বোরো মৌসুম
জাতীয় বীজ বোর্ডের সভা: ধানের ২টি ও গমের ১টি জাতের নিবন্ধন
বোরো মৌসুমে চাষের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত দুইটি ধানের জাত এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত একটি গমের জাতের নিবন্ধন ও ছাড়পত্র দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।
এছাড়া বোরো মৌসুমে চাষের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ১০টি হাইব্রিড জাতের ধানের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিসচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১১১তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
ব্রি-ধানের জাত দুইটি হলো, ব্রি-ধান ১০৭ ও ব্রি-ধান ১০৮। ব্রি-ধান ১০৭ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির। গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৮ দশমিক ২০ টন। জীবনকাল ১৪৩ দিন। চাল লম্বা ও চিকন এবং ভাত ঝরঝরে হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
আর ব্রি-ধান ১০৮ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৮ দশমিক ৫০ টন। জীবনকাল ১৪৬ দিন। চাল চিকন ও মাঝারি লম্বা, যা অনেকটা জিরাশাইল জাতের মতো। এটিরও ভাত হবে ঝরঝরে।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত গম-৫ জাতটি আগাম ও উচ্চফলনশীল। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ২০ থেকে ৫ টনের মতো। জীবনকাল ১০৭ দিন। এটি তাপসহিষ্ণু, ব্লাস্ট ও পাতার মরিচা রোগ প্রতিরোধী।
আরও পড়ুন: আমি যা বলেছি, কোনো ভুল বলিনি: কৃষিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না। মান ঠিক রেখে, সঠিকভাবে শতভাগ চাল সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রবিবার সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান-২০২৩ এর ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকার চায় কৃষক তার ফসলের ভালো দাম পাক। কৃষক ভালো দাম পেলেই আমরা খুশি। আর সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করেছিল দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, অনেক কামাই করবে। এজন্য আমন মৌসুমে তারা মজুদ করেছিল। কিন্তু তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার চার লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কৃষক ধানের সঠিক দাম না পেলে সরকার প্রয়োজনে সাত থেকে লাখ টন ধান কিনবে। আর চাল কেনা হবে সাড়ে ১২ লাখ টন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকের সব ধান কেটে ফেলা উচিত। কেননা, এরই মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনও কৃষকদের এ বিষয়ে সচতেন করতে ভূমিকা রাখত পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার এবার বেশি দামে ধান কিনছে। কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। কৃষকরা ধান দিতে এসে যেন কষ্ট না পায়। ধান দিতে এসে যেন ফেরত না যায়। সেটা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তবে ধানের আদ্রতার পরিমাণ ১৪ ভাগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। আদ্রতা ঠিক থাকলে ধান ফেরত দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, গত মৌসুমে যে সকল মিল মালিক চাল দেওয়ার জন্য চুক্তি করেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফিট লিস্টে নাম না পাঠানোর জন্য খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যারা চুক্তি করে সরকারকে সহায়তা করেছে তারা সরকারের সুনজরে আছে। যারা আংশিক শর্ত পূরণ করেছ তারাও এ বছর চুক্তি করতে পারবে।
একই সঙ্গে কেউ যেন অবৈধ মজুত করতে না পারে-এ বিষয়েও কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় বোরো ধান, চাল ও গমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২৩ মৌসুমে চার লাখ টন ধান, ১২ দশমিক ৫০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া আভ্যন্তরীণ সংগ্রহ রবিবার (৭ মে) থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত চলবে।
প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা।
২০২২ সালে ধান-চালের দাম ছিল যথাক্রমে ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং গম ২৮ টাকা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে জনগণ: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
খাদ্যশস্য সংগ্রহে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হয়: খাদ্যমন্ত্রী
চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাথে 'অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভা'য় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:ধান-চালের দর বেঁধে দেয়ার সুফল পাচ্ছে সবাই: খাদ্যমন্ত্রী
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবারের বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশও একটা মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে; খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সাথে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে।
‘বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি; তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যেও আমাদেরকে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে,’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান চর্চায় আত্মনিয়োগ করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এজন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে বলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, মুখে মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি।
কোন কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি গুদামের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খামালের উচ্চতা বৃদ্ধি করাসহ কিছু দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, কোনোভাবেই পুরান চাল নেয়া যাবেনা। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের চাল। পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসকরা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
চলতি বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু
সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনা শুরু হয়েছে। একইসাথে মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
৪ বছর আগে
বোরো মৌসুমে সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান, সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন আতপ ও সিদ্ধ চাল এবং ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
৪ বছর আগে