হুয়াওয়ে
‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হুয়াওয়ের
‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়, যার প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইথ হার’।
এই উদ্যোগে হুয়াওয়ের কৌশলগত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ইউনেস্কো। প্রতিযোগিতাটির লক্ষ্য স্থানীয় আইসিটি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ও প্রতিভা বিকাশ।
এই প্রতিযোগিতায় ৭৫০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৮ জনকে বাছাই করা হয়। এই পর্যায়ে একক ও দলীয়– দুই ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতা ছিল। আইসিটিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে নতুন সমাধান সম্ভব ও এর ব্যবসায়িক সফলতার সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে দলভিত্তিক আইডিয়াগুলোকে নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন: নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট মিট অ্যান্ড ফেয়ার আয়োজিত
বিজয়ী দলগুলোকে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সমস্যার যুক্তিসঙ্গত মূল্যায়ন, ব্যবসা পরিকল্পনার অভিনবত্ব, বিজনেস কেস ও অ্যাসাইনমেন্ট স্কোর। প্রতিযোগিতা চলাকালে একাধিক ইন্টারভিউ, পরীক্ষা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে আলাদাভাবে বিজয়ীদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ আইডিয়া হিসেবে নির্বাচিত হয় ‘ধারা’। কীভাবে সৌর শক্তি ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে কাজ করেছে 'ধারা'।
প্রথম রানার আপ হিসেবে বিজয়ী হয়েছে ‘টেরা বিন’। যাদের বিজনেস আইডিয়া ছিল সোলার কম্পোস্টার ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা যায়।
দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে নির্বাচিত হয় ‘সোলনেট’। এই দল ক্লাউড প্রযুক্তি ও অ্যাপের ব্যবহার করে কীভাবে সহজে ও কম খরচে সোলার প্ল্যান্ট তৈরি ও ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করেছে।
চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ দল যথাক্রমে তিন লাখ টাকা, দুই লাখ টাকা ও এক লাখ টাকা মূল্যের প্রাইজমানি পেয়েছে।
এই অর্থ তারা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে পারবে।
এছাড়া চারজন প্রতিযোগী তাদের বিশেষ পারফরমেন্সের কারণে ব্যক্তিগতভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ছাত্রী কায়সারী ফেরদৌস, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গ্রাজুয়েট মাহমুদা নাঈম, এসবিআইটি লিমিটেডের ডিজাইন ভেরিফিকেশন ইঞ্জিনিয়ার সুমাইয়া তারিক লাবিবা ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ইইই বিভাগের ছাত্রী সাফরিনা কবির।
এই বিজয়ীরা চীনে সফর করে দেশটির স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে ৪ জুন রাতে অনুষ্ঠিত গালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আহমেদ পলক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবীন মাহবুব, ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: এটিজেএফবি এভিয়েট্যুর উইমেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১০ নারী
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর অফিস প্রধান ও প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ, আইইউটিয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং।
এসময় পলক বলেন, আমি 'উইমেন ইন টেকের' মূল প্রতিপাদ্য ‘টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইথ হার’ দেখে সত্যিই আনন্দিত। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী নারীরা যে কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা দেখিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি হুয়াওয়েকে এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য সাধুবাদ জানাই।
বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ডিজিটাল ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের উন্নয়ন এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজকের প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে নারীদের অবদান কতোটা সম্ভাবনাময় হতে পারে।
পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবীন মাহবুব বলেন, হুয়াওয়ের ‘ওমেন ইন টেকের’ মতো প্রোগ্রামগুলো আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি বর্তমান প্রজন্মের প্রতিভাবান নারী শিক্ষার্থীদের তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে এবং ভবিষ্যতে যোগ্য পেশাজীবী হওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে উৎসাহিত করে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশেষভাবে আনন্দিত এটি দেখে যে, এই প্রতিযোগিতায় ৭৫০ জনেরও বেশি নারী শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এই প্রথম আসরের সাফল্য নিঃসন্দেহে আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি নারী শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করবে।
বিটিআরসিয়ের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের দুইটি প্রধান এজেন্ডা হলো ডিজিটাল অগ্রগতি এবং নারীর ক্ষমতায়ন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিগত বছরগুলোতে উভয় ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছি।
বাংলাদেশে ইউনেস্কোর অফিস প্রধান ও প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ বলেন, এই বছরের উইমেন ইন টেকে অংশগ্রহণকারী তরুণীরা দেখিয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রযুক্তিশিল্পে তাদের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণেও কাজ করবে।
আইইউটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, নারী ক্ষমতায়নের একটি প্রতিফলনই হচ্ছে এই প্রোগ্রাম। এই প্রতিযোগিতা এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরিতে সাহায্য করবে, যেখানে নারীরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বিকাশে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।
হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বাংলাদেশে নারীদের প্রতিভা ও দক্ষতা বিকাশ, ইন্টার্নশিপ ও চাকরির উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিভা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীরা যাতে পেশাক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যায়, সে বিষয়টিকে আমরা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে ‘উইমেন ইন টেক’ প্রোগ্রামটি চালু করে। এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি হুয়াওয়ে তরুণদের সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে এবং দেশকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে চালিত করতে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ ও ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের’ মতো নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ইউএন উইমেনের ডকুসিরিজ প্রদর্শন
৬ মাস আগে
বছরের প্রথম ৯ মাসে হুয়াওয়ের মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৩ সালের প্রথম ৯মাসের ব্যবসায়িক ফলাফল ঘোষণা করেছে।
এই সময়ের মধ্যে হুয়াওয়ের আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৫৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন চীনা ইউয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ছয় লাখ সাতাশি হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে দুই দশমিক চার শতাংশ বেশি। একই হিসাবে গত বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, ‘কোম্পানির পারফরম্যান্স আমাদের পূর্বানুমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের ওপর আস্থা রেখে সমর্থন জুগিয়ে চলার জন্য আমি আমাদের গ্রাহক ও সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আরও বিনিয়োগ বাড়াব। যাতে আমাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে আরও বিস্তৃত করতে পারি এবং একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, বরাবরের মতো আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের গ্রাহক, সহযোগী ও সমাজের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
১ বছর আগে
সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০২৩ বাংলাদেশ পর্বের ৬ বিজয়ীর নাম ঘোষণা
হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০২৩’ এর ছয়জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে।
আইসিটি খাত সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ও প্রশিক্ষণের জন্য আগামী মাসে চীনে যাবেন এই শিক্ষার্থীরা।
একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে ১০ম বারের মতো সিডস ফর দ্য ফিউচারের আয়োজন করে হুয়াওয়ে। ৬০০’রও বেশি প্রতিযোগী এই আয়োজনে অংশ নেয়। প্রতিযোগীদের
প্রোফাইলের ওপর নির্ভর করে ২০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত করা হয়। আইসিটি’র (তথ্য প্রযুক্তি) শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজের বৃহত্তর উন্নয়ন কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে সে বিষয়ে
প্রতিযোগীরা প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন ও সাক্ষাৎকার দেন। কনসেপ্ট ও উপস্থাপনার দক্ষতা বিবেচনায় নিয়ে ছয়জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করে হুয়াওয়ে।
এ বছরের বিজয়ীরা হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইইই (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের মোহাম্মদ আজমাঈন ফাতিন; ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির ইইই বিভাগের আল মুমতাহিনা এরিকা; বুয়েটের এমই বিভাগের ফারসিয়া কাওসার চৌধুরী; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অর্পন সাহা; রুয়েটের সিএসই বিভাগের মায়িশা ফারজানা ও আইইউটি’র সিএসই বিভাগের সাজিদ আহমদ চৌধুরী। বিজয়ীরা চীনের শেনঝেনে অবস্থিত হুয়াওয়ে সদরদপ্তর পরিদর্শন ও সাংহাইয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদশের সিইও প্যান জুনফেংয়ের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এবারের গালা ইভেন্টের আয়োজন শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার' আঞ্চলিক রাউন্ডে থাইল্যান্ড গেলেন বাংলাদেশের ৮ শিক্ষার্থী
ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর সং ইয়াং।
আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির (আইইউটি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
গালা ইভেন্টে সিডস ফর দ্য ফিউচারের সার্বিক দিক ও এ বছরের সেরা প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশনগুলো তুলে ধরা হয়।
এছাড়া, ইভেন্টে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যের পাশাপাশি ছিল আরও নানা আয়োজন।
সিডস ফর দ্য ফিউচার উদ্যোগের বিষয়ে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, ‘একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে হুয়াওয়ে। এক্ষেত্রে আমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের জন্য সিডস ফর দ্য ফিউচার উদ্যোগের মতো ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে। যেন সঠিক দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণরা আগামীর বিশ্বের জন্য নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে এবং দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর সং ইয়াং বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমি সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামের ছয়জন বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশ ও চীনের কৌশলগত সহযোগিতা আগামীতেও একইভাবে বজায় থাকবে বলে আমি আশাবাদী। হুয়াওয়ের মতো চীনা প্রতিষ্ঠান যারা বাংলাদেশে কাজ করছে তারা এই সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ভূমিকা রাখবে।’
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির (আইইউটি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৩ এর সকল অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাই। হুয়াওয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে; তবে এরকম ধারণার বিকাশ ও উদ্ভাবনী প্রোগ্রাম আয়োজনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চিন্তা করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ৩০ শিক্ষার্থী নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তের বাইরে গিয়ে চিন্তা ও কঠিন সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার সক্ষমতা বাড়বে। হুয়াওয়ে আয়োজিত সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিভা বিকাশে ও উদ্ভাবনী ধারণা অনুপ্রাণিত করার জন্য খুব ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম।’
উল্লেখ্য, ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ হুয়াওয়ের বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। গত ১৫ বছর ধরে ডিজিটাল প্রতিভার বিকাশে অবদান রাখছে এই উদ্যোগ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছে।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আইসিটি ইকোসিস্টেমের অংশ হতে সহায়তা করছে। এই ধরনের উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।
একইসঙ্গে দেশের তরুণদের জন্য দক্ষতা বাড়ানোর এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
১ বছর আগে
১২ বছরে কারিগরি শিক্ষা ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বার বার বলেছেন ও এশিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাই করছেন। ২০০৯ সালে কারিগরি শিক্ষার হার ছিল এক শতাংশেরও কম।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী মেধা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের স্মার্ট ক্লাস রুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতে আমরা ১২ বছরে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭ শতাংশ উন্নীত করেছি। এটি সম্ভব হয়েছে সঠিক নেতৃত্বের কারণে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আজকে যারা টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনালে শিক্ষায় পড়ছে, অনেক সময় সমাজের আশপাশে দেখবেন অনেকে বলে ‘তুমি ভোকেশনালে পড়ছ? ’ তার মানে ভোকেশনালে যারা পড়ে তাদের মেধা কম বলে মনে করে। আবার মনে করে তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না।কথাটা একেবারে সঠিক নয়। সারা পৃথিবীতে যে দেশ যত বেশি উন্নত হয়েছে, সে দেশ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় পারদর্শী হয়েছেন। আমাদের পিছিয়ে থাকার কোন উপায় নেই। তাই আমাদের কারিগরি বিদ্যায় আরও জোর দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। সারাবিশ্ব এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব। এখন শিখতে হবে। তাই আমরা এই শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছি। আমাদের আরও অনেক সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে দেশের সব স্কুলগুলো ডিজিটাল করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা দিতে চাই। যেন তারা উন্নত বিশ্বে সমান তালে চলতে পারে। বর্তমান সরকার প্রধান শিক্ষায় বিনিয়োগ করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান ও চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান।
হুয়াওয়েই টেকনোলজিস্ট বাংলাদেশের ম্যানেজার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজিয়া শামান্তা ইসলাম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন হুয়াওয়েই টেকনোলজিস্ট বাংলাদেশের সিইও পেন জুনপেং।
পরে মন্ত্রী অতিথিদেরকে নিয়ে ফিতা কেটে ক্লাস রুমের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
১ বছর আগে
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উদ্ভাবনের স্বীকৃতি স্বরূপ বার্সেলোনায় চলমান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি)-এ চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে হুয়াওয়ে।
পুরস্কারগুলো হলো- গ্লোমো’র ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর ইমার্জিং মার্কেটস’, ‘ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি চ্যালেঞ্জ’, বেস্ট মোবাইল টেকনোলজি ব্রেকথ্রু’ এবং ‘বেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’।
হুয়াওয়ের পরিবেশবান্ধব, সহজ ও সম্প্রসারণশীল রুরাললিঙ্ক উদ্যোগের জন্য জিএসএমএ’র কাছ থেকে গ্লোমো’র ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর ইমার্জিং মার্কেটস’ পুরস্কার পেয়েছে।
উদ্ভাবন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সিনারিওভিত্তিক নেটওয়ার্ক সমাধানে হুয়াওয়ের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ হুয়াওয়েকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনায় এবারের মতো পর্দা নামল মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের
অন্যদিকে, জিএসএমএ’র ফাইভজি হাবের সঙ্গে গ্লোমো’র ‘ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি চ্যালেঞ্জ’ পুরস্কার অর্জন করে হুয়াওয়ে, মিডিয়া ও চায়না মোবাইল।
সম্পূর্ণরূপে ফাইভজি দ্বারা সংযুক্ত খাতসংশ্লিষ্ট সবচেয়ে বড় প্রকল্পের জন্য এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
হুয়াওয়ে এর এফডিডি বিমফর্মিং সিরিজের জন্য জিএসএমএ গ্লোমো ‘বেস্ট মোবাইল টেকনোলজি ব্রেকথ্রু’ পুরস্কার অর্জন করে। এ অ্যাওয়ার্ড বিশ্বব্যাপী মানসম্পন্ন আলট্রা-ওয়াইডব্যান্ড, প্রিসাইস মাল্টি-অ্যান্টেনা বিমফর্মিং ও গ্রিন ডেভেলপমেন্টে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতিস্বরূপ।
এছাড়াও, নিজেদের উদ্ভাবনী পণ্যের মাধ্যমে আরও কার্যকরী ফাইভজি নেটওয়ার্ক নির্মাণের মাধ্যমে ম্যাসিভ-এমআইএমও (মাল্টিপল-ইনপুট মাল্টিপল-আউটপুট) এ যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখার জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ হুয়াওয়ের মেটাএএইউ সিরিজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে জিএসএমএ’র গ্লোমো’র ‘বেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে অপোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোল্ডেবল স্মার্টফোন ফাইন্ড এন২ ফ্লিপ
বাজারে ১০০ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরার অপো রেনো এইট টি
১ বছর আগে
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে নিজের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অপারেটরদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরাম ২০২২ -এ আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে। হুয়াওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাধিক দেশের মন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ফোরামে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের প্রেসিডেন্ট কাও মিং হুয়াওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সঙ্গে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
৫০ কোটি মানুষ যেন ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন এবং পাঁচ লাখ মানুষ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন, এজন্য ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত আইসিটি অবকাঠামো তৈরির অন্যতম লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছে।
লিয়াং হুয়া তার মূল বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিজিটাল আর্থিক সেবা সাফল্যের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে, বাংলাদেশে একটি মোবাইল ই-ওয়ালেট পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের অংশীদারিত্ব এবং কীভাবে এই পরিষেবাটি বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সক্ষম করে তুলবে সে বিষয়টি লিয়াং উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন।
আলোচনায় লিয়াং বলেন, ‘মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।’
আরও পড়ুন: দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটালএবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
এ লক্ষ্যে, হুয়াওয়ে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন ও ভারত ছাড়া) প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়নমানুষ এবং ২৯৩ মিলিয়ন বাড়িতে কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে। হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে।
২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লাখেরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে তরান্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইনফো সরকার প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের অবকাঠামো নেটওয়ার্ক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে হুয়াওয়ে। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, হুয়াওয়ের ডেলিভারি কর্মীরা সাবট্রপিক্যাল ফরেস্ট, জলাভূমি, জলাবনসহ সরকারি প্রকল্পের অবকাঠামো নেটওয়ার্ককে ২ হাজার ৬০০ গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশের মোট ৬০ শতাংশ এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবে, যেখানে সরকার, শিক্ষা ও আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
অনলাইন শিক্ষার প্রসারে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার আশা হুয়াওয়ের সিইও
২ বছর আগে
বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
আইসিটি প্রযুক্তি, সেবা ও অবকাঠামো প্রদানকারী হুয়াওয়ে ভার্চুয়াল অমর একুশে বইমেলা চালু করার জন্য বাংলা একাডেমিকে ক্লাউড সল্যুশন দিয়েছে। এখন থেকে বইপ্রেমীরা বইমেলা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন এই ওয়েবসাইটে।
বর্তমান পরিস্থিতির কথা আমলে নিয়ে, অমর একুশে বইমেলা ২০২২ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এই ওয়েবসাইটটি চালু করেছে যাতে করে দর্শক ও আগ্রহী বইপ্রেমীরা ভার্চুয়ালি বইমেলা উপভোগ করতে পারেন এবং বইমেলা সম্পর্কিত তথ্য ও অন্যান্য সুবিধা পান। ওয়েবসাইটটির জন্য ক্লাউড সাপোর্ট দিচ্ছে হুয়াওয়ে আর ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটি পরিচালনা করবে সিইএমএস।
বইপ্রেমীরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বইমেলা, স্টল, বই, অনুষ্ঠান, কার্যক্রম ও স্টলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়া তথ্য সঞ্চয় করে রাখা, প্রিয় লেখক কখন মেলায় আসবেন তা জানতে এবং স্টলের সঙ্গে সরাসরি চ্যাটও করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুন: বাজারে উন্মোচিত ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘পুরো দেশ ডিজিটাল সেবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং সরকার এই রূপান্তরের সাহায্যে এগিয়ে আসছে। তদানুসারে, বাংলা একাডেমি এই বছর অমর একুশে বইমেলার জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে যাতে প্রত্যেকে বইমেলা বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য ডিজিটালভাবে অ্যাক্সেস করতে পারেন। এটাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক, ইউয়িং কার্ল বলেন, ‘বরাবরই বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করছে হয়াওয়ে এবং হয়াওয়ে ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের মতো বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশের সেবা করছে। আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, অমর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল সাইটের সুবিধার্থে ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি এই ওয়েবসাইট বইমেলায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং বাংলা একাডেমিকে নানাভাবে সাহায্য করবে।’
পুরো অভিজ্ঞতা পেতে এই ওয়েবসাইটে নিজের নাম, ঠিকানা, ইমেইল এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যার জন্য কোন চার্জ হবে না। যে কোন বই অনলাইনে অর্ডার করার সুযোগও থাকছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তবে আপাতত ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা থাকলেও খুব শিগগিরই অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা সংযুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার ইনোভেশন সেন্টার উদ্বোধন
২ বছর আগে
এশিয়া প্যাসিফিকের তরুণদের বিকাশে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ তরুণের ডিজিটাল ট্যালেন্ট বিকাশে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা (৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি, অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক ইনোভেশন ডে – ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিট ২০২১ -এ মূল বক্তব্য রাখার সময় হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট জেফরি লিউ এ ঘোষণা দেন।
এ অঞ্চলে তরুণদের ডিজিটালভাবে দক্ষ করে তুলতে আসিয়ান ফাউন্ডেশনের সাথে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তিতে উভয় পক্ষের আসিয়ান সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে টেকসই ডিজিটাল ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম কীভাবে ত্বরাণ্বিত করা যায় সে বিষয়ে অনলাইন সামিটে নীতি-নির্ধারক, গবেষক ও খাত বিশেষজ্ঞগণ আলোচনা করেন। এ সামিটে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল অব আসিয়ান ফর আসিয়ান পলিটিক্যাল-সিকিউরিটি কমিউনিটি রবার্ট ম্যাথিউস টেনে, আসিয়ান ডিজিটাল সিনিয়র অফিসিয়াল মিটিং -এর প্রধান মোহাম্মদ মেনটেক, ক্যাম্বোডিয়ার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী চে ভেনডেথ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল স্টাফের প্রধান জেনারেল টিএনআই (পার্ণ) ড. মোয়েলদোকো, শ্রীলঙ্কার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল রাজাপাকশে, চীনে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত হোসে স্যান্টিয়াগো এল. এসইএ. রোমানা, থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সেক্রেটারি অধ্যাপক সিরিরার্গ সংসিবিলাই, এম.ডি. পিএইচডি।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল অব আসিয়ান ফর আসিয়ান পলিটিক্যাল-সিকিউরিটি কমিউনিটি, রবার্ট ম্যাথিউস বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারি আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল করেছে। এই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিট ২০২১ আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
উদ্বোধনী বক্তব্যে হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড মেম্বার ক্যাথেরিন চেন বলেন, উদ্ভাবন ও উন্নতি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভাবন সহায়ক একটি ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ে এর অংশীদারদের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট জেফেরি লিউ ঘোষণা দেন যে, ডিজিটাল রূপন্তরে উদ্ভাবনী আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সবার জন্য সুবিধাজনক ফলাফলের ভিত্তিতে সম্মিলিত উদ্ভাবনের মাধ্যমে আইসিটি দক্ষতার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। হুয়াওয়ে আগামী ৫ বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে পাঁচ লাখ ডিজিটাল ট্যালেন্ট বিকাশে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
৩ বছর আগে
হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ’এর ১৬ জন শীর্ষস্থান অধিকারকারীর নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। সোমবার (০১ নভেম্বর) অনলাইনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই বিজয়ীদের নাম জানানো হয়।
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বিশ্বব্যাপী এসটিইএম (সায়েন্স, টেকনোলোজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথ) শিক্ষার্থীদের জন্য হুয়াওয়ের বিশেষ একটি ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আইসিটি খাতের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা হয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চালু হওয়ার পর থেকেই এ প্রোগ্রামটি এই খাতের প্রতিভাবানদের মেধা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে।
এ বছর ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ’ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট-এর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় শাবিপ্রবি শীর্ষে
বাছাই পর্বে এ বছর এই আটটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬শ’ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের অ্যাকাডেমিক রেকর্ড, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা (স্পট এক্সাম), উপস্থাপন দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার ভিত্তিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও একটি বিশেষ জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল যা স্পট এক্সামের জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি ও অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়নে কাজ করেছে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হলেন: বুয়েট থেকে ইমতিয়াজ আহমেদ ও সৈয়দা ফাতিমা ফায়রুজ; কুয়েট থেকে সুমাইয়া রহমান ও মেহেদী হাসান; রুয়েট থেকে নাহিয়ান রিফাত ও নাজিফা রহমান অধরা; চুয়েট থেকে অনিন্দ্য নন্দী ও ফাতেমা ইসলাম তানিয়া; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৈয়দ দোহা উদ্দিন ও নিশাত তাসনিম; ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে সীমামুন হাসিবা রেজা ও মোহতাসিম তাসনিম জামান; এইউএসটি থেকে কাজী আরহাম কবির ও সাদিয়া কারিশমা কবির; এবং আইইউটি থেকে এ কে এম রাকিব ও রামিশা রাইদা করিম।
আরও পড়ুন : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে সংযোজিত হচ্ছে আরও ৪টি মিউজুবাস
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. ওমর জাহ্ এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন। এছাড়াও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সাধারণত শিক্ষা সফরে চীনে যায়, তবে কোভিড-১৯ মহামারির ফলে এ প্রশিক্ষণটি একটি অনলাইন প্রোগ্রামে রূপান্তরিত করা হয়েছে। বিজয়ীদের পুরস্কারের পাশাপাশি সনদপত্রও প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন : শাবির ৯৫ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ
৩ বছর আগে
নেত্রকোণায় বন্যার্তদের সহায়তায় হুয়াওয়ে
নেত্রকোণায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এগিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বন্যার ফলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশজুড়ে বন্যার কারণে অনেক জেলা প্রতিকূল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বন্যা দেশজুড়ে মানুষকে অসহায় পরিস্থিতিতে ফেলেছে এবং তাদের জীবন ও জীবিকাকে করে তুলেছে বিপন্ন। দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমন অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে।
এতে বলা হয়, হুয়াওয়ের উদ্যোগ ‘ইন বাংলাদেশ, ফর বাংলাদেশ-হিয়ার ফর ইউ’র অংশ হিসেবে, আজ হুয়াওয়ে নেত্রকোণা জেলার দুঃস্থ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। অসহায় এ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হুয়াওয়ে প্রায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে জরুরি খাদ্যদ্রব্য, যেমন: চাল, মসুর ডাল, আলু, ওরাল স্যালাইন, চিনি, ময়দা ও অন্যান্য জিনিস বিতরণ করেছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগেরমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রথমেই, আমি হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এবং দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের বিকাশে অবদান রাখার জন্য তাদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে বিনির্মাণের পথে রয়েছি এবং ডিজিটাল কানেক্টিভিটিই ডিজিটাল বাংলাদেশের মেরুদণ্ড। হুয়াওয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ডিজিটাল হাইওয়ে গড়ে তুলতে সহায়তা করছে, এজন্য আমরা হুয়াওয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
মেধা বিকাশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে বাংলাদেশে প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ‘এ ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচি বন্যাদুর্গত অঞ্চলে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমাদের ‘ইন বাংলাদেশ, ফর বাংলাদেশ-হিয়ার ফর ইউ’ শীর্ষক একটি সামগ্রিক উদ্যোগেরই প্রচেষ্টা। এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত করতে কাজ করে যাবো। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, যেখানে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করি সেসব কমিউনিটিতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পেরে গর্বিত। ভবিষ্যতে আমরা এক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখতে চাই।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নেত্রকোণার ডেপুটি কমিশনার কাজী মো. আবদুর রহমান, খালিয়াজুরীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম এবং খালিয়াজুরীর চেয়ারম্যান সুমন চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে