুলেশনটি বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলে জমা দেবেন।
গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব রিয়াদে ওআইসি ও আরব রাষ্ট্রসমূহের লীগ যৌথভাবে আয়োজিত বিশেষ যৌথ আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ১৭ মার্চ ঢাকায় আসছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য, কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভেনি
সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সফরের জন্য সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওআইসির সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি উন্মুক্ত নির্বাহী কমিটির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাছান মাহমুদ গাজায় সহিংসতা ও নৃশংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত বৈশ্বিক পদক্ষেপের অভাবের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা স্রেফ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়, জাতিগত নিধন চলছে।’ এই সংঘাতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিমস্টেকের পাঁচ দিনব্যাপী ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম উদ্বোধন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এই 'যুদ্ধ ও গণহত্যা' বন্ধে যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখছেন না এবং ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
তুরস্কে অনুষ্ঠিত ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাছান মাহমুদ। এসব নৃশংসতা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সমবেত বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, 'আমি মনে করি, গাজায় এসব নৃশংসতা, জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে থামাতে আমরা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে পারি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পৃষ্ঠপোষকতায় ফোরামটির বৈঠক ৩ মার্চ শেষ হয়।
'অ্যাডভান্সিং ডিপ্লোম্যাসি ইন টাইমস অব টার্ময়েল’ শীর্ষক এবারের আয়োজনে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
১০ মাস আগে
গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসি দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাঈদ আল-কাহতানি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে তারা গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও কসোভো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে: বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎকালে কাতারের রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের ৪-৬ মার্চ কাতারে অনুষ্ঠিতব্য অষ্টম দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে (ডিআইএমডিইএক্স) যোগ দিতে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলে প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতি দুই বছর পর পর এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
গাজা ইস্যু সম্পর্কে সেরায়া আলী মাহদি সাঈদ বলেন, এ বছর তার দেশ ১৮ ডিসেম্বর তাদের জাতীয় দিবস উদযাপন করেনি এবং গাজার জনগণের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উদযাপন বাজেটটি পাঠিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য শুকনো খাবার ও জামাকাপড়সহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদেরও এখানে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলোতে কাজ করছেন।
কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গাজা ইস্যুতে সংবাদ প্রচার করায় বিশ্ব গাজার পরিস্থিতি জানতে পারছে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহামান্য আমিরকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি।’
কাতারের আমির ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী গাজা ইস্যুতে কাতার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব ১৯ যুবাদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
‘ওয়েমেন ইন ইসলাম’ সম্মেলন: মুসলিম নারীদের অধিকার রক্ষায় ওআইসি প্রধানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ওআইসি মুসলিম নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করে আসছে।
তিনি বলেন, এই অঙ্গীকারটি ওআইসি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব উইমেন (ওপিএএডব্লিউ) কর্তৃক গৃহীত হয়েছে, যা মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে একটি রোডম্যাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সোমবার জেদ্দায় 'ওয়েমেন ইন ইসলাম: স্ট্যাটাস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারী প্রতিনিধি দল এবং ইসলামী বিশ্বের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মহানবীর (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
সৌদি আরবের আমন্ত্রণে দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ওআইসি সাধারণ সচিবালয় তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
হিসেইন ব্রাহিম তাহা বলেন, এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ফিলিস্তিনিরা নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখোমুখি হচ্ছে এবং নারীরা, বিশেষ করে গাজার নারীরা, পাশাপাশি শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং অন্যান্য নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকরা বোমা হামলার শিকার হয়েছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজার পরিস্থিতি সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা সম্মেলনের আলোচনাতেও বর্তায় এবং ইসরায়েলি বর্বরতা উন্মোচন ও ফিলিস্তিনি নারী, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং আশীর্বাদপ্রাপ্ত আল-আকসা মসজিদের অধিকার রক্ষার জন্য তীব্র প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানান, যেখানে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ভয়াবহ বাস্তবতা থেকে ভূমি বা ভূমি থেকে জনগণকে পৃথক করা অসম্ভব।
মহাসচিব আফগান নারীদের ক্ষমতায়ন ও সকল স্তরে শিক্ষা গ্রহণ এবং জনজীবনে অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করতে গঠনমূলক সংলাপ অব্যাহত রাখার ওআইসির দৃঢ় সংকল্পের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামে নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে মদিনা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি ইঙ্গিত দেন, এই সম্মেলন ইসলামে নারীর অধিকার প্রচার ও নিশ্চিতকরণের জন্য ওআইসি ও অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর ইতিহাসে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে এবং এই সম্মেলন ইসলামে নারীদের অধিকার সম্পর্কিত জেদ্দা ডকুমেন্ট গ্রহণ করবে।
ওআইসি প্রধান সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অংশগ্রহণকারী সকল নারী ব্যক্তিত্বকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নারী ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী এবং নারী অংশগ্রহণকারী ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ওআইসি প্রতিবেশিদের সংলাপের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
ওআইসি প্রতিবেশিদের সংলাপের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) প্রতিবেশিদেশগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, ‘… এমনকি ওআইসি দেশগুলোর প্রতিবেশিদের মধ্যে সমস্যা থাকলেও একটি অভিন্ন কারণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করুন।’
বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সংকট সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত আগামী ৬-৮ নভেম্বর জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি'র 'উইমেন ইন ইসলাম' সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
তিনি ২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়ে আরেকটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত এক্সপো ২০৩০ আয়োজনে বাংলাদেশের নতুন করে সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন, বাংলাদেশ একটি ইমাম সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে এবং তিনি পবিত্র দু’টি মসজিদের ইমামদের এই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চালু করেছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গেও তা করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশ প্রস্তাবটি বিবেচনা করবে।
তিনি পবিত্র দু’টি মসজিদের খাদেমকে তার শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে সৌদি আরবের জন্য বিশেষ স্থান রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধ করে অস্ত্র কেনার অর্থ শিশুদের কল্যাণে সঞ্চয় করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত নৃশংসতার জবাবদিহি নিশ্চিত, তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন বা তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার) যৌথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব ওআইসি-ইউএনএইচসিআর যৌথ প্রতিনিধি দলকে এই মর্মান্তিক সংকটের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে জোরালো আন্তর্জাতিক সমর্থন না পাওয়া ও প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
ওআইসি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মানবিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিকবিষয়ক সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত তারিগ আলী বাখেত; খালেদ খলিফার নেতৃত্বে ইউএনএইচআরসি প্রতিনিধি দল; হাইকমিশনারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা; উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা (জিসিসি) ভুক্ত দেশগুলোর জন্য ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীজনরা ৬ থেকে ১১ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে সংকট সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের ভুলে যায়নি ইইউ: ইউএনবিকে গিলমোর
পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়েছে।
তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং তাদের প্রত্যাবাসনের অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ, আঞ্চলিক সংস্থা এবং অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর অর্থবহ সম্পৃক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশের অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত মানবিক সহায়তারও প্রশংসা করেন।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওআইসি ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি দলের সফরের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ। তিনি বলেন, প্রতিনিধি দলটি এই সংকট সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব উৎস থেকে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত ভাসানচর প্রকল্প সম্পর্কেও প্রতিনিধি দলকে জানান।
ওআইসি মহাসচিবের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্র সচিব গাম্বিয়ার দায়ের করা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলার প্রতি দৃঢ় সমর্থন এবং ওআইসির বিভিন্ন ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোকপাত বজায় রাখার আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য এর মহাসচিবের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: অনেক বৈশ্বিক নেতৃত্ব এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চান না: মোমেন
গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলাটি অপর্যাপ্ত অর্থায়ন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মাসুদ ওআইসির পাশাপাশি উপসাগরীয় দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বৈঠকে ওআইসির সহকারী মহাসচিব রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, সুরক্ষা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেন।
তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে ওআইসির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রত্যাবাসনই এই সংকটের চূড়ান্ত সমাধান।’
হাইকমিশনারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি অর্থায়নের উৎসে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: পুনর্বাসন কর্মসূচি: সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা চলছে
এর আগে ওআইসি ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি দল ১০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে মুখ্য সচিব কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি সফররত প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন এবং জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে (জেআরপি) আরও অবদানের আহ্বান জানান।
তিনি সফররত প্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গাদের জন্য যৌথভাবে নিবেদিত কর্মসূচি আয়োজনের অনুরোধ জানান এবং বিষয়টিকে বৈশ্বিক আলোচ্যসূচিতে সক্রিয় রাখতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
ওআইসি ও ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি দলে মিয়ানমারে নিযুক্ত ওআইসির বিশেষ দূত ইব্রাহিম আহদি খাইরাত, ইসলামিক সলিডারিটি ফান্ড (আইএসএফ), কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (কিউএফএফডি), কুয়েতের যাকাত হাউস এবং কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (কেএফএইডি) প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
১ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ওআইসি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ এ অনুরোধ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওআইসির মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত তারিগ আলী বাখেত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ অন্যরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
৪৫ মিনিটের বৈঠকে বাংলাদেশ ওআইসি প্রতিনিধিদলকে আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গাদের ইস্যুকে আলোচনায় রাখতে অনুরোধ করে এবং জিসিসি ও ওআইসিকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার আহ্বান জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
মিয়ানমারে ওআইসির বিশেষ দূত রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম খায়রাত, ওআইসি সহকারী মানবিকবিষয়ক পরিচালক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসি আইসিএইচএডি ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ আলী এলখামলিচি, কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট, আফ্রিকা ও এশিয়া প্রকল্প বিভাগের প্রধান দানা আল মিসনাদ, ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, কুয়েত জাকাত হাউস, ডা. মজিদ সুলেমান আল-আজমি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ, কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট তালাল আল বাকার এবং হাইকোর্টের সিনিয়র উপদেষ্টা, জিসিসি দেশগুলোর জন্য ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি খালেদ খলিফা, বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ এবং সহকারী নির্বাহী ইউএনএইচসিআর,বাংলাদেশের জেসিকা ওয়াটস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন ও নবীর অবমাননা ঠেকাতে সম্মিলিত পদক্ষেপ চায় ওআইসি
ওআইসি মহাসচিবের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
১ বছর আগে
কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করে কিছু দেশে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তার কার্যালয়ে ওআইসি গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
বাংলাদেশের নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রের মধ্য থেকে মিশর, সৌদি আরব, মৌরিতানিয়া ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওআইসির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এই ঘৃণ্য কাজটি শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকেই গভীরভাবে আঘাত করেনি, বরং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের নীতিরও পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
১ বছর আগে