সরকারি বাসভবন গণভবন
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টির একটি প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন পল ব্রিস্টো এমপি, জেন হান্ট এমপি, পলেট হ্যামিল্টন এমপি, এন্টনি হিগিনবোথাম এমপি ও টম হান্ট এমপি। বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিশেষ করে ওষুধ ও নারী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
তারা মানসিক স্বাস্থ্য মোকাবিলায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন ছিল না এবং তার মেয়ে সায়মা এটিকে দেশে পরিচিত করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ওষুধ রপ্তানি করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায় আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বৈদেশিক নীতির (সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়) কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনো বড় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।’
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এই পদক্ষেপের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে নারীরা এখন সংসদের নেতা, উপনেতা ও স্পিকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সরকারের সচিব এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কেউ যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে সেজন্য তারা আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়: প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় হাইকমিশনার
নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশগুলোর জন্য ভারতের একটি নীতি রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়। যেকোনো বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায় বাংলাদেশ।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে প্রণয় ভার্মা এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এই অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করে যাবে। তিনি বাংলাদেশকে ভারতের ‘খুব ভালো বন্ধু’ বলেও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: আইটেক অ্যালামনাইগণ ভারত- বাংলাদেশের বন্ধুত্বের প্রদর্শন: হাইকমিশনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশ কখনোই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি, সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম ও সীমানা নেই।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না এবং বাংলাদেশের মাটিকে কখনোই এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেয় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ অমীমাংসিত সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।
তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ভারতীয় হাইকমিশনার উল্লেখ করেন যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সিইপিএ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে: হাইকমিশনার
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করবে।
ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সমগ্র জীবন বাংলাদেশের জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও দেশবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সহজতর করার জন্য ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ‘ভেরি স্পেশাল পার্টনার’: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুক্রবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি।
সাক্ষাতে মন্ত্রী বাণিজ্য সম্পর্ক ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে নৌ ও বিমান যোগাযোগের ওপর জোর দেন।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২২তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কার সৌভাগ্য ও দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কামনা করেন।
আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার সময় শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশ ও সমগ্র অঞ্চলের সামগ্রিক সামাজিক-অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা স্থাপত্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি শিপিং সংযোগ ও পিটিএ চায় বাংলাদেশ
তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের পৈতৃক ভূমিতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের টেকসই, নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য শ্রীলঙ্কার সমর্থন চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতারও প্রশংসা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে শ্রীলঙ্কানরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানায়।
আলী সাবরি তার সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে কলম্বো সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে বৈঠকটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংকগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এসিইউ লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিবি’র
২ বছর আগে
‘জীবনেও ভাবি নাই, পাক্কা ঘরে থাকবার পামু’
জীবনেও ভাবি নাই, পাক্কা ঘরে থাকবার পামু। আর আইজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরও পাইলাম, তার সাথে কথাও কইলাম। এই আনন্দ কয়ে বোঝানো যাইবো না।
জমিসহ নতুন ঘর পাওয়ার পর ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে পেরে এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন শেরপুরের তাসলিমা খাতুন (৩০)।
রবিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে শেরপুরে সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদিগ্রাম গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এলাকার সাথে সরাসরি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগীদের সাথে কথা বলতে চাইলে তার সাথে কথা বলেন তাসলিমা খাতুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমি স্বামী পরিত্যক্তা। আমার কোন ঘর-বাড়ি আছিল না। বাপের বাড়িতেই আছিলাম। এহন আমারে আপনি একটা ঘর উপহার দিছেন। সেই ঘর পাইয়া অনেক ধন্য হইছি। জমি দিছেন। ঘরে বিদ্যুৎ পাইছি। আরও অনেক সুবিধা পাইছি। তার জন্য অনেক খুশি’।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো শেরপুরে ১৬৭ গৃহহীন পরিবার
তাসলিমা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এরকম ঘরে থাকতে পারমু কহনো ভাবতে পারি নাই। মাথার ওপর ছাদ ছিলো না। এখন নিজের জমি হইছে, নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে পারমু। আল্লার কাছে দোয়া করি, যেন আল্লায় আপনারে ভালো করে’। এ সময় তাছলিমা প্রধানমন্ত্রীকে হলদিগ্রাম গুচ্ছগ্রামে বেড়াতে আসার আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহহীনের অভাব ঘুচবে ১৫৭২ পরিবারের
জমি সহ ঘর পেয়ে দারুণ উচ্ছসিত হলদিগ্রাম গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা। উচ্ছাস যেন কমছে না ষাটোর্ধ্ব দিনমজুর লাল মিয়া ও তার স্ত্রী রেজিয়া খাতুনের। লাল মিয়া জানান, জন্মের কয়েক বছর পরেই বাবা-মা হারান। অন্যের বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন দীর্ঘ দিন। পরে শ্যালকের (বউয়ের ছোট ভাই) অত্যাচারে সেই বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পাখির মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন। বুড়ো বয়সে এসে নিজের নামে তিনিই কিনা পেলেন জমির দলিল ও ঘরের কাগজ। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচূড়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া ও তার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন নতুন পাওয়া ঘর ঘুরে ঘুরে দেখিয়ে জানালেন, আধা পাকা ঘরটি তাদের খুব পছন্দ হয়েছে। থাকার কক্ষের সঙ্গে রান্নাঘর। টয়লেটের ব্যবস্থাও ভালো। বিদ্যুৎ আছে। পানি আছে। পরিবার নিয়ে এখন খুব ভালোভাবে থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর
ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের হলদীগ্রাম আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন। পরে হলদীগ্রাম আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীবৃন্দ।
হলদীগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পটি ৩ একর ১৩ শতক আয়তনের এ জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১৫টি পরিবার আছে। নতুন করে যুক্ত হলো আরও ২৫টি পরিবার। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর প্রদান উপলক্ষে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নতুন নির্মিত ঘরগুলোর উদ্বোধন উপলক্ষে ঘরের দরজার সামনে লাগানো হয়েছে নামফলক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকারভোগীদের দেওয়া হয়েছে নতুন জামা-কাপড়। সবমিলিয়ে নিজের নামে জমির দলিল ও জমির ওপর সেমি পাকা ঘর পেয়ে ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, ‘মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে শেরপুর জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৭টি গৃহহীন পরিবারকে জমি সহ ঘর দেওয়া হয়েছে। তন্মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০টি, নকলায় ৪২টি, নালিতাবাড়ীতে ৫০টি, শ্রীবরদীতে ২০টি ও ঝিনাইগাতীতে ২৫টি ঘর রয়েছে। এগুলো প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, দিনমজুর, বিধবা, কাজের মহিলাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। ঘর নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
৩ বছর আগে
পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগান: প্রধানমন্ত্রী
পরিবেশ রক্ষায় ‘মুজিব বর্ষে’ জনগণকে বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে
বাইরের কাউকে এলাকায় প্রবেশ করতে দিবেন না: প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে তাদের নিজেদের এলাকাকে সুরক্ষিত রাখতে কিছুদিনের জন্য বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে