ক্ষমা
কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ইউনূসের: নির্বাচন পরবর্তী সভায় প্রধানমন্ত্রী
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমা করা তার কাজ নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে বিজয় উদযাপনের সময় ড. ইউনূসকে ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে এখানে তার কিছু করার নেই।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং নিজের কর্মচারীদের বঞ্চিত করেছেন। সেসব কর্মচারীরাই শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ‘এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। তিনি যাদের বঞ্চিত করেছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’
কোনো বিরোধী দল ছাড়াই বাংলাদেশকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন কি না- বিবিসির এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
ওই সাংবাদিক আরও উল্লেখ করেন, রবিবারের নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নির্দিষ্ট দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, 'জনগণ অংশ নিয়েছে কি না- তা বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, 'দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং তারা জনগণকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়। এটা ছাড়া গণতন্ত্রের অন্য কোনো সংজ্ঞা আছে কি না তা জানেন না।
সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক দলকে সংজ্ঞায়িত করেন। তিনি বলেন, 'তারা একটি সন্ত্রাসী দল।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী, গোল্ডা মেইর, মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের মতো মহান নারী নেতাদের সঙ্গে তার তুলনা হোক তা তিনি চান না।
তিনি বলেন, 'তারা মহান নারী ছিলেন। আমি একজন সহজ-সরল মানুষ।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করার সময় তিনি নিজেকে নারী বা পুরুষ মনে করেন না।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা এক মার্কিন নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশের সঙ্গে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সুতরাং, আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। এটা এখন আপনার এবং আপনার সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’, তাই বাংলাদেশের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতকে বাংলাদেশের মহান বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ (২০২৬ সাল থেকে) হিসেবে উন্নীত করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা, দারিদ্র্য বিমোচন, চরম দারিদ্র্য বিমোচন, দেশকে গৃহহীনমুক্ত করা। সর্বোপরি দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা এবং দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য।’
সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তানজিন তিশা
অভিনেত্রী তানজিন তিশার অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে গুঞ্জন হিসেবে উল্লেখ ছিল তার আত্মহত্যার চেষ্টা।
এ নিয়ে চটেছিলেন তানজিন তিশা। এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যেখানে সাংবাদিকদের প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
অবশেষে এসব নিয়ে ক্ষমা চাইলেন এই তারকা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নতুন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষমা চাইলেন তিনি।
তিশা লেখেন, 'বিগত কয়েকদিনের অসুস্থতা এবং আমার পারসোনাল লাইফ নিয়ে নানান ভিত্তিহীন কথা ও সংবাদ এবং পরিচিত-অপরিচিত বিভিন্ন ফোন কলে আমি অনেকটাই মেন্টালি পাজলড ছিলাম। এমন সময়ে এক সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলে ফেলি যা আসলে ইনটেনশনালি ছিল না।'
আরও পড়ুন: আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে মিডিয়ার কিছু মানুষ: তানজিন তিশা
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিশা লেখেন, 'সাংবাদিক ভাইদের আমি বলতে চাই, আমার সফলতার একটা অংশজুড়ে আপনারাও আছেন এবং আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সন্মান সমসময়ই ছিল ও থাকবে। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কথায় আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।'
তিশা আরও লেখেন, 'সবার উদ্দেশে আমার একটাই কথা আপনারা আমাকে আমার কাজ ও আপনাদের ভালোবাসায় এতদূর এনেছেন এবং ভবিষ্যতেও কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে আমার কাজ ও আমাকে ভালোবেসে যাবেন। আপনাদের সবার দোয়াতে আমাকে রাখবেন।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তিশা, আত্মহত্যাচেষ্টার গুঞ্জন
কারার ওই লৌহ কপাট বিতর্ক: অবশেষে ক্ষমা চাইলো টিম ‘পিপ্পা’
এদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটিকে নতুনভাবে সুর করে সম্প্রতি তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতজ্ঞ এআর রহমান।
গানটি ব্যবহৃত হয় সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া হিন্দি সিনেমা ‘পিপ্পা’-এ।
গানটির নতুন সুর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই বাংলার অসংখ্য তারকা ও সাধারণ মানুষ। অবশেষে এ নিয়ে অফিশিয়াল বক্তব্য দিল সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রায় কাপুর ফিল্মস’।
আরও পড়ুন: টাইম ফ্লাইস: ফ্রিদা কাহলো চরিত্রে আসছেন অ্যাডল্ফ খান
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্ট করে ‘রায় কাপুর ফিল্মস’।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রযোজক, পরিচালক ও সংগীত পরিচালক হিসেবে আমরা কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের থেকে প্রয়োজনীয় স্বত্ব নিয়ে শিল্পের খাতিরে গানটি তৈরি করেছি। নজরুল ইসলাম ও তার সৃষ্টির প্রতি আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। ’
এতে আরও বলা হয়, ‘উপমহাদেশের সংগীত, রাজনীতি ও সামাজিক পরিমণ্ডলে তার যে অবদান, সেটা অসামান্য। এই অ্যালবামটি বাংলাদেশের ওই সব নারী ও পুরুষের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে, যারা স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করল আওয়ামী লীগ
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে তাকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের আদর্শ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার শর্তে ক্ষমা চাওয়া আবেদনকারীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।
দলীয় নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকেও (জাহাঙ্গীর আলম) ক্ষমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার পঞ্চগড়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
এতে বলা হয়, তবে ভবিষ্যতে মতাদর্শবিরোধী বা সংগঠনবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
‘আমার মা-ই তো একজন নারী, আমি নারীবিদ্বেষী হতে পারি না’
ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের পুরানো কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের তীব্র সমালোচনায় ক্ষমা চেয়ে দাবি করেছেন যে তিনি নারীবিদ্বেষী নন।
ডানহাতি পেসার তানজিম সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে অভিষেক করেন এবং এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুছে ফেলা এক পোস্টে তানজিম বলেন, যদি কোনো নারী বাইরে কাজ করেন, তাহলে তিনি তার স্বামী ও সন্তানদের ‘হক’ আদায় করতে পারেন না। অন্য একটি পোস্টে (যা বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে না) তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে ভার্সিটির ফ্রি-মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানের জন্য একজন ‘লজ্জাশীলা’ মা দিতে পারবেন না।
উভয় পোস্টই নারীদের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর কুসংস্কারপূর্ণ প্রকৃতির কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড সিরিজের অনলাইন টিকিট কিভাবে কিনবেন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা তানজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি বিষয়গুলো সম্পর্কে পোস্ট করার কথা স্বীকার করেছেন, তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে কাউকে অপমান করা কখনই তার উদ্দেশ্য ছিল না।’
জালাল আরও উল্লেখ করেন যে তানজিম জোর দিয়ে বলেন, তিনি নারীদের প্রতি কোনো অসম্মান পোষণ করেন না, তার মাও একজন নারী এবং তিনি ‘নারীবিদ্বেষী হতে পারেন না’।
জালাল বলেন, ‘বিতর্ক সৃষ্টিকারী পোস্টগুলো সম্পর্কে আমরা তাকে সতর্ক করেছি। আমরা তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছি, কারণ এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে তার আচরণ বোর্ড কর্তৃক পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকতে পারে।’
তানজিম বোর্ডের মাধ্যমে পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
জালাল বলেন, ‘তানজিম সাকিবের পরিবারও তার পোস্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন। সে একজন তরুণ খেলোয়াড় এবং এ কারণেই আমরা তাকে সতর্ক করা প্রয়োজন বলে মনে করেছি।’
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের শিরোপা জিততে ভারতের প্রয়োজন ৫১ রান
এশিয়া কাপ ফাইনাল: শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয়ী ভারত
আপিল বিভাগে মেয়র জাহাঙ্গীরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তবে, এদিন আদালত মেয়রকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেননি। তার বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুলের শুনানির জন্য আগামী ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে কোর্টে ফের হাজির হতে হবে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট আপিল বিভাগ তাকে তলব করে।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করেন। নোটিশে বিচারপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করায় কেন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চার আইনজীবীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ওই আদেশ দেন।
আবেদনকারী চার আইনজীবী হলেন- হারুন অর রশীদ, মাহফুজুর রহমান রোমান, মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান শাওন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেলে জাহাঙ্গীর আলমের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীরা এ আবেদন জমা দেন।
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম থেকে জাহাঙ্গীরের মন্তব্যসহ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন শাহ মঞ্জুরুল হক এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এছাড়া পৌর মেয়রের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জানা গেছে, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি দিনাজপুর পৌরসভার পরপর তিনবারের নির্বাচিত মেয়র।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
সম্পর্ক উন্নয়নে ১৯৭১ সালে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পবিত্র হজ পালনের সময় সৌদি আরবের মদিনায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে এ কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
সোমবার (৩ জুলাই) এক টুইটে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে মসজিদে নববীতে একটি আনন্দঘন সাক্ষাৎ হয়েছে। আমার ১২ বছর বয়সে আমাদের শেষ দেখা হয়েছিল। এই সাক্ষাতে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি তাকে বলেছি, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি করতে ১৯৭১ সালে যা ঘটেছিল তার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন। আমরা পবিত্র নগরীতে মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনা করেছি।’
অন্য এক টুইটে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার মক্কা, মিনা ও মদিনায় ‘ভালো আলাপ’ হয়েছে।’
টুইটে সালমান এফ রহমানকে বাল্যবন্ধু হিসেবে অভিহিত করে আরিফ আলভি বলেন, ‘দুই বন্ধুর এই সাক্ষাৎ হয়েছে ৬০ বছর পর।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
ক্ষমা চাইলেন সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তলোয়ার নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে চলমান সংলাপে তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমরা ভুল করি। এর জন্য দুঃখিত। আমি হাস্যরসের জন্য এটা বলেছিলাম। আমি এটা মিন করিনি। দয়া করে এর জন্য আমাকে ক্ষমা করুন।’
রবিবার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে আলোচনার সময় তার বিতর্কিত মন্তব্যের পর সমালোচনার মুখে পড়েন সিইসি।
তিনি বারবার বলেছেন, নির্বাচনে রাইফেল দিয়ে তরবারির জবাব দেয়ার বিষয়ে তার মন্তব্য একটি রসিকতা।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে যে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কখনই এটিকে সিরিয়াসলি বলতে পারেন না। আমি হয়তো কম শিক্ষিত। এমনকি একজন স্বল্প শিক্ষিত ব্যক্তিও এ ধরনের কথা বলতে পারে না। আমি এটা রসিকতা হিসেবে বলেছি।’
আরও পড়ুন: রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর কথা ‘কৌতুক’ ছিল: সিইসি
তিনি আরও বলেন, ‘একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কখনই এটা মিন করতে পারে না। এবং যদি আমি তা করতাম, তাহলে আমি প্রথম দিন থেকেই সবাইকে অস্ত্র সংগ্রহ করতে বলতাম। আপনারা অস্ত্র সংগ্রহ করুন এবং নিজেকে শক্তিশালী করুন। কিন্তু আমি কখনও এটি বলিনি। আমরা প্রায়ই বলি যে ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে, হিউমার যার অর্থ রস বা রসিকতা।’
মঙ্গলবার তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে দৃঢ় মনোবল ও শক্তি নিয়ে মাঠে নামার পরামর্শ দেন।
সিইসি রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্তঃদলীয় সংলাপ করতে বলেন এবং কিছু প্রশ্নে ঐক্যমতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে বলেন; কারণ এটি একটি বড় সমস্যা..
তিনি আরও বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এটি সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। চার নির্বাচন কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সকালে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু দলটি সংলাপে যোগ দেয়নি।
এর আগে বাংলাদেশ মুসলিম লীগও সংলাপে অংশ নেয়নি।
এ পর্যন্ত আট দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে ইসি এবং ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্য ২৯ দলের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকেও রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে: সিইসি
নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
মহানবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে পুরো দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দুজন বিচারপতির বেঞ্চের এক বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, ‘এটি লজ্জাজনক। তার (শর্মার) পুরো দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আবেদনের শুনানি করার সময় হয়েছে।’
বিচারপতি কান্ত বলেন, ‘দেশে যা ঘটছে তার জন্য এই নারী একাই দায়ী।’
আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট: অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা
নূপুর শর্মা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরপরই ভারতের প্রধান বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী সারা দেশে মুসলিম বিরোধী মনোভাব জাগানোর জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারকে দোষারোপ করেছেন।
প্রসঙ্গত, নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে গত মাসে সারা ভারতজুড়ে মুসলমানরা ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে। এর ফলে ভারত ও বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ - সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত এবং কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
গত মাসে বিজেপি তার মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং দলটির দিল্লি মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে পদ থেকে বরখাস্ত করে।
বিজেপি জানায়, শাসক দল ‘সকল ধর্মকে সম্মান করে’।
দলটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বিজেপি এই ধরনের ব্যক্তি বা দর্শনকে প্রচার করে না... এই দল (বিজেপি) কোনো ধর্মের কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অপমানকে দৃঢ়ভাবে নিন্দা করে।’
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ভারতে মুসলমানদের ব্যাপক বিক্ষোভ
ভারতে নবীজিকে নিয়ে মন্তব্য: বাগেরহাটে বিরোধের জেরে হিন্দু বাড়িতে হামলা
খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ফেলে দেয়া উচিত বলে করা মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তিনি দেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় নেত্রী; যিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ।
এসময় তিনি তাকে (খালেদা জিয়াকে)উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য তার দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ফখরুল বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য আসাটা অকল্পনীয়।
তিনি বলেন, ‘কোনও সভ্য দেশের মানুষ এ ধরনের মন্তব্য সহ্য করতে পারে না। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) আপনার মন্তব্যের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলছি।’
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় জনগণ ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু প্যাচওয়ার্ক দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ঠুস করে ফেলে দেয়া উচিত।’
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এমন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, কারণ তিনি এখন তার ক্ষমতার অবসান ঘটতে দেখছেন।
খালেদার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়া এখন খুবই অসুস্থ এবং বিদেশে যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ না দিলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সমাবেশ থেকে আমরা সরকারের কাছে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে এবং সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানাতে চাই।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় চেয়ারপার্সনকে গণতন্ত্রের আন্দোলনে বাধা দিতে তাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রেখেছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
একই বছর তিনি আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫শে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন।
তবে মুক্তির শর্ত ছিল, তিনি (খালেদা জিয়া) তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ রছরড় বাইরে যাবেন না।