ঘিওর
মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
মানিকগঞ্জের ঘিওরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ১৫ নম্বর পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী খান। তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে।
আরও পড়ুন: অবরোধ: টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনে আগুন
এতে কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার ও চিত্রাংকন ফেস্টুন পুড়ে গেছে এবং বিদ্যালয়ে কালো ধোয়ার আস্তরণ পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার পারভীন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অগ্নিসংযোগের কথা জেনেছি। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দু’টি বাস ও পিকআপে আগুন
১ বছর আগে
ঘিওরে ইছামতি নদীর প্রবল ভাঙন, দুর্ভোগে নদী তীরবর্তী মানুষ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ইছামতি নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে প্রায় দুইশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন গরুর হাটের অধিকাংশ জায়গা। হাট সংলগ্ন প্রায় ৫০টি বসতবাড়িও চলে গেছে ইছামতির পেটে। গত তিনদিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলের পানিতে নতুন করে ভাঙনের শিকার হয়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘিওর-গোলাপনগর রাস্তা, কুস্তা বেইলি ব্রিজ, দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেতু-কালভার্টসহ নদী তীরবর্তী ১৬টি গ্রাম।
বৃহস্পতিবার থেকে ইছামতি নদীর ওপর নির্মিত কুস্তা এলাকায় বেইলী ব্রিজের দুই পাশের পাদদেশে ভাঙন শুরু হয়। গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে সংযোগ সড়ক থেকে ব্রিজের মাঝে প্রায় দুই ফুট ফাঁকা হয়ে পড়ে। যে কোন সময় নদীগর্ভে ধসে পড়তে পারে ব্রিজটি। ঝুঁকি এড়াতে ব্রিজের ওপর দিয়ে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
আরও পড়ুন:কপোতাক্ষের ভাঙন: হুমকির মুখে পাইকগাছার বিস্তীর্ণ অঞ্চল
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকের বাড়ির অর্ধেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আসবাবপত্র, অন্যান্য সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ভাঙনে কুস্তা কফিল উদ্দিন দরজি উচ্চবিদ্যালয় ও কুস্তা ব্রিজ, কুস্তা কবরস্থান, ঘিওর-গোলাপ নগরের রাস্তা, বেপারীপাড়া কবরস্থান, রসুলপুর গ্রামের বসতবাড়ি, বেপারীপাড়া কবরস্থানটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে এসব স্থাপনা ও বসতবাড়ি।
এছাড়া পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে শ্রীধরনগর, মাইলাগী, ঘিওর পূর্বপাড়া, ঘিওর নদীর উত্তর পাড়ের বাজার, উপজেলা খাদ্য গুদাম, ব্রিজসহ ১২-১৩টি প্রতিষ্ঠান হুমকির মধ্যে রয়েছে। খাদ্য গুদামের সামনের বেইলি ব্রিজটিও যেকোনো মুহূর্তে চলে যাবে।
ইছামতি নদী পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, হঠাৎই এই রকম ভাঙন তারা এর আগে দেখেননি। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-১২টি গ্রামের বেশ কিছু এলাকা তছনছ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভয় ও আতংকে তাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।
ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বলেন, ভয়াবহ ভাঙনে আমার ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থাপনা ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্যের পরিবর্তে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চান। এখন ভাঙন রোধে ভরা নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এসব বালুর বস্তায় কোন কাজই হচ্ছে না। স্থায়ী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ না করলে এই ভাঙন রোধ সম্ভব হবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
ঘিওর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুর রহমান বলেন, ঘিওর কুস্তা বেইলি ব্রিজের গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আপাতত যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্রিজটি রক্ষায় এরই মধ্যে দুই পাড়ে ব্রিজের গাইড ওয়ালসহ জিও ব্যাগ রক্ষার চেষ্টা চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ইছামতি নদীটি খালের মত সরু। এর উৎস মুখে খনন করায় পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে হঠাৎই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর বেইলী ব্রীজ রক্ষায় গাইড ওয়ালসহ জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পানির প্রবাহ কমে গেলে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:শহররক্ষা বাঁধে ভাঙন: পাইকগাছা পৌরসদরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে ধরলার ভাঙন মুখে তিন শতাধিক পরিবার
২ বছর আগে
মানিকগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে নববধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক নববধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকালে উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের শোলধারা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমি আক্তার (২২) একই ইউনিয়নের কাকজোর গ্রামের দিনমজুর রহম আলীর মেয়ে। মাত্র দুই মাস আগে শোলধারা গ্রামের মৃত রশিদ মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা ওরফে রুপকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ফসলের খেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে রুপক তার মাকে নিয়ে সাভারের একটি হাসপাতালে আছেন। মা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যা রহস্য বের হয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।
২ বছর আগে
মানিকগঞ্জে কম্পিউটার ল্যাব থেকে র্যাম ও প্রসেসর চুরি
মানিকগঞ্জ জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কম্পিউটার ল্যাব এবং প্রশিক্ষকের কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা কক্ষের তালা খুলে ৩৯টি কম্পিউটারের র্যাম ও প্রসেসর চুরি করেছে। চুরি হওয়া জিনিসের মূল্য আট লক্ষাধিক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলার ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির জেলা কার্যালয়ের চারতলায় ওই কক্ষ দুটিতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক অলকা প্রভা দে বলেন, গত শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি ছিল। আজ (রবিবার) সকালে অফিসে এসে দেখতে পাই দুটি কক্ষ থেকে ৩৯টি কম্পিউটারের প্রসেসর ও র্যা ম চুরি হয়ে গেছে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুজন যুবক ওই কক্ষে ঢুকে এবং সাড়ে চারটায় জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।
তিনি জানান, প্রতিটি কম্পিউটারের প্রসেসর এবং র্যামের মূল্য ২১ হাজার হিসাবে ৩৯টির মূল্য আট লাখ ১৯ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে ঘিওর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, অফিসে কোন নৈশপ্রহরী নেই। একজন হেলপার কাম গার্ড ওই রাতে ঘুমিয়ে ছিল। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘চুরি হওয়ার ব্যাপারে একটি জিডি করেছেন। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কবরের কঙ্কাল চুরি করতে গিয়ে গাজীপুরে যুবক আটক
সিলেটে কল সেন্টারের মালামাল চুরি
চাঁদপুরে আল-আরাফাহ ব্যাংকের ৫ লক্ষাধিক টাকা চুরি
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে ট্রাক চাপায় গৃহবধূ নিহত
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ট্রাক চাপায় মর্জিনা আক্তার (২২) নামক এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুরান গ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধু ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ভালকুটিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বেড়াতে এসে বাবার বাড়িতে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, মর্জিনা স্বামীর সাথে মোটরসাইকেল করে বাড়ি থেকে জরুরী কাজে মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুরান গ্রাম এলাকায় একটি পণ্যবাহী ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ওই নারী পড়ে গিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় মোটরসাইকেল চালক আব্দুর রাজ্জাক মারাত্মক আহত হন।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে ধর্ষণ, প্রভাবশালীর ভয়ে বোনকে শেকলে বেঁধে রাখে ভাই
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাক চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে নেটজালে আটকে গৃহবধূ নিখোঁজ
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ নিহত ২
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও ঘিওরে পৃথক বজ্রপাতে দুজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার বিকালে ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ আহমেদ বিপ্লব বলেন, উপজেলার বৈলট গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রাঘাতে শাহীন (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। শাহীন ঘিওর সদর ইউনিয়নের মুক্তার হোসেনের ছেলে। শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন শাহীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ফেনীতে বজ্রপাতে নিহত ৫
অপরদিকে দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের চরভাঙা গ্রামের মহিষের গাড়িচালক গোলাম মোস্তফা (৪০) বাদামবোঝাই করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি চরভারাঙ্গা গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে।
বাচামারা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. রমজান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ বছর আগে
ঘিওরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
মানিকগঞ্জের ঘিওরে মঙ্গলবার দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক বৃদ্ধ পথচারী নিহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে