ভয়াবহ
বন্যার পর সুনামগঞ্জে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন
বন্যার পর এবার সুনামগঞ্জে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন। এতে বিপাকে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ। তিন দফা বন্যার পর নদীভাঙনে অসহায়ত্ব ফুটে উঠছে ভাটি জেলার মানুষের চোখে-মুখে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের কবলে পড়ে সদর উপজেলার সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা বশির মিয়ার পুরো বসতভিটাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন নদীপাড়ে বসে প্রায় প্রতিদিনই কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
ইউএনবিকে বশির মিয়া বলেন, ‘আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই। সবকিছু নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে যেখানে রাত হয় সেখানেই থাকি। এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ খোঁজ নেয়নি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে মধুমতি নদীভাঙনের কবলে শতাধিক পরিবার
শুধু বশির মিয়ার নয়, সদরপুর গ্রামের আরও অনেকেরই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, নলজুর, বটেরখাল, মহাশিং, নাইন্দাও পুরাতন সুরমা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ উপজেলার ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার থেকে শুরু করে মসজিদ ও কবরস্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে শত কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যকর ফল মিলছে না।
এদিকে, বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
৪ সপ্তাহ আগে
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা
গত দুইদিন ধরে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষজন। এতে করে বিদ্যুৎ নির্ভর সব কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদন। এছাড়া শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ের হার আরও বেশি।
এদিকে খুলনায় দিনে রাতে সমান তালে চলছে লোডশেডিং। এছাড়া চরম বিপাকে খুলনা ও বরিশাল এবং ফরিদপুর এলাকার পাঁচ জেলার মানুষ।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, দিনাজপুরে তীব্র লোডশেডিং
খুলনার ১০ জেলা, বরিশালের ৩ জেলা ও ফরিদপুরের ৫ জেলাসহ মোট ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।
সংস্থাটির খুলনার বয়রার প্রধান কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২১ জেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার। শুধুমাত্র খুলনায় আছে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার গ্রাহক।
২১ জেলায় ওজোপাডিকোর আওতাধীন এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চাহিদা ছিল ৬৫৯ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিল ৫৬০ মেগাওয়াট।
এদিকে রাতে ২১ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। লোডশেডিং ছিল ১০০ মেগাওয়াটের বেশি।
এছাড়া খুলনাতে ৪৫ মেগাওয়াট, বরিশালে ১১ মেগাওয়াট, গোপালগঞ্জে ৫ মেগাওয়াট, নড়াইলে ২ মেগাওয়াট, মাগুরায় ৩ মেগাওয়াট, সাতক্ষীরায় ২ মেগাওয়াট, কুষ্টিয়ায় ৬ মেগাওয়াট, চুয়াডাঙ্গায় ৫ মেগাওয়াট, ফরিদপুরে ৬ মেগাওয়াট, রাজবাড়িতে ৪ মেগাওয়াট, মাদারীপুরে ৪ মেগাওয়াট, শরীয়তপুরে ২ মেগাওয়াট ও ঝালকাঠিতে ৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।
নগরীর মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা কলেজছাত্র ইমন শেখ বলেন, খুলনায় আবার লোডশেডিং শুরু হয়েছে। লোডশেডিংয়ের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক দিন মোমবাতি কেনা লাগত না, এখন আবার কিনতে হচ্ছে।
দাকোপ উপজেলার গুনারি গ্রামের সাব্বির হেসেন বলেন, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমেও ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ যাওয়ার পর এক ঘণ্টার মধ্যে আর আসে না।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, লোডশেডিং হলে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোল্ড স্টোরেজে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এছাড়া লোডশেডিং চলাকালে জেনারেটর চালিয়ে রাখতে বাড়তি ব্যয় হয় বলে জানান ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক।
খুলনা বিদ্যুৎ বিভাগ ৪ এর সহকারী প্রকৌশলী মামুন হক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে। কিন্তু আমরা অপারগ।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওজোপাডিকোর এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। সে কারণে ঘাটতিপূরণে লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এটা শুধু খুলনা অঞ্চলে নয়, আরও অনেক জেলায় হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
১ মাস আগে
আইন অমান্যকারীদের ভয়াবহ পরিণতি হবে: ইসি রাশেদা
যারা আইন মানবে না, তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, পেশি শক্তিতে ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে জাল ভোট দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এসব ঠেকানোর জন্য ব্যালট পেপারের উল্টো দিকে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সিল ও সইয়ের নিয়ম চালু করা হয়েছে। সিল ও সই না থাকলে ওই ভোট বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন নিয়ে চিন্তা নেই: ইসি রাশেদা
রবিবার সকালে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
সব দলকে নির্বাচনে আনা প্রসঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, কমিশন চায় নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে আসুক। কিন্তু আসা না আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে৷ ইসির হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরোধপূর্ণ হয়ে গেছে৷ এটা দূর করার মতো কোনো ক্ষমতা বা এখতিয়ার কমিশনের হাতে দেওয়া নেই। তবে রাজনৈতিকভাবে এটা দ্রুত শেষ করে দেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান: ইসি রাশেদা সুলতানা
ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিলে শাস্তির বিধান করা হয়েছে: ইসি রাশেদা সুলতানা
৬ মাস আগে
ভয়াবহ এইডসের ঝুঁকিতে খুলনাঞ্চল
খুলনা বিভাগে এইচআইভি এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিভাগের মধ্যে এইডসের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে খুলনাঞ্চল।
জানা যায়, গত ৬ মাসে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে অ্যান্টি রেক্ট্রোভাইরাল থেরাপী (এআরটি) সেন্টারে ৪২ জনের নমুনায় এইডসের জীবাণু শানক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে খুলনা জেলায়। একই সময়ে এই জীবাণু বহনকারী রোগে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
এছাড়া চলতি বছরে বিভিন্ন জেলা থেকে খুমেক হাসপাতালে এআরটি সেন্টারে ৪৩ জন নতুন এইডস রোগী রেফার করা হয়। সে হিসেবে গত ছয় মাসে খুলনা বিভাগে এইডসের জীবাণুবাহী নতুন রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে ৮৫ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশকারীদের রক্ত পরীক্ষা না করা, নিষিদ্ধ পল্লী ও ভাসমান যৌনকর্মীদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকা,যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহারে অনীহার কারণে এ পরিস্থিতি জটিল রূপ নিচ্ছে।
খুমেক হাসপাতালের এআরটি সেন্টারের তথ্যমতে, গত ৬ মাসে (২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত) ৪৬০ জনকে এইডস পরীক্ষা করে নতুন করে ৪৫ জনের এইডস শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ জন এবং ১৫ জন নারী রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে এক বছরে ৫৬ জন নতুন এইডস রোগী!
শনাক্তের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ বেশি। এই জেলায় শনাক্ত হয় ১৯ জনের। এছাড়া বাগেরহাটে ১০ জন,যশোরে ৬ জন, নড়াইলে ৩ জন এবং বরগুনা, গোপালগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরায় ১ জন করে এইডস শনাক্ত হয়েছে।
একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এর মধ্যে পুরুষের মৃত্যু হয় ৮ জনের। মৃতদের মধ্যে যশোরের ৬ জন, খুলনায় ৩ জন, নড়াইল ও সাতক্ষীরায় ২ জন করে এবং বাগেরহাট ও মেহেরপুরে ১ জন করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
খুমেক এআরটি সূত্রমতে, ২০২২ সালে নভেম্বর মাসে ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে এইডস পজিটিভ পাওয়া যায় ২ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এছাড়া ডিসেম্বর মাসে ৭৭ জনের পরীক্ষার মধ্যে পজিটিভ ৫ জন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৯১ জন নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ২ জন পজিটিভ পাওয়া যায়, একই সময়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের, ফেব্রুয়ারিতে ৮৪ জনের মধ্যে ১১ জন পজিটিভ এবং ৫ জনের মৃত্যু, মার্চে ৭২ জনের মধ্যে ১৪ জন পজিটিভ এবং মৃত্যু হয়েছিলো ২ জনের এবং এপ্রিলে ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় এইডস পজিটিভ পাওয়া যায় ৮ জনের। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছিলো ২ জনের।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, খুমেক এআরটি সেন্টার থেকে বিনামূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই রোগীদের ওষুধে কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এইডস বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্ঞান কম থাকার কারণে মানুষ এ বিষয়ে সচেতন নয়। যার ফলে তারা এই ভয়াবহ ব্যাধি অসেচতন আচরণ করছে।
তিনি এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, একমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই এইডসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
খুমেক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ( মেডিসিন) ও এআরটি সেন্টারের ফোকাল পার্সন ডা. দীপ কুমার দাশ বলেন, শুধুমাত্র অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য এইডস আক্রান্ত হয় বিষয়টি তেমন নয়। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত নিলেও এইডসে আক্রান্ত হয়। তাই আক্রান্তের প্রতি অবজ্ঞা নয়, ভালবাসার দৃষ্টিতে দেখা উচিৎ।
সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় খুলনা অঞ্চলে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খুমেক হাসপাতালের এআরটি সেন্টারের কাউন্সিলর কাম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দিবেশ ওঝা বলেন, গত ৬ মাসে তাদের এ সেন্টার থেকে ৪৬০ জনের রক্ত পরীক্ষা করে ৪২ জন শরীরে এইডস পজিটিভ পাওয়া যায়। একই সময়ে বিভিন্ন জেলা থেকে এ সেন্টারে এইডস পজিটিভ ৪৩ জনকে রেফার করা হয়। সে হিসেবে খুলনা বিভাগে ছয় মাসে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৫ জনের। এ পর্যন্ত এআরটি সেন্টারে আইডিভুক্ত এইডস রোগীর সংখ্যা ৫৭৫ জন। এর মধ্যে নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন ৪৪০ জন।
উল্লেখ্য, খুমেক হাসপাতালের সেন্টারে (২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত) ৯২৩ জনকে এইডস পরীক্ষা করে তিন শিশুসহ ৬৫ জনের এইডস শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও মহিলা রয়েছে ৩২ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
এর আগে ২০২১ সালে ৯২৩ জনকে এইডস পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছিলো ২৮ জন, ২০২০ সালে ৮২০ জনের পরীক্ষার মাধ্যমে এইডস শনাক্ত হয় ৩২ জন এবং ২০১৯ সালে ৫৩৫ জনের মধ্যে এইডস শনাক্ত হয়েছিলো ৪২ জনের।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা
১ বছর আগে
খুলনা বিভাগে রেকর্ড মৃত্যু ৬০, শনাক্ত ১৯০০
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আবারও করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড ভেঙেছে খুলনা বিভাগ। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের রেকর্ড ভেঙে বিভাগে সর্বোচ্চ ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় পাড়া মহল্লায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
বুধবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,এর আগে সোমবার খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৬৫ জনের করোনা শনাক্তের রেকর্ড হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনায় প্রাণ হারালেন আরও ১৭ জন
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনায়। কুষ্টিয়ায় ১১ জন, ঝিনাইদহে সাতজন, যশোরে ছয়জন, চুয়াডাঙ্গায় পাঁচজন, নড়াইলে চারজন, বাগেরহাটে তিনজন, মেহেরপুরে দুজন ও মাগুরায় একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ২২
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৩৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩২৫ জন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ হাজার ৮৪৪ জন।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৯ মার্চ খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
৩ বছর আগে
লকডাউন তুলে নেয়া হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে নেয়া হলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির ভয়াবহ বিস্তার ঘটতে পারে, খবর বিবিসি।
৪ বছর আগে