অনলাইন কেনাকাটা
দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল
অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেতাদের সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দিতে প্রথমবারের মতো ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ।
এ উৎসব শুরু হবে ২৫ জানুয়ারি থেকে এবং চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশ জুড়ে অবিরাম এই ফ্রি ডেলিভারি নিশ্চিত করতে দারাজ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।
দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যালে ক্রেতারা আরও পাচ্ছেন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়সহ আকর্ষণীয় সব অফার। তিনটি পণ্যের বান্ডেল পাচ্ছেন মাত্র ৪৯৯ টাকা থেকে।
আরও পড়ুন: স্যুট অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার সম্মাননা পেলেন দারাজের সিসিএও-সিওও
হট ডিলসে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, মেগা ডিলসে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি এবং ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাউচার। এসব আকর্ষণীয় অফারসমূহের সঙ্গে থাকছে ফ্রি ডেলিভারি যা ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেবে।
দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যালের মূল উদ্দেশ্য হলো- ক্রেতাদের নির্ধারিত ঠিকানায় সহজেই পণ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। যেখানে তাদের কোনো ডেলিভারি খরচের চিন্তা করতে হবে না। পাশাপাশি পণ্য সংগ্রহ করার জন্য অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হবে না।
এ ছাড়াও দৈনন্দিন চাহিদাগুলো সর্বোত্তম মূল্যে পূরণ করার সুযোগ করে দেওয়া এই ক্যাম্পেইনের অন্যতম লক্ষ্য। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেই ক্রেতারা উপভোগ করতে পারবেন এই আকর্ষণীয় অফার।
ঢাকার বাইরের (চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ইত্যাদি) যেসকল ক্রেতাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আরও সহজলভ্য করে তোলাই এই ফেস্টিভ্যালের আরেকটি উদ্দেশ্য।
এখানে উল্লেখ্য যে, ডিসেম্বর ২০২৩- এ দারাজের মোট ক্রেতাদের প্রায় অর্ধেক ফ্রি ডেলিভারি সুবিধা উপভোগ করেছেন যা জানুয়ারি ২০২৩ এর তুলনায় ৫০০ শতাংশের বেশি।
এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন বিক্রেতাদের ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগও বেড়ে যাবে। কারণ এটি সেসব অঞ্চলে পণ্য পৌঁছার সুযোগ করে দিচ্ছে যেখানে পূর্বে তাদের ব্যবসা সীমিত ছিল।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এসএমই) ব্যবসায়ীরাও সারা দেশে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করার পাশাপাশি আয়ও বৃদ্ধি করার সুযোগ পাবেন।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার, খন্দকার তাসফিন আলম বলেন, ‘ক্রেতাদের দুয়ারে সর্বোত্তম মূল্যে সর্বাধিক পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সুবিধা তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল সে প্রতিশ্রুতির-ই একটি প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শত শত যানবাহনের একটি বহর তৈরি করেছি যা কৌশলগতভাবে দেশব্যাপী প্রত্যেক অঞ্চলে অবস্থিত। আমদের ফুলফিলমেন্ট পয়েন্ট এবং সর্টিং সেন্টারগুলোকে সংযুক্ত করে। এখান থেকে হাজারো ডেলিভারি হিরো প্যাকেজগুলো সংগ্রহ করে ক্রেতাদের ঠিকানায় সরাসরি পৌঁছে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী অন্যতম এই লজিস্টিকস অবকাঠামো ভৌগলিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যেকের কাছে তাদের পণ্যসমূহ সবচেয়ে দ্রুত এবং সর্বনিম্ন খরচে পৌঁছে দিতে দারাজকে সাহায্য করে। এ অবকাঠামোর সঙ্গে আরও আছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং এবং রুট অপ্টিমাইজেশন যা এ লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।’
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করতে যাচ্ছে দারাজ-ভিসা
গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও আনন্দময় করে তুলতে যৌথভাবে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ ও ভিসা।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দারাজ ব্যবহারকারীরা নিরাপদ পেমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি ক্রেডিট এবং প্রিপেইড কার্ডে উপভোগ করতে পারবেন আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ও অফার।
ডিজিটাইজেশনের এই যুগে মানুষ দিন দিন ই-কমার্সের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই বিভিন্ন সুবিধা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেরা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এই যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই বিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘ভিসার সঙ্গে এমন একটি সময়োপযোগী উদ্যোগে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই কো-ব্র্যান্ডেড কার্ডটি নিয়ে কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটি নিরাপদ পেমেন্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করে অনলাইন কেনাকাটার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলা। আশা করছি, এটির মাধ্যমে গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও সুন্দর হবে।’
ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু বলেন, ‘দারাজ ও ভিসার গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও উন্নত করতে একসঙ্গে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ডটি প্রস্তাব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই কার্ডটি ফিজিকাল ও ডিজিটাল উভয় ফর্মেই পাওয়া যাবে, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার। এছাড়াও, মার্চেন্টরা এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন, যা তাদের ব্যবসা প্রসারে সাহায্য করবে।’
দারাজ, ভিসা এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে অতি শিগগিরই এই কার্ডটি চালু হতে যাচ্ছে, যা শুধু গ্রাহকদের নিরাপদ, দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত লেনদেন সুবিধাই নিশ্চিত করবে না, পাশাপাশি তাদের বিশেষ ছাড়, ক্যাশব্যাক অফার এবং বিভিন্ন এক্সক্লুসিভ অনুষ্ঠানের অংশ হতেও সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত যা গত দুই দশক ধরে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৩৫% অবদান রেখে চলেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে গত তিন দশক ধরে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং প্রায় প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি নতুন ব্র্যান্ড উঠে আসে, যা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে তোলে। শত শত ব্র্যান্ডের মধ্যে সেরাগুলো বাছাই করা এবং ছোট একটি তালিকা তৈরি করা কঠিন। তবুও, আমরা বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ১০ ব্র্যান্ডের তালিকা করেছি। তালিকাটি দেখে নিন এবং সেগুলো আপনারও শীর্ষ ১০ব্র্যান্ডের তালিকায় রয়েছে কিনা তা দেখুন।
ক্যাটস আই
আজকের তরুণ প্রজন্ম ক্যাটস আই-র নস্টালজিক অনুভূতি বুঝতে পারবে না; শুধুমাত্র ৯০ দশকের লোকেরাই এই ব্র্যান্ডের মূল্য জানে। নতুন ব্র্যান্ডের প্রবর্তনের সাথে সাথে ক্যাটস আই তার আবেদন হারিয়ে ফেলবে। তবে এটি এখনও বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি। ক্যাটস আই সবসময় পুরুষদের জন্য ক্যাজুয়াল আউটফিট পরিবেশন করে থাকে। পরে তারা নতুন ব্র্যান্ড মনসুন রেইন- এর সাথে আনুষ্ঠানিক প্রোডাক্ট লাইন চালু করে। এছাড়াও, তারা শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, কামিজ, জুতা, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছুসহ পুরুষ এবং নারী উভয়ের পোশাক সরবরাহ করে।
সাঈদ সিদ্দিকী রুমী এবং আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা ১৯৮০ সালে ক্যাটস আই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সারা দেশে গত চার দশকে তারা অনেক শোরুম খুলেছে, তবে সবচেয়ে বিখ্যাত একটি নিউ এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত, যা ব্র্যান্ডটিকে এক নতুন স্তরে নিয়ে গেছে । আপনি অনলাইন পেইজwww.catseye.com.bd এ পণ্যগুলো খুঁজে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা
রিচম্যান
রিচম্যান ২০০৩ সালের দিকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এটি মূল সংস্থা লুবনান ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের একটি শাখা। তারা সব ধরনের ফ্যাশনেবল পোশাক যেমন ক্যাজুয়াল, ফর্মাল, লেডিস ড্রেস এবং বাচ্চাদের আইটেমও তৈরি করেন। তবে মূল সংস্থাটি তিনটি পৃথক ব্র্যান্ড- লুবানান, রিচম্যান এবং ইনফিনিটির মাধ্যমে পরিচালনা করে। স্টোর থেকে রিচম্যানের পণ্য ক্রয় করা ছাড়াও আপনি অনলাইনেও www.richmanbd.com কিনতে পারবেন। মোহাম্মদ জুনায়েদ বাংলাদেশের মধ্য স্তরের ক্রেতাদের প্রথম শ্রেণির পোশাক সরবরাহ করার লক্ষ্যে রিচম্যান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ইয়েলো
বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠিত ইয়েলো বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে। সাধারণত, ইয়েলো পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই তরুণ প্রজন্মের রুচি অনুযায়ী পণ্য পরিবেশন করে। সুতরাং, আপনি পুরুষদের, নারীদের, শিশুদের পোশাক এবং এক্সেসোরিজ পাবেন। অনলাইনেwww.yellowcloming.net এ এই পণ্যের অ্যাক্সেস পাবেন।
আড়ং
আড়ং ১৯৭৮ সালে আয়েশা আবেদ এবং মার্থা চেন নগর ও বিশ্বে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আড়ং ব্র্যাক পরিচালনা করছে। তারা মূলত পাঞ্জাবি, পাজামা, শাড়ি এবং ফতুয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী পোশাককে প্রাধান্য দেয়। তবে আড়ং গিফট সেট, জুতা, গৃহস্থালি কারুশিল্প, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। অন্যান্য ব্র্যান্ডের মতো আড়ংয়ের এতগুলো শাখা নেই। বর্তমানে, তারা নয়টি মহানগর অঞ্চলে তাদের ২১টি আউটলেট পরিচালনা করে। তারা তাদের ওয়েবসাইট www.aarong.com এর মাধ্যমে অনলাইন শপিংয়ের অফারও দেয়।
আরও পড়ুন: অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হলেও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে
সেইলর
বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পে একটি নতুন সংযোজন সেইলর ২০১৫ সালে তাদের ব্যবসা শুরু করে এবং মাত্র ৬ বছরের মধ্যে তারা তুলনামূলক কম দামে উচ্চ মানের পোশাকের কারণে ক্রেতাদের যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তাদের পণ্য লাইনে পাঞ্জাবী, জুতা, শার্ট, টি-শার্ট, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। পুরুষদের পণ্যের পাশাপাশি তারা নারীদের জন্য পণ্য যেমন- কামিজ, কুর্তি, টপস, জুতা, বোটমস এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। সেইলর এপিলিয়ন গ্রুপের একটি সিস্টার কনসার্ন। অনলাইনে https://www.sailor.cloming/ এ সেইলরের পণ্য পাবেন।
গ্রামীণ ইউনিক্লো
গ্রামীণ ইউনিক্লো লিমিটেড বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় পোশাক ব্র্যান্ড। এটি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানাধীন সামাজিক ব্যবসায়ের উদ্যোগ। শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনুস এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রামীণ ইউনিক্লো ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৮সালের মধ্যে ঢাকা শহরে প্রায় ১৫ টি স্টোর চালু করে। বর্তমানে ঢাকার কিছু স্টোরসহ তাদের মোট ২১ টি স্টোর রয়েছে। তারা টি-শার্ট, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবী, এক্সেসোরিজএবং আরও অনেক কিছুসহ ক্যাজুয়াল এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাককে প্রাধাণ্য দেয়। ইউনিক্লো-এর মূল লক্ষ্য হল কারখানার শ্রমিকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা। এদের পণ্য অনলাইনে http://www.grameenuniqlo.com/ এ পেতে পারেন।
এক্সটেসি
এক্সটেসি আরও একটি ব্র্যান্ড যা ইয়াং স্টারদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। ফ্যাশন সচেতন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বাসামাজিক অনুষ্ঠানে ফ্যাশনেবল পোশাক পরতে চান এমন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এক্সটেসি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এবং ব্র্যান্ডটি সফলভাবে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করে চলেছে। তানজিম হক ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ফ্যাশন রিটেইলার হয়ে উঠেছে। তারা পুরুষদের জিন্স, ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, ক্যাজুয়াল প্যান্ট, নারীদের টপ, কামিজ, ব্যাগ, এক্সেসোরিজ,বাচ্চাদের পোশাক এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। বাড়ি থেকে আপনার ঈদের কেনাকাটার জন্য আপনি http://ecstasybd.com এ তাদের ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।
লা রিভ
একটি ছোট আউটলেট থেকে শুরু করে এখন লা রিভ বয়স নির্বিশেষে পছন্দসই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্যই তাদের সংগ্রহ রয়েছে। লা রিভ ঐতিহ্যবাহী পোশাক, পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্য ক্যাজুয়াল পোশাক, ডেনিম, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। লা রিভ রিভ টেক্স লিমিটেডের একটি সিস্টার কনসার্ন এবং লা রিভ ২০০৯ সালে সর্বজনীনভাবে ব্যবসা শুরু করে।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ফ্রিল্যান্ড
ফ্রিল্যান্ড ২০০৩ সালে তাদের যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তী দশ বছরের মধ্যে তারা বিশাল আকারে বেড়ে ওঠে। তরুণ ও অফিসগামী মানুষের জন্য তারা বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পে একটি নতুন ট্রেন্ড চালু করেছে। 'ফ্রিল্যান্ড' নামটি দ্বারা তারা আপনার পোশাক নির্বাচনের স্বাধীনতা বোঝায়। তারা জুতা এবং এক্সেসোরিজসহ পুরুষদের এবং নারীদের পোশাক সরবরাহ করে। তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানা http://freeland.com.bd/.
ট্রেন্ডজ
ট্রেন্ডজ ২০০৪ সালে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে প্রথম আউটলেট দিয়ে ফ্যাশন শিল্পে পা রাখে। গত ১৭ বছরের মধ্যে তারা সারা দেশে ৮ টি শোরুম খুলেছে। তারা মাঝারি মূল্যের পণ্য সরবরাহ করে। ফলস্বরূপ, তারা বৃহত্তর উচ্চ মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। তারা সাধারণত ট্রেন্ডি টি-শার্ট এবং শার্টের পাশাপাশি নারীদের পোশাকও সরবরাহ করে। ট্রেন্ডজ-এর পণ্যগুলো দেখতে www.trendzbd.com দেখুন।
আপনি ফ্যাশন সচেতন বা মানসম্পন্ন পণ্য চান এমন কেউ হোন না কেন, আমরা নিশ্চিত যে আপনি কমপক্ষে আপনার জীবনে একবার এই স্টোরগুলোতে গেছেন এবং কিছু কিনেছেন। এখন আপনি এই কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাইরে না গিয়ে ঘরেই নিরাপদে অনলাইনে কিনতে পারেন।
অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হলেও বেড়েছে প্রতারণা
কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে দেশে অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও কিছু অসাধূ ই-কমার্স ব্যবসায়ী স্বচ্ছতার অভাবের সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে।
করোনার সংকটকালে অনলাইনে নিত্যপণ্যের কেনাকাটা বেড়েছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী অঘোষিত লকডাউনে অনলাইনে বিলাসবহুল বা অপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের বাজার থমকে গেলেও জমে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি বেচা-কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।