সেমিনার
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন’ বিষয়ক সেমিনার
জার্মানিতে বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা, ক্যারিয়ার গঠন এবং সহজে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ— এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিদের জন্য জার্মানিতে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০৩৬ সালের মধ্যে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বা ৭৫ লাখ কর্মজীবী অবসরে যাবেন, যা দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করবে। জার্মানিতে দক্ষ কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাইলে আউসবিল্ডুং হতে পারে বিশাল এক সুযোগ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন’ বিষয়ক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন জার্মানিভিত্তিক মিডিয়া পার্সোনালিটি মাহমুদুল হাসান। জার্মানির ইগালটিউব ও ডিগ্রিওলা ডটকম-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সহযোগিতা করে আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড’।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ: ক্যাম্পাস রোডশো শুরু
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক মাহমুদুল হাসান বলেন, জার্মানিতে বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দক্ষ কর্মীর সংকট। তাই যে কেউ যদি নিজেকে যোগ্য করে তোলে, তাহলে দেশটিতে কাজের সুযোগের অভাব হবে না। তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষা, আউসবিল্ডুং এবং অপরচুনিটি কার্ড-এর মাধ্যমে সহজেই জার্মানিতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩১ দিন আগে
পাঠ্যপুস্তকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান‘ তুলে না ধরার দায় এনসিটিবির: সেমিনারে বক্তারা
পাঠ্যপুস্তকে জুলাই অভ্যুত্থানকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে না পারার দায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এড়াতে পারে না বলে এক সেমিনারে উল্লেখ করেছেন বক্তারা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ড. আব্দুল্লাহ ফারক সম্মেলন কক্ষে ‘২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে শিক্ষা অধিকার সংসদ।
সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কারিকুলাম কোঅর্ডিনেশন কমিটি ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মনিনুর রশিদ ও অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ড. আতিক মুজাহিদ ও নাগরিক কমিটির শিক্ষা সেলের পরিচালক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা খান দিপ্তী, শহীদ ইকরামুল হক সাজিদের বোন ফারজানা হক, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি, জুলাই বিপ্লব পরিষদ এর আহ্বায়ক সৌরভ ফাহিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা অধিকার সংসদের আহবায়ক ও নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ফেলো অধ্যাপক ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ের পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন শিক্ষা অধিকার সংসদের সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন।
বক্তারা বলেন, এবারের পাঠ্যবইয়ে যথাযথভাবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান তুলে ধরতে এনসিটিবিতে বই পরিমার্জনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
শিক্ষা অধিকার সংসদের পর্যালোচনায় ২০২৫ এর পাঠ্যবইয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিফলন না হওয়া, ইতিহাস বিকৃতি, ব্যবহৃত ছবির নিয়ে প্রশ্ন ও মানহীনতা, বইয়ের অপ্রাসঙ্গিক প্রচ্ছদ এবং বিষয়বস্তু যথার্থভাবে আসেনি বলে উল্লেখ করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নগন্য কন্টেন্ট যুক্ত হলেও সেগুলোতে ভুল থাকাসহ দায়সারাভাবে এমনভাবে সেগুলো এসেছে যে, এগুলো ইতিহাসের বিচারে বেশিদিন টিকবে না। তার দায় এনসিটিবি দায়িত্বশীল ও পরামর্জনকারীরা এড়াতে পারেন না।
শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা খান দিপ্তী বলেন, ‘চব্বিশকে ব্যর্থ করে দিতে যারা কাজ করছেন, তাদের অন্যতম হলেন রাখাল রাহা। এবারের পাঠ্যবইয়ের কাজই তার প্রমাণ। আনাসের চিঠি কেন নাই। আবু সাঈদ ও মুগ্ধের পাশাপাশি শহীদ আনাসের চিঠি থাকা জরুরি ছিল। আনাসের মতো নিঃস্বার্থ অকুতোভয় সৈনিক জুলাই অভ্যুত্থানের অসংখ্য শিক্ষার্থীর প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। শিক্ষার্থীদের সে ইতিহাস জানাতে হবে।’
শহীদ একরামুল হক সাজিদের বোন ফারজানা হক বলেন, ‘শহীদ আনাসের মায়ের যে দুঃখ সেটা আমাদেরও। পাঠ্যপুস্তকে চাপে পড়ে কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, কয়েক বছর পর জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস যাতে মুছে ফেলতে পারে। এ বছর যদিও সময়ের অজুহাতও দেওয়া হয়েছে, আগামী দিনে যেন শহীদদের নামগুলো পাঠ্যপুস্তকে পাওয়া যায়। এই প্রজন্ম যেন জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত না হয়।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, ‘শিক্ষা অধিকার সংসদ যে কাজ করেছে এটা রাষ্ট্রের করা উচিত ছিল। পাঠ্যপুস্তকে জুলাই অভ্যুত্থানকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, ইতিহাসে এটি টিকে থাকবে না। অন্তবর্তী সরকারের উচিত ছিলো বই রচনায় সবাইকে সুযোগ করে দেওয়া। তারা এটা করেনি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির শিক্ষা ও গবেষণা সেল সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ মনে করেন। পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে পাইলটিং করে হোমওয়ার্কের মাধ্যমে করা দরকার। অতীতে তেমনটা দেখা যায়নি। দুদিন পর পর পরিবর্তন করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কনটেকচুয়ালাইজ করে পাঠ্যপুস্তকে ঢুকানো দরকার।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, ‘কী রকম জাতি গঠন করতে চাই সেজন্য শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই গণঅভ্যূত্থানের স্পিরিট বাংলাদেশপন্থার চেতনা। আমরা ফার্স্ট ক্লাস মানুষের জন্য থার্ড ক্লাস টেক্সটবুক তৈরি করছি। আবু সাঈদ, মুগ্ধ, সাজিদ, আনাসদের জন্য আমরা যদি তুলে ধরতে না পারি, তবে তা আমাদের জাতীয় ব্যর্থতা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব বলেন, ‘অনেক দেশে পাঠ্যপুস্তকই নেই। স্কুলেই পাঠ্যপুস্তক থাকে। এত বই ছাপানোরও দরকার পড়ে না। তাছাড়া আমাদের যে ট্রেন্ড এখানে প্রতিবছর পাঠ্যবই ছাপানোরও দরকার নেই। ভালো কাগজে প্রকাশ করলে কয়েক বছর ব্যবহার করা যাবে। শিক্ষাকে মেগা প্রজেক্ট হিসেবে নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনকে কর্মসংস্থানের প্রস্তাব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও জাতীয় পাঠ্যপুস্তক কমিটির অন্যতম সদস্য ড. মনিনুর রশিদ বলেন, ‘পাঠ্যবই শতভাগ সঠিক ছাপানো কঠিন। এখানে ক্রিটিসিজম থাকবে, সেগুলো মেনে নেওয়ার মানসিক থাকা দরকার। আমি নিজেও একটা কমিটির সদস্য, সেখানে বলা হয়েছে, যাতে শহীদের বিষয় সঠিকভাবে ডকুমেন্টেড করা হয়। কিন্তু সেভাবে হয়নি। বাংলাদেশের প্রতিটি শহীদই গুরুত্বপূর্ণ। শহীদদের মধ্যে যেন বৈষম্য না হয়। যখন যারা ক্ষমতায় তখন তারা ভুলে যায়। অনেক সংস্কার কমিটি হয়েছে কিন্তু শিক্ষা সংস্কার কমিটি হয়নি কেন? সরকার যেন শিক্ষাকে অবহেলা করছে। এখনও বই দিতে না পারার দায় কার? আগামী বছরের জন্য শিক্ষা কারিকুলাম কমিটি গঠন করা দরকার। সেটা ডিসেম্বরে হওয়ার কথা এখনও হয়নি। কারিকুলাম একদিনে হবে না, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, যথাযথভাবে করতে সময় লাগে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কারিকুলাম কোঅর্ডিনেশন কমিটি ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘কারিকুলামের কমিটিতে আমাদের একটা মাত্র মিটিং হয়েছে। আমরা কীভাবে পরিবর্তন আনবো? যারা লিখবেন, রিভিউ করবেন তাদেরই মূল দায়িত্ব। তাছাড়া শিক্ষা কমিশন গঠন করা জরুরি। শিক্ষা অধিকার সংসদ এভাবে সুপারিশ দিতে পারে কিন্তু কতটা বাস্তবায়ন হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পাঠ্যপুস্তকেও আনতে চাই কিন্তু সেটা কত শতাংশ? চব্বিশের ঘটনার গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু ধারণা থাকতে হবে, কীভাবে আমরা একে সঠিকভাবে কনটেকচুয়ালাই করব। ২০১২ এর পাঠ্যপুস্তকে যে ফিরে গেলাম, তার মানে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এখন নতুন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠ্যপুস্তক করতে হবে।’
শিক্ষা অধিকার সংসদের আহ্বায়ক ও নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসরিয়াল ফেলো অধ্যাপক ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকে অসঙ্গতির বহুমাত্রিক দিক উঠে এসেছে। এটা নতুন নয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের শিক্ষার সংকট এখনও কাটেনি। যে ধরনের পরিবর্তন দরকার, সেভাবে হচ্ছে না। শিক্ষার দায়িত্বে যারা আছে- তাহলে তারা কী করছেন? এখানে নীতির সমস্যা নাকি নেতৃত্বের সমস্যা? আজকের মতো এ ধরণের অনেক আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নাই। অন্তর্ভুক্তিমূলক পাঠ্যক্রমের জন্য নেতৃত্বের পরিবর্তন জরুরি। শিক্ষা ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তনে আমরা কাজ অব্যাহত রাখব।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা অধিকার সংসদের অ্যডভোকেসি কোঅর্ডিনেটর মিসবাহুর রহমান আসিম, মিডিয়া সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান মানকি ও অফিস সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদিন।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য-ফেব্রুয়ারিতে
৫৭ দিন আগে
বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৩
ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৩ আয়োজন করছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় অপরচুনেটিস প্রসপেক্টস ইন এসইআইপি অ্যান্ড প্রবাবল কেরিয়ার বিল্ড আপ ইন আরএমজি সেক্টর শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্কিল ফর এমপ্লোয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম এসইআইপির অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ প্রজেক্ট ডিরেক্টর, এনভাইরনমেন্টাল প্রোডাক্ট ডিক্লারেশনের (ইপিডি) ফাতেমা রহিম ভিনা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বিজিএমইএ’র সহসভাপতি (অর্থ) ও বিজিএমইএ—এসইআইপি প্রজেক্টের অলটারনেটিভ চেয়ারপার্সন খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং এসইআইপির যুগ্ম সচিব, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. সারোয়ার জাহান ভূঁইয়া উপস্থিত থাকবেন।
এদিনও ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলবে ক্যারিয়ার সেশন ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য।
আরও পড়ুন: আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
৪৫৫ দিন আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে ইআরডিএফবির সেমিনার অনুষ্ঠিত
সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বিজয়ের ৫৩ বছর’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)'।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে বিজয় দিবস উদযাপিত
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আনোয়ারা বেগম।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘ইআরডিএফবির সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় মাত্র ৫৩ বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত বাংলাদেশ আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে, বস্ত্র শিল্পে, ওষুধ শিল্পে, তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্পে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলাসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নির্দেশ করে আমাদের প্রকৃত বিজয়। আমরা বীরের জাতি। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। সুতরাং কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় না করে শেখ হাসিনাকে আসন্ন নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে তার নেতৃত্বে বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
৪৫৬ দিন আগে
বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-২৯ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রিসার্চ সেমিনার-২৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে ‘ইনভেস্টিগেটিং দ্য সিগনিফিকেন্স অব এসএমই লোনস অন দ্য সিএমএসএমই অন্ট্রাপ্রেনারস সোশিও-ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’-শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএমের প্রভাষক গৌরব রায়।
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টালি পে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শাহাদাত খান, এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজিম হোসাইন সাত্তার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের পরিচালক মোহাম্মাদ আশিকুর রহমান।
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদা আক্তার, প্রভাষক গৌরব রায় (গবেষণা কর্মের মূল লেখক) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অনিন্দ্রা ঘোষ যৌথভাবে গবেষণাটি করেন।
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
তাদের ৪৬৭টি সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানের উপর করা যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের এসএমই সেক্টরে দেওয়া ঋণ কটেজ, মাইক্রো, স্মল, মিডিয়াম ও লার্জ এন্টারপ্রাইজের উদ্যোক্তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, এসএমই ঋণের কারণে কটেজ, মাইক্রো ও স্মল এন্টারপ্রাইজের উদ্যোক্তারা মিডিয়াম ও লার্জ এন্টারপ্রাইজের উদ্যোক্তাদের তুলনায় বেশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন ও অধিকতর উপকৃত হয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট বিজয়ের মাসে সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বিআইসিএমের রিসার্চ সেমিনার সমূহের মূল লক্ষ্য থাকে গবেষক ও ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের যোগসূত্র তৈরি করা।
তাই এই সেমিনার থেকে আলোচকবৃন্দের পরামর্শ নিয়ে নতুন গবেষণা করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি।
রিসার্চ সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক কালবীন ছালিমা।
এ সময় বিআইসিএমের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীনসহ সব অনুষদ সদস্যরা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেমিনার
জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
৪৫৮ দিন আগে
ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)' ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর।
পাশাপাশি সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদদীন আহমদ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদদীন আহমদ।
আরও পড়ুন: ছয় শতাধিক নদীর নাম ও হাজার হাজার দখলদারের তথ্য মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে সেমিনার
৪৯১ দিন আগে
রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি
‘রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ’- নিয়ে ঢাকায় সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় রাশিয়ান হাউসে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে।
নিবন্ধন ছাড়াই যে কেউ সেমিনারে অংশ নিতে পারবে।
অন্যদিকে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে রাশিয়া সরকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ১২৪টি বৃত্তি ঘোষণা করেছে। শুধু অনলাইনে এই বৃত্তির আবেদন করা যাবে।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা (সংস্কৃতি বিভাগ, রাশিয়ান দূতাবাস) শিক্ষা বিভাগ থেকে রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই আবেদনের নিয়মাবলী জানা যাবে।
অনলাইনে https://education-in-russia.com এই ঠিকানায় আবেদন করা যাবে।
আবেদনের পূর্ব ঘোষিত সময়সীমা আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তবে আবেদন করার আগে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও মার্কসিট / ট্রান্সক্রিপ্ট এর মূল এবং ফটোকপি অবশ্যই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কতৃক সত্যায়িত থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট অবশ্যই ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরবর্তী ১৮ মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হলে অনলাইন আবেদনের কপিসহ সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও নম্বর পত্রের সত্যায়িত কপি, পাসপোর্টের ফটোকপি, ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণে প্রার্থীর সম্মতিপত্র ও একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার শিক্ষা বিভাগে জমা দিতে হবে।
রাশিয়ান হাউসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
৫০৩ দিন আগে
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেমিনার
বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে ‘৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের অঙ্গীকার: রুখতে হবে বিএনপি-জামায়াত-রাজাকার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
পারভেজ জামান, এবিএম ফারুক, লিয়াকত হোসেন খান, ফুয়াদ হোসেন চৌধুরী, আফরোজা জামিল কঙ্কাসহ বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় রাশিয়ায় অধ্যয়নের সুযোগ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
পারভেজ জামান বলেন, ‘জয় বাংলা একটি জাতীয় স্লোগান। এটি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্লোগান নয়। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা এই স্লোগান নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। যারা জয় বাংলা স্লোগান গ্রহণ করে না, তারা দেশদ্রোহী। আসন্ন নির্বাচন আমাদের টিকে থাকার লড়াই। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যা ভালো তা করতে হবে।’
সাবেক আইজিপি লিয়াকত হোসেন খান ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ফুয়াদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। জনগণের সচেতনতা ছাড়া এ দেশ এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (মরণোত্তর) জামিল উদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় কন্যা আফরোজা জামিল কঙ্কা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আমাদের এতিম বলা যেতে পারে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও পরে যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের হত্যা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের সময়ে যে প্রজন্ম বেড়ে উঠেছিল, তা বাংলাদেশের সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে সব দলের মানুষ উপকৃত হলেও দেশের বিরোধী দলগুলো এ নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।’
ডুয়েটের উপাচার্য মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশ যে আদর্শে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেনি।
ড. রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর সুস্থ রাজনীতি বন্ধ হয়ে যায়।’
রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র রাতারাতি নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই করা হয়েছে।
খন্দকার মোশতাকের যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জাতিসংঘে পাঠানো মুজিবনগর সরকারের পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে ধরে রাখা হয়নি।
তার বদলে আবদুস সামাদ আজাদকে পাঠানো হয়েছে। কারণ তাজউদ্দীন আহমেদকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল যে খন্দকার মুশতাক যদি জাতিসংঘে যান, তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও কনফেডারেশনের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন এবং তাজউদ্দীনের কাজ ছিল যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করা। কারণ তখন যুদ্ধের কোনো বিকল্প ছিল না। তাই খন্দকার মোশতাককে পাঠানো হয়নি।
অধ্যাপক সিদ্দিক বলেন, ‘কয়েকজন মিলে বঙ্গবন্ধুকে ও জেলহত্যা করেছে। কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাদের প্রতিহত করা হলে তা সম্ভব হতো না। তখন তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিরাপদে দেশ ছাড়তে পারতেন না। সবাই যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করত, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
৫০৫ দিন আগে
ঢাকায় রাশিয়ায় অধ্যয়নের সুযোগ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ঢাকায় অবস্থিত রাশিয়ান হাউস রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের সহযোগিতায় প্রদত্ত বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এর সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কো-অপারেশনের (সিআইএসি) সহযোগিতায় একটি শিক্ষামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
রাশিয়ান হাউসের ডিরেক্টর পাভেল দভইচেনকভ রাশিয়ান শিক্ষা ব্যবস্থার হালনাগাদ তথ্য এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম https://education-in-russia.com এ প্রার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়া এবং নথি জমা দেওয়ার বিশদ বিবরণ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা রাশিয়ায় বৃত্তির জন্য মনোনীত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারে এবং বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা ও পেশাগত সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলেন। রাশিয়ান প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সেবা, বেসরকারি কোম্পানি ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সিনিয়র পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন উল্লেখ করেন।
তিনি রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার অধ্যয়নের সুবিধার্থে রাশিয়ান হাউসে রাশিয়ান ভাষার কোর্সে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
সকলকে ঢাকার রাশিয়ান হাউসে ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
৫৩৩ দিন আগে
পর্যটন শিল্পের বিকাশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি: সেমিনারে বক্তারা
বাংলাদেশের পর্যটনে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এ সংখ্যা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে বাংলাদেশ ফেস্টের তৃতীয় দিনে আয়োজিত 'পর্যটন শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা জানান।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ-আটাবের সহসভাপতি ও সায়মন গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডক্টর সন্তোষ কুমার দেব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রঘুরে দেখলেন ৩৮ ভারতীয় ট্যুরিস্ট
সেমিনারে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, ডানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জারা জাবিন মাহবুব, শেয়ার ট্রিপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া হক, গ্রিন টিভির নির্বাহী সম্পাদক নাদিরা কিরণ, আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মেয়েদের সাহস করে আগাতে হয়। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে আরও নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
তারা বলেন, পর্যটনে গাইড হিসেবে যত বেশি নারীর সম্পৃক্ততা বাড়বে, তত বেশি বিদেশি পর্যটক আসবে। এজন্য গাইড হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
সেমিনারে আটাবের সহসভাপতি ও সায়মন গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরিতে এ খাতের সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। নারীদের বেশি সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনে বিদেশ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে কাজ করতে হবে। তাহলেই পর্যটন শিল্পের সত্যিকার অর্থে বিকাশ সম্ভব।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, কারো উপর ভরসা করে নয়, পর্যটন শিল্পে নারীকে নিজের যোগ্যতা দিয়েই এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম বলেন, পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হলে ট্যুরিজম বোর্ডকে শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
৫৪০ দিন আগে