স্বর্ণ
ঈদের আগে স্বর্ণের দাম বেড়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ
দুই দিনের মাথায় আবারও দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বেড়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে নতুন এ দাম স্থানীয় বাজারে কার্যকর হবে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট ছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভরিতে ২৬১৩ টাকা বাড়ল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হওয়ার কথা জানিয়েছে বাজুস।
সবশেষ গত ১৬ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৫ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১১ বার, আর কমেছে মাত্র ৪ বার।
৬ দিন আগে
ভরিতে ২৬১৩ টাকা বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুসের রবিবারের (১৬ মার্চ) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার (১৭ মার্চ) থেকেই কার্যকর হবে নির্ধারিত নতুন এই মূল্য।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বাড়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
আরও পড়ুন: আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ইতিহাসে সর্বোচ্চ
সবশেষ গত ৮ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে ভরিতে ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৪ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ১০ বার এবং ৪ বার কমানো হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়।
৮ দিন আগে
ভারতে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা, সাতক্ষীরায় আটক ১
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে ১৫টি স্বর্ণের বারসহ মো. সোহেল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১০ মার্চ) বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হকের তত্ত্বাবধানে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের দায়িত্বাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেল উদ্দিনকে আটক করে।
সময় তার সঙ্গে থাকা ইজিবাইক ও দুটি মোবাইল ফোন তল্লাশি করে ইজিবাইকের স্টিয়ারিংয়ের সেটিংয়ের মধ্যে টেপ দিয়ে পেচিয়ে রাখা ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার-টাকা লুট
আটক স্বর্ণ পাচারের জন্য ভারতে নেওয়া হচ্ছিল বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশর (বিজিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। উদ্ধার করা স্বর্ণ সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান।
১৪ দিন আগে
দাম বাড়লো স্মারক স্বর্ণ-রৌপ্য মুদ্রার
আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় বাজারে স্বর্ণ ও রূপার দাম বাড়ায় স্মারক স্বর্ণ-রৌপ্য মুদ্রার দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রিত স্মারক স্বর্ণ মুদ্রার (বক্সসহ) দাম ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে রৌপ্যমুদ্রার (বক্সসহ) দাম ১ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ, আশঙ্কা বিএনপির
এর আগে গত বছর অক্টোবরে দাম বাড়ানো হয়েছিল স্মারক স্বর্ণ-রৌপ্য মুদ্রার।
৩৬ দিন আগে
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ইতিহাসে সর্বোচ্চ
এবার ভরিতে স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯২৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস), যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বাড়ায় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস। বৃহস্পতিবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২০ হাজার ৯৪৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯ হাজার ৫২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের ভরি কি ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এ নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়াল বাজুস। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।
৪৭ দিন আগে
স্বর্ণের ভরি কি ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে
বিশ্ব বাজারে হু হু করে বাড়ছে স্বর্ণের দাম, যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের বাজারেও নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে মূল্যবান এ ধাতুটি। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আগামীতে স্বর্ণের ভরি বেড়ে কত হবে—সেই প্রশ্নটিই এখন জনমনে।
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটের হিসাব অনুযায়ী, সর্বশেষ প্রতি আউন্স (২ দশমিক ৪৩ ভরি) স্বর্ণের দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮০০ ডলার, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারে সর্বশেষ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা, দেশের ইতিহাসেও যা সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) তথ্যমতে, ২০০০ সালে দেশে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ছিল ৬ হাজার ৯০০ টাকা। ২০১০ সালে তার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ হাজার ১৬৫ টাকায়। এক দশক পর ২০২০ সালে ধাপে ধাপে স্বর্ণের দাম বেড়ে হয় প্রতি ভরি ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা।
গত ১৫ বছরে দেশে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে করোনা ও করোনা পরবর্তী সময় মিলিয়ে গত ৪ বছরে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ভরিতে ৭৫ হাজার টাকা।
দেশের বাজারে সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে স্বর্ণের ভরি ১ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। সে হিসাবে দেড় বছরে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ভরিতে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।
যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে করে ২০২৬ সালের শেষের দিকে স্বর্ণের ভরি দুই লাখের কাছকাছি পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারে প্রায় পাঁচ দশক ধরে স্বর্ণের ব্যবসা করেন গোবিন্দ হালদার। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে দেশে গিনি সোনার দাম ছিল দেড়শ টাকা। বর্তমান বাজারে দেড়শ টাকা তুচ্ছ মনে হলেও সে সময়েও মানুষের অভিযোগ ছিল, স্বর্ণের দাম নাগালের বাইরে। তবে বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, তাতে করে বছর খানেকের মধ্যে ভরিপ্রতি ২ লাখ টাকাও হয়ে যেতে পারে।’
তবে সাধারণ মানুষের ভাষ্যমতে, দাম যতই নাগালের বাইরে থাকুক, স্বর্ণের চাহিদা কোনোদিন কমেনি।
দেশে স্বর্ণের দামের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘স্বর্ণের ভরি ২০২৬ সালের দিকে ২ লাখের কাছাকাছি পৌঁছাবে কিনা সেটা হলফ করে বলা যায় না। তবে বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যেভাবে স্বর্ণ মজুত করছে, তাতে দাম ২ লাখ হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’
তবে এটি বাজারের ওপরই ছেড়ে দেওয়া ভালো বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অঙ্গীকার এনবিআর চেয়ারম্যানের
২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়, আর কমানো হয় ২৭ বার। চলতি বছর এখন পর্যন্ত চারবার স্বর্ণের সমন্বয় করে শীর্ষে অবস্থান করছেন মূল্যবান এ ধাতুটির দাম।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের পর থেকে ডলারের হিসাবে প্রতি বছর স্বর্ণের দাম ৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। দাম বাড়তে থাকায় এবং স্বর্ণকে মুদ্রায় রূপান্তর সহজ হওয়ায় দামের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাহিদা।
বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩৪ টন, যার মূল্যমান ২৩৩ বিলিয়ন ডলার। উপমহাদেশে অলঙ্কার হিসেবে স্বর্ণ জনপ্রিয় হলেও বিশ্বের বহু দেশে স্বর্ণকে বিনিয়োগের বড় মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়।
স্বর্ণের ৪০ শতাংশ মজুত ব্যবহার করা হয় শুধু বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে, এর বিপরীতে গহনার পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। এছাড়া, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর হাতে আছে ২০ শতাংশ স্বর্ণের রিজার্ভ এবং প্রযুক্তি খাতে চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ৭ শতাংশ স্বর্ণ।
তবে স্বর্ণের বৈশ্বিক মজুতের হিসাব থাকলেও বাংলাদেশে এর কোনো সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক হিসাব নেই।
এ ব্যাপারে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ভারতে সাধারণ মানুষের হাতে কত টন স্বর্ণ আছে—তার একটি সরকারি হিসাব আছে। দেশটির মানুষ জানে, বিনিয়োগের বড় মাধ্যম স্বর্ণ এবং তাদের স্বর্ণে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করে রাষ্ট্র স্বয়ং। কিন্তু বাংলাদেশে স্বর্ণের ব্যক্তি পর্যায়ের মজুত নিয়ে কোনো সরকারি হিসাব নেই। এমনকি বাজুসের কাছেও এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য নেই।’
করোনা-পরবর্তী সময়ে ডলালের দাম বাড়তে থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণকে নিরাপদ রিজার্ভ হিসেবে বেছে নিয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞাও স্বর্ণের বাজারে বড় প্রভাব ফেলেছে।
এছাড়া, কানাডা-মেক্সিকোর ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্কনীতিও স্বর্ণের বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে বাজুস।
আরও পড়ুন: আট মাসে ১০ টন স্বর্ণ কিনেছে মঙ্গোলিয়া
দেশে সাধারণ মানুষের কাছে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে স্বর্ণের মজুত কেন জনপ্রিয় নয়—এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে সেটি অযৌক্তিক। একসময় দাম কমে এলে তারা স্বর্ণ বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কেনার চিন্তা করবেন। আবার স্বর্ণের মজুত কীভাবে বিনিয়োগের মাধ্যম হতে পারে—এ ব্যাপারটিও অনেকের কাছে পরিষ্কার নয়।
করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান বলেন, ‘এককালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে স্বর্ণ উপহার দেওয়ার প্রথা ছিল। এটা মূলত তাদের ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের কথা ভেবেই উপহার দেওয়া হতো। কিন্তু দাম বাড়ায় এ প্রথা একদমই উঠে গেছে। এখন গহনা দেওয়ার বদলে টাকা দেওয়ার প্রথা চালু হয়েছে।’
আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী রুম্মান রুবায়েত বলেন, ‘ব্যাংকে রাখা টাকা এবং এ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা অনেকাংশ ঝুঁকিমুক্ত। অন্যদিকে স্বর্ণের দাম এখন বাড়লেও আগামীতে কোনদিকে যাবে, সেটি নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না। জমাকৃত অর্থের নিশ্চিত মুনাফার জন্যই মানুষ স্বর্ণ না কিনে ব্যাংকে টাকা রাখেন।’
তবে এ ব্যাপারে মানুষের সচেতনতা ও সঠিক আর্থিক জ্ঞান জরুরি মনে করেন বাজুস কর্মকর্তা মাসুদুর।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষ নিশ্চিত ঝুঁকি জেনেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে। আগামীতে স্বর্ণের ভরি যতই হোক না কেন, স্বর্ণে বিনিয়োগ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন—আজ পর্যন্ত এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। শুধু সাজসজ্জার গহনা হিসাবে স্বর্ণ ব্যবহার না করে, বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে দেখলে মূল্যবান এ ধাতুর দাম বাড়লেও চাহিদা কমবে না।’
স্বর্ণের বাজারে ভ্যাট-ট্যাক্স সমস্যার সমাধান করা এবং সাধারণ মানুষকে স্বর্ণে বিনিয়োগ সুবিধাজনক—এমন বার্তা পৌঁছে দিতে পারলে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারে আগামীতে স্বর্ণের দাম যতই বৃদ্ধি পাক, চাহিদা কোনোদিনও তলানিতে ঠেকবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
৫০ দিন আগে
পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
বিনিয়োগ বা সঞ্চয়ের জন্য নির্ভরযোগ্য একটি খাত স্বর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিত স্বর্ণ নিতান্ত প্রয়োজনের সময় অনেক কাজে লাগে। তাই আর্থিক স্বচ্ছলতা তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য যে কোনো সম্পদের বিপরীতে স্বর্ণ একটি সেরা বিকল্প। অনেক দিন আগে কেনা স্বর্ণ বিক্রি বা বিনিময় করে নতুন স্বর্ণ কেনার সময় কিছু খরচ রয়েছে, যা স্বর্ণের দাম থেকে কেটে রাখা হয়। কেটে নেওয়া অংশটি স্বর্ণ থেকে অর্জিত লাভে তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও বিষয়টি জেনে রাখা জরুরি। চলুন, স্বর্ণ সংক্রান্ত কোন কোন খাতের খরচগুলোর স্বর্ণের দামের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা হয় তা জেনে নেই।
বর্তমানে স্বর্ণের দাম থেকে কত শতাংশ কাটা হয়
২০২৪ সালের ৮ মে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বিক্রির সময় স্বর্ণের দাম থেকে কর্তন বাবদ নতুন পরিমাণ নির্ধারণ করে। পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় তার বর্তমান ওজন থেকে ১৫ শতাংশ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অংশের দামকে বিক্রয়মূল্য ধরা হবে। উদাহরণস্বরূপ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ বিক্রি করতে গেলে তার দাম পাওয়ার যাবে ৮৫ গ্রামের জন্য।
যারা পুরনো সোনা দিয়ে নতুন সোনা নিতে চান তাদের ক্ষেত্রে আগের সোনার ওজন থেকে ১০ শতাংশ কেটে নতুন সোনা দেওয়া হবে। অর্থাৎ ১০০ গ্রাম পুরনো সোনার বদলে পাওয়া যাবে ৯০ গ্রাম সোনা।
এর সঙ্গে ধার্যকৃত যাবতীয় মজুরি এবং মূল্য সংযোজন করও (ভ্যাট) সোনার দাম থেকে বাদ যাবে।
আগে সোনা বিক্রির ক্ষেত্রে কর্তনের হার ছিল ১৩ শতাংশ, আর বিনিময়ের সময় কাটা হতো ৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
যে কারণে বিক্রির সময় স্বর্ণের দাম কমে আসে
স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই
সোনার অলঙ্কারে তামা বা রৌপ্যের মতো সংকর ধাতু মিশ্রিত থাকে। এই সংকর ধাতু মিশ্রিত থাকা মানেই সোনার সামগ্রিক বিশুদ্ধতায় ঘাটতি থাকা। পুনঃবিক্রয়ের সময় স্বর্ণের এই বিশুদ্ধতা বা গুণগত মান নির্ণয়ের জন্য শিখা পরীক্ষা, অ্যাসিড পরীক্ষা ও এক্সআরএফ বা হলমার্কের মতো বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। উচ্চ বিশুদ্ধতা (২৪ ক্যারেট) সম্পন্ন সোনা কম বিশুদ্ধগুলোর (২২ ক্যারেট বা ১৮ ক্যারেট) তুলনায় অধিক মূল্যের হয়। বাজুস স্বচ্ছতা ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সেই বিশুদ্ধতা পরীক্ষা এবং সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করে থাকে।
অবচয় খরচ
যে কোনো ব্যবহার্য সম্পদের মতো সোনারও অবচয় ঘটে। পুরনো সোনাগুলোর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই স্ক্র্যাচ, আঘাতের চিহ্ন ও দীপ্তি হ্রাসসহ গুণগত মান নষ্টের আশঙ্কা থাকে। এতে অল্প হলেও ১০ বছর আগের ও পরের সোনার মধ্যে তারতম্য থেকে যায়। আর এই অপূর্ণতাকে সামঞ্জস্য করার জন্য কর্তনকৃত অংশ নির্ধারণ করা হয়। একদম সামান্য অংশ হলেও বিষয়টিতে বিক্রেতাদের সচেতন থাকা উচিৎ। অবশ্য পুনঃব্যবহারে অতিরিক্ত অবচয়ে স্বল্প ওজনের সোনার দামে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
লেনদেনের খরচ
সোনা বিক্রি শুধুমাত্র কিছু পরিমাণ ধাতু হস্তান্তর করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পুরো বিক্রয় প্রক্রিয়াটির সঙ্গে আরও কিছু কার্যক্রম জড়িত থাকে। যেমন বিক্রয় প্রক্রিয়াকরণে প্রশাসনিক ফি, পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই ফি, স্বর্ণ মজুদ ও পরিবহনের নিরাপত্তা এবং লজিস্টিক খরচ ইত্যাদি। এই যাবতীয় খরচ একত্রিত হয়ে অবদান রাখে সোনার বিক্রয়মূল্যের অধোগতিতে। তাই এই খরচগুলোর ব্যাপারে বিক্রেতাদের সম্যক ধারণা থাকা জরুরি।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খরচ ও ঝুঁকি
সোনার বাজারের ডিলার বা বিপণী মালিকদের ব্যবসা পরিচালনা বাবদ বিভিন্ন খরচ যুক্ত হয় এই তালিকায়। এগুলো হচ্ছে দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন ও ইউটিলিটি বিল। প্রত্যেকটির ব্যয়ভার বহনের সাপেক্ষে যাচাই করা হয় বাজারের বর্তমান অবস্থা। এই সার্বিক দিক বিবেচনায় খরচের পরিধি অনেকটা বেড়ে যায়। আর এই খরচটিই ক্রেতারা পুষিয়ের নেওয়ার চেষ্টা করেন বিক্রয়কালে ভোক্তাদের নিকট থেকে। এটি ডিলারদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কেননা এটি তাদের স্বর্ণ কেনা এবং ব্যবসার আনুষঙ্গিক খরচ থেকে উদ্বৃত্ত লাভের উপর প্রভাব ফেলে।
তাছাড়া পুরনো সোনা কেনার সময় ক্রেতারা স্বভাবতই একটু বেশি ঝুঁকির মুখে থাকেন। বিশেষ করে কেউ লেনদেনে জালিয়াতি করলে বা পণ্যের সত্যতা সংক্রান্ত কাগজপত্রে ঘাটতি থাকলে পরবর্তীতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
২৬৪ দিন আগে
স্বর্ণের ভরিতে কমল ৮৪০ টাকা
চলতি এপ্রিলে কয়েক দফায় স্বর্ণের দাম ভড়ি প্রতি মোট ৪ হাজার ৫৬০ টাকা বাড়ানোর পর মাত্র ৮৪০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
শনিবার (২০ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম কমানোর নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় (বাজুস।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বাজুস সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
এর আগে গত বুধবার বাজুস জানিয়েছিল, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা এ যাবৎকালের মধ্যে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। চলতি এপ্রিলে বাজুস এ পর্যন্ত তিনবার (৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম বাড়ানোর রেকর্ড করে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্সের বাজার মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান দাম বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া প্রতি ভরি স্বর্ণ ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
৩৩৮ দিন আগে
ঢাকা বিমানবন্দরে যৌথ অভিযানে ২.১ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যৌথ অভিযান চালিয়ে বুধবার ২ দশমিক ১০৪ কেজি স্বর্ণের বারসহ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ এবং ৪ জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার আব্দুল কাদির (৪১) ও ইব্রাহিম খলিল (৪০), পটুয়াখালী জেলার জুয়েল হোসেন (৩৪) ও গাজীপুর জেলার খোরশেদ আলম (৪২)।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, দুবাই থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আটকদের সবাই ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে এনএসআই ও এপিবিএনের যৌথ দল ভোর ৬টার দিকে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে যাওয়ার সময় ৪ জনকে থামায় এবং তল্লাশি করে।
পরে তাদের কাছ থেকে সুকৌশলে নিজের দেহে রক্ষিত স্বর্ণের বার, স্বর্ণের গুঁড়া ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে দেড় কেজি স্বর্ণ জব্দ, যাত্রী আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
৩৯৬ দিন আগে
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৩.৪৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার রাতে ৩ দশমিক ৪৯৮ কেজি ওজনের স্বর্ণসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি)।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মাসুদ ইমাম।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক ফারহানা বেগম বলেন, রাত ১০টা ৪৬ মিনিটে দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ইমামের দুটি মানি ব্যাগ থেকে ৩ দশমিক ১৪ কোটি টাকা মূল্যের ৩ কেজি ৪৯৮ গ্রাম ওজনের ২৮টি স্বর্ণের বার ও স্বর্ণমুদ্রা জব্দ করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
৪১৫ দিন আগে