বাবা গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে চার মাসের শিশুকে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে চার মাস বয়সী শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ মে)দিবাগত রাত তিনটার দিকে নীলফামারী জেলা শহরের দক্ষিণ হাড়োয়া ফকিরগঞ্জ গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম ইয়াহিয়া খান। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন ওই শিশুটির বাবা মাদরাসা শিক্ষক সৈয়দ জাকারিয়া শেখ (৫৫)।
জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলী শেখের ছেলে মাদরাসা শিক্ষক একেএম জাকারিয়া শেখ।
জাকারিয়া শেখ সৈয়দপুর উপজেলার সোনাখুলি কামিল মাদরাসার প্রভাষক পদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ টিকটকার গ্রেপ্তার
রবিবার (১৪ মে) দুপুরে থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
এলাকাবাসী জানায়, চার মাস বয়সী শিশু সন্তান ইয়াহিয়া খান রাতে বাবা মায়ের কাছে ঘুমায়। রাত তিনটার দিকে মা আয়শা সিদ্দিকা মমতা ঘুম থেকে জেগে সন্তানের শরীর ঠান্ডা ও নিথর দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন।
এলাকাবাসী এগিয়ে এসে শিশুটিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়ে উপস্থিত লোকজনের সন্দেহ হলে বাবা একেএম জাকারিয়া শেখকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মামলা ও পারিবারিক সূত্র মতে, মাদরাসা শিক্ষক একেএম জাকারিয়া শেখের সঙ্গে আট বছর আগে বিয়ে হয় পৌর শহরের হাড়োয়া ফকিরগঞ্জ গ্রামের আয়শা সিদ্দিকা মমতার। ওই শিক্ষকের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হলে মমতাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
তেমনি আয়শা সিদ্দিকা মমতারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক জাকারিয়া নিজ বাড়ি ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
নীলফামারী পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাহফুজার রহমান বলেন, জমি-জমা ও চার মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার ঘুমানোর পর রাত তিনটার দিকে আয়শা সিদ্দিকা মমতা ঘুম থেকে জেগে তার শিশু সন্তানের শরীর ঠান্ডা এবং নিথর দেখে চিৎকার শুরু করেন।
স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে পুলিশ শিশুটির বাবা একেএম জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করেন।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) পলাশ মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়শা সিদ্দিকা মমতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামি একেএম জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় শিকার করেছেন।
এছাড়া ওই মামলায় জাকারিয়ার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০) ও মেয়ে আয়শা সিদ্দিকাকে (২৬) আসামি করা হয়েছে।
এদিকে জাকারিয়ার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা প্রিয়াংকা মুঠো ফোনে বলেন, ‘সৎ মায়ের নানা অত্যাচারে আমার বাবা অনেকটা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন আগেও আমি তাকে (বাবা) ঢাকায় এনে চিকিৎসা করাই। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জোড়া খুন: স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৮
১ বছর আগে
কন্যা দিবসে ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা, বাবা গ্রেপ্তার
বগুড়ার শেরপুরে ১৪ মাস বয়সী ঘুমন্ত শিশুকে পুকুরের পানিতে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করেছে বাবা। সোমবার উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম হুমায়রা খাতুন। বাবা জাকির হোসেন (৪৫) ওই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সাত বছর আগে জাকিরের সঙ্গে পাশ্ব^বর্তী নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের নামা সিংড়াপাড়া গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের এক বছরের মাথায় প্রথম মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় মোছা. জান্নাতি খাতুন। বর্তমানে বয়স ৬ বছর।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সুপারি গাছে বেঁধে শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
এরপর বাবা জাকিরের প্রত্যাশা ছিল ছেলে সন্তানের। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় সে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো।
এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাতের কোনো এক সময় ঘুমন্ত শিশুকন্যা হুমায়রাকে পুকুরে ফেলে দেয় বাবা।
নিহত শিশুটির মা রাবেয়া খাতুন বলেন, মধ্যরাতে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার মেয়ে খাটের ওপর নেই। পরে পরিবারের সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানাই। সেই সঙ্গে আমার বোন ও তার স্বামীকে খবর দেই। এরপর সবাই এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সন্তানকে না পেয়ে একাধিকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। একপর্যায়ে আমার স্বামীকে চাপ দেয় সবাই। পরে মেয়েকে পুকুরে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
জাকিরের ভায়রা সাইফুল ইসলাম বলেন, জাকিরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভোররাতে ওই পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি করে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর জাকিরকে আটক করে থানায় খবর দেয়া হয় ।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ঘুমন্ত শিশুটিকে পুকুরে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করায় ঘাতক বাবা জাকিরকে আটক করা হয়েছে বলেও ওসি জানান।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
সাভারে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: প্রধান আসামির বাবা গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনূস আলী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার চার দিন পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতুর বাবা উজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদ হোসেন মামলার অন্যতম আসামি উজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
এর আগে ছাত্রের ক্রিকেট স্টাম্পের আঘাতে গুরুতর জখম হওয়া কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সোমবার ভোররাতে এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান।
নিহত ৩৫ বছর বয়সী শিক্ষক উৎপল সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি প্রায় ১০ বছর আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
পড়ুন: সাভারে ছাত্রদের ক্রিকেট স্টাম্পের আঘাতে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু
২ বছর আগে
ঝিকরগাছায় মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
যশোরের ঝিকরগাছার কুলিয়া গ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ বছর আগে