পর্যবেক্ষণ
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভারতের লোকসভায় পাঁচটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।
লোকসভা সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত।
জয়শঙ্কর বলেন, ভারত সরকার ২০২৪ সালের আগস্ট মাসসহ সারা বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মন্দির ও ধর্মীয় স্থানে হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা দেখেছে।
আরও পড়ুন: গত ৫-৬ বছরে উপমহাদেশে অনেক বেশি আঞ্চলিক সংহতি দেখেছি: জয়শঙ্কর
তিনি বলেন, ভারত সরকার এসব ঘটনা 'গুরুত্বের সঙ্গে' নিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
জয়শঙ্কর বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে দুর্গাপূজা উৎসবের সময়ও মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের দুর্গাপূজা চলাকালে ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় ভারত সরকার 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছে।
জয়শঙ্কর বলেন, এসব হামলার পর বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েনসহ বিশেষ নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশনা জারি করেছিল।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যেও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জয়শঙ্কর
৩ সপ্তাহ আগে
শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: সচিব
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আশা করছি সবাই শান্ত হবে।’
সচিব বলেন, ‘মালিক ও শ্রমিকপক্ষ সবাইকে অন বোড করে আমরা এটা নিরসন করব।’
আরও পড়ুন: ডিসি নিয়োগে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করায় ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিশুশ্রম প্রতিরোধ নিয়ে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ কথা বলেন।
তিন দিন ধরে আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জিনিসই অ্যাড্রেস করছি। সেখাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সবাই আমরা মনিটর করছি।’
শিশুশ্রম শূন্যে নামিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এটার জন্য আমরা সংলাপ করছি। প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ দূত আমার এখানে আসবেন। এটা কীভাবে দ্রুত নিরসন করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনে মনোযোগী হতে হবে: সচিব
গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় চীনের মেডিকেল টিম সন্তুষ্ট: সচিব
২ মাস আগে
শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন: শ্রম উপদেষ্টা
আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনার শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি নিয়ে আজকে ৬ জন উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি জরুরি সভা করেছি। সেখানে বেশি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরআগে কেবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল একটি পর্যালোচনা কমিটি বা পর্যবেক্ষণ কমিটি করব। আসলে শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিরশনে যেসব কমিটি আছে, সেগুলো বিভিন্ন কারণে বিগত সরকারের আমলে শ্রমঅধিদপ্তর ও শ্রম আদালতের ওপর শ্রমিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে। সেটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, আপাতত শ্রমিকরা যেসব সমস্যা ফেস করছেন, দাবিগুলো যাতে নিদিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেস করতে পারেন সে লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ ও শ্রম পরিস্থিতির বিদ্যমান সমস্যা পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রদানের জন্য, শ্রম সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে শ্রম অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক এবং শ্রম অধিদপ্তরের ট্রেড ইউনিয়ন ও শালিসির পরিচালককে সদস্য সচিব করে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে তিনজন শ্রমিক নেতা, দুইজন সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এবং মালিক পক্ষের দুইজন সদস্য আছেন।
তিনি বলেন, আমাদের যে শ্রম ভবন আছে বিজয় নগরে সেখানে শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া পেশ করতে পারবেন। কমিটি পর্যালোচনা করে সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার কাছে পাঠাবে। শ্রমিকদের যেসব ন্যার্য দাবি আছে সেগুলোর মধ্যে যেটা স্বল্প মেয়াদে বা দ্রুত সমাধানযোগ্য সেটা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আজকে উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা অবিলম্বে পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানাও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে এবং যথাসম্ভবে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান কমিটিসমূহ পুনর্গঠন করে হালনাগাদ করতে হবে।
শ্রম সংকান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটির কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে এবং শ্রম অসন্তোষ সংক্রান্ত শুনানির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের মাঠ পর্যায়ের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে শ্রম অসন্তোষ নিরসন কমিটি করে স্থানীয় সমস্যা সৃষ্টির প্রাক্কালে/ সৃষ্টির পর কালবিলম্ব না করে সমাধান করতে হবে।
এছাড়া বেক্সিমকো' গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করতে হবে, এবং এ সংক্রান্ত সরকারি আর্থিক ঋণ/ প্রণোদনার ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করতে হবে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ৬টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা এখানে কোনো গ্যাপ রাখতে চাচ্ছি না। সচিব পর্যায় থেকে সবাই সমন্বয় রাখবেন। যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারি এবং সমাধানের দিকে যেতে পারি। তথ্য আদান প্রদান করতে পারি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি: অর্থ উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রুশ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
রুশ ফেডারেশনের ইসির একজন সদস্য এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান আন্দ্রেই শুতভ বলেন, ‘রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এলা পামফিলোভার পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি এবং ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আগামী ১৭ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
ঢাকায় রুশ দূতাবাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এই আমন্ত্রণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে রুশ প্রতিনিধিদলের বৈঠকের সময় এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করা হয় বলে উল্লেখ করেন শুতভ।
এর আগে ক্যামেরুন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, নামিবিয়া, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে ও সিআইএস ভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ান ফেডারেশনের চারটি নতুন অঞ্চলের নির্বাচনে কাজ করা বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
ফেডারেশন কাউন্সিল ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
রাশিয়ান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ তিন দিনের জন্য ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদে এটিই হবে প্রথম তিন দিনের নির্বাচন।
আন্দ্রেই শুতভ বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অনেক নাগরিকের জন্য, নির্বাচন একটি ছুটির দিন এবং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট।
শুতভ বলেন, 'নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলতে গেলে আমি উল্লেখ করতে চাই, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতো আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি বড় ধরনের সুবিধা, কারণ আমরা যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে গিয়েছিলাম সেখানে ভোটাররা নিরাপদ বোধ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
১১ মাস আগে
ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ৪ সদস্যের একটি অভিজ্ঞ কারিগরি দল পাঠিয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে দলটির পৌঁছানোর বিষয় নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, দলটি রবিবার থেকে কাজ শুরু করবে।
এর আগে ইইউ একটি কারিগরি দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা ইসিকে জানিয়েছিল।
ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম সম্প্রতি বলেন, 'বাজেট সীমাবদ্ধতার' কারণে ইইউ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না।
আরও পড়ন: তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
১ বছর আগে
বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অক্টোবরের শুরুতে একটি প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেন, ‘আমি তাকে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) জানিয়েছি যে অক্টোবরের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট -এর বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মঙ্গলবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাস।
তিনি আরও বলেন,‘আপনারা আমাকে আগে যা বলতে শুনেছেন তা আমি পুনরাবৃত্তি করব যে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র স্বার্থ হলো তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হোক এবং শাসন ক্ষমতায় কে আসবে তা বাংলাদেশের জনগণ বেছে নেওয়ার অধিকার রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন অন্যান্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাদের সমস্যা উত্থাপন করে তখন আমরা তাদের কথা শুনি এবং আমরা তাদের কাছ থেকে কী শিখতে পারি তা আমরা বিবেচনা করি। আমরা এটিকে লঙ্ঘন হিসাবে দেখি না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সকল পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারের
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ (৩০ জুলাই)।
সকাল সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আসনটি ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা নিয়ে গঠিত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আসনটির মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যারা- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (রকেট)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
১ বছর আগে
রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকাস্থ নির্বাচন কমিশন (ইসি) মিলনায়তন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে ইসি।
দুই সিটিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা সকাল ৬টা থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এবং ২ হাজার ৫২০টি ভোটকক্ষে ৩৬৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
আরও পড়ুন: রাসিক নির্বাচন: গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আ.লীগ নেতা আটক
৩৪৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রতি ১০ সেকেন্ড পর পর অটোরোটেশনসহ ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট সিটি নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন এবং রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ৩০ হাজার ১৫৭ জন নতুন ভোটারসহ ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সিলেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ আট মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ চার মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজশাহী ও সিলেটে ভোটগ্রহণ চলছে
সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
১ বছর আগে
মানবাধিকারের ওপর দারিদ্র্যের প্রভাব পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ সফর করবেন। আগামী ১৭ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত এই সফর করবেন তিনি।
দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ, প্রতিবেদন ও পরামর্শ প্রদানের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক নিয়োগকৃত স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ডি শ্যুটার বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো কীভাবে এ অর্জন অক্ষুন্ন রাখা যায় এবং সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সমানভাবে এর সুফল নিশ্চিত করা যায়।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
‘এ সফরের ফলে আমি উক্ত বিষয়ে আরও বেশি শুনতে ও জানতে পারব এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ুজনিত অভিঘাতের প্রেক্ষাপটে মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত রাখতে ও সকলের জন্য মানসম্পন্ন জীবনমান নিশ্চিতকরণে সরকার যাতে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখতে পারে সেসব বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারব।’
সফরকালে, জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ঢাকা ও রংপুর বিভাগের কিছু স্থান এবং কক্সবাজার পরিদর্শন করবেন। তিনি এসব স্থানের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায় ও মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়াও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকারিতা নিরূপণে ডি শ্যুটার দারিদ্র্যের ওপর বাংলাদেশের শ্রম আইন, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহায়ণ, এবং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রভাবসমূহ পর্যবেক্ষণ করবেন। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, তৈরি পোশাক কর্মী, এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ যেসকল গোষ্ঠী দারিদ্র্য বৈষম্যের শিকার তাদের অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি।
আগামী ২৯ মে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় ডি শ্যুটার তার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শসমূহ ঢাকার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁতে একটি সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পেশ করবেন। কেবল সাংবাদিকদের জন্য প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির 'নীরব সাক্ষী' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ: রাষ্ট্রদূত মুহিত
সত্য ও সত্য বলা মানুষগুলোকে আক্রমণ করা বন্ধ করতে হবে: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব
১ বছর আগে
প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখাইনের উদ্দেশে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল
প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইন রাজ্যের মংডুর পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বাংলাদেশে বসবাসরত ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলটি টেকনাফ দিয়ে নৌপথে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হয়। যেখানে তিন নারীসহ ২০ রোহিঙ্গা, একজন অনুবাদক এবং ছয়জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্য দুটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) স্পিডবোটসহ ১৬ বিজিবি সদস্য রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির 'নীরব সাক্ষী' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ: রাষ্ট্রদূত মুহিত
তিনি জানান, প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে প্রস্তুতি ও সেখানকার পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবেন। একই দিন সন্ধ্যা নাগাদ তারা ফিরে আসবেন।
মূলত প্রত্যাবাসন হলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের যেখানে তাদের রাখা হবে, সে জায়গাটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করবেন।
জানা গেছে, এর আগে বাংলাদেশ থেকে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গার একটি তালিকা পাঠানো হয় মিয়ানমারের কাছে। ওই তালিকা থেকে ফেরত নিতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম দফায় প্রায় এক হাজার ১৪০ জনকে নির্ধারণ করে দেশটি। সেখান থেকে ৪২৯ জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল মিয়ানমার। পরে গত ১৫ মার্চ ১৯ সদস্যদের একটি টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশের টেকনাফে এসে ১৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের ৪৮০ জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মিয়ানমারে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে আরও বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
১ বছর আগে