কৃষি মন্ত্রণালয়
কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অবসরপ্রাপ্ত) সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ে তার অফিসে সাক্ষাৎ করেন তারা।
সাক্ষাৎকালে খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু, বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, দেশের আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ ও রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত হয়।
শুরুতে কৃষি উপদেষ্টা নরওয়ের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত জলবায়ুজনিত অভিযোজন, শস্যের বহুমুখীকরণ, এক ফসলি জমিতে দুই বা ততোধিক ফসল চাষ ও মৎস্যখাতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহের কথা জানান।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত নাইট্রোজেন সার রপ্তানিতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানালে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, দেশে সারের চাহিদা রয়েছে। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন দেশ থেকে সার আমদানি করছি, নরওয়ে চাইলে জিটুজি বা বেসরকারি খাতের মাধ্যমে সার রপ্তানি করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। এসময় উপদেষ্টা নরওয়েতে কিছু সংখক রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে না, অচিরেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গক্রমে উপদেষ্টা বলেন, কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। বিভিন্ন পদে পুলিশের নিয়োগ চলমান রয়েছে। পুলিশের মনোবল চাঙা করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান আছে। পুলিশের সংস্কারে নরওয়ে সহযোগিতায় আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত জানালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে পুলিশ সংস্কার কমিশনকে বলা হবে তারা যেন এ বিষয়ে যোগাযোগ করে।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশে খাদ্য শস্যের উৎপাদন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শস্য নষ্টের কারণে কিছু কিছু খাদ্যশস্য কেনা হবে।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ জানালে কৃষি উপদেষ্টা তাকে ধন্যবাদ জানান এবং এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় তথা সরকারেরও আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা কৃষি ও মৎস্যখাতে বাংলাদেশ থেকে তরুণ গবেষক নেওয়ার জন্য নরওয়েকে অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয় ও নরওয়ে দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষিজাত পণ্যের জন্য বিশেষ ট্রেন স্থগিত
১ মাস আগে
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ১৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ২৪ জেলার ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
এসব বীজ সরবরাহ করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
৯ মাস আগে
বোরো হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা কৃষি মন্ত্রণালয়ের
চলতি বছর বোরো মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
এ প্রণোদনার আওতায় ১৪ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় দুই কেজি হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে পাবেন।
এর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, বোরোতে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ ১ লাখ ৯২ হাজার হেক্টর বাড়বে এবং হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ৯৫ টন ফলন হিসাবে ৯ লাখ ৫০ হাজার টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হবে।
প্রসেঙ্গত, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫ লাখ কৃষককে হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল। এতে ২ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ বেড়েছিল এবং ৯ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল উৎপাদন বেড়েছিল।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৩৮ শতাংশ, নেত্রকোণায় ৭৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৯, সিলেটে ৩৭, মৌলভীবাজারে ৩৬, হবিগঞ্জে ২৫ ও সুনামগঞ্জে ৪২ শতাংশ ধান কর্তন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর দেশের হাওরভুক্ত সাতটি জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের হাওরে চার লাখ ৫২ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। আর হাওর বাদে চার লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) ৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত হয়েছে, যা মোট আবাদের শতকরা এক ভাগ।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
এদিকে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও বৈরি আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৮০ শতাংশ পাকলেই হাওরের ধান কাটার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া, পাকা ধান দ্রুততার সঙ্গে কাটার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই: কৃষিসচিব
এই মুহূর্তে হাওরে প্রায় এক হাজার ৭০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার ধান কাটছে। যার মধ্যে এক হাজার ১০০ কম্বাইন হারভেস্টার স্থানীয় আর ৩৫০টি কম্বাইন হারভেস্টার বহিরাগত বা অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
২ বছর আগে
করোনাতেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৮ শতাংশ
করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৮ শতাংশ। এ অগ্রগতি জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মোট প্রকল্প ছিল ৮৫টি। প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা বরাদ্দের ৯৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চলমান করোনা মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেও এ সাফল্য অর্জন খুবই সন্তোষজনক। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।’
প্রকল্প পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সবাইকে মন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আগামীতে এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কৃষিতে পড়ছে। অন্যদিকে মানুষ বাড়ছে, নগরায়ন-শিল্পায়নসহ নানা কারণে চাষের জমি কমছে, পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর সাথে যোগ হয়েছে চলমান কোভিডের প্রভাব। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে অত্যন্ত সচেতন ও সাবধানী হতে হবে যাতে করে স্বল্প প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেও কৃষির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ধরে রাখা যায়। চলতি অর্থবছরে যে প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে তার সফল বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে করে দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে মন্ত্রণালয়ের মোট ৮৫টি প্রকল্পের ৯৮% বাস্তবায়ন হয়েছে যা খুবই প্রশংসনীয়। চলমান বছরেও এ সাফল্য ধরে রাখা ও তা আরও এগিয়ে নিতে প্রকল্প পরিচালকদের তিনি তাগাদা প্রদান করেন।
সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো: রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোলসহ ঊর্ধ্বধন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
বাজেট: কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৬৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেছেন, আসছে অর্থবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৬৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। হাওর অঞ্চলে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ডাউন পেমেন্ট কমানোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। যার পুরোটাই কৃষি মন্ত্রণায় খরচ করেছে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, কৃষকের সুবিধার্থে আধুনিক এক মেশিন ১০০ জন কৃষকের কাজ করে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে দিন রাত কাজ করতে বড় মেশিনগুলো দরকার হয়।
শুক্রবার ইআরএফ মিলনায়তনে জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ সামনে রেখে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন’ শীর্ষক সংলাপে অতিরিক্ত সচিব এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ সামনে রেখে কৃষি খাতের গুরুত্ব, সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল টিচার্স সোসাইটি এই সংলাপ অয়োজন করেন।
সংলাপে অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী বলেন, আজকে যে যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে সেটা একটি বিবর্তনের মধ্যেমে এসেছে। একজন কৃষক শুধু কৃষকই নয়। তিনি কখনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কখনও উদ্যোক্তা কিংবা কখনও চাকরিজীবী।
গত ১৫ বছরে কৃষিতে নারীদের অংশগ্রহণ ১১৮ শতাংশ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি কার্যক্রম হচ্ছে একটি সম্মিলিত প্রয়াস। এখানে কৃষিবিদের যেমন অবদান রাখতে হবে তেমন শিক্ষকদের, উদ্ভাবকদের এবং কৃষকদের অবদান রাখতে হবে।
আইসিএবি ও আইসিএমএবি এর সদস্য মো. আমির হোসেন বলেন, কৃষি যন্ত্র কিনতে বর্তমানে হাওর অঞ্চলে সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরও বাকি অর্থের যোগান দেয়া অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। কৃষি যন্ত্র কেনায় কৃষকদের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।
এক্ষেত্রে কৃষক ও কৃষি যন্ত্র নিবন্ধনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তাহলে যন্ত্র বন্ধক রেখ কৃষকরা সহজেই ঋণ নিতে পারবে।
কৃষি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. সদরুল আমিন বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি ববস্থা গড়ে তুলতে এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর আসবে না। দেশে বেকারত্ব কমাতে এইচএসসি পাশ করে কৃষি শিক্ষা গ্রহণ করে কৃষিতে যোগ দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তার মতে এতে প্রতি বছর এক থেকে দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেক্ষেত্রে নিজেদের সফলতার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রেও বিল্পব অআসবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধান-চাল ক্রয়ের জন্য যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিবিদ রেজাউল করিম সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল টিচার্স সোসাইটির মহাসচিব ড. মোজাহেদুল ইসলাম, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, প্রাইম ব্যাংকের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (কৃষি সহায়তা বিভাগ) আসাদ বিন রশিদ প্রমুখ।
৩ বছর আগে
হাইকমিশনের উদ্যোগে মালয়েশিয়াতে বিএডিসি’র আলু রপ্তানি
কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক উৎপাদিত আলু মালয়েশিয়াতে রপ্তানি করা শুরু হয়েছে।
বিএডিসি এ পর্যন্ত ৪টি কনটেইনারের মাধ্যমে মোট ১১১ মেট্টিক টন ডায়মন্ড জাতের আলু মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে। বিএডিসি’র ইতিহাসে এটাই সর্বপ্রথম আলু রপ্তানি।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা বিশ্বের মতো উন্নত হবে বাংলাদেশের কৃষি: মন্ত্রী
বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর মনে করে, আলু রপ্তানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মতো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বিএডিসি’র মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ চাষ বা কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ডায়মন্ড জাতের উন্নতমানের এ আলু উৎপাদিত হয়েছে। রপ্তানিকৃত এ আলু বগুড়া, পঞ্চগড় ও সিরাজগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ন্যানো গ্রুপ ও বিএডিসি’র মধ্যে আলু উৎপাদন ও রপ্তানি বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ার আমদানিকারক কোম্পানি মাইডিন মালয়েশিয়া, চিন হুয়াত ট্রেডিং ও টেনবিলি গ্রুপ এ আলু আমদানি করে।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেসরকারি শিল্পোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
মালয়েশিয়া প্রতিবছর প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আলু আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আলু আমদানি করে চীন থেকে। মালয়েশিয়ার অন্যান্য প্রধান আলু আমদানিকারক দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আলু রপ্তানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া সফর করে। প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাণিজ্যিক উইং মালয়েশিয়ার প্রধান প্রধান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভায় মিলিত হয় এবং আমদানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক উৎকৃষ্ট মানের আলু সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে মালয়েশিয়াতে মোট ৯.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আলু রপ্তানি করে। এর ফলে মালয়েশিয়াতে আলু রপ্তানি পূর্ববর্তী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
মালয়েশিয়াতে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। কৃষিপণ্যের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের বাঁধাকপি রপ্তানি উল্লেখযোগ্য্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিপণ্যের সাথে সাথে অন্যান্য প্রচলিত ও অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
৩ বছর আগে
দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ কসবা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগমের বিরুদ্ধে
সমলয় হাইব্রিড চাষ প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগমের বিরুদ্ধে।
৩ বছর আগে
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতি সৃষ্টি হতে দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশের জনগণকে খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে না।
৪ বছর আগে
কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের মোট ২৬০ জন করোনায় আক্রান্ত
কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার ২৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এ পর্যন্ত পাঁচ জন মারা গেছেন।
৪ বছর আগে