জনসমাগম
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল জনসমাগম
আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে ঢাকা ও আশপাশের কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুপুর ১২টা থেকে অনুষ্ঠানস্থলে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে। দুপুর ২টার মধ্যে পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ।
অনুষ্ঠানে বিপুল কাউন্সিলরের উপস্থিতি দেখা যায় এবং দলটির নেতাকর্মীদের রঙিন শার্ট পরে সভায় অংশ নিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ঢাকা জেলার পদপ্রত্যাশী নেতাদের বড় বড় মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে।
এতে উৎসবমুখর পরিবেশ ও আয়োজন উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। ঢাকা জেলা ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত: সাভার, ধামরাই,দোহার,নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ।
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
২ বছর আগে
করোনা: জনসমাগম এড়ানোর পরামর্শ এনটিএসি’র
দেশে করোনার সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধির পাওয়ায় এর বিস্তার রোধে জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (এনটিএসি) ছয়টি সুপারিশ করেছে।
এনটিএসি’র সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়ে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সুপারিশগুলো হলো:
১. স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মিডিয়াকে অনুরোধ করা
২. সর্বত্র মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি কার্যকর করা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
৩. মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জাসহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করুন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
৪. জ্বর, কাশি এবং সর্দিসহ করোনা উপসর্গ দেখতে পেলে লোকেদের করোনা পরীক্ষা করতে বলা।
৫. সকল শপিংমল, দোকান, মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁয় মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা বা আইনি ব্যবস্থা নেয়া।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ২ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ২
৬. মসজিদের ইমামদের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার জন্য এবং জুমার নামাজের সময় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য খুতবা দিতে হবে।
সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও মন্ত্রিসভা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে দুই হাজার ৮৭ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১ জনে পৌঁছেছে। এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৪৯২ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২০০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ সাত হাজার ৬৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের ১২ বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত: প্রধান বিচারপতি
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বহুমুখী পাটপণ্য মেলার শেষ দিনে ব্যাপক জনসমাগম
বহুমুখী পাটপণ্য মেলার শেষ দিনে ব্যাপক লোক সমাগম হয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
এর আগে রবিবার রাজধানীর ফার্মগেটের মনিপুরী পাড়ায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রোডাক্ট সেন্টার (জেডিপিসি) এর প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার ছিল এ আয়োজনের শেষ দিন।
মেলায় ৩৩টি স্টলে বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২টি পণ্য প্রদর্শন করেন। আর ৩৩ জন উদ্যোক্তার মধ্যে তিনজন সেরা ডিসপ্লে পুরস্কার পেয়েছেন।
হোলি ক্রাফট অ্যান্ড ফ্যাশনের সিইও মো. কামরুল হোসেন প্রথম পুরস্কার জিতেছেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে সুসং ফ্যাশনের মো. জাকিরুল ইসলাম ওকুল এবং ‘ক্র্যাফট ভিশন’-এর ইব্রাহিম খলিল।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
তিনি বলেন, ‘এটা মাত্র শুরু। পাটের বহুমুখী পণ্য ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন শহরে এ ধরনের আরও মেলার আয়োজন করা হবে।’
আরও পড়ুন: নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
মোহাম্মদ আবুল কালাম বিদেশি ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করতে উদ্যোক্তাদের পণ্যের গুণগতমান উন্নত করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেডিপিসি একটি শিল্প প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে। শিল্পীরা সেখানে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বিভিন্ন থিম আঁকেন।
শিল্পী রাশিদুল ইসলাম প্রথম, মনিরুল আলম দ্বিতীয় এবং এস এম মিজানুর রহমান তৃতীয় পুরস্কার পান।
টুইঙ্কল ক্রাফট ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী মরিয়ম নার্গিস ইউএনবিকে বলেন, ইউরোপে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন শুরু করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
মানিকগঞ্জে আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধার মিলন মেলা
২ বছর আগে
চাঁদপুরে লকডাউনে ফুটবল খেলাসহ আইন ভঙ্গে আটক অর্ধশতাধিক
চাঁদপুর শহরে কঠোর লকডাউনের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও বিধিনিষেধ অমান্য করে ফুটবল খেলার খেলোয়ার, নদীর পাড়ে ও মোলহেডে অযথা অবস্থানের কারণে প্রায় অর্ধশতাধিক যুবককে আটক করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশন এর কাছে আক্কাছ আলী রেলওয়ে হাই স্কুল মাঠ থেকে ৫০ জন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুষ্টিয়ায় আরও ৭ মৃত্যু
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সদর সার্কেল আসিফ মহিউদ্দীন ও সদর মডেল থানা ফোর্সকে সাথে নিয়ে নিজেই এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার জানান, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়া, অযথা ঘোরাফেরা বন্ধ করা, দোকানপাট খোলা না রাখা, জনসমাগম নিষিদ্ধসহ জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ‘বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী’ চলমান রেখেছে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
আরও পড়ুন: নড়াইল পৌরসভায় যত্রতত্র গতিরোধক, বাড়ছে দুর্ঘটনা
তিনি বলেন, ‘জনসমাগম বন্ধ করতে শহরের প্রেসক্লাবেরর পিছনে নদীর পাড়ে, বড় স্টেশন পর্যটন কেন্দ্র মোলহেডে আকস্মিক টহল অভিযান করি। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়। এছাড়া রেলওয়ে আক্কাছ আলী স্কুল মাঠে প্রায় শতাধিক লোক জড়ো কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে খেলার আয়োজন করায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
৩ বছর আগে
লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়ল
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকার ছয়টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দোকান ও শপিংমলগুলো স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য সংস্থা ও বাজার পরিচালনা কমিটি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবারও কঠোর লকডাউন আসতে পারে: কাদের
এই নির্দেশনা অনুসারে, পণ্যবাহী যানবাহন ব্যতীত কাউকে ভারত থেকে বিমান, স্থল ও নদী পথের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
এছাড়াও যে সকল বাংলাদেশি এখন ভারতে রয়েছেন এবং তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কেবল তারাই ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছ থেকে রিলিজ/ সার্টিফিকেট গ্রহণের পর দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনেই খুলেছে বিপণীবিতানের দরজা, সড়কে চাপ
মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং চীন থেকে যারা করোনা নেগেটিভ সনদপত্র এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদপত্র নিয়ে দেশে আসবেন তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের আগমন এবং কোয়ারেন্টাইন পালনের সময়কাল সম্পর্কে তাদের স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে হবে।
তবে উক্ত দেশগুলো থেকে আগত যাদের শুধু করোনা নেগেটিভ সনদপত্র রয়েছে কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদপত্র নেই তাদেরকে সরকারি সুবিধাযুক্ত প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ৩-৫ দিনের মধ্যে চিকিৎসকরা তাদেরকে পরীক্ষা করার পর বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দিলে, তারা তাদের বাড়িতে যাবে এবং নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান-শপিংমল
অন্যান্য দেশ থেকে আগতদের ১৪ দিনের জন্য সরকারি সুবিধাযুক্ত প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঈদ-উল-ফিতরের জামাত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
এর আগে ২৬ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কোনও উন্নতি না হওয়ায় সরকার বর্তমান লকডাউনটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ২০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল যেখানে চলমান কঠোর লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছিল।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকায়, এর বিস্তার রোধের পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী একটি ঢিলেঢালা লকডাউন দিয়েছিল। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিলের পর্যন্ত 'কঠোর' লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
২৩ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল যেখানে বলা হয়েছে, যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখার শর্তে ২৫ এপ্রিল থেকে (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা) দোকান ও শপিংমলগুলো খোলা থাকবে।
বাংলাদেশের কোভিড পরিস্থিতি
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৩০৫ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৫৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৮ জন মারা গেছেন এবং ৩ হাজার ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১০.৪৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯২ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ।
৩ বছর আগে
জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও মাস্ক পরিধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ রোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বৃহস্পতিবার জনসমাগম, অপ্রয়োজনে বাইরে থাকা এবং যেকোন জায়গায় মাস্ক পরিধানের জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সংসদে বলেন, `এবার ভাইরাস খুব দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। এই প্রাদুর্ভাব কেবল আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্ব জুড়ে দেখা দিয়েছে। সুতরাং, আমি সবাইকে বলতে চাই আমরা প্রথমবার যেভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছি ঠিক সেভাবেই এবারও করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করব।’
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর (সিলেট -৩) মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল, কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর জনগণ স্বাস্থ্যবিধির নিয়মকে উপেক্ষা করার কারণে সম্প্রতি এই ভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ধাক্কা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের চলাফেরা ও জনসমাগম অত্যধিকভাবে বেড়েছে, যদিও আমি বারবার সকলকে মাস্ক পরতে এবং টিকা নেয়া পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলছিলাম।
কোভিড -১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা জারি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি তবে এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
‘জনসমাগম যাতে না হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘প্রত্যেককে বলব, বিয়ে শাদী কম লোক নিয়ে ঘরোয়াভাবে করা..যেগুলোর তারিখ হয়েছে। বাইরের লোকের সাথে না মেশা। অল্প সময়ের মধ্যে দোকানপাট সেরে কাজ শেষ করে ঘরে ফেরা।
তিনি বলেন, ‘কেউ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হোক বা না হোক, সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করছি।’
৩ বছর আগে
জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) বাংলাদেশে করোনা রোধের লক্ষ্যে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য ১৮ দফা নির্দেশ জারি করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী দুই সপ্তাহ এসব নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এজেন্সিগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের বেপরোয়া চলাফেরার কারণে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এই নির্দেশননাবলী জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা, মাস্ক ব্যবহার, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন, কোভিড -১৯ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সম্পর্কিত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনার ‘নতুন ধরনের’ ১০ রোগী শনাক্ত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নির্দেশনাগুলো হলো:
১) সকল ধরনের জনসমাবেশ (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং অন্যান্য) সীমিত রাখতে হবে। অত্যন্ত সংক্রমণের হারযুক্ত অঞ্চলে সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ। বিবাহ ও জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাবেশকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
২)এটি নিশ্চিত করতে হবে যে মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে বজায় রাখা।
৩) পর্যটন/ বিনোদন কেন্দ্র সিনেমা হল/ থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সব ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করতে হবে।
৪) গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো গাড়িতে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
৫) কোভিড -১৯ সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে; প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে।
৬) বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে।
৭) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে; ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
৮)স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে হবে।
৯)শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
১০) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
১১) অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা, লোক সমাগম বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১২) প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৩) করোনায় আক্রান্ত/ করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদেরও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
১৪) জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানাগুলো ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী/ অসুস্থ/ বয়স ৫৫-ঊর্ধ্ব কর্মকর্তা/ কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কাজ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৫) সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৬) সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যেকোনো ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে হবে।
১৭) হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি মানুষের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
১৮) কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে হবে।
৩ বছর আগে
আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজা: ভাইরাল ভিডিওটি মিথ্যা
জনসমাগমের জন্য আলোচিত একটি জানাজার ভিডিওকে আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজা হিসেবে ফেসবুকে প্রচার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৪ বছর আগে
সাতক্ষীরায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় সেনা-পুলিশ অভিযান
করোনোভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় জেলাব্যাপী অভিযান চালাচ্ছেন সেনা, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
৪ বছর আগে
করোনাভাইরাস: লক্ষ্মীপুর জেলা লকডাউন
লক্ষ্মীপুরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে লক্ষ্মীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
৪ বছর আগে