লালমোহন
ভোলায় একদিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
ভোলার লালমোহনে একদিনে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে আরও এক পানিতে পড়া শিশু।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, সকালের দিকে উপজেলার ধলী গৌরনগর ইউনিয়নের চতলা এলাকায় মোসা. হুজাইফা নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে ওই এলাকার মাওলানা মো. রাকিবের মেয়ে।
এছাড়া, চরভূতা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জুনায়েদ নামে আট বছরের আরেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। সে ওই এলাকার মো. জাকিরের ছেলে।
সবশেষ, দুপুরের দিকে লালমোহন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ানীগ্রাম এলাকায় পানিতে ডুবে মোসা. নুসরাত নামে ৬ বছরের আরও এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, একই দিন সকালে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে পড়ার পর রুহা নামে আড়াই বছরের এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হামিদা আকতার বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হাসপাতালে পানিতে পড়া ৪ জন শিশুকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এদের মধ্যে ৩ জনকেই মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকি একজনের অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো ৩ জনের
১ বছর আগে
ভোলায় প্রতিবন্ধীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
ভোলায় এক প্রতিবন্ধীকে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- লালমোহন উপজেলার রামগঞ্জ ইউনিয়নের নোমো গ্রামের তাপস মৃধা, প্রমিলা ও রিনা।
ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তৎপর হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, যুবক গ্রেপ্তার
ভিডিওতে দেখা যায়, নম গ্রামের একটি মন্দিরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে জয় চন্দ্র মেস্তুরীকে তিনজন মিলে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করছে।
স্থানীয়রা জানায়, জয়কে তার বাবা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া আগ পর্যন্ত নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। কারণ তার একটাই অপরাধ ছিল যে বৃহস্পতিবার সকালে তর্কের জেরে তাপসের এক আত্মীয়কে চড় মেরেছিলেন।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধি যুবকের বাবা বাদী হয় পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
জয়ের বাবা শ্যামল চন্দ্র মিস্ত্রী বলেন, আমার ছেলে প্রতিবন্ধী এবং এর আগেও তারা বহুবার তাকে নির্যাতন করেছে। আমরা গরীব বলে প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমি আমার ছেলের বিচার চাই।
২ বছর আগে
ভোলায় ইয়াসের প্রভাবে চরাঞ্চল প্লাবিত, ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার ওপর মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির চাপে মনপুরায় দুটি স্থান দিয়ে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। জেলার দুর্গম অন্তত ৩০টি চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে ভোলার লালমোহন উপজেলায় আবু তাহের (৪৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে লালমোহনের কালমা ইউনিয়নের চর কলমি ফরাজি বাজারের কৃষক আবু তাহের (৪৫) প্রকৃতির ডাকা সারা দিতে ঘরের বাইরে যায়। এ সময় ঝড়ো বাতাসে গাছের একটি ঢাল ভেঙে তার নিচে চাপা পড়েন তিনি। এতে তার বুকের পাজর ভেঙে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। জোয়ারের পানিতে জেলার মনপুরা, চরফ্যাসনের ঢাল চর, কুকুরি মুকরি, চরনিজাম, চর জহিরউদ্দিন, মাঝের চর, মদনপুর, চরপাতিলা, চরজ্ঞান, সোনার চর, কুলাগাজীর তালুক, চর যতিন, চর শাহজালাল, কলাতলীর চরসহ প্রায় ৩০টি নিম্নাঞ্চল ৩-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাসহ বিস্তীর্ন এলাকা ডুবে আছে। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। ফলে উপকূলে আতঙ্কছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সাইক্লোন সেল্টারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: বাগেরহাটে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ভোলা সদরের শিবপুর ইউনয়নের চেয়ারম্যাস জসিম উদ্দিন জানান, তার এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে অন্তত অর্ধশত ঘর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে জোয়ার এলে পরিবার নিয়ে সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
রাজাপুর ইউনিয়নের আমির হোসেন জানান, রাজাপুরের বেড়িবাঁধের বাইরে কন্দকপুর, রুপা পুর, রামদাসপুরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
চরফ্যাসন উপজেলার সাগর মোহনার ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৬-৭ শত ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ।
৩ বছর আগে
করোনায় মৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপন, ৯ ঘর লকডাউন
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যুবক ভোলার লালমোহন উপজেলায় এসে আত্মগোপন করেছেন।
৪ বছর আগে