ইফতার
আত্মীয়ের বাড়িতে ইফতার দিয়ে ফেরার পথে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
চট্টগ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে ইফতার দিয়ে ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মিরাজ ও ফারুক নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে হাটহাজারীর নয়াহাটে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ঈদের কেনাকাটা শেষে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও ছেলের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- ফটিকছড়ির সুন্দরপুরের মো. মিরাজ ও সমিতিরহাট ইউনিয়নের ফারুক। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আত্মীয়ের বাড়িতে ইফতার দিয়ে ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা মিরাজ ও ফারুক মারাত্মক আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরেফিন আজিম বলেন, দুই যুবককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সাভারে তেলের ট্যাংকার উল্টে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ৪
৭ মাস আগে
মহাসড়কে ইফতার বিতরণ করছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবহন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে ইফতার নিয়ে বিতরণ করছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।
রমজানের প্রতিদিন আসরের নামাজের পর থেকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, সিএনজি ও পথচারীদের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন তিনি।
মেয়র স্বপন মিয়াজীর নিজ অর্থায়নে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার রোজাদারকে ইফতার দেন তিনি। ইফতারের প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে খেজুর, চনাবুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, মুড়ি, পানি। এছাড়াও প্রতি শুক্রবারে (স্পেশাল হিসেবে) গরুর মাংস দিয়ে বিরিয়ানি দেওয়া হবে।
ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, বিগত আট বছর ধরে আমার নিজ উদ্যোগে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবহন চালক শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছি। একজন রোজাদারকে ইফতার দিতে পেরে নিজের মাঝে যে আনন্দ তৃপ্তি পাওয়া যায় যা অন্য কিছু করে পাওয়া যায় না।
মেয়র আরও বলেন, প্রথম রমজানে আমরা ৫০০ প্যাকেট দিয়ে শুরু করেছি। রমজান যত বাড়ে ততই প্যাকেটের পরিমাণও বাড়ে। ৫০০ থেকে শুরু হয়েছে কয়েকদিন পরে ১৫০০ প্যাকেট পর্যন্ত আমরা এখানে বিতরণ করব। যত বেশি চাহিদা হবে তত বেশি আমরা দেব। যাতে করে কোনো মানুষ খালি হাতে না যায়।
সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস দেখে সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, নিম্নআয়ের মানুষ উপকৃত হবে। তাহলে আমার ইফতার দেওয়া শতভাগ সফল হবে এবং বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ অনাহারে ও কষ্টে দিন কাটবে না।
ইফতার পরিবেশনে থাকা মাঈন উদ্দিন সুমন বলেন, মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে এখান থেকে ইফতার গ্রহণ করেন।
ফেনীর মহিপালে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পৌর মেয়র। তার এই উদ্যোগ অনেক প্রশংসনীয়। তার এই মানবিকতা দেখে সমাজের বিত্তবানরাও এগিয়ে আসবে বলে মনে করেন ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী।
৮ মাস আগে
সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
প্রতি বছরের মতো এই রমজানেও আগেভাগেই বাড়ছে বিদেশি ফলের দাম। ইফতারের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের পাশাপাশি কমলা, আপেল, আঙ্গুর ও মাল্টার দাম এখন সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। ডলার-সংকট ও বাড়তি দরে শুল্কায়ণের কারণে গত বছরের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে এবারের ফলের বাজার। তাই সেহরি ও ইফতারে ফলের চাহিদা মেটানোর একমাত্র উপায় দেশি ফল। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন জেনে নেই, কোন কোন দেশি ফলগুলো এবারের ইফতার ও সেহরিতে বিদেশি ফলের সেরা বিকল্প হতে পারে।
যে দেশি ফলগুলো সেহরি ও ইফতারে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে
বেল
কাঁচা ও পাঁকা দুই অবস্থাতেই সমান জনপ্রিয় ফল বেল। এতে থাকা ট্যানিক এবং ফেনোলিক উপাদান দুটি মূলত উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আলসার, ডায়রিয়া, আমাশয় এবং অন্যান্য হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় অনেক উপকারী। রোযার সময় নতুন খাদ্যাভাসের কারণে অনেকেই প্রথম দিকে নানা ধরণের হজম জনিত জটিলতায় ভুগেন। এমতাবস্থায় বেল হতে পারে সেরা প্রতিষেধক।
বেলে থাকা রাইবোফ্লাভিন এবং থায়ামিন পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বেলের রস কিডনির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এর মধ্যে রয়েছে রেচক বৈশিষ্ট্য। ফলে এটি প্রাকৃতিক ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম নিয়ন্ত্রণে অংশ নিতে পারে।
বেলের শরবতের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে শরীরের দুর্বলতা এবং ক্লান্তি ভাব দূর হয়। ১১ মাস পর হঠাৎ দিনের একটা বিরাট সময় উপোস থাকার ক্ষেত্রে ক্লান্তি ভাব আসাটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বেলের এই আইটেমটি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
পেঁপে
তরকারি, শুকনো ফল, সালাদ সব ভাবেই প্রতিদিনের আহারে রাখার মতো একটি ফল হচ্ছে পেঁপে। এতে থাকা প্যাপেইন নামক এনজাইমটি হজমে অবদান রাখে। পেঁপেতে যথেষ্ট পরিমাণে পানি ও ফাইবার রয়েছে, যা যুগ্মভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে ও পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন ও পটাশিয়াম। ইফতারের মুখরোচক খাবার যারা একদমি এড়িয়ে যেতে পারেন না, তাদের খাদ্য তালিকায় পেঁপে যোগ করা উচিত। অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া কোলেস্টেরল ও সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সেখানে পেঁপের মতো পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
এই ফলের সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ রাসায়নিক উপাদানটি হচ্ছে কোলিন। একটি স্বাস্থ্যকর ঘুম, পেশীর যথাযথ নড়াচড়া এবং স্মৃতিশক্তির বিকাশে একটি বহুমুখী পুষ্টি উপাদান এই কোলিন। এর কার্যকারিতার মধ্যে রয়েছে কোষ ঝিল্লির গঠন বজায় রাখা, মস্তিষ্কের নিউরনের উন্নয়ন সাধন, চর্বি শোষণ এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমানো।
আরও পড়ুন: অপরাজিতা ফুলের নীল চা: জাদুকরী স্বাস্থ্যগুণ, বানানোর পদ্ধতি
আনারস
ইফতারের আয়োজনে দারুণ এক সংযোজন হতে পারে আনারস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ম্যাঙ্গানিজ হজমে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোযা অবস্থায় শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এড়াতে সহায়তা করে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মূলত প্রচুর পরিমাণে ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে ঘটে, যা নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু কিছু ক্যান্সারের দিকেও ধাবিত করে।
আনারসে ব্রোমেলাইন নামক পাচক এনজাইমের একটি গ্রুপ রয়েছে, যা মাংসের হজম সহজ করতে পারে। ব্রোমেলাইন প্রোটিন অণুগুলোকে ভেঙে দেয়, ফলে ক্ষুদ্রান্ত্রের শোষণ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
তাই সেহরিতে গরু বা মুরগির মাংস দিয়ে ভারী খাবারের পর আনারস খাওয়া যেতে পারে।
এই ফলে আরও আছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা সামগ্রিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
কলা
বারমাসি জনপ্রিয় ফল কলা ইফতার ও সেহরি দুই সময়ের জন্যই ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। ফাইবার ও প্রতিরোধী স্টার্চের উৎস হওয়ায় কলা সারাদিন উপবাস অভ্যাসের সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। প্রতিরোধী স্টার্চ দেহে স্বল্প পরিমাণে পূর্ণতার এক অনুভূতি সৃষ্টি করে।
শুধু তাই নয়, এতে বিদ্যমান পটাসিয়াম তৃষ্ণা নিবারণ করে এবং রোযাদারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে। এক কথায়, তিন বেলা আহারের বিপরীতে ৮ ঘন্টা দূরত্বে দুই বেলা খাবারের ধাক্কা সামলানোর জন্য কলা একটি সেরা ফল।
পেয়ারা
কমলার চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি, আনারসের চেয়ে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন ও ৪ গুণ বেশি ফাইবার, এবং কলার চেয়ে বেশি পটাসিয়াম। আর এই পরিসংখ্যানই পেয়ারাকে সব ফলের উপরে আধিপত্য দিয়েছে।
ভিটামিন সি-এর কাজ সামঞ্জস্যপূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত শক্তি হিসেবে যোগ হয় পেয়ারায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে এই ফলের প্রধান পুষ্টি উপাদান হচ্ছে ফাইবার, যা মলকে নরম করে পেট পরিষ্কার ও হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক লক্ষণেই শরীরে পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষা গঠন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
বরই
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে আরও একটি প্রয়োজনীয় ফল বরই। এর প্রধান পুষ্টি উপাদান ফেনোলিক যৌগ এবং ভিটামিন সি সম্মিলিতভাবে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংসে অংশ নেয়। ফলশ্রুতিতে, কোষের ক্ষতি হ্রাস সহ হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে আসে। একই সঙ্গে ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন ও কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে শরীর প্রস্তুত থাকে যে কোন ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য।
এছাড়াও বরইয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে করে কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন রোধ হয়, ফলে রক্ত ধমনীতে প্লেক তৈরির আশঙ্কা দূর হয়। উপরন্তু, এই ফলে উচ্চ মাত্রার ফাইবার অন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণ কমায়, যা রক্তের উন্নত লিপিড প্রোফাইলের নিশ্চায়ক।
বরইয়ের কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। এর ফাইবার উপাদান অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য পুষ্টি প্রদান করে। এই প্রক্রিয়া পুষ্টি শোষণ, নরম মলত্যাগ ও সঠিক হজমের মাধ্যমে সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সেহরি ও ইফতারের মাঝের সময়গুলোতে খাদ্যতালিকা থেকে অস্বাস্থ্যকর খাবার সরিয়ে বরই যোগ করাটা উত্তম। কেননা এটি উপবাস ছাড়া সময়ে দেহে প্রবেশকৃত খাবারগুলোর সঠিক প্রক্রিয়াকরণ করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস সতর্কতা: কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি
তরমুজ
রমজান মাসে অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে পানি থেকেও বিরত থাকতে হয়। তাই সঠিক বিপাকের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় দেহের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। এই প্রয়োজনীয়তার পুরোটাই পূরণ করতে পারে তরমুজ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি এই ফলে রয়েছে লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি-এর সংমিশ্রণ। তাই আনারস ও বরইয়ের মতো প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে তরমুজও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
তরমুজে বিদ্যমান সিট্রুলাইন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যায়ামের সময় কর্মক্ষমতা উন্নত করা এবং পেশীর ব্যথা কমাতে কাজ করে। তাই খাদ্য তালিকায় তরমুজ থাকলে রোযা রেখে শরীর চর্চা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
তরমুজের মোট ওজনের থেকেও বেশি পরিমাণে পানি আর সঙ্গে অল্প ফাইবার স্বাস্থ্যকর হজমের জন্য উপযোগী। এই পুষ্টি মিশ্রণটি পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে বর্জ্য নিষ্কাশন করে অন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে।
আরও পড়ুন: রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?
আমলকী
বিপাক জনিত যাবতীয় সমস্যা নিরসণে আরও একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আমলকী। তবে এর শ্রেষ্ঠ ক্ষমতা হচ্ছে এর উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি, যা শরীরকে অন্যান্য পুষ্টি গ্রহণে সব সময় প্রস্তুত রাখে। ১০০ গ্রাম আমলকী থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের দৈনিক প্রয়োজনীয় চাহিদার দ্বিগুণেরও বেশি। ভিটামিন সি-এর উচ্চ ঘনত্ব শরীরে নোরপাইনফ্রিন তৈরি করে। এটি মূলত একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যা ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
আমলকীর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো সুরক্ষিত থাকে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। তাই রমজান মাসে শরীরকে যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে একটি দুর্গ বানানোর জন্য সেরা ফল আমলকী।
ডাব/নারিকেল
সারাদিন রোযায় শরীরের হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ডাবের পানি খাওয়া। শরীরে প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণের পুরোটাই দিতে পারে এই উপকূলীয় ফলটি। পটাসিয়ামে ভরপুর এই ফল একই সঙ্গে ভারী খাবারেরও পরিপূরক। কেননা এতে আছে উচ্চ ক্যালোরি এবং চিনি। তাই শুধু তৃষ্ণা মেটাতেই নয়, অধিক সময় ধরে দেহে পূর্ণতা বজায় রাখার জন্য ডাবের পানি বা শ্বাস উৎকৃষ্ট খাদ্য।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
বাঙ্গি
যেহেতু গ্রীষ্ম ও রমজান একসঙ্গেই আসছে, তাই পানিশূন্যতা থেকে শরীরকে বাঁচানোর জন্য খাবারের তালিকায় রাখা যেতে পারে বাঙ্গি। এটি রোদ্রের দাবদাহ থেকে শুধু রক্ষাই করে না, সারা শরীরে শীতল অনুভূতিরও সঞ্চার করে।
ভিটামিন সি সহ এতে থাকা অন্যান্য ভিটামিনগুলো শরীরের শ্বেত রক্তকণিকাকে উদ্দীপিত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন এ এবং ফাইটোকেমিক্যাল অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এছাড়া এর ফাইবার পানির অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পেটকে ঠান্ডা রাখে।
প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ বাঙ্গি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এই পটাসিয়ামে স্ট্রেস উপশমকারী বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এর উপস্থিতি মনোনিবেশ এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধের মানসিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
পরিশিষ্ট
সেহরি ও ইফতারের জন্য এই দেশি ফলগুলো দামের দিক থেকে বিদেশি ফলের তুলনায় তুলনামুলক ভাবে বেশ সাশ্রয়ী। তাছাড়া আনারস, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, বরই, ও ডাবের যথেষ্ট সরবরাহ থাকায় তা সর্বশ্রেণীর ক্রেতাদের জন্য সহায়ক হবে। ইতোমধ্যে তরমুজও বাজারে চলে আসায় গরম থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও মিলছে।
তৃষ্ণা নিবারণ থেকে শুরু করে হাল্কা নাস্তা; এমনকি ভারী খাবারের চাহিদা পূরণেও এই ফলগুলো যথেষ্ট। অর্থাৎ শুধু মূল্যের দিক থেকেই নয়, এই ফলগুলো দিয়ে অনায়াসেই রোযার মাসটিকে স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
৮ মাস আগে
ইফতারকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে ইউনেস্কো
জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউএন এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ‘ইফতার’কে অপরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান যৌথভাবে সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ইউনেস্কোয় আবেদন জমা দেয়।
ইউনেস্কো তার সাইটে পোস্ট করেছে, সাধারণত রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় মুসলমানরা ইফতার করে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কঠিন অনুশাসন মেনে রোজা রাখা হয় এবং প্রাত্যহিক রোজা শেষ করতে বিভিন্ন বয়স, লিঙ্গ ও বংশোদ্ভূত মানুষ ইফতার করে।
ইউনেস্কোর পোস্টে বলা হয়েছে, এটি প্রায়ই মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য মিলন (একত্রিত) বা ডিনারের উৎসবে পরিণত হয়, পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে এবং দাতব্য, সংহতি ও সামাজিক বিনিময়কে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র
এমনকি যারা রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখেন না, তারাও ইফতারের সঙ্গে সম্পর্কিত উৎসব ও আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পরিবারের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের প্রায়ই ঐতিহ্যগত খাবারের উপাদান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সময়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের রোজা রাখার সুবিধার পাশাপাশি ইফতারের সামাজিক আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কেও শিক্ষা দেন।
ইউনেস্কোর পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ইফতার উপলক্ষে প্রায়ই সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং দাতব্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি টেলিভিশন, রেডিও, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহায়তা করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভারতের শান্তিনিকেতন
তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রচারে একসঙ্গে ইউনেস্কো-সিসিমপুর
১১ মাস আগে
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের সঙ্গে ইফতারে শরিক হলো জাতিসংঘ বাংলাদেশ
রমজান মাস উদযাপনকারী সকলেই পুরো মাস দিনের বেলা রোজা রাখেন এবং সন্ধ্যায় ইফতার গ্রহণ করেন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেভাবে রোজা ভাঙতেন, রোজা পালনকারীগণ সেভাবে তিনটি খেজুর খেয়ে চিরাচরিতভাবে তাদের রোজা ভেঙ্গে থাকেন। তারপর বিভিন্ন রকম খাবার সহযোগে ইফতারির পালা, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে ফল এবং বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি শরবতের মিষ্টি পানীয় ইফতার টেবিলের একটি অভিন্ন পরিবেশনা।
কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী আব্দুল্লাহ, সায়মা, আয়েশা এবং অন্যান্য অনেক শিশুর নিকট রমজান মাস হলো প্রার্থনা, রোজা পালন এবং পিয়াজু, ছোলা, জিলাপি, ইত্যাদি সহযোগে চিরাচরিত 'ইফতারি'র মাস। কিন্তু সবসময় এই ইফতারগুলোও তাদের খাবার টেবিলে স্থান পায়না।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত
১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতিসংঘ পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটানোর লক্ষ্যে বের হন। এই টিম ইফতারের জন্য ৫০০ খাবার প্যাকেট ও উপহার বাক্স শিশুদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে কড়াইল এতিমখানা, গাবতলী, কমলাপুর ও সদরঘাট - ঢাকা মহানগরীর এই চারটি স্থানে যান ।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘ইফতারের সময় এই শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় আমাদের সহানুভূতি ও সহায়তা শিশুদের কতটা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সন্ধ্যার ইফতার আয়োজনকে একটি বিশেষ মাত্রা দেয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ ও জাতিসংঘ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
১ বছর আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে ইফতার অনুষ্ঠান
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে সরকার, আইনসভা, রাজনৈতিক দল, সশস্ত্র বাহিনী, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীমহল, একাডেমিয়া, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিকমহলসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা বৃদ্ধিতে ইফতারের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে চায় সরকার: বিএনপি
তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার গভীর বন্ধনের ওপর জোর দেন এবং ১৯৭১ সালের যৌথ আত্মত্যাগের মূলে নিহিত আমাদের বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
১ বছর আগে
মুন্সীগঞ্জে ১০ টাকায় ইফতার বাজার
রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি, তখন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকায় ইফতার সামগ্রী দিচ্ছে মুন্সীগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশন’।
এর আগে ১০ টাকায় গরুর মাংস ও ইফতার বাজার দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে এ সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে আওয়ামী লীগের ইফতার
শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া বাজারে ‘১০ টাকায় ইফতার বাজার’ নামক এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করা হয়। অস্থায়ী এই বাজার থেকে ১০ টাকার বিনিময়ে এক কেজি তেল, খেজুর, পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, চিড়া ও মুড়ি ইফতারে সাতটি পণ্য কিনে নেন নিম্ন আয়ের ২১০টি পরিবার। এমন আয়োজনে অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটে।
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফখরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইছে।
সোমবার রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার লেডিস ক্লাবে দেশের পেশাদার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বিএনপি আয়োজিত ইফতার পার্টির আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ইফতারের আগে ফখরুল আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
সংক্ষিপ্ত ভাষণে ফখরুল বলেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রতি বছর রমজানে পেশাজীবীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করতেন। কিন্তু এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাকে গৃহবন্দি করে রাখায় তিনি এ কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে পবিত্র রমজান মাস পার করতে পারছে না। ‘দেশে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে এবং সরকার আমাদের সব অধিকার কেড়ে নেয়ায় মানুষ আর নিরাপদ বোধ করছে না।’
এই বিএনপি নেতা জানান, নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ ভূমি অফিসের এক নারী কর্মচারীকে এলিট ফোর্স তুলে নেয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর র্যাবের হেফাজতে মারা যান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
১ বছর আগে
ফরিদগঞ্জে রমজান উপলক্ষ্যে ১ টাকা লাভে ইফতার ও ক্রয়মূল্যে ওষুধ বিক্রি!
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রমজান উপলক্ষে দুই ব্যবসায়ী ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চরকুমিরা মহিলা মাদরাসা সংলগ্ন শাহ আলম মাল রমজান উপলক্ষ্যে তার দোকান ‘মো.শাহ আলম স্টোরে’ মাত্র এক টাকা লাভে ইফতার সামগ্রী বিক্রি এবং একই উপজেলার পূর্ব বালিথুবার সানকি সাইর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল তার ‘মায়ের দোয়া ফার্মেসিতে’ মানুষের কাছে কেনা দামে ওষুধ বিক্রির ঘোষণা দেন ও লিফলেট বিতরণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে আসন্ন ঈদের চাঁদরাত পর্যন্ত তারা এ উদ্যোগ চালু রাখবেন।
শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তিনি তার দোকানে ছোলা, খেসারি ডাল, বেসন, মুড়ি, চিড়া, খেজুর ইত্যাদি মাত্র এক টাকা লাভে বিক্রি শুরু করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি এবং ওষুধ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা এ খবর জনগণের কাছে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
ফলে উভয়ের দোকানে রোজার পণ্য ও ওষুধ কেনার অনুরোধ বেড়েছে বলে জানান শাহ আলম ও মোস্তফা।
তাদের এ ব্যাতিক্রম উদ্যোগকে স্বাগত জানান এলাকাবাসী।
চাঁদপুর জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এক বিবৃতিতে চাঁদপুরের সকল ব্যবসায়ীদেরকে রোজার মাসে জনস্বার্থে অতি অল্প লাভে ইফতার সামগ্রী ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিক্রি করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইফতার বিতরণের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের আহ্বান ক্যাবের
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকায় পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিএএফ ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জয়শঙ্করকে স্বাগত জানান। জয়শঙ্কর ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এরপর বিকাল ৫টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেনের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন জয়শঙ্কর
ড. মোমেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে একটি ইফতার-কাম-ডিনারের আয়োজন করবেন।
বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জয়শঙ্করের সফরকে দুই দেশের মধ্যে চলমান দ্বিপক্ষীয় উচ্চ-পর্যায়ের সফর এবং বিনিময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশে জয়শঙ্করের শেষ সফর ছিল ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
বাংলাদেশ সফর শেষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: জয়শঙ্কর সুখবর নিয়ে আসতে পারেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে