জব্দ
ছাতক সীমান্তে ভারতীয় ৬৫ দুম্বা ও ছাগল জব্দ
সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় ২৮ টি দুম্বা ও ৩৭ টি রাম ছাগল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সাড়ে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী সুরমা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ভারতীয় এসব প্রাণী জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)।
জব্দ করা দুম্বা এবং ছাগলের আনুমানিক বাজারমূল্য ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
আরও পড়ুন: শেরপুরের গজনী অবকাশ চিড়িয়াখানার সাত প্রজাতির ১৭ প্রাণী জব্দ
এ ব্যাপারে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদকে টার্গেট করে চোরাকারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেজন্য চোরাই পথে এসকল পশু ভারত হতে পাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব দুম্বা ও ছাগল জব্দ করা হয়। পশুগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
৩ দিন আগে
সিলেটে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেটে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দ করা পণ্যের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৬ হাজার ৫০ টাকা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগ্রাম, দমদমিয়া, লবিয়া, কালাইরাগ, তামাবিল, বাংলাবাজার, শ্রীপুর ও বিছনাকান্দিতে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে— মোবাইল ডিসপ্লে, মেলনোর ক্রিম, ক্লোবিটা ক্রিম, গোমেলা ক্রিম, ফোমিং ফেস ওয়াশ, স্কিন সানরাইজ ক্রিম, আল্ট্রা ব্রাইট ক্রিম, স্কিন সাইন ক্রিম, হোয়াইট টোন ক্রিম, চকলেট, ক্লোপ জি ক্রিম, হেয়ার ফল সিরাম, চিনি, গ্লোটাবেট সি ক্রিম, সানস্কিন জেল, গরু, শুটকি, সুপারি, বিয়ার, মদ। বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে শিং মাছ ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত চোরাচালানী মালামালগুলোর বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৩ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৫১০ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সিলেটের সোনালীচেলা, নোয়াকোট, বিছনাকান্দি, বাংলাবাজার, কালাসাদেক, সোনারহাট, প্রতাপপুর ও সদর অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
পণ্যগুলো হলো— ভারতীয় নিমেসুলাইড ট্যাবলেট, পন্ডস ব্রাইট বিউটি ফেসওয়াস, স্কিন সানরাইজ ক্রিম, প্রিমিয়াম মিল্ক লাচ্ছা সেমাই, কর্ণফ্লেক্স মিক্স, ট্যাং, ফ্যাশন হার্বস গোল্ড ক্রিম, নূপুর, জিরা, মাল্টা, সুপারি, আঙ্গুর, গরু, চিনি, ছাগল ও মদ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৩ কেজি ৬ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক এসব পণ্য জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা এই বিপুল পরিমাণ চোরাচালানের মালামাল জব্দ করেছে। আটক মালামালগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক মালামালের মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৫১০ টাকা বলেও জানান তিনি।
২০ দিন আগে
ক্রিকেটার সাকিবের সম্পদ জব্দের আদেশ
চার কোটি টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ মার্চ) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন। এদিন তার গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল।
তবে বনানী থানা পুলিশ এ সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য বাদীপক্ষের আইনজীবী রাফি আহসান সাকিবের সম্পদ জব্দের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: রিং পরানো হয়েছে তামিমের হার্টে
পরে আদালত সাকিবের সম্পদ জব্দের আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
অপর আসামিরা হলেন— সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন, ডিরেক্টর ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। মামলায় সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মকেও আসামি করা হয়।
আসামিদের ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত। ওই দিন ইমদাদুল হক আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। তবে সাকিব ও গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনের জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত। পরবর্তীতে গাজী শাহাগীর হোসাইনও আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন পান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোম্পানিটির কার্যক্রম সাতক্ষীরায়। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি ও টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা বনানী শাখার আইএফআইসি ব্যাংক থেকে নেন। পরবর্তীতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে নেওয়া টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় ব্যাংকটি এই টাকা মেয়াদি লোনে পরিবর্তন করে। টাকা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা নোটিশ দেওয়ার পর কোম্পানিটি ব্যাংককে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয়।
আরও পড়ুন: তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি, জানালেন চিকিৎসক
তবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেক বাউন্স করে। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা আইন অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তবে নোটিশ পাঠানোর ৩০ দিন পার হলেও তা না পেয়ে আদালতে এসে মামলা করেন।
২৪ দিন আগে
শেখ হাসিনা ও পরিবারের আরও ৩১ ব্যাংক হিসাব জব্দ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানাসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৩১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দুদক উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করতে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৩১টি অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা হচ্ছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন তাদের অস্থাবর সম্পদ ও সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন, স্থানানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন, এ কারণে হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনা, তার ছেলে, মেয়ে, ছোট বোন ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির বাসভবন সুধা সদনসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও কিছু সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন একই আদালত। একই সঙ্গে হাসিনাসহ তার পরিবারের সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়।
৩০ দিন আগে
সিলেটে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় চোরাই চালান জব্দ
সিলেট গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা ১২ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দ হওয়া বড় চালান এ যাবৎকালের সবচেয়ে চালান।
বুধবার (১২ মার্চ) গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করে বিজিবি সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ ব্যাটালিয়ন ৪৮।
জব্দ পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, কসমেটিকস, জিরা, মাল্টাসহ অন্যান্য পণ্য।
আরও পড়ুন: ভারতে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা, সাতক্ষীরায় আটক ১
সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’
এছাড়া জব্দকৃত চোরাচালানের মালামালসমূহের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান নাজমুল হক।
৩৬ দিন আগে
সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাহিরপুর উপজেলাধীন ১ নম্বর উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও বিওপি কর্তৃক সীমান্ত পিলার-১২৯৪/৩- এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙ্গলবাড়ি নামক স্থান হতে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
জব্দ করা পণ্যগুলো হলো— শার্ট ৫ হাজার ১২৭টি, প্যান্টের কাপড় ১৫৬ মিটার, ব্লেজার কাপড় ১ হাজার ২৯৬ মিটার, পাঞ্জাবি কাপড় ২০ হাজার ৪৩০ মিটার ও স্কিন সানরাইজ ক্রীম ৯ হাজার পিস। আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯২ হাজার ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চারাগাঁও বিওপির টহল দল জঙ্গলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন ভারতীয় পণ্যগুলো আটক করে।’
তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তের চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। জব্দ করা মালামাল শুল্ক কার্যালয়, সুনামগঞ্জে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
৪১ দিন আগে
ওসমানী বিমানবন্দরে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে দুবাই থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইটের একটি বিমান থেকে স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করা হয়।
বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগের সহকারী কমিশনার ও বিভাগীয় কর্মকর্তা ইনজামাম উল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিমানের ভেতর যাত্রীবিহীন সিট থেকে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যার পরিমাণ ৯২৮ গ্রাম এবং বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি টাকা। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৮টি স্বর্ণের বার পাচারকালে ভারতীয় নাগরিক আটক
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২১ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুজনকে আটক করেছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও শুল্ক গোয়েন্দা।
দুবাইয়ের শারজাহ এয়ারপোর্ট থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-২৫২–এর দুজন যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ওই স্বর্ণ পাওয়া যায়।
৬২ দিন আগে
জব্দ অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএফআইইউ
সন্দেহজনক লেনদেন ও অর্থপাচারের মাধ্যমে জমা হওয়া ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাড়ে ৩৫০টির বেশি অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে।
জব্দ করা অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগ এবং বিএফআইইউর নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আপসহীন অবস্থানে সরকার
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, অর্থপাচার রোধ ও পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএফআইইউর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রভাবশালী কোনো ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে পাচারের তথ্য প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।’
এই কর্মকর্তা ইঙ্গিত দেন যে, এই পদক্ষেপের ফলে দেশে ব্যবসায়ের মালিকানা পরিবর্তিত হতে পারে, পাচার হওয়া অর্থ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ প্রধান পদে সাক্ষাৎকার নিয়ে উদ্বেগ
আইনি কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, তদন্ত চলাকালীন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সর্বোচ্চ সাত মাস সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে পারে। যদি কোনো মামলা দায়ের করা হয়, তবে আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে পারে।
হাসান বলেন, 'বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার একটি জটিল প্রক্রিয়া, তবে সরকার-টু-সরকারের চুক্তি এটি সহজ করতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের বিধিবিধান প্রায়ই সম্পদ পুনরুদ্ধারকে জটিল করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণ করতে পারে যে, ওই অর্থ অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে, তাহলে তা উদ্ধার করা কিছুটা সহজ হবে।’
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি আন্তর্জাতিক আর্থিক আইনের জটিলতা নিরসনে একটি শক্তিশালী আইনি দলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পেতে সরকারের দৃঢ় সংকল্প ও ধৈর্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী আইনি লড়াইয়ের দল দরকার।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অর্থ পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ প্রথা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রথমে দেশের অভ্যন্তরে টাকা সরিয়ে নেওয় হয়, তারপর বিদেশে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং এটি প্রতিরোধে একটি কার্যকরী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।’
স্থগিত অ্যাকাউন্ট এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
সূত্র জানায়, স্থগিত করা অ্যাকাউন্টগুলোর বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই অ্যাকাউন্টগুলো আইনগতভাবে মালিকদের মালিকানায় রয়েছে।
মুজেরি পরামর্শ দেন, বাজেয়াপ্ত তহবিলগুলো অভিযুক্তদের কর্মের দ্বারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিএফআইইউ এখন সিআইডি, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং কর গোয়েন্দাদের সঙ্গে প্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনি মামলা পরিচালনার জন্য কাজ করছে। এই পদক্ষেপটি অর্থ পাচার মোকাবিলা এবং চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
৮৬ দিন আগে
বেনাপোলে মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
বেনাপোল সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড (বাংলাদেশ) বিজিবি।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে শাহজাদপুর সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে গামছায় মোড়ানো ৩০ হাজার মার্কিন ডলার জব্দ করে।
আরও পড়ুৃন: মেঘনায় ট্রলারসহ ৫০ মণ জাটকা জব্দ, আটক ৯
এছাড়া বেনাপোলের আমড়াখালী চেকপোস্ট ও বেনাপোল বিওপিসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযানে ভারতীয় মদ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, পান মসলা, সিগারেট এবং বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
জব্দ করা মালামালের মূল্য প্রায় ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুৃন: এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
৮৮ দিন আগে