সংসদ অধিবেশন
অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সংসদে অফশোর ব্যাংকিং বিল ২০২৪ উত্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি উত্থাপন করেন। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, কোনো অনাবাসিক ব্যক্তি বা বিদেশি সংস্থা বিনিয়োগ করতে চাইলে তারা অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
অফশোর ব্যাংকিং করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। যারা এই লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের আর নতুন লাইসেন্স নিতে হবে না।
যে পাঁচটি মুদ্রা দিয়ে অফশোর ব্যাংকিং করা যাবে- মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও চীনা ইয়েন।
বিদেশে বসবাসরত একজন বাংলাদেশির যেকোনো আত্মীয় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং একজন সমর্থক হিসেবে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যারা অর্থ জমা করেন, তাদের দেশ থেকে টাকা পাঠানোর অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু অফশোর ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুমতি ছাড়াই দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।
অফশোর ব্যাংকিংয়ের পদক্ষেপটি শুধু রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য নয়, আর্থিক সুবিধা লাভের জন্যও।
যদি কেউ অফশোর ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা রাখে, টাকার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে না।
বিদেশে বসবাস করা ব্যক্তি বা সংস্থা বা বিদেশিদের প্রস্তাবিত আইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মরত তফসিলি ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: আইএমএফের মান অনুযায়ী ভালো করছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট শিডিউল ব্যাংকের জন্য ব্যাংক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে।
তফসিলি ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিংয়ের জন্য অ্যাকাউন্টের পৃথক বই ব্যবহার করা হবে; যা আর্থিক ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলো যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।
অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সম্পদ দায় ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে দেশীয় ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সব ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড সীমা তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত সব ধরনের প্রতিবেদন জমার ধরন প্রযোজ্য হবে।
বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় আমানতকারী বা বিদেশি ঋণদাতাদের দেওয়া সুদ বা মুনাফা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি পাবে।
আমানতকারী বা বিদেশি ঋণদাতাদের অ্যাকাউন্ট যেকোনো শুল্ক ও কর থেকে অব্যাহতি পাবে।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বাজারের কোনো এনার্জি ড্রিংকে মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, টাইগার, স্পিড ও গুরুর মতো যেসব কোমল পানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কার্বোনেটেড পানীয় হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পানীয় পণ্যের নমুনায় (স্পিড, রয়্যাল টাইগার, ব্ল্যাক হর্স, বুলডোজার, পাওয়ার, গুরু, গিয়ার, স্ট্রং ও রেড বুল) কোনো ধরনের মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী।
প্রশ্নে সংসদ সদস্য বলেন, এনার্জি ড্রিংকগুলো এনার্জির নামে মানবদেহে ভয়াবহ রোগ প্রবেশ করাচ্ছে এবং অনেক ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংকে মাদকদ্রব্যও রয়েছে। ২৭টি এনার্জি ড্রিংক বিএসটিআইয়ের জাল লাইসেন্স ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করছে। এনার্জি ড্রিংকে যৌন উদ্দীপক উপাদান মেশানো হচ্ছে। কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এনার্জি ড্রিংকগুলো কোমল পানীয়তে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বিএসটিআই এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ মাদক প্রতিরোধে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা করছে সরকার
উত্তরে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ২৭৩টি পণ্য বিএসটিআইয়ের আওতায় নিয়ে এসেছে। দেশে এনার্জি ড্রিংকসকে বাধ্যতামূলক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তবে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টাইগার, স্পিড, গুরু ও অন্যান্য পানীয়, যা দেশে বাজারজাত করা হচ্ছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্বনেটেড পানীয় হিসেবে বিএসটিআই লাইসেন্স সংগ্রহ করেছে।
গত এক বছরে ২৩৭টি পানীয়ের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মান অনুযায়ী সবগুলো নমুনা উত্তীর্ণ হয়েছিল বলে জানান নুরুল মজিদ।
তবে তিনি আরও বলেন, পানীয়র সঙ্গে মাদকদ্রব্য মিশ্রণ এবং এনার্জি ড্রিংকসের নামে বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএসটিআইয়ের অভিযানে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
১০ মাস আগে
সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করার আগে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি সব মহানগর, জেলা, উপজেলায় কালো পতাকা মিছিল বের করবে আমাদের দলের সব শাখা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
বর্তমান সরকার ও সংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করতে ঢাকার দুই মহানগরীর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকাল ৩টার দিকে কালো পতাকা মিছিল বের করে নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড় হয়ে আরামবাগ মোড়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে ও একই দাবিতে বিএনপির সব জেলা শাখায় কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম রাজপথের কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
১০ মাস আগে
সংসদ অধিবেশন বসছে ২২ অক্টোবর
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। রবিবার (২২ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় এ অধিবেশন শুরু হবে।
এর আগে ৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন আহ্বান করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৯টি অধিবেশনের পর চলতি সংসদের ২৪তম অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাই মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন: জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
১ বছর আগে
সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে আশপাশে জমায়েত ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনকে সামনে রেখে শনিবার মধ্যরাত থেকে জাতীয় সংসদ ও সংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের অস্ত্র, বিস্ফোরক, অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ বহন এবং সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল (রবিবার)।
শনিবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংসদ অধিবেশন চলাকালে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে ডিএমপি এই বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
বিধিনিষেধের অধীনে সড়ক ও এলাকাগুলো হলো: ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম কোণ থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোড হয়ে সার্ক ফাউন্টেন, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রিন রোড লিংক রোড হয়ে ফার্মগেট, শ্যামলী ক্রসিং থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) সড়কের মোড়, রোকেয়া সরণি লিংক রোড থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণি পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদের সীমাবদ্ধ এলাকা এবং উক্ত এলাকার সকল সড়ক ও গলি।
সংসদ অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তা মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। আশা করছি এ সংসদ অধিবেশনে না হলেও আগামী অধিবেশনে আইনটি পাশ হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ ইউনিট, ডায়ালাইসিস সেন্টারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, নতুন ওষুধ আইনে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বলা আছে।
এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেউ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বা ব্যবহার করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এতে আইনে শাস্তির বিষয়টিও রয়েছে।
পরে তিনি সিলেটের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়াসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিরোধী দল সঙ্কটের মধ্যে রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,চলমান অর্থনৈতিক সংকটের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলগুলো দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বুধবার একাদশ সংসদের ২০তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে যখন ক্রান্তিকালে (সঙ্কট), আমাদের বিরোধী দলে যারা আছেন তাদের মধ্যে আমি এ নিয়ে উদ্বেগ দেখিনি। বরং আমি দেখছি যে কীভাবে তারা এই সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা করা কি ন্যায়সঙ্গত?’
বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যের কোন উদ্যোগ নেবে কি না জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩)-এর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ কোনও সমস্যার সম্মুখীন হয়, বিরোধী দলগুলোর তখন দেশপ্রেম দেখানো উচিত। কেন তারা এটা করছেন না?
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বিশ্বে যখন সংকট দেখা দেয়, তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রবণতা পরিহার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কোন এলাকায় আ.লীগকে ভোট দিল বা দিল না, তা বিবেচনা না করেই তার সরকার সমগ্র বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,তার সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকেনি। অনেকেই সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছেন, কিন্তু এক মুঠো ভাত দিয়েও জনগণের পাশে দাঁড়াননি।
তিনি বলেন, ঐক্য শুধু কথার বিষয় নয়। সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ‘আমরা সবসময় ঐক্যে বিশ্বাস করি। যারা এগিয়ে আসবে আমরা তাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব।’
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার অপর একটি প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে দোষ-ত্রুটি খোঁজার পরিবর্তে, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন।
হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার পর প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে এবং সারা বিশ্বের মানুষ এখন এর শিকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দোষ-ত্রুটি খুঁজে না দেখে সংসদ সদস্যদের ভাবা উচিত তারা আইন প্রণেতা হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কী করতে পারেন।
এর আগে, রুমিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সিপিডি এবং একটি সংবাদপত্রের উদ্বৃতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে সেই প্রশ্ন করেন। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে খাদ্যের দাম সবচেয়ে বেশি।
দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে এমন ৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে বলেও তিনি তথ্য তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সবার বিবেচনা করা উচিত।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তিনি বলেন,‘আমি অস্বীকার করছি না যে বাংলাদেশে দাম বাড়েনি। যেহেতু দাম বেড়েছে, আমাদের মধ্যে যারা বেশি দামে কেনার সামর্থ্য রাখে না, তারা যাতে কম দামে কিনতে পারে সেজন্য ভর্তুকি দিয়ে পণ্য সরবরাহ করছি।’
গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদের (মৌলভীবাজার-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ এখনও অনেক উন্নত দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও আছে যারা জনগণের ভোগান্তি চিন্তা করে না, তারা শুধু নিজেদের মুনাফার চিন্তা করে। তারা কখনও কখনও পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করে, তিনি ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং তা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ডেপুটি স্পিকার হলেন শামসুল হক টুকু
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন।
সংসদীয় আসন পাবনা-১ এর ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-এ আলাম চৌধুরী ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুর নাম প্রস্তাব করেন। এরপর তার প্রস্তাবকে সমর্থন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পরিচালিত অধিবেশনে প্রস্তাবটি পাস করার জন্য উত্থাপন করা হলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
রবিবার নব নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় সংসদের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে শপথ নিয়েছেন।
গত ২২ জুলাই ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পদ শূন্য হওয়া নতুন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হলো।
টুকু ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পাবনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই বছরের জুলাইতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দশম ও একাদশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ বৈধ
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
চিরনিদ্রায় শায়িত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি
২ বছর আগে
সংসদ অধিবেশন শুরু
বহুল আলোচিত লোডশেডিং ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর প্রথমবারের মতো জনপ্রতিনিধিদের আলোচনার সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় সংসদের অধিবেশন রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার সংবিধানের ধারা ৭২(১) –এর ক্ষমতাবলে এই অধিবেশন আহ্বান করেন।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ দিন ৩০ জুন এ বছরের বাজেট পাশের মধ্যদিয়ে সর্বশেষ জাতীয় সংসদের অধিবেশন স্থগিত করা হয়। কিন্তু বাজেট পাশের অধিবেশ নামে পরিচিত অধিবেশনটি ‘বাজেট অধিবেশন’ নামে পরিচিত হয় যা বিগত অর্থবছরকে সমাপ্ত করে।
ঘটনাক্রমে শেষ অধিবেশনটি বর্তমান সংসদের ১৮তম অধিবেশন ছিল। এই অধিবেশনটিতে বিশটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট পেশের জন্য পুরো জুন মাস সময় নিয়ে থাকেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের আজকের ১৯তম অধিবেশন শুরুর এক ঘন্টা আগে ব্যবসায়ী উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সংসদ সসদ্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাসহ উপস্থিত সকলের করোনা টেস্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্যকে নিজ এলাকা ছাড়তে বলা মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ: তথ্যমন্ত্রী
অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ বৈধ
২ বছর আগে
সংসদ অধিবেশন চলবে ৪ জুলাই পর্যন্ত
রবিবার বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া বর্তমান জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশন ৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
রবিবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির (বিএসি) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির সভাপতি ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিটি কার্যদিবসে আসরের নামাজের পর অধিবেশন শুরু হবে।
স্পিকার চলতি অধিবেশনের কার্যদিবস বাড়াতে বা কমাতে পারেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, জিএম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং ড. আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ৮ জুন পদ্মা সেতু নিয়ে সাধারণ আলোচনার সিদ্ধান্ত হয় এবং ৯ জুন বিকাল ৩টায় প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
১২ জুন সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি ১৩ জুন পাস হবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য অর্থ বিল ২৯ জুন পাস হবে এবং বরাদ্দ বিল ৩০ জুন পাস হবে।
পড়ুন: সংসদের ১৮তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ার ঘোষণা
সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
২ বছর আগে