রেস্তোরাঁ
'ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা অভিযানের নামে হয়রানি' অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিকদের
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই অভিযানকে ‘লোক দেখানো ও হয়রানি’ বলে অভিযোগ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা।
বেইলি রোডের আগুনের পর ধানমন্ডি গুলশান, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এদিকে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ, এসব অভিযানে সমন্বয় নেই। সরকারি সংস্থাগুলো যে যার মতো অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এসব অভিযানকে ‘হয়রানি’ ও ‘লোক দেখানো অভিযান’ বলে দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন অভিযান কাম্য নয়। এসব অভিযান তো নিয়মিত পরিচালনা করার কথা ছিল। সমস্যা সমাধানে সমন্বিত অভিযান প্রয়োজন। অন্যথায় এ ধরনের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’
কোনো ভবন ত্রুটিপূর্ণ থাকলে রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টদের দায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওইভাবে ভবনে অভিযান হলে আগে তো রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভবন মালিকের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা। ওই অবৈধ ভবন ভাড়া নিয়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা মালিক এরপর আসবে। কিন্তু ভবনে ত্রুটির দায়ে তাদের গ্রেপ্তার না করে একজন রেস্টুরেন্টকর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা অন্যায়। কেননা তারা এই প্রক্রিয়ার কোনো অংশই নয়। তাদের বলির পাঁঠা বানিয়ে দায়ীদের বাঁচিয়ে দেওয়ার এটা একটা প্রক্রিয়া।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
এ বিষয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বর্তমান সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। তার কাছে আমরা বিষয়টি জানাতে চাই। উনি যদি মনে করেন আমরা দোষী তাহলে আমরা সব বন্ধ করে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি অবশ্যই আছে। তাই বলে কি সব বন্ধ করে দেওয়া লাগবে? সব সেক্টরের ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তার মানে তো এই নয় যে, সব বন্ধ করে দেবেন। এসব অভিযান লোক দেখানো। আসল জায়গায় কেউ হাত দেয় না। এই ব্যর্থতার দায় কেউ নেবে না। আমরা মালিক সমিতি হিসেবেও ব্যর্থ হয়েছি।’
অভিযানে কতটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকায় ৪০টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন সংস্থার ১২টি লাইসেন্স থাকার পরও সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে জুলুম করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
দেশে কতগুলো রেস্টুরেন্ট আছে এবং কর্মসংস্থান সংখ্যা কত হবে চাইলে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ এ পেশার ওপর নির্ভরশীল।
ইমরান হাসান বলেন, এই ক্ষতি আমরা কীভাবে পোষাব। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে আমরা যে ইমেজ তৈরি করেছি, সেটি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
হয়রানি না করে টাস্কফোর্স গঠন করে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
রেস্তোরাঁ সেক্টরে এই প্রথম এত বড় দুর্ঘটনা হয়েছে। তবে এটিই শেষ দুর্ঘটনা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে সবাইকে একটি নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে: সংসদে চুন্নু ও রেজাউল
এদিকে গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে অভিযান কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা নিয়ে অভিযোগ করেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, সরকারের কোন সংস্থা গিয়ে কোন ভবন ভাঙবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।
জাপা মহাসচিব আরও বলেন, এক ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে দোকান ভাঙেন। আরেকজন গিয়ে বলছেন বন্ধ করেন। এতে করে এলোপাতাড়ি হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এটা না হয়, তার জন্য দায়িত্বশীলদের সমন্বিতভাবে ধীরস্থিরভাবে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সমন্বয়হীনতার অভাবে আবারও সমস্যা হবে।
রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করা হবে। চিহ্নিত ভবনের প্রবেশমুখে ঝুঁকিপূর্ণ নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগও বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাজউক ভবন নির্মাণে অনুমোদন দিলেও, এরপর সেখানে ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সনদ, কলকারখানা অধিদপ্তরের সনদ নিয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতে হয়। তাই রাজউক চাইলে একা এখানে কিছু করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত: মেয়র তাপস
৮ মাস আগে
হাসপাতালের ছাদে অবৈধ রেস্তোরাঁ-ত্রুটিপূর্ণ সিলিন্ডার থাকায় জরিমানা
রাজধানীর গ্রিন রোডের ল্যাবএইড হাসপাতালের ছাদে অনুমোদনহীন রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করা এবং রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ পাওয়ায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকালে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ সময় গণমাধ্যমকে জানান, ‘রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে গ্রিন রোড সংলগ্ন ল্যাবএইড হাসপাতালে বিকাল ৩টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির ছাদে অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: অগ্নি নিরাপত্তা: ঢাকার অভিজাত এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো কতটা নিরাপদ?
তিনি বলেন, ‘নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে হাসপাতালের অষ্টম তলায় একটি রুফটপ রেস্টুরেন্ট তথা ক্যাফেটেরিয়া গড়ে তোলা হয়েছে। যেটা নকশাতে ছিল না। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাতেও আমরা ত্রুটি পেয়েছি। রান্নাঘরে ব্যবহারের জন্য সিঁড়ির পাশে রক্ষিত ৫টি গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ১টি সিলিন্ডারে লিকেজ পাওয়া গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সার্বিকভাবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন-২০০৩ এর ১৮ ধারা অনুযায়ী এ জরিমানা করা হয়েছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণমাধ্যমকে জানান।
এর আগে অভিযানের শুরুতে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রবেশ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়ায় রান্নার পরিবেশসহ সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করে সেখানে সন্তোষজনক পরিবেশ পাওয়ায় সেন্ট্রাল হাসপাতালকে কোনো জরিমানা করেনি আদালত।
অভিযানকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুটি রুফটপ রেস্টুরেন্টে অভিযান
৮ মাস আগে
রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
কারো জন্য বিনোদন, কারো কাছে ঘনিষ্ঠ জনদের সঙ্গে ভালো কিছু সময় কাটানো, কারো বা জীবিকার একমাত্র গন্তব্য। কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে এই কর্মযজ্ঞই পরিণত হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞে। এই ডিস্টোপিয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে রাজধানীবাসীর জন্য। নিয়মবহির্ভূত ভবনের নকশা, পরিচালনা সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয়হীনতা এবং দুর্নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমতাবস্থায় ভবনে প্রবেশের সময় জীবন বাঁচানোর জন্য সাবধান হতে হবে ভোক্তা শ্রেণীকেই। চলুন, দেখে নেওয়া যাক রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে প্রবেশের সময় কোন বিষয়গুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি।
বহুমুখী ভবনগুলোতে প্রবেশকালে সাবধানতা কেন এখন সময়ের দাবি
ফায়ার সার্ভিসের মতে, ২০২৩ সালে সারাদেশে মার্কেটসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৫ হাজার ৩৭৪টির মধ্যে ৪২৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে আবার ৫৮টি শপিং মল, যেগুলোর মধ্যে ৯টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, ১৪টি মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ, এবং ৩৫টি রয়েছে সাধারণ ঝুঁকিতে।
এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে বিগত কয়েক দশক ধরে অভ্যস্ত হয়ে গেছে অসহায় ঢাকাবাসী। সমস্যাযুক্ত ভবনগুলো নিয়ে বছরের পর বছর ধরে মামলা চলছে। প্রায়ই পিছিয়ে যাচ্ছে ভবন নিরীক্ষণের দিনক্ষণ। যথারীতি নিয়ম মেনে নির্মাণ বিধিতে আসছে পরিবর্তন। কিন্তু থেমে নেই সাধারণ মানুষের মৃত্যু। বরং বিষয়টি এখন এমন এক পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে যে, এর সঠিক সুরাহা করতে লেগে যাবে অনেকটা সময়। কেননা ত্রুটিপূর্ণ ভবনগুলো এক নিমেষে ভেঙে ফেলা বা সঠিক নকশা দিয়ে আদ্যোপান্ত বদলে ফেলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: আবাসিক ভবনের রেস্তোরাঁ বন্ধের দাবিতে রিট
রেস্তোরাঁয় ভরা ভবন বা অতিকায় শপিং মলে যাওয়াটা জীবনের চেয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ- এখন সেই হিসাব-নিকাষের সময় এসেছে। সব চাহিদার বিসর্জন দিয়ে হলেও সেই মৃত্যুকূপগুলো থেকে দূরে থাকার কোনও বিকল্প নেই। আর অগত্যা যদি যেতেই হয়, তবে সেক্ষেত্রে অবলম্বন করা উচিত আপোষহীন সতর্কতা।
রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে দুর্ঘটনা এড়াতে যে ১০টি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
.
ভবনে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ
আগুন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য খোলামেলা জায়গা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ভেতরের প্রতিটি দরজা প্রবেশের জন্য সহায়ক হতে হবে। এমনকি জানালার বাইরের স্থানগুলোতেও কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা থাকা চলবে না। পেছনের দরজা বা অন্য প্রবেশ পথগুলো ময়লা-আবর্জনা বা বাতিল জিনিসের স্তূপে বন্ধ আছে কিনা তা দেখতে হবে।
বহিরাগতরা খুব সহজেই ভেতরে ঢুকে সিঁড়ি বা লিফট ধরতে পারছে কিনা তা খেয়াল করতে হবে। ঠিক একইভাবে দেখতে হবে ভেতরের লোকেরা বাইরে বেরতে যেয়ে কোনও বিড়ম্বনায় পড়ছে কি না। বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে প্রায় দেখা যায় জরুরি ডেলিভারিগুলোর কারণে প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বহুতল ভবনে উপরের তলা থেকে ফেলা ময়লা নিচের তলার জানালার সামনে স্তূপ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বনানীর স্টার কাবাবের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সিড়ির প্রশস্ততা ও পর্যাপ্ততা
কোনও আবাসিক ভবন যদি ৬ তলার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী সেখানে চলাচলের জন্য দু’টি সিঁড়ি থাকতে হবে। একটি সবসময় চলাচলের জন্য, আর অন্যটি জরুরি অবস্থায় নিরাপদ দূরত্বে সরে পড়ার জন্য। সেজন্য একে বলা হয় জরুরি বহির্গমন পথ।
তবে যেগুলো বাণিজ্যিক ভবন, সেখানে লোকসংখ্যার ভিত্তিতে সিঁড়ির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এক তলা বাণিজ্যিক বিল্ডিং-এর জন্যও লোকসংখ্যা ৩০০-এর মধ্যে হলে, সেখানে সিঁড়ি দিতে হবে প্রতি ২৩ মিটার পরপর।
প্রশস্ত প্রবেশদ্বার
শপিং মল, রেস্তোরাঁ, বা হাসপাতালের মত ভবনগুলো প্রায় সব সময়ই অধিক লোক সমাগম থাকে। এগুলোর ঢোকার জায়গা বা প্রধান ফটক তিন মিটারের (প্রায় ১০ ফুট) বেশি হতে হবে। অন্যথায় সংকীর্ণ প্রবেশপথের অতিকায় স্থাপনায় প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
জরুরি বহির্গমন পথ এবং ফায়ার এক্সিট লাইট
একটি ভবনে প্রশস্ত প্রবেশপথ যতটা প্রয়োজন তার থেকেও বেশি প্রয়োজন জরুরি বহির্গমন পথ। এ পথে দুর্ঘটনার সময় আত্মরক্ষার জন্য দ্রুত বের হওয়া যায়। এর আরও একটি নাম আছে, আর তা হচ্ছে অগ্নি নির্গমন পথ।
আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য যে কোনও ভবনের প্রতি তলায় এই পথ থাকা জরুরি। এগুলোর নির্দেশকগুলো স্পষ্ট এবং সহজে দেখা যায় এমন জায়গায় থাকতে হয়। এই সিঁড়ি পথে বিদ্যুৎ বিভ্রাটেও আলো দেয়ার জন্য লাইটের ব্যবস্থা রাখা হয়, যাকে বলা হয় ফায়ার এক্সিট লাইট।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
পর্যাপ্ত অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রাদি
বিএনবিসি (জাতীয় বিল্ডিং কোড) বিধি অনুযায়ী, ৭ তলার চেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার ডিটেক্টর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম, স্মোক ডিটেক্টর, এবং ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকা বাধ্যতামূলক।
ধোয়া ও ফায়ার অ্যালার্ম
এই সতর্ক করা ডিভাইসগুলো অগ্নি নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক। কোথাও ধোঁয়া বা আগুন ধরে গেলে এগুলো সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বেজে উঠে। এতে করে ভবনের প্রত্যেক তলার বাসিন্দারা সতর্ক হয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসতে পারে।
ত্রুটিহীন ফায়ার এক্সটিংগুইশার
এই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রটিতে উচ্চচাপে তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড সংরক্ষিত থাকে। আগুন নেভানোর সময় স্প্রে করার মাধ্যমে এই কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
আগুন লাগার সাথে সাথেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করলে আগুনকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে ভবনটিতে এই যন্ত্র শুধু থাকলেই হবে না, দেখতে হবে তা ঠিক কোন জায়গায় কিভাবে রাখা আছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসরুমের মত হালকা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রতি ৭৫ ফুটে একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকাটা যথেষ্ট।
তবে যে ভবনে রেস্তোরাঁ বেশি, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই দুইয়ের অধিক রান্নাঘর থাকে। সেই সাথে থাকে চর্বি এবং তেলের মত দাহ্য বস্তু থেকে প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপাদনের সম্ভাবনা। তাই এই জায়গাগুলোর প্রতি ৩০ ফুটে একটি করে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বসানো উচিত। এগুলোর উপস্থিতির জন্য হলুদ-লাল রঙ দিয়ে জেব্রা ক্রসিং চিহ্ন খুঁজতে হবে।
সম্ভব হলে সেগুলো ত্রুটিহীন অবস্থায় আছে কি না তাও নিশ্চিত হয়ে নেওয়া যেতে পারে। কেননা ত্রুটিপূর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্প্রে করার সময় বিস্ফারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। খালি চোখে চটজলদি দেখে নেওয়া যেতে পারে এগুলোর সিলিন্ডারের গায়ে কোন ক্ষয় বা ফাটল আছে কিনা। এছাড়া হোস পাইপটির দিকে সুক্ষ দৃষ্টি দিলে চিড় বা লিক চোখে পড়তে পারে।
দেয়াল থেকে বৈদ্যুতিক তার বেরিয়ে থাকা
বর্তমানে প্রায় সব ভবনেই বৈদ্যুতিক কেবল ও তারগুলো দেয়ালের ভেতরে মোটা পাইপ দিয়ে টানা হয়। এগুলোকে বলা হয় ডাক্ট লাইন। অনেক ভবনে দেয়ালে অযাচিত ছোট ছোট গর্তে ক্যাবলগুলো উন্মুক্ত দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় দেয়ালের গর্ত বা ফুটো থেকে বেরিয়ে থাকা ছেঁড়া তার। এই ক্যাবল হোল বা গর্ত দিয়ে ধোঁয়া এবং আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা ভবনে। তাছাড়া তারগুলো কোনোভাবে শরীরের সংস্পর্শে আসাটাও বিপজ্জনক।
আরও পড়ুন: অগ্নি দুর্ঘটনা নিরসনে জাতীয় বিল্ডিং কোড ও ফায়ার কোডের যথাযথ প্রয়োগ কেন জরুরি
সিলিন্ডার রাখার জায়গা
অগ্নিকাণ্ডের খুব স্বাভাবিক কারণগুলোর একটি হচ্ছে সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগা। তাই ঘরে বা রান্নাঘরে না রেখে ভবনের নিচে সব সিলিন্ডার একসঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। একই কাজ করা যায় বাণিজ্যিক ভবনগুলোতেও। তবে সেই জায়গাটি এমন হতে হবে যেন বাতাসের চলাচলে কোনও প্রতিবন্ধকতা না থাকে। তাহলে সিলিন্ডার লিক হলেও নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণের কারণ হতে পারবে না।
জায়গাটি পরিদর্শনের সময় খেয়াল করতে হবে প্রতিটি সিলিন্ডার গ্রিলের খাঁচা দিয়ে আবদ্ধ করা আছে কিনা। একটু সন্ধানী দৃষ্টি দিলে আশেপাশে কোনও বিদ্যুতের লাইন বা দাহ্য পদার্থ আছে কিনা তাও চোখে পড়ে যেতে পারে।
ভবনের ভেতরে উপযুক্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা
যে কোনও স্থাপনা নির্মাণের সময় নকশার গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত থাকে উপযুক্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।
ভেন্টিলেশন বলতে ভবনের ভেতরে বাতাসের অবাধ চলাচলকে বোঝানো হয়। এর উপর সামগ্রিকভাবে ভেতরের তাপমাত্রা নির্ভরশীল।
ফ্লোরগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর সময় দুর্গন্ধ এলে বা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ অনুভূত হলে বুঝতে হবে ভেন্টিলেশন অবস্থা ভালো নয়। বিল্ডিংয়ে পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের অভাব হলে আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ঘরের ভেতরে আদর্শ আর্দ্রতার মাত্রা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে। এই সীমার বাইরে যাওয়া মানেই ঘরটি বাসযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
এছাড়া ঘরের দেয়াল ও ছাতে অত্যধিক ধূলিকণা জমতে দেখা যাবে। এটি মূলত বাইরের গাড়ির নির্গমন, ধূলাবালি, বর্জ্য, এমনকি সুগন্ধি থেকেও হতে পারে। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা উপযুক্ত না হওয়ায় দূষকগুলো ভেতরে এসে ঠিকভাবে বাইরে বেরুতে পারছে না।
ভবনের ডিজাইন ও উদ্দেশ্য পরিবর্তনের রেকর্ড
নির্মাণের সময় প্রাথমিকভাবে আবাসিক ভবন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। এতে করে স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্নহয়। কেননা বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ বানানো হলে তা পূর্বের গ্যাসের লাইন ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। এরপর আবার দৃষ্টিনন্দনের জন্য কাঁচ বসালে ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যা অগ্নি-নিরাপত্তার অন্তরায়। তাই ভবনে প্রবেশের আগে নিরাপত্তার স্বার্থে তার অতীতের রেকর্ড জেনে নেওয়া উত্তম।
ভবন ব্যবহারের অনুমোদনপত্র এবং হালনাগাদকৃত ফায়ার লাইসেন্স
কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ভবনের প্রতিটি নিরাপত্তার খুঁটিনাটি যাচাই করা জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত দুষ্কর। তবে সাধারণ ভোক্তা শ্রেণির জন্য রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রদত্ত ভবন ব্যবহারের সনদ দেখাটাই শ্রেয়। এর পাশাপাশি প্রতি বছর নবায়ন করা ফায়ার লাইসেন্সটিও দেখতে হবে। এই দু’টি নথি প্রদর্শনে অস্বীকৃতি জানালে বা দেখাতে ব্যর্থ হলে, সেই ভবন নিশ্চিন্তে এড়িয়ে চলা যেতে পারে।
শেষাংশ
পরিশেষে, রেস্তোরাঁ কিংবা শপিং মলে দুর্ঘটনা এড়াতে উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো যাচাই করা বর্তমান প্রেক্ষাপটের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ। সিঁড়ি, প্রবেশ ও জরুরি বহির্গমন পথ, উন্মুক্ত বৈদ্যুতিক তার, এবং সিলিন্ডার পরিদর্শন তাৎক্ষণিকভাবে ভবন সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পারে। তবে এই সময় সাপেক্ষ ও জটিল কাজটির বিপরীতে সর্বাধিক সহজসাধ্য আইনগত নথি যাচাই। ইতিবাচক দিক থেকে ভবন ব্যবহারের সনদ প্রদর্শন কোম্পানির ব্র্যান্ডিংয়ের সহায়ক হতে পারে। কেননা ভোক্তা সেখানেই যাবেন, যেখানে তার জীবনের নিরপত্তা আছে।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
৮ মাস আগে
আবাসিক ভবনের রেস্তোরাঁ বন্ধের দাবিতে রিট
বেইলি রোডসহ ঢাকার আবাসিক ভবনের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
এদিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আরেকটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি করা হয়।
রিটে গণপূর্ত সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইল রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। যাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, ভবনের প্রথম তলায় চায়ের চুমুক নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র এক মাস আগে ভবনটির নিচ তলায় এ রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
৮ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ল রেস্তোরাঁ
কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে একটি রেস্তোরাঁসহ দুটি দোকান।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এন এস রোডের বাটারফ্লাই মোড়ে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এসময় আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশে থাকা আরও দুইটি দোকান পুড়ে যায়। তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
মাসুদ রানা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হঠাৎ কালো ধোঁয়া দেখতে পাই। এরপর দেখি রেস্তোরাঁর ভেতর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুষ্টিয়ার ওয়্যার হাউস ইনস্পেক্টর আব্দুস সালাম জানান, বিকালে কাবাব স্টেশন নামের একটি রেস্তোরাঁর চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এসময় আগুনের তাপে পাশে থাকা বড় গ্যাস সিলিন্ডার পাইপ ফুটো হয়ে গ্যাস বের হলে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুনে কাবাব স্টেশন ছাড়াও জুস ওয়ার্ল্ড ও খানাপিনা নামের আরও দুইটি দোকান পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জুস ওয়ার্ল্ডের মালিক মো. তানিম বলেন, কয়েক মাস আগেই বিভিন্ন ফল দিয়ে বানানো জুসের দোকানে নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলাম। সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমার পাঁচ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন
৯ মাস আগে
ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
যখন খাবারের সঙ্গে যুক্ত হয় মুখরোচক শব্দের, তখন শুধু ক্ষুধা নিবারণই সেখানে একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। পেটচুক্তির স্বতঃস্ফূর্ত প্রশ্রয়ে কোনো রকম ভণিতা ছাড়াই উন্মোচিত হয় বিনোদনের প্রবারণা। আর এখানেই ভোজন রসিক শব্দের সার্থকতা। খাবারের চিত্তাকর্ষক সংগ্রহশালা উদ্দীপনার সঙ্গে সঙ্গে জিভেও যেন জোয়ার তোলে। আর সেটাকে জলচ্ছাসে রূপ দিতেই যেন বুফের বিকাশ, যা এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভোজন পদ্ধতি। বিশেষ করে রাজধানীর ধানমন্ডি রীতিমত বুফে পাড়ায় পরিণত হয়েছে। আজ দেখে নেবো ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত সেরা কিছু বুফে রেস্তোরাঁ।
ধানমন্ডিতে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে বুফে রেস্তোরাঁ
টেস্ট ব্লাস্ট
বুফে প্যাকেজগুলো বেশ নাগালের মধ্যে থাকায় বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে এই টেস্ট ব্লাস্ট। তাদের দুপুরের ৫৫০ টাকার প্যাকেজে আইটেম আছে ৫৫+। আর রাতের ৬৫+ আইটেমের জন্য খরচ করতে হবে ৬০০ টাকা। ৩ থেকে ৬ বছরের বাচ্চাদের জন্য এই খরচটা অর্ধেক হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
রেস্তোরাঁটির অবস্থান সাতমসজিদ রোডের ধানমন্ডি ৯/এ, ৭৩৬ র্যাংগ্স কেবি স্কয়ারের লেভেল ১০-এ।
দুপুরের বুফের জন্য নির্ধারিত সময় দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। আর রাতের পর্ব সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। আগে থেকে যোগাযোগের জন্য ফোন দেয়া যেতে পারে। বিস্তারিত মেনুর জন্য ঘুরে আসুন তাদের ফেসবুক পেজটি।
জেনিয়াল বুফে
টেস্ট ব্লাস্টের মাত্র দুই লেভেল নিচেই এই রেস্তোরাঁটি জন্মদিনসহ বিভিন্ন ছোট ছোট পার্টির জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর পেছনে মূল কারণ সাশ্রয়ী বুফে প্যাকেজ। ৭০+ আইটেমে জন্য দুপুর-রাতে উভয় বুফের দাম ৫৯৯ টাকা। ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুদের জন্য এই মূল্য থেকে আরও ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেয়া হয়।
রেস্তোরাঁর অতিথি ধারণ ক্ষমতা ১৩০+, তাই আগে থেকেই নিজের আসনটি রিজার্ভ করে নিতে হবে। দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৪ টা বরাদ্দ মধ্যাহ্নভোজের জন্য। আর নৈশভোজ চলে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। যাওয়ার আগে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে মেনুগুলো দেখে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০ কফি
১ বছর আগে
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় এক কর্মচারীকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি
নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মচারী শনিবার এক অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হন। সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
‘বৈশাখী রেস্তোরাঁ’র ভেতর থেকে নজরদারি করা ভিডিওতে কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত রেস্তোরাঁটিতে শিশুসহ লোকজনকে দেখা যায়, যারা খাবারের জন্য বসে অপেক্ষা করছিলেন। একজন বন্দুকধারী গুলি চালানোর পর তারা রেস্তোরাঁ থেকে ছুটে পালিয়ে যান।
রেস্তোরাঁর মালিক আবু তাহের সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমাদের রেস্তোরাঁর ভেতরে অনেক গ্রাহক ছিল। প্রথমবার গুলি ছোঁড়ার পর সে কিছুটা সরে যায়, তারপর সে আমার কাউন্টারের পেছনে গিয়ে আমার একজন কর্মচারীকে গুলি করে।’
তাহেরের মতে, মাস্ক ও লাল হুডযুক্ত সোয়েটশার্ট পরা বন্দুকধারী তিনটি গুলি ছুঁড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (হামলাকারী) কিছু বলেননি, এসে শুধু গুলি করে পালিয়ে যান।’
তার ছোঁড়া তিনটি গুলির মধ্যে একটি রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীর উরুর উপরের অংশে লাগে।
পুলিশ বলছে, বন্দুকধারী দৌঁড়ে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে সুপারমার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১০
যদিও হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে, তবে সূত্র জানায়, এই সপ্তাহের শুরুতে ওই বন্দুকধারী দোকানের একজন কর্মচারীর সঙ্গে তর্ক করেছিল।
অন্যদিকে, ভাঙা কাঁচ, বুলেটের ছিদ্র এবং অর্ধ-খাওয়া খাবার ফেলে পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর জন্য একটি ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটি ওই রেস্তোরাঁর মালিকের ব্যবসাতেও প্রভাব ফেলবে।
তাহের সিবিএসকে বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভীত। আপনারা জানেন, আমার ব্যবসাটি খুব ছোট।’
তিনি আরও বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে একটি ছোট ব্যবসা চালাতে আমি সত্যিই ভয় পাই। আসলে এটি (নিউইয়র্ক সিটি) নিরাপদ নয়। আমরা নিরাপদ নই। আমাদের জীবন নিরাপদ নয়।’
বৈশাখী রেস্তোরাঁ ৩৬নং এভিনিউ ও ২৯নং স্ট্রিটের পাশের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত। এর আগে সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবারের জন্য দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এটির সম্পর্কে ফিচার প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে সেবামূলক পরিষেবার জন্য রেস্তোরাঁটি ‘স্পেশাল কংগ্রেসনাল রিকগনিশন’ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে রেলস্টেশনে ৫ জন গুলিবিদ্ধ
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
১ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষে একটি রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বরপা বাসস্ট্যান্ডে প্রিন্স রেস্তোরাঁর সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত বিল্লাল হোসেন (৪৫) প্রিন্স রেস্তোরাঁর বাবুর্চি।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রিন্স রেস্তোরাঁয় ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড যুবলীগের কথিত নেতা বাইজিদ-এর ওপর হামলা চালাতে তাকে লক্ষ করে গুলি করে। বাইজিদ দৌড়ে রেস্তোরাঁর পেছনের দিকে চলে যায়। তখনই বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হয়।
আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল হয়ে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
রেস্তোরাঁ মালিক নাদিম সাউথসহ সহকর্মীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৩০মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হোটেলে প্রবেশ করে এক যুবককে লক্ষ করে গুলি করে। এতে আমাদের রেস্তোরাঁর বাবুর্চি বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, গুলিবিদ্ধ আহত বিল্লাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে
বনানীর স্টার কাবাবের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বনানীর স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় শুক্রবার সন্ধ্যায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বনানীর ১৭ নম্বর রোডের রেস্তোরাঁয় সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটের দিকে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন:খুলনায় মার্কেটে আগুন, ১৬টি দোকান পুড়ে গেছে
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ২০ মিনিটের চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট রাত ৮টা ১৮ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে আগুনে পুড়েছে ২১ দোকান
খুলনার রূপসা ইউসেপ স্কুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ বছর আগে
নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ৮ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার দাবি
নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৬-৮ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার দাবি জানিয়েছে উইমেন এন্টারপ্রিনেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)।
বুধবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে ওয়েবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
নারীবান্ধব করনীতি প্রণয়ন করার ওপর জোর দিয়ে ওয়েব বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট ও কর মওকুফ করা হয়েছে, যা এক কোটি টাকা করা প্রয়োজন। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ব্যবসা শুরু থেকে ৬-৮ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা রাখা হলে উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন।এছাড়া এম এস এম ই ও এস এম ই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কমপক্ষে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা করা প্রয়োজন।
বক্তারা বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে বুটিক, বিউটি পার্লার এবং ক্যাটারিং, রেস্তোরাঁ, খাদ্য ও দেশীয় পণ্য ব্যবসা সহ পরিষেবা খাতে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হলে উদ্যোক্তরা উৎসাহিত হবেন। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ওপর আরোপিত আমদানি কর হ্রাস করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন প্রথম আদিবাসী নারী রাজনীতিবিদ
ওয়েব’র বাজেট বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার প্রভাব মোকাবেলায় নারী উদ্যোক্তাদের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ করা হলে এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি ও নবায়ন ফি ৫০ শতাংশ হ্রাস করা হলে নারী উদ্যোক্তারা কোভিডের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকার বাইরের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন মার্কেটিং, অনলাইন প্রোডাক্ট প্রমোশন ও অনলাইনে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা ও ইন্সুরেন্স এর ব্যবস্থা করা হলে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছে ওয়েব।
বিবৃতিতে বলা হয়, এস এম ই খাতের উন্নয়নে জামানত ছাড়া ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন না। এ ব্যপারে সরকারকে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
নারী উদ্যোক্তারা যাতে কম সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন, সে জন্য সুদহার কমানোর দাবি করেছে সংস্থাটি।
সংস্থাটির দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, রপ্তানী খাতের সঙ্গে জড়িত নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রনোদনার ব্যবস্থা করা, আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ওপর আরোপিত আমদানি কর হ্রাস করা, দরিদ্র নারী ও বিধবাদের জন্য বয়স্ক ভাতা বাড়ানো, ইন্টারনেটে নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধ করার জন্য নারীদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া, ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহন এবং স্টার্টআপ বিজনেস খাতে বাজেটে বরাদ্দ প্রদান।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম নারী অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সে প্রথম নারী প্রধান
২ বছর আগে