ক্ষমা
নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত নীতিমালা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহসীন কবীর রকি।
এর আগে আদালতের রায়ে চূড়ান্তভাবে দণ্ডিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগের ক্ষমা প্রদর্শনের একচ্ছত্র ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপারিশ করে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এজন্য একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা ও সেই বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে ক্ষমা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সুপারিশে বলা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি সংস্কার কমিশন ওই সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাখিল করা হয়। এরপর গত ২০ জানুয়ারি কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা করার আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে, সাধারণ জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা ও হতাশাগ্রস্ত হয়। এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে, নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক।’
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কে, কীসের ভিত্তিতে ক্ষমা পাচ্ছেন কোনো নীতিমালা নেই। যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ক্ষমা পেয়েছেন। যার মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকির অন্যতম।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়। আজ (সোমবার) ওই রিটের শুনানি করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
১৯ দিন আগে
গাজীপুরে হামলার ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার, ক্ষমা চাইলেন পুলিশ কমিশনার
গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান। একই সঙ্গে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষমা চান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি, একই সঙ্গে ব্যর্থতা স্বীকার করছি।’
‘হামলাকারী কাউকে ছাড়া হবে না, প্রতিটি হামলার জবাব দেওয়া হবে। এছাড়া যেসব পুলিশ সদস্য রেসপন্স করতে দেরি করেছেন, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি শুনেছি, আমার ওসি দুই ঘণ্টা পর আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আমি এখানে দাঁড়িয়ে বললাম, তাকে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করব। আমি বলতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে, তাদের পুলিশে চাকরি করতে দেওয়া যাবে না।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে যারা অত্যাচার করেছে, দেশের ওপর জুলুম করেছে, তারা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে। কিন্তু তাদের কোনো মাথাচাড়া বরদাশত করা হবে না। ইতোমধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রাতে চিরুনি অভিযান চালানো হবে। ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদ দমনে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করা হবে।”
আরও পড়ুন: আজ থেকে গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
৪১ দিন আগে
ক্ষমা চেয়ে টিএসসিতে 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার ছিঁড়লেন মেহজাবিন
আগামীকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত 'প্রিয় মালতি' সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে ছোট পর্দার অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীর।
এই অভিনেত্রী ও পুরো টিম যখন সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত, তখন বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর পোস্টার লাগানো নিয়ে হঠাৎ বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
২০১৬ সালের মার্চে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী এবং ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পোস্টার লাগানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠলে অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় টিএসসিতে গিয়ে সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর লাগানো পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলেন মেহজাবিন।
এর আগে সিনেমার প্রচারের জন্য টিএসসিতে গিয়ে নিজ হাতে বিভিন্ন দেয়ালে 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার লাগিয়ে দেন এই অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মেহজাবিনকে তনুর গ্রাফিতি আঁকা দেয়ালে পোস্টার লাগাতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের ঢাকা কনসার্টের টিকেট কিনবেন যেভাবে
বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রী সমালোচনার মুখে পড়েন এবং নেটিজেনদের কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, তার মতো একজন তারকা কীভাবে তনু বা জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতিতে পোস্টার লাগিয়ে নিজের সিনেমার প্রচার করতে পারেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবিনকে নেটিজেনদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা।
রিফাত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মেহজাবিন আমার শহীদ বোন তনুকে চেনে না? দেয়ালচিত্রের উপর পোস্টার লাগানোর সাহস হয় কী করে? টিএসসিতে এই পোস্টার আমরা ছিঁড়ব না, মেহজাবিন চৌধুরী। আপনারা নিজেরাই এসে এই পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলবেন।’
এর কিছুক্ষণ পর মেহজাবিন টিএসসিতে হাজির হয়ে নিজ হাতে সরিয়ে ফেলেন তার প্রথম চলচ্চিত্র 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার। বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
ওই পোস্টে মেহজাবিন লেখেন, 'প্রিয় মালতি' ছবির প্রচারণার জন্য আমাদের দল আজ (১৮ ডিসেম্বর) টিএসসিতে গিয়েছিল। ছবিটির প্রচারে অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে প্রচারটি দ্রুত শেষ করতে হয়েছিল। প্রয়াত সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর ভুল করে ও অনিচ্ছাকৃত একটি পোস্টার লাগানো হয়। তনুর মর্মান্তিক ঘটনার কথা আমরা সবাই জানি এবং তার হত্যার বিচারের জন্য লড়াই এখনও চলছে।’
তিনি আরও বলেন, 'পোস্টার নিয়ে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত, ভুল। আমরা তৎক্ষণাৎ পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলি এবং এক মিনিটের নীরবতাও পালন করি। আশা করি আমাদের অনিচ্ছাকৃত অব্যবস্থাপনা ক্ষমা করে দেবেন।’
তবে অনেক নেটারিক এই ঘটনাকে নেতিবাচক প্রচার এবং বিপণন কৌশল বলে অভিহিত করেছেন। ঘটনাটিকে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
'প্রিয় মালতি' ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী। সামাজিক সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা নিম্ন-মধ্যবিত্ত নারীর চরিত্র মালতি রানী দাস। প্রাথমিকভাবে টেলিভিশন এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারের পরে চলচ্চিত্রটি তার প্রথম বড় পর্দায় উপস্থিতি।
২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাওয়া 'প্রিয় মালতি' সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে 'ইউ' রেটিং (সব বয়সের দর্শকদের জন্য উপযুক্ত) পেয়েছে এবং এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন উৎসব থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির সহযোগিতায় ফ্রেম পার সেকেন্ড প্রযোজিত এই ছবির লেখক ও পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্তের ফিচার ফিল্ম।
আরও পড়ুন: কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
৯৩ দিন আগে
ক্ষমা পেয়ে আরব আমিরাত থেকে ফিরলেন আরও ২৬ বাংলাদেশি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
ইন্ডিগো এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে এই ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফেরেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে এই ২৬ বাংলাদেশিকে পরিবহন খরচসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি
তিনি বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও ব্র্যাক এই প্রবাসীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরেকত্রীকরণে কাজ করবে।
এজন্য তাদের চাহিদা নিরূপণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী মনো-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করা হবে বলে জানান শরিফুল হাসান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় গত জুলাই মাসে ৫৭ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার ও শাস্তি পান।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে ৫৭ বাংলাদেশির ক্ষমার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ৩১ জন তিন দফায় দেশে ফিরে আসেন। বাকি ২৬ জন শুক্রবার ফিরলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি
১৮৯ দিন আগে
কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ইউনূসের: নির্বাচন পরবর্তী সভায় প্রধানমন্ত্রী
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমা করা তার কাজ নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে বিজয় উদযাপনের সময় ড. ইউনূসকে ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে এখানে তার কিছু করার নেই।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং নিজের কর্মচারীদের বঞ্চিত করেছেন। সেসব কর্মচারীরাই শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ‘এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। তিনি যাদের বঞ্চিত করেছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’
কোনো বিরোধী দল ছাড়াই বাংলাদেশকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন কি না- বিবিসির এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
ওই সাংবাদিক আরও উল্লেখ করেন, রবিবারের নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নির্দিষ্ট দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, 'জনগণ অংশ নিয়েছে কি না- তা বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, 'দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং তারা জনগণকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়। এটা ছাড়া গণতন্ত্রের অন্য কোনো সংজ্ঞা আছে কি না তা জানেন না।
সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক দলকে সংজ্ঞায়িত করেন। তিনি বলেন, 'তারা একটি সন্ত্রাসী দল।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী, গোল্ডা মেইর, মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের মতো মহান নারী নেতাদের সঙ্গে তার তুলনা হোক তা তিনি চান না।
তিনি বলেন, 'তারা মহান নারী ছিলেন। আমি একজন সহজ-সরল মানুষ।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করার সময় তিনি নিজেকে নারী বা পুরুষ মনে করেন না।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা এক মার্কিন নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশের সঙ্গে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সুতরাং, আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। এটা এখন আপনার এবং আপনার সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’, তাই বাংলাদেশের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতকে বাংলাদেশের মহান বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ (২০২৬ সাল থেকে) হিসেবে উন্নীত করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা, দারিদ্র্য বিমোচন, চরম দারিদ্র্য বিমোচন, দেশকে গৃহহীনমুক্ত করা। সর্বোপরি দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা এবং দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য।’
৪৩৮ দিন আগে
সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তানজিন তিশা
অভিনেত্রী তানজিন তিশার অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে গুঞ্জন হিসেবে উল্লেখ ছিল তার আত্মহত্যার চেষ্টা।
এ নিয়ে চটেছিলেন তানজিন তিশা। এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যেখানে সাংবাদিকদের প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
অবশেষে এসব নিয়ে ক্ষমা চাইলেন এই তারকা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নতুন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষমা চাইলেন তিনি।
তিশা লেখেন, 'বিগত কয়েকদিনের অসুস্থতা এবং আমার পারসোনাল লাইফ নিয়ে নানান ভিত্তিহীন কথা ও সংবাদ এবং পরিচিত-অপরিচিত বিভিন্ন ফোন কলে আমি অনেকটাই মেন্টালি পাজলড ছিলাম। এমন সময়ে এক সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলে ফেলি যা আসলে ইনটেনশনালি ছিল না।'
আরও পড়ুন: আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে মিডিয়ার কিছু মানুষ: তানজিন তিশা
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিশা লেখেন, 'সাংবাদিক ভাইদের আমি বলতে চাই, আমার সফলতার একটা অংশজুড়ে আপনারাও আছেন এবং আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সন্মান সমসময়ই ছিল ও থাকবে। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কথায় আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।'
তিশা আরও লেখেন, 'সবার উদ্দেশে আমার একটাই কথা আপনারা আমাকে আমার কাজ ও আপনাদের ভালোবাসায় এতদূর এনেছেন এবং ভবিষ্যতেও কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে আমার কাজ ও আমাকে ভালোবেসে যাবেন। আপনাদের সবার দোয়াতে আমাকে রাখবেন।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তিশা, আত্মহত্যাচেষ্টার গুঞ্জন
৪৯০ দিন আগে
কারার ওই লৌহ কপাট বিতর্ক: অবশেষে ক্ষমা চাইলো টিম ‘পিপ্পা’
এদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটিকে নতুনভাবে সুর করে সম্প্রতি তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতজ্ঞ এআর রহমান।
গানটি ব্যবহৃত হয় সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া হিন্দি সিনেমা ‘পিপ্পা’-এ।
গানটির নতুন সুর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই বাংলার অসংখ্য তারকা ও সাধারণ মানুষ। অবশেষে এ নিয়ে অফিশিয়াল বক্তব্য দিল সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রায় কাপুর ফিল্মস’।
আরও পড়ুন: টাইম ফ্লাইস: ফ্রিদা কাহলো চরিত্রে আসছেন অ্যাডল্ফ খান
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্ট করে ‘রায় কাপুর ফিল্মস’।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রযোজক, পরিচালক ও সংগীত পরিচালক হিসেবে আমরা কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের থেকে প্রয়োজনীয় স্বত্ব নিয়ে শিল্পের খাতিরে গানটি তৈরি করেছি। নজরুল ইসলাম ও তার সৃষ্টির প্রতি আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। ’
এতে আরও বলা হয়, ‘উপমহাদেশের সংগীত, রাজনীতি ও সামাজিক পরিমণ্ডলে তার যে অবদান, সেটা অসামান্য। এই অ্যালবামটি বাংলাদেশের ওই সব নারী ও পুরুষের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে, যারা স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
৪৯৪ দিন আগে
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করল আওয়ামী লীগ
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে তাকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের আদর্শ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার শর্তে ক্ষমা চাওয়া আবেদনকারীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।
দলীয় নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকেও (জাহাঙ্গীর আলম) ক্ষমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার পঞ্চগড়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
এতে বলা হয়, তবে ভবিষ্যতে মতাদর্শবিরোধী বা সংগঠনবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
৫১৭ দিন আগে
‘আমার মা-ই তো একজন নারী, আমি নারীবিদ্বেষী হতে পারি না’
ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের পুরানো কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের তীব্র সমালোচনায় ক্ষমা চেয়ে দাবি করেছেন যে তিনি নারীবিদ্বেষী নন।
ডানহাতি পেসার তানজিম সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে অভিষেক করেন এবং এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুছে ফেলা এক পোস্টে তানজিম বলেন, যদি কোনো নারী বাইরে কাজ করেন, তাহলে তিনি তার স্বামী ও সন্তানদের ‘হক’ আদায় করতে পারেন না। অন্য একটি পোস্টে (যা বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে না) তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে ভার্সিটির ফ্রি-মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানের জন্য একজন ‘লজ্জাশীলা’ মা দিতে পারবেন না।
উভয় পোস্টই নারীদের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর কুসংস্কারপূর্ণ প্রকৃতির কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড সিরিজের অনলাইন টিকিট কিভাবে কিনবেন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা তানজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি বিষয়গুলো সম্পর্কে পোস্ট করার কথা স্বীকার করেছেন, তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে কাউকে অপমান করা কখনই তার উদ্দেশ্য ছিল না।’
জালাল আরও উল্লেখ করেন যে তানজিম জোর দিয়ে বলেন, তিনি নারীদের প্রতি কোনো অসম্মান পোষণ করেন না, তার মাও একজন নারী এবং তিনি ‘নারীবিদ্বেষী হতে পারেন না’।
জালাল বলেন, ‘বিতর্ক সৃষ্টিকারী পোস্টগুলো সম্পর্কে আমরা তাকে সতর্ক করেছি। আমরা তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছি, কারণ এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে তার আচরণ বোর্ড কর্তৃক পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকতে পারে।’
তানজিম বোর্ডের মাধ্যমে পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
জালাল বলেন, ‘তানজিম সাকিবের পরিবারও তার পোস্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন। সে একজন তরুণ খেলোয়াড় এবং এ কারণেই আমরা তাকে সতর্ক করা প্রয়োজন বলে মনে করেছি।’
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের শিরোপা জিততে ভারতের প্রয়োজন ৫১ রান
এশিয়া কাপ ফাইনাল: শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয়ী ভারত
৫৪৯ দিন আগে
আপিল বিভাগে মেয়র জাহাঙ্গীরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তবে, এদিন আদালত মেয়রকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেননি। তার বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুলের শুনানির জন্য আগামী ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে কোর্টে ফের হাজির হতে হবে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট আপিল বিভাগ তাকে তলব করে।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করেন। নোটিশে বিচারপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করায় কেন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চার আইনজীবীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ওই আদেশ দেন।
আবেদনকারী চার আইনজীবী হলেন- হারুন অর রশীদ, মাহফুজুর রহমান রোমান, মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান শাওন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেলে জাহাঙ্গীর আলমের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীরা এ আবেদন জমা দেন।
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম থেকে জাহাঙ্গীরের মন্তব্যসহ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন শাহ মঞ্জুরুল হক এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এছাড়া পৌর মেয়রের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জানা গেছে, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি দিনাজপুর পৌরসভার পরপর তিনবারের নির্বাচিত মেয়র।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৫৭৬ দিন আগে