স্বর্ণ
পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
বিনিয়োগ বা সঞ্চয়ের জন্য নির্ভরযোগ্য একটি খাত স্বর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিত স্বর্ণ নিতান্ত প্রয়োজনের সময় অনেক কাজে লাগে। তাই আর্থিক স্বচ্ছলতা তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য যে কোনো সম্পদের বিপরীতে স্বর্ণ একটি সেরা বিকল্প। অনেক দিন আগে কেনা স্বর্ণ বিক্রি বা বিনিময় করে নতুন স্বর্ণ কেনার সময় কিছু খরচ রয়েছে, যা স্বর্ণের দাম থেকে কেটে রাখা হয়। কেটে নেওয়া অংশটি স্বর্ণ থেকে অর্জিত লাভে তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও বিষয়টি জেনে রাখা জরুরি। চলুন, স্বর্ণ সংক্রান্ত কোন কোন খাতের খরচগুলোর স্বর্ণের দামের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা হয় তা জেনে নেই।
বর্তমানে স্বর্ণের দাম থেকে কত শতাংশ কাটা হয়
২০২৪ সালের ৮ মে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বিক্রির সময় স্বর্ণের দাম থেকে কর্তন বাবদ নতুন পরিমাণ নির্ধারণ করে। পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় তার বর্তমান ওজন থেকে ১৫ শতাংশ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অংশের দামকে বিক্রয়মূল্য ধরা হবে। উদাহরণস্বরূপ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ বিক্রি করতে গেলে তার দাম পাওয়ার যাবে ৮৫ গ্রামের জন্য।
যারা পুরনো সোনা দিয়ে নতুন সোনা নিতে চান তাদের ক্ষেত্রে আগের সোনার ওজন থেকে ১০ শতাংশ কেটে নতুন সোনা দেওয়া হবে। অর্থাৎ ১০০ গ্রাম পুরনো সোনার বদলে পাওয়া যাবে ৯০ গ্রাম সোনা।
এর সঙ্গে ধার্যকৃত যাবতীয় মজুরি এবং মূল্য সংযোজন করও (ভ্যাট) সোনার দাম থেকে বাদ যাবে।
আগে সোনা বিক্রির ক্ষেত্রে কর্তনের হার ছিল ১৩ শতাংশ, আর বিনিময়ের সময় কাটা হতো ৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
যে কারণে বিক্রির সময় স্বর্ণের দাম কমে আসে
স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই
সোনার অলঙ্কারে তামা বা রৌপ্যের মতো সংকর ধাতু মিশ্রিত থাকে। এই সংকর ধাতু মিশ্রিত থাকা মানেই সোনার সামগ্রিক বিশুদ্ধতায় ঘাটতি থাকা। পুনঃবিক্রয়ের সময় স্বর্ণের এই বিশুদ্ধতা বা গুণগত মান নির্ণয়ের জন্য শিখা পরীক্ষা, অ্যাসিড পরীক্ষা ও এক্সআরএফ বা হলমার্কের মতো বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। উচ্চ বিশুদ্ধতা (২৪ ক্যারেট) সম্পন্ন সোনা কম বিশুদ্ধগুলোর (২২ ক্যারেট বা ১৮ ক্যারেট) তুলনায় অধিক মূল্যের হয়। বাজুস স্বচ্ছতা ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সেই বিশুদ্ধতা পরীক্ষা এবং সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করে থাকে।
অবচয় খরচ
যে কোনো ব্যবহার্য সম্পদের মতো সোনারও অবচয় ঘটে। পুরনো সোনাগুলোর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই স্ক্র্যাচ, আঘাতের চিহ্ন ও দীপ্তি হ্রাসসহ গুণগত মান নষ্টের আশঙ্কা থাকে। এতে অল্প হলেও ১০ বছর আগের ও পরের সোনার মধ্যে তারতম্য থেকে যায়। আর এই অপূর্ণতাকে সামঞ্জস্য করার জন্য কর্তনকৃত অংশ নির্ধারণ করা হয়। একদম সামান্য অংশ হলেও বিষয়টিতে বিক্রেতাদের সচেতন থাকা উচিৎ। অবশ্য পুনঃব্যবহারে অতিরিক্ত অবচয়ে স্বল্প ওজনের সোনার দামে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
লেনদেনের খরচ
সোনা বিক্রি শুধুমাত্র কিছু পরিমাণ ধাতু হস্তান্তর করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পুরো বিক্রয় প্রক্রিয়াটির সঙ্গে আরও কিছু কার্যক্রম জড়িত থাকে। যেমন বিক্রয় প্রক্রিয়াকরণে প্রশাসনিক ফি, পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই ফি, স্বর্ণ মজুদ ও পরিবহনের নিরাপত্তা এবং লজিস্টিক খরচ ইত্যাদি। এই যাবতীয় খরচ একত্রিত হয়ে অবদান রাখে সোনার বিক্রয়মূল্যের অধোগতিতে। তাই এই খরচগুলোর ব্যাপারে বিক্রেতাদের সম্যক ধারণা থাকা জরুরি।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খরচ ও ঝুঁকি
সোনার বাজারের ডিলার বা বিপণী মালিকদের ব্যবসা পরিচালনা বাবদ বিভিন্ন খরচ যুক্ত হয় এই তালিকায়। এগুলো হচ্ছে দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন ও ইউটিলিটি বিল। প্রত্যেকটির ব্যয়ভার বহনের সাপেক্ষে যাচাই করা হয় বাজারের বর্তমান অবস্থা। এই সার্বিক দিক বিবেচনায় খরচের পরিধি অনেকটা বেড়ে যায়। আর এই খরচটিই ক্রেতারা পুষিয়ের নেওয়ার চেষ্টা করেন বিক্রয়কালে ভোক্তাদের নিকট থেকে। এটি ডিলারদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কেননা এটি তাদের স্বর্ণ কেনা এবং ব্যবসার আনুষঙ্গিক খরচ থেকে উদ্বৃত্ত লাভের উপর প্রভাব ফেলে।
তাছাড়া পুরনো সোনা কেনার সময় ক্রেতারা স্বভাবতই একটু বেশি ঝুঁকির মুখে থাকেন। বিশেষ করে কেউ লেনদেনে জালিয়াতি করলে বা পণ্যের সত্যতা সংক্রান্ত কাগজপত্রে ঘাটতি থাকলে পরবর্তীতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
৫ মাস আগে
স্বর্ণের ভরিতে কমল ৮৪০ টাকা
চলতি এপ্রিলে কয়েক দফায় স্বর্ণের দাম ভড়ি প্রতি মোট ৪ হাজার ৫৬০ টাকা বাড়ানোর পর মাত্র ৮৪০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
শনিবার (২০ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম কমানোর নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় (বাজুস।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বাজুস সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
এর আগে গত বুধবার বাজুস জানিয়েছিল, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা এ যাবৎকালের মধ্যে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। চলতি এপ্রিলে বাজুস এ পর্যন্ত তিনবার (৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম বাড়ানোর রেকর্ড করে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্সের বাজার মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান দাম বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া প্রতি ভরি স্বর্ণ ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
৮ মাস আগে
ঢাকা বিমানবন্দরে যৌথ অভিযানে ২.১ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যৌথ অভিযান চালিয়ে বুধবার ২ দশমিক ১০৪ কেজি স্বর্ণের বারসহ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ এবং ৪ জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার আব্দুল কাদির (৪১) ও ইব্রাহিম খলিল (৪০), পটুয়াখালী জেলার জুয়েল হোসেন (৩৪) ও গাজীপুর জেলার খোরশেদ আলম (৪২)।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, দুবাই থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আটকদের সবাই ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে এনএসআই ও এপিবিএনের যৌথ দল ভোর ৬টার দিকে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে যাওয়ার সময় ৪ জনকে থামায় এবং তল্লাশি করে।
পরে তাদের কাছ থেকে সুকৌশলে নিজের দেহে রক্ষিত স্বর্ণের বার, স্বর্ণের গুঁড়া ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে দেড় কেজি স্বর্ণ জব্দ, যাত্রী আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
৯ মাস আগে
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৩.৪৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার রাতে ৩ দশমিক ৪৯৮ কেজি ওজনের স্বর্ণসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি)।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মাসুদ ইমাম।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক ফারহানা বেগম বলেন, রাত ১০টা ৪৬ মিনিটে দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ইমামের দুটি মানি ব্যাগ থেকে ৩ দশমিক ১৪ কোটি টাকা মূল্যের ৩ কেজি ৪৯৮ গ্রাম ওজনের ২৮টি স্বর্ণের বার ও স্বর্ণমুদ্রা জব্দ করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
১০ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভারতে পাচারের সময় ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে বিজিবি।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার উথলীতে অভিযান চালিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাদপুর গ্রামের মো. পিন্টু বিশ্বাস (৫০ এবং ওই উপজেলার ইশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মো. সিয়াস হোসেন।
৫ কেজি ১৯৭ দশমিক ৯৭ গ্রাম ২৩টি স্বর্ণের বারের দাম ৪ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার ৫২০ টাকা।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) পরিচালক মাসুদ পারভেজ রানা।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) একটি দল উথলী বিওপির পাশে অভিযান চালায়। দুপুর ১২টার দিকে একটি ইজিবাইক উথলী থেকে জীবননগর সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় তারা ইজিবাইকটি তল্লাশি করে স্বর্ণের বার জব্দ করে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
বিজিবি আরও জানায়, স্বর্ণের বারগুলো শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য পরিবহন করা হচ্ছিল।
জীবননগর থানায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৮ কেজি স্বর্ণ জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
বেনাপোল সীমান্তে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১: বিজিবি
শাহ আমানত বিমানবন্দরে কোটি টাকার ৭টি স্বর্ণের বার জব্দ
১১ মাস আগে
ঢাকা বিমানবন্দরে ৮ কেজি স্বর্ণ জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা মূল্যের ৮ কেজি ২১৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় এক নারীকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তার নারীর নাম রেখা পারভীন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১: বিজিবি
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক ফারহানা বেগম জানান, রেখা দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাত ১১টার দিকে ঢাকায় অবতরণ করেন।
বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে যাওয়ার সময় রেখাকে থামতে বলেন কাস্টমস কর্মকর্তাদের একটি দল।
পরে তার হাতব্যাগ তল্লাশি করে ৬৯টি স্বর্ণের বার, একটি স্বর্ণের চেইন ও ৬টি সোনার চুড়ি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে লবণবোঝাই ট্রাকে ১৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, আটক ২
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় দেড় কেজি স্বর্ণ জব্দ, যুবক আটক
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে সাঈদ হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১ কেজি ৬৩৫ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা বাইপাস সড়কের দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের একটি আমবাগান এলাকা থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
আটক সাঈদ হোসেন (৪০) একই উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে সাঈদ হোসেন নামে এক একজনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে একজন ব্যক্তি পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে ধরা হয়।
পরে ওই মোটরসাইকেলচালকে তল্লাশি করে প্যাকেটজাত ১ কেজি ৬৩৫ গ্রাম স্বর্ণের গহনা ও চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
এসব স্বর্ণের আনুমানিক দাম ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও পরিদর্শন) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, আটক ব্যক্তিকে মামলাসহ দামুড়হুদা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং জব্দ করা স্বর্ণালংকার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বিজিবির অভিযানে ৩.৫১ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
বিমানবন্দরে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
১ বছর আগে
বিমানবন্দরে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ৬ কেজি ৯৫৬ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসময় চারজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) ও ঢাকা কাস্টমস হাউজ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সাভারে ৩ স্বর্ণের দোকান থেকে ৮০ তোলা স্বর্ণ লুট
আটকেরা হলেন- আলী হোসেন, জসিম উদ্দিন, লিটু মিয়া ও জুম্মন খান।
আলী হোসেন শনিবার ভোর ৫টায় দুবাই থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বাকি তিনজন ছয় ঘণ্টা আগে শুক্রবার রাত ১১টায় অন্য একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
জিয়াউল হক জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই'র বরাত দিয়ে বলেন, অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেস্ট আকারে স্বর্ণ, বিস্কুট ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে এপিবিএন, এনএসআই ও কাস্টমস যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। বিমানবন্দরে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তারা যাত্রীদের চ্যালেঞ্জ করেছিল।
পরে তাদের উত্তরার হলি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করার জন্য পাঠানো হয় এবং তাদের মলদ্বারে স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।
পরে তাদের কাছ থেকে প্রায় সাত কোটি টাকা মূল্যের সব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় ৯৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে
সাভারে ৩ স্বর্ণের দোকান থেকে ৮০ তোলা স্বর্ণ লুট
সাভারের হেমায়েতপুরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ৩টি স্বর্ণের দোকান থেকে ৮০ তোলা স্বর্ণ লুট করেছে ডাকাতরা।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে লালন টাওয়ার অ্যান্ড শপিং কমপ্লেক্সের ৩টি স্বর্ণের দোকানে ৩ জন নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তায় হামলা চালিয়ে সোনাক্ষী জুয়েলার্সের ৪২ তোলা, মমতা জুয়েলার্সের ৩৫ তোলা ও গীতাঞ্জলি জুয়েলার্সের ৩ তোলা স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ডাকাত।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে ব্যবসায়ীর ১৩ লাখ টাকা লুট, যুবক খুন
আজ সকালে মার্কেট খোলার পর ঘটনাটি সম্পর্কে জানা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এছাড়া সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের একটি মার্কেটের ৭টি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল লুট করেছে ডাকাতরা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বর্ণের দোকান থেকে ৪৬ লাখ টাকার সোনা ও হীরা লুট
‘লুটেরাদের’ ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: দ. আফ্রিকায় প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
স্বর্ণের ভরিতে কমল ১৭৫০ টাকা, রবিবার থেকে কার্যকর
সর্বশেষ দাম পরিবর্তনের মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে শনিবার স্বর্ণের দাম আবারও কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে, বাজুস সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছিল, যা গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করা হয়।
আগামীকাল রবিবার (১ অক্টোবর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে। ভালো মানের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ১৭৫০ টাকা কমে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ছিল ৯৯৯৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস।
২১ ক্যারেটের সলিড স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৮০ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং সনাতন স্বর্ণের দাম ৬৬ হাজার ৯৫১ টাকা।
আজ পর্যন্ত ২১ ক্যারেটের সলিড স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং সনাতন স্বর্ণের দাম ৬৮ হাজার ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রূপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
১ বছর আগে