মৃত্যুবার্ষিকী
ঢাকায় ইমাম খোমেইনীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনীর (রহ.) ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ কাওসার মুস্তাফা আবুল উলায়ী।
ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রধান খতিব মাওলানা ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,ইমাম খোমেইনীর (রহ.) বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। ইরানে ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী হিসেবে নিজেকে পরিণত হয়েছেন। অনন্য রাজনৈতিক নেতা ইমাম খোমেইনী (রহ.) ছিলেন আধ্যাত্মিক মানবিকতার শ্রেষ্ঠ রুপকার।
বক্তারা আরও বলেন, সমগ্র বিশ্বজুড়ে আজ যেই দ্বিধাবিভক্তি আর ক্ষমতার অপব্যব্যবহার চলছে, তার বিপরীতে ইসলামি সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে আঁকড়ে ধরে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। আর এর ভিত্তি রচিত হয়েছে ইমাম খোমেনীর মতো একজন দূরদর্শী, প্রজ্ঞাবান এবং ধার্মিক রাজনীতিবিদের কারণে। শুধু মুসলিম নয়, তিনি সকল নিপীড়িত জাতি ও মানবতার জন্য কাজ করেছেন বলেই ইরানের গন্ডি ছাড়িয়ে আজ তিনি বিশ্বনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লবের প্রভাব আজ বিশ্বময়।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক বইয়ে সই করেছেন ফখরুল
বক্তারা বলেন, ইমাম খোমেইনীর (র.) বহুমুখী প্রতিভা তাকে এমন এক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল যে তিনি ইরানের ইসলামী বিপ্লের মতো একটি মহান বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করার সক্ষমতা রাখতেন এবং তার এই অনন্য ভূমিকা সমসাময়িক ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দেয়। ইমাম খোমেইনীর (রহ.) আন্দোলন ও বিপ্লবের ফলে ইসলামের পুনরুজ্জীবন ঘটে এবং ইসলামী বিশ্বের মুসলমানরা ফিরে পায় তাদের সম্মান ও মর্যাদা। এর ফলে প্রকৃত ইসলামের ভিত্তিতে ইসলামী বিপ্লবের মতবাদ (ডকট্রিন) হিসেবে বিশ্বে একটি নতুন মতবাদের (ডকট্রিনের) উদ্ভব ঘটে। যা অমুসলিমদের জন্যও ছিল নতুন।
অনুষ্ঠানে সম্প্রতি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যান্য যারা নিহত হয়েছেন তাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
বক্তরা বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশটির অপূরণীয় ক্ষতি হলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতার যোগ্য নেতৃত্বে ইরান আগের মতোই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ইরানের নতুন পার্লামেন্টে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারের ভাষণ
৫ মাস আগে
জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (৩০ মে)।
মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়।
বুধবার (২৯ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা করেন জিয়াউর রহমান। পরে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিক্ষুব্ধ সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এছাড়া ওইদিন সকাল ১০টায় দলের নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে জনগণ বিরক্ত: ফখরুল
এছাড়া দলের নেতাকর্মীরা জিয়ার কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করবেন।
আগামী ৩১ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে দলটি।
বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো জিয়ার কর্মকাণ্ড নিয়ে সেমিনার, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করবে।
দলের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌর শাখা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতারা বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করবেন।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।
ফখরুল বলেন, ‘এই মহান উদার গণতান্ত্রিক নেতা জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এই ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতি একজন মহান দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী নেতাকে হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন: লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ধ্বংস করছেন আ. লীগ নেতারা: বিএনপি নেতা নজরুল
৫ মাস আগে
মওলানা ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
'মজলুম জননেতা' নামে বহুল পরিচিত ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মারা যান।
বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও ভাসানী ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন, শিল্প প্রতিযোগিতা ও কবিতা আবৃত্তি, খাদ্য বিতরণ ও রক্তদান।
টাঙ্গাইল জেলা শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল মাওলানা ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: ৫২ ঘন্টা পর অবমুক্ত হয়েছেন ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
বিভিন্ন দল ও বিভিন্ন সংগঠনের স্থানীয় ইউনিটও প্রয়াত নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান জাতীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জের ধানগড়ায় জন্ম নেওয়া ভাসানী কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তাকে বর্তমান বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থী রাজনীতির প্রবক্তা হিসেবে গণ্য করা হয়।
তিনি পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন, যা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ হয়।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনও গঠন করেন।
আরও পড়ুন: মাওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার
১১ মাস আগে
আইয়ুব বাচ্চুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
কিংবদন্তি রক সুপারস্টার, গায়ক, গিটারিস্ট, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আইয়ুব বাচ্চুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (বুধবার)।
বাংলাদেশের অন্যতম রক স্টার আইয়ুব বাচ্চু পাঁচ বছর আগে ৫৬ বছর বয়সে রাজধানীর মগবাজারে নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রক ব্যান্ড 'লাভ রানস ব্লাইন্ড' এর কিংবদন্তি ফ্রন্টম্যান, এলআরবি নামে পরিচিত, এই দিনে তার পরিবার, অনুসারী, বন্ধুবান্ধব, ভক্ত এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তাকে স্মরণ ও সম্মান প্রদর্শন করছে।
আরও পড়ুন: রূপালি গিটারের জাদুকর কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন আজ
আইয়ুব বাচ্চুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবি ফ্যান ক্লাব সারাদেশে বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
আইয়ুব বাচ্চু ফ্যান ক্লাব চট্টগ্রামের স্টেশন রোড এলাকার চৈতন্য গলিতে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
ইশহাক চৌধুরী ও নুরজাহান বেগমের ছেলে আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের খরনা ইউনিয়নের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে তার শহরে এলআরবি নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন।
এর আগে বাচ্চু তার শৈশবের বন্ধু ও প্রখ্যাত বাংলাদেশি গায়ক কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠিত ‘গোল্ডেন বয়েজ’ ব্যান্ডে (পরে নামকরণ করা হয় ‘আগলি বয়েজ’) সংগীতশিল্পী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
ফিলিংস ও সোলসসহ বাংলাদেশের অন্যান্য সুপরিচিত ব্যান্ডেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফিলিংসে তার সময়কালে তিনি বাংলাদেশের আরেক সমসাময়িক রক আইকন জেমসের সঙ্গেও পারফর্ম করেন।
আরও পড়ুন: আজ শুধু ফেসবুকের স্মৃতিতেই আইয়ুব বাচ্চু
বাচ্চু এলআরবি'র ফ্রন্টম্যান হওয়ায় ব্যান্ডটি দেশে ও বিদেশে হাজার হাজার কনসার্ট (৫০০+ ওপেন-এয়ার এবং ২০০০+ ইনডোর) পরিবেশন করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে গিয়েছিলেন এবং সাতটি রাজ্যে পারফর্ম করেছিলেন।
আইয়ুব বাচ্চু তার জীবদ্দশায় মোট ১৬টি একক অ্যালবাম, 'এবি কিচেন' নামে একটি পূর্ণাঙ্গ স্টুডিও থেকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, 'আম্মাজান', 'সাগরিকা', 'অনন্ত প্রেম', 'আমি তো প্রেমে পড়িনি'সহ অসংখ্য সুপারহিট প্লেব্যাক তৈরি করেছেন এবং আরও অনেক বাংলাদেশি বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে গান করেছেন।
'রূপালি গিটার', 'চলো বদলে জয়', 'এখন অনেক রাত', 'কষ্ট', 'সেই তুমি কেনো এত অচেনা হলে', 'ফেরারি এই মনটা আমার', 'একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে', 'হাসতে দেখো গাইতে দেখো'- এই গানগুলো এলআরবি'র সঙ্গে তার অন্যতম আইকনিক গান।
আরও পড়ুন: রক আইকন আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে দোয়া মাহফিল
১ বছর আগে
মাস্টার মীর আবু তাহেরের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের বাবা মাস্টার মীর আবু তাহেরের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর)।
এ উপলক্ষে নিজ গ্রাম দাউদপুর ও নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
মরহুম মাস্টার মীর আবু তাহের কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বরেণ্য শিক্ষক ও সমাজ সংস্কারক।
আরও পড়ুন: রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
উপজেলার শাকতলী হাইস্কুল, ময়ূরা হাইস্কুল এবং নাঙ্গলকোট হাই স্কুলসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ধাতীশ্বর হাইস্কুল প্রতিষ্ঠাসহ বহু শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন এই শিক্ষক।
মাস্টার আবু তাহের এই এলাকায় বহু সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি তিনি ছিলেন নাঙ্গলকোট থানা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, লাকসাম সমবায় সমিতির সভাপতি, নাঙ্গলকোট জিন্নাহ মেমোরিয়াল ক্লাবের সেক্রেটারি, নাঙ্গলকোট জনকল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি, সুইড বাংলাদেশ, নাঙ্গলকোট বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সমিতির সহ-সভাপতি, পাটোয়ার সিনিয়র মাদরাসার দীর্ঘ পঁচিশ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে, নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদ ও রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন।
মাস্টারের ছেলে শামসুদ্দিন দিদার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে বাবার ১০ম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে দাউদপুর আমাদের গ্রামের বাড়িতে মিলাদ ও দেয়া মাহফিলের আয়োজনসহ পর্যায়ক্রমে নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দাউদপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ইন্তেকাল করেন মাস্টার মীর আবু তাহের।
আরও পড়ুন: সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
জাতীয় কবি নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
১ বছর আগে
সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
দেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর)। বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইফুর ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে বিএনপি এবং দুররে সামাদ রহমান ও সাইফুর রহমান ফাউন্ডেশন মিলাদ মাহফিল, কোরআনপাঠ ও খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
এদিন সকালে মৌলভীবাজারে সাইফুরের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে তারা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন।
এছাড়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিহতের বাড়িতে মিলাদ মাহফিল ও কোরআনখানি এবং দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হবে।
সাইফুরকে স্মরণ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে স্থানীয় বিএনপি।
এদিকে, সাইফুরের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জাতির বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিএনপিকে শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলতে সাইফুরের ভূমিকাকেও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন ফখরুল।
১৯৩২ সালের ৬ অক্টোবর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দন গ্রামে জন্মগ্রহণকারী সাইফুর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছিলেন।
তিনি জিয়ার মন্ত্রিসভায় প্রথমে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং পরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা সাইফুর সংসদে ১২ বার বাজেট পেশ করেন। তিনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
১ বছর আগে
জাতীয় কবি নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার (২৭ আগস্ট) সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
এছাড়াও ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে খ্যাত কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলা সাহিত্যের একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তার ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে মহান কবির জীবন ও কর্ম স্মরণে।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলা ভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলায় জড়ো হন।
সেখান থেকে তারা শোভাযাত্রা সহকারে কবির কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আসরের নামাজের পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও শোভাযাত্রা ও দোয়ার মাধ্যমে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের পক্ষ থেকে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কাদের বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে বাধা হওয়ায় দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎখাত করতে জাতীয় কবির আদর্শে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
বিএনপির প্রবীণ নেতা রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলও বিদ্রোহী কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির নিজস্ব মিলনায়তনে বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অনুষ্ঠানটি একই সঙ্গে তাদের ফেসবুক গ্রুপ ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ (বিটিভি) বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার সহ রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জাতীয় কবির জীবন ও কর্মের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ ছাড়া নজরুল তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে তার বিপ্লবী এবং দর্শনীয় সাহিত্যকর্মের জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, নজরুলের ২১ বছরের সাহিত্যিক জীবনে তিনি ২ হাজার ৬০০টি গান, ৬০০টি কবিতা, ৩টি বই এবং ৪৩টি প্রবন্ধ তৈরি করেছিলেন।
শৈশবে বাবা মারা গেলে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয় নজরুলকে। এ কারণে মসজিদে তত্ত্বাবধায়ক ও মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল তাকে। পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ায় একটি পেশাদার ‘লেটো’ গানের দলে কাজ করার জন্য ৯ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছিলেন তিনি।
দলটির সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন। এক বছর পরে তিনি আবার স্কুলে যান এবং মাথারুন ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু তার আর্থিক দুরবস্থার কারণে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে আরও একবার বাদ পড়েন।
কিছু সময় পর পুলিশ অফিসার কাজী রফিজুল্লাহ তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে তার বাড়ির কাছে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করান।
১৯৭১ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে তার সামরিক চাকরি শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যে নজরুল তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন।
তিনি ১৯২১ সালে তার কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ (দ্য রিবেল) লেখেন এবং ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ (দ্য ধূমকেতু) একটি মাসিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: স্মরণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঘন ঘন জাতীয়তাবাদী জড়িত থাকার কারণে নজরুল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়েন। তিনি কারাবন্দি থাকা অবস্থায় ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (একজন রাজনৈতিক বন্দির জবানবন্দি) লেখেন।
তার কাজগুলো পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তার কবিতাগুলো অনেক বাঙালি ও জাতীয়তাবাদীকে পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
স্বাধীনতা, মানবতা, প্রেম ও বিপ্লব নজরুলের অসাধারণ সাহিত্য বার বার এসেছে। তিনি মৌলবাদ ও সব ধরনের বর্ণ, লিঙ্গ ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিলেন।
নজরুল ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধও প্রকাশ করেছেন। যদিও তার গান ও কবিতা সমালোচকদের কাছ থেকে সর্বাধিক প্রশংসা পেয়েছে। তিনি তার লেখায় আরবি ও ফারসি শব্দের উদার ব্যবহার এবং বাংলা গজল সুর জনপ্রিয় করার জন্য বিখ্যাত।
তিনি ‘নজরুল গীতি’ নামে পরিচিত তার নিজস্ব সংগীত ধারা আবিষ্কার করেছিলেন। যার মধ্যে অনেকগুলো ভিনাইল ও এইচএমভি রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।
নজরুল যখন ৪৩ বছর বয়সে একটি অজ্ঞাত রোগে ভুগছিলেন এবং ১৯৪২ সালে তিনি তার কণ্ঠস্বর এবং স্মৃতিশক্তি হারাতে শুরু করেন।
ভিয়েনার একটি মেডিকেল টিম বলে তার রোগটি ছিল ‘পিকস ডিজিজ’। একটি বিরল ও মারাত্মক নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ।
বাংলাদেশ সরকার এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে নজরুলের পরিবার বাংলাদেশে চলে আসেন এবং ১৯৭২ সালে ঢাকায় স্থায়ী হন। একই বছর বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘জাতীয় কবি’ খেতাবে ভূষিত করেন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তার অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট বিদ্রোহী কবি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশের দাবিতে রিট
১ বছর আগে
রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
রবিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে জাতি।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলা সাহিত্যে তার অসামান্য অবদানের জন্য অগ্রগামী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মহান কবির ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান তার জীবন ও কর্ম স্মরণে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সোয়া ৬টায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলা ভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলায় জড়ো হবেন।
সেখান থেকে মৌন মিছিল শুরু হয়ে কবির সমাধিতে যাবে। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন তারা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও সকাল ৭টায় নজরুলের কবরস্থানে শোভাযাত্রা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কবির সমাধিতে সমবেত হবে।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির নিজস্ব মিলনায়তনে বিশেষ সাংস্কৃতিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অনুষ্ঠানটি একই সঙ্গে তার ফেসবুক গ্রুপ এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতারসহ রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো জাতীয় কবির জীবন ও কর্মের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: স্মরণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ ছাড়া নজরুল তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে তার বিপ্লবী এবং দর্শনীয় সাহিত্যকর্মের জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, নজরুলের ২১ বছরের সাহিত্যিক জীবনে তিনি ২ হাজার ৬০০টি গান, ৬০০টি কবিতা, ৩টি বই এবং ৪৩টি প্রবন্ধ তৈরি করেছিলেন।
শৈশবে বাবা মারা গেলে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয় নজরুলকে। এ কারণে মসজিদে তত্ত্বাবধায়ক ও মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল তাকে। পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ায় একটি পেশাদার ‘লেটো’ গানের দলে কাজ করার জন্য ৯ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছিলেন তিনি।
দলটির সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন। এক বছর পরে তিনি আবার স্কুলে যান এবং মাথারুন ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু তার আর্থিক দুরবস্থার কারণে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে আরও একবার বাদ পড়েন।
কিছু সময় পর পুলিশ অফিসার কাজী রফিজুল্লাহ তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে তার বাড়ির কাছে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করান।
১৯৭১ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে তার সামরিক চাকরি শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যে নজরুল তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন।
তিনি ১৯২১ সালে তার কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ (দ্য রিবেল) লেখেন এবং ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ (দ্য ধূমকেতু) একটি মাসিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন।
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঘন ঘন জাতীয়তাবাদী জড়িত থাকার কারণে নজরুল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়েন। তিনি কারাবন্দি থাকা অবস্থায় ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (একজন রাজনৈতিক বন্দির জবানবন্দি) লেখেন।
তার কাজগুলো পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তার কবিতাগুলো অনেক বাঙালি ও জাতীয়তাবাদীকে পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
স্বাধীনতা, মানবতা, প্রেম ও বিপ্লব নজরুলের অসাধারণ সাহিত্য বার বার এসেছে। তিনি মৌলবাদ ও সব ধরনের বর্ণ, লিঙ্গ ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিলেন।
নজরুল ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধও প্রকাশ করেছেন। যদিও তার গান ও কবিতা সমালোচকদের কাছ থেকে সর্বাধিক প্রশংসা পেয়েছে। তিনি তার লেখায় আরবি ও ফারসি শব্দের উদার ব্যবহার এবং বাংলা গজল সুর জনপ্রিয় করার জন্য বিখ্যাত।
তিনি ‘নজরুল গীতি’ নামে পরিচিত তার নিজস্ব সংগীত ধারা আবিষ্কার করেছিলেন। যার মধ্যে অনেকগুলো ভিনাইল ও এইচএমভি রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।
নজরুল যখন ৪৩ বছর বয়সে একটি অজ্ঞাত রোগে ভুগছিলেন এবং ১৯৪২ সালে তিনি তার কণ্ঠস্বর এবং স্মৃতিশক্তি হারাতে শুরু করেন।
ভিয়েনার একটি মেডিকেল টিম বলে তার রোগটি ছিল ‘পিকস ডিজিজ’। একটি বিরল ও মারাত্মক নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ।
বাংলাদেশ সরকার এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে নজরুলের পরিবার বাংলাদেশে চলে আসেন এবং ১৯৭২ সালে ঢাকায় স্থায়ী হন। একই বছর বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘জাতীয় কবি’ খেতাবে ভূষিত করেন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তার অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট বিদ্রোহী কবি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
১ বছর আগে
হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) কথাশিল্পী, নাট্যনির্মাতা ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এই কিংবদন্তি লেখক ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে তার পরিবারসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ
সকালে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন এবং তাদের দুই ছেলে নিনিত ও নিষাদ।
সকাল থেকে বিশেষ মোনাজাত ও কোরআন খতমের আয়োজন করা হয় এবং তার আত্মার চির শান্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়।
তার স্ত্রী শাওন ও নুহাশ পল্লী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দুপুরে এতিমদের শিশুদের খাওয়ানো হবে।
২০১৩ সাল থেকে বিশেষ এই দিন পালন করে আসছে লেখকের ভক্তদের একং সংগঠন হিমু পরিবহন। বুধবার সকালে লেখকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এই সংগঠনের সদস্যরা।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি সংগঠন লেখকের স্মরণে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একই সঙ্গে লেখকের ভক্তরা্ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিংবদন্তির প্রতি আবেগপূর্ণ স্ট্যাটাস লিখেছেন শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এই শব্দস্রষ্টার জীবন ও গৌরবময় কর্মজীবনকে তুলে ধরে টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনগুলোও বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের কুতুবপুর গ্রামে ফয়জুর রহমান আহমেদ ও আয়েশা ফয়েজের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯৬৫ সলে স্কুল সার্টিফিকেট, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরে পলিমার রসায়নে পিএইচডি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে যান।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ছিল 'নন্দিত নরকে'। যা যুগান্তকারী একজন লেখক হিসেবে তার কর্মজীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক বিজয়ী লেখক হিসেবে ২০০ টিরও বেশি ফিকশন ও নন-ফিকশন বই লিখেছেন। যার সবকটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বাধিক বিক্রিত।
বাঙালি সংস্কৃতি ও বিনোদন ক্ষেত্রে তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৮৩ সলে বাংলাদেশ টেলিভিশনে হুমায়ূন আহমেদ তার 'প্রথম প্রহর' নাটক দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।
টেলিভিশনে তার সফল যাত্রা অব্যাহত ছিল জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক 'এই সব দিন রাত্রি', 'বহুব্রীহি', 'অয়োময়', 'নক্ষত্রের রাত', 'আজ রবিবার' নাটক দিয়ে। তবে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাটক হলো 'কোথাও কেউ নেই'।
এ ছাড়া প্রবীণ অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের মুখ্য চরিত্র 'বাকের ভাই' দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। তার উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে মোট আটটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
তার দুইটি চলচ্চিত্র ‘শ্যামল ছায়া’ (২০০৪) ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ (২০১২) একাডেমি পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে পাঠানো হয়েছিল।
তিনি ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (চিত্রনাট্যকার হিসেবে), ‘আগুনের পরশমনি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্র বিভিন্ন বিভাগে সাতটি বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জীবনাবসান
১ বছর আগে
দেশের ১৫ জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ খুলেছে বিএনপি
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ খুলেছে বিএনপি। রবিবার বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এসব পাঠাগারের উদ্বোধন করেন।
এগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, কক্সবাজার, ঠাকুরগাঁও, মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, জয়পুরহাট, যশোর ও রাজবাড়ীতে দলের কার্যালয়ের ভেতরে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সকলকে বই পড়তে হবে। একটা অনুরোধ থাকবে যারা আজকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তাদের অনেকেই জেলাগুলোতে তড়িঘড়ি করে এই পাঠাগার তৈরি করেছেন এবং সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছেন। শুধু সাজালে চলবে না, বইগুলো রেখে দিলে চলবে না। বইগুলো যেন পড়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান যে সরকার, এই সরকার কিন্তু পাঠাগার ধবংস করেছে। আপনারা কতটুকু জানেন জানি না, আমি জানি আগে প্রত্যেকটা জেলায় সরকারিভাবে পাঠাগার নির্মাণ করা হতো এবং সেখানে বরাদ্ধ দেওয়া হতো, প্রচুর বইপত্র দেওয়া হতো। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র একটা আছে, সেই গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বইপত্রগুলো সেখানে (বিভিন্ন পাঠাগারে) পাঠানো হতো প্রতিবছর। এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘পাঠাগারের আন্দোলনই এখন নেই। এই আন্দোলনটা আমাদের তৈরি করতে হবে। আজকে আপনারা যে আজকে ১৫ টা জেলায় পাঠাগার আমাদের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব উদ্বোধন করলেন, এটাকে আন্দোলনের পরিণত করতে হবে। সবাই এই কাজ করে না, যারা করে তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। সব কিছুকে রাজনীতিকরণ করার প্রয়োজন নেই। এখানে আমার রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য এই পাঠাগারকে অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আমরা যেন প্রতিটি জেলায় অন্তত একটা পাঠাগার নির্মাণ করতে পারে সেই প্রচেষ্টা আমাদের নিতে হবে। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি বিএনপি সেই দল, যে জেলায় জেলায় পাঠাগার গড়ে তুলছে।’
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম সভাপতিত্বে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনলাইনে যুক্ত থাকার ১৫ টি জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুযেল, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
১ বছর আগে