উদ্ভাবন
জলবায়ু সহনশীল ফসল উদ্ভাবনে গবেষণায় গুরুত্বারোপ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের অধ্যাপকদের
জলবায়ু পরিবৃর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু সহনশীল ফসল উৎপাদনে অধিকতর গবেষণা এবং প্রচলিত ফসলের বিকল্প শস্য চাষের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সালফোর্ড এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বব্যিালয়ের (বাকৃবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাববিষয়ক একটি সেমিনারে তারা এসব সুপারিশ করেন।
শনিবার (৯ মার্চ) বাকৃবির কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় ‘খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও জনসাধারণের জীবিকার উপর জলবায়ুর প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রভাবের প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠার উপায় অন্বেষণে গুরুত্বারোপ করেন দুই দেশের অধ্যাপকেরা।
সেমিনারে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সালফোর্ডের অধ্যাপক বিঙ্গুনাথ ইনগিরিগে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কেবল একটি নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, যদি একটি দেশও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী হয় এর প্রভাবে বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই ভুগতে হবে।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
এসময় তিনি জলবায়ুর পরিবর্তনে কৃষিতে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসের প্রভাব আলোচনা করেন।
কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জীবিকার প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন যেমন কমেছে, দারিদ্র্যের হারও বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঋতুর পরিবর্তন ঘটেছে।
এ কারণে উচ্চ ফলনশীল কিছু কিছু ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর কৃষকদের জীবিকা ও অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
দেশের কৃষিতে জলবায়ুর প্রভাব কমানো ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় সম্পর্কে এ অধ্যাপক বলেন, প্রচলিত সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ফসল রোপণ এবং কাটার সময়কাল জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। জলবায়ু সহনশীল ফসল উদ্ভাবনে অধিক গবেষণা করতে হবে এবং প্রচলিত ফসলের বিকল্প ফসল চাষ করতে হবে।
সেমিনারের এক পর্যায়ে পর্যায়ে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়।
এ পর্বে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষিতে নদীর ভূমিকা, উচ্চ ফলনশীল ও রপ্তানিযোগ্য কৃষি পণ্য উৎপাদনে গুরুত্বারোপ, চাষাবাদে অল্প পানি ব্যবহারে উচ্চ ফলন ও ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমানোর উপায়, স্বল্প সময়ে ফলন পাওয়া যায় এমন ফসল উৎপাদনে জোর দেওয়া, কৃষি উৎপাদনে জ্বালানির প্রভাব কমিয়ে সৌরশক্তির ব্যবহার, কৃষকদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষকদের শহরমুখী হওয়ার কারণ এবং কৃষি উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে তিন দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠিত
দেশে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে গবাদিপশুর নির্ভুল রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবি অধ্যাপকের
৮ মাস আগে
উচ্চ ফলনশীল গাজরের জাত উদ্ভাবন, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩০ টন
দেশি ও বিদেশি ৮০টি জাতের গাজর নিয়ে গবেষণা করে উচ্চ ফলনশীল গাজরের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ ও তার গবেষকদল।
ইউএসএআইডি, ইউএসডিএ/এআরএস ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের যৌথ অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৬টি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২৪টি জাতের গাজর নিয়ে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে।
দেশে প্রচলিত পদ্ধতিতে গাজরের হেক্টরপ্রতি ফলন গড়ে ১০ টন হলেও গবেষণায় উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল গাজরগুলোর জাত থেকে হেক্টরপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টন ফলন পাওয়া যাবে। এছাড়া গাজরগুলো দেশের উষ্ণ ও খরাপ্রবণ অঞ্চলেও চাষের উপযোগী ।
উচ্চ ফলনশীল এসব জাতের গাজর চাষ সম্পর্কে অধ্যাপক বলেন, ৭০ থেকে ৮০ দিনেই গাজরগুলোর ফলন পাওয়া যায় এবং এক একটি গাজরের ওজন প্রায় দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘গাজরগুলো দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন খরাপ্রবণ এলাকায় যেমন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা, লালমনিরহাট ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে চাষ করে সফলতা পেয়েছি। তাছাড়া যেসব অঞ্চলে আলুর ফলন বেশি হয় সেখানে এসব গাজরের চাষ কৃষকদের ভাগ্য বদলাতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
৯ মাস আগে
উদ্ভাবনে উৎসাহিত করতে ডিপিএস এসটিএস ঢাকার স্টিম কার্নিভাল
শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্ভাবন শক্তির বিকাশ এবং তাদের কৌতুহলী করে তুলতে স্টিম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স) কার্নিভালের আয়োজন করেছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা।
এই আয়োজনে ৫ থেকে ১২ গ্রেডের শিক্ষার্থীরা স্টিম বিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ লাভ করে।
আরও পড়ুন: এক্সে অডিও-ভিডিও কল করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড থেকেও
প্রায় দুই হাজার দর্শনার্থী নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই কার্নিভালে ডিপিএস ছাড়াও সিঙ্গাপুর স্কুল কিন্ডারল্যান্ড, আগা খান স্কুল ঢাকা, চিটাগং গ্রামার স্কুল, স্কলাস্টিকা ও ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এই প্রকল্পগুলোয় সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, কলা ও গণিতের প্রতি উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।
শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা জোতির্বিদ্যা ও পদার্থ বিজ্ঞানের প্রকল্প, সেলফ-ড্রাইভিং গাড়ি ও ফায়ার-ফাইটিং ভেহিকলের মতো প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রকল্প; জীববিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানের প্রকল্প, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত প্রকল্প, ওয়াটার সাইকেল, ভলকানোর (আগ্নেয়গিরি) মতো ভূগোল সম্পর্কিত প্রকল্প সহ আরও নানান প্রকল্প তৈরি করে।
কার্নিভালকে আরও উৎসবমুখর করে তুলতে ফুড স্টল, গেমসের মতো নানা কিছু নিয়ে একটি ‘ফান ফেয়ারের’ও আয়োজন করা হয়। ডিপিএস এসটিএসের শিক্ষার্থীরাও অতিথিদের জন্য আকর্ষণীয় গেমস ও বিনোদনের ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন: ৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
এ বিষয়ে স্কুলটির প্রিন্সিপাল ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, ‘আধুনিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ স্টিম। আমাদের শিক্ষার্থীনির্ভর স্টিম কার্নিভাল শিক্ষার্থীদের কেবল স্টিম শিক্ষার প্রতি আগ্রহীই করে তুলবে না, বরং একইসঙ্গে তাদের মাঝে সহমর্মিতা বোধ ও দায়িত্বশীলতার বিকাশ ঘটাবে। আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীদের নিজেদের বানানো স্টিম প্রকল্পগুলো দেখে আমরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত।’
৯ মাস আগে
ফসলের পুষ্টি পরিমাপক অ্যাপ উদ্ভাবন করল ইউএসডিএ-বিএএস
ফসলের পুষ্টি পরিমাপক অ্যাপ উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর ও তার দল।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে ‘ডেভেলপমেন্ট অব এ ফিল্ড-স্কেলড নিউট্রিয়েন্ট ব্যালান্স ক্যালকুলেটর ফর ক্রপস অব এন ইন্টেনসিভলি ম্যানেজড এগ্রিকালচারাল সিস্টেম’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা জানানো হয়।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির (বিএএস) অর্থায়নে এ গবেষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গয়াল-ইল্যান্ডের কঙ্কাল তৈরি করলেন বাকৃবি অধ্যাপক
প্রকল্পটির প্রধান গবেষক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর বলেন, ফসলের পুষ্টি পরিমাপের জন্য আমরা একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। মাটির উর্বরতা বাড়ানো, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবেশের দূষণ কমানো এ তিনটি বিষয়ে ভারসাম্য এনে কৃষকদের পরিমিত সার ব্যবহারের পরামর্শ পেতে সাহায্য করবে এই অ্যাপ।
তিনি আরও বলেন, একটি এলাকার মাটি, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত বিভিন্ন তথ্য অ্যাপটিতে দিলে নির্দিষ্ট একটি এলাকার নির্দিষ্ট একটি জমিতে নির্দিষ্ট একটি ফসলের জন্য কতটুকু সার লাগবে তা জানিয়ে দেবে।
এছাড়া কতটুকু সার গাছ নিজের পুষ্টির জন্য ব্যবহার করবে, কতটুকু সার পানিতে ব্যয় হবে, কতটুকু সার বায়ু দূষণে ব্যয় হবে, কতটুকু সার গ্রিন হাউজ গ্যাস হিসেবে নিঃসরণ হবে সব তথ্যই অ্যাপটি থেকে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এ গবেষক বলেন, অ্যাপটি এখনো গবেষণা পর্যায়ে আছে। আগামী বছর মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের জন্য আরও ব্যবহারবান্ধব করে কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহ্ফুজা বেগম, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান, কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এম জাহিরউদ্দীন (অব.)।
আরও পড়ুন: বাকৃবি অধ্যাপক আব্দুল কাফির মৃত্যু, বগুড়ায় দাফন
উদ্যোক্তাবান্ধব গবেষণায় দেশসেরা বাকৃবি
১০ মাস আগে
উদ্ভাবনে অবদানের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করল অপো
উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্টফোন খাতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্প্রতি দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে অপো।
২০২৩ এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস–এ এআর ক্যাটাগরিতে অপো এয়ার গ্লাস সিলভার পুরস্কার অর্জন করেছে।
এছাড়া, বিজনেস মিডিয়া ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত এ বছরের এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো।
গত ২০ এপ্রিল ফ্লোরিডায় এই অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড অপো রেনো এইট টি’র
বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পণ্য, ডিজাইন এবং প্রযুক্তি এই তিনটি ক্ষেত্রে স্বীকৃতি প্রদানকারী বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি এডিসন অ্যাওয়ার্ডস, যা বিখ্যাত উদ্ভাবক টমাস এডিসনের সম্মানে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিন হাজার জনের বেশি সিনিয়র বিজনেস এক্সিকিউটিভস ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত প্যানেল কন্সেপ্ট, ভ্যালু, ডেলিভারি ও ইম্প্যাক্ট–এ চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই এডিসন অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিজয়ী নির্বাচন করে।
উদ্ভাবনী ডিজাইন ও নিজস্ব প্রযুক্তির জন্য অপো এয়ার গ্লাস এই প্রতিযোগিতায় সিলভার জিতে নিয়েছে।
বিশ্বের প্রথম ডিট্যাচেবল মনোকল এআর গ্লাস অপো’র এই এয়ার গ্লাস। এর ওজন মাত্র ৩০ গ্রাম, যার ফলে এটি অনেক আরামদায়ক এবং সারাদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক।
ডিভাইসটিতে অপো’র স্পার্ক মাইক্রো প্রজেক্টর, অত্যাধুনিক মাইক্রো এলইডি এবং ডিফ্র্যাকশন অপটিক্যাল ওয়েভগাইড ডিসপ্লেসহ বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।
এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে অপো এয়ার গ্লাসে নোটিফিকেশন, নেভিগেশন, টেলিপ্রম্পটার এবং রিয়েল-টাইম অনুবাদের মতো ফিচার ব্যবহার করা যাবে।
২০২১ সালে উন্মোচিত এয়ার গ্লাসটি গত বছর রেড ডট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড এবং আইএফ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
সবার জন্য সেরা প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অপো গত বছরের ইনো ডে ২০২২ ইভেন্টে এই ডিভাইসের একটি আপগ্রেডেড সংস্করণ, অপো এয়ার গ্লাস ২ উন্মোচন করে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে অপো এয়ার গ্লাস ২ আরও বেশি ব্যবহারকারীর জন্য স্মার্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
এছাড়া, ফাস্ট কোম্পানি দ্বারা প্রকাশিত এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর (২০২৩) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো।
ফাস্ট কোম্পানির সম্পাদকীয় দল প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগে সেরা উদ্ভাবক নির্বাচন করতে শত শত কোম্পানির উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মূল্যায়ন করে থাকে।
অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন একটি সিস্টেম-লেভেল ব্যাটারি হেলথ অপ্টিমাইজিং সলিউশন। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ডেড লিথিয়ামের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি।
অপো’র এই দুর্দান্ত ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন ১,৬০০টি চার্জ সাইকেলে ব্যাটারির সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বজায় রাখতে পারে।
‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ মূলমন্ত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অপো ব্যবহারকারী-বান্ধব উদ্ভাবন নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) অপো সুপারভুক এস পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ, পরিবেশ-বান্ধব জিরো-পাওয়ার ট্যাগ এবং ম্যারিসিলিকন ওয়াই ফ্ল্যাগশিপ ব্লুটুথ অডিও এসওসি সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করে।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উন্নত পণ্যের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে অপো।
এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস নিয়ে আরও জানতে ভিজিট করুন-
https://edisonawards.com/2023-winners-dev/ এই ঠিকানায়।
ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত শীর্ষ ১০টি এশিয়া-প্যাসিফিক কোম্পানি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.fastcompany.com/90846729/most-innovative-companies-asia-pacific-2023 এই ঠিকানায়।
আরও পড়ুন: ঈদ উদযাপনে অপো’র নজরকাড়া অফার
রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো
১ বছর আগে
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন রোড শো বুধবার
ঢাকায় বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো আয়োজন করছে কোরিয়ান দূতাবাস। বুধবার দেশটির বাংলাদেশের দূতাবাসের আয়োজিত হোটেল শেরাটনে ইউএভি এবং সফ্টওয়্যার সম্পর্কিত সমাধানের ওপর অর্ধ-দিনের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন।
এই ইভেন্টটি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ করে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে কোরিয়াকে চালিত করবে।
ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় (এমওএলআইটি) এবং কোরিয়ান নেতৃস্থানীয় ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি কোরিয়া ইন্সটিটিউট অফ এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি (কেআইএএসটি) এবং স্থানীয় বেসরকারি ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ইভেন্টে অংশগ্রহন করবে।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণকারীকে মুক্তি দেয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ, ডিম নিক্ষেপ
দূতাবাস বাংলাদেশে এই সুযোগের ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রদূত লি জোর দিয়ে বলেন, ‘ড্রোনগুলো বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি যেমন এভিয়েশন, আইসিটি, সফ্টওয়্যার এবং সেন্সরগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়, যা বাংলাদেশের উদ্ভাবনী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এই ড্রোন শো-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ড্রোন প্রযুক্তির গুরুত্ব ও বৈচিত্র্যময় ব্যবহারের প্রতি বাংলাদেশ সরকার এবং ব্যবসায়িক খাতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
রোডশোর হাইলাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সরকারি কর্তৃপক্ষের উপস্থাপনা এবং কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যাতে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করে।
অনুষ্ঠানটি প্রদর্শনী এবং ব্যবসায়িক পরামর্শের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়িক খাতের নেটওয়ার্ক এবং যোগাযোগ স্থাপনের জন্য উপলক্ষও অফার করবে।
আরও পড়ুন:ফের দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য আবেদন চালু
২ বছর আগে
সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয় এবং কখনও কখনও এর জন্য কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আর তাই সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে গবেষকরা একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনের কৌশল তৈরি করছেন।
প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (এনএলপি) কৌশলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রোটিন ও ওষুধের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ঘটানোর মাধ্যমে তারা এটি তৈরির চেষ্টা করছে। এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে তারা প্রায় ৯৭ শতাংশ সফলতা পাওয়ার দাবি করেছেন।
সম্প্রতি ব্রিফিংস ইন বায়োইনফরমেটিক্স জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ওষুধ ও প্রোটিনের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ার ফলে প্রতিটি প্রোটিন মিশ্রনকে ভাষায় প্রকাশ করা হয় এবং উভয়ের মধ্যে হওয়া এই জটিল মিথস্ক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশে ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এএনআই জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক ও এই গবেষণার একজন সহ-লেখক ওজলেম গারিবে বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের কিছু কাজ এআই এর দ্বারা করা যাবে। আপনি প্রোটিন ও ওষুধের মিথস্ক্রিয়াগুলোর মধ্যকার বৈচিত্র্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন এবং খুঁজে বের করতে পারেন যে কোনটিকে এক করা সম্ভব আর কোনটি সম্ভব না।’
আরও পড়ুন: ‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম ইঁদুর ভ্রূণ তৈরি
তারা যে মডেলটি তৈরি করেছে তা অ্যাটেনশনডিটিআই নামে পরিচিত। প্রোটিন মিশ্রনের ভাষা ব্যবহার করে ব্যাখ্যাযোগ্য হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
এ পদ্ধতিটি ওষুধ গবেষকদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে কার্যকরী বৈশিষ্ট্যসহ জটিল প্রোটিন বন্ধন শনাক্ত করা যায়। যার মাধ্যমে একটি ওষুধ কাজ করবে কি না তা বোঝা যায়।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
২ বছর আগে
মানব পাচার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সহজ স্থানান্তর চায় ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মানব পাচার একটি আন্তঃসীমান্ত বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ। পাচারকারীরা একটি নির্দিষ্ট দেশে প্রযুক্তির ব্যবহারে ভাল হতে পারে এবং তাদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি থাকতে পারে। আমরা আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি যে, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সনদ ও উদ্যোগের মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধ করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব পাচারকারীরা আরও বেশি ক্ষতি করে। তবে সরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে পাচারকারীর প্রচেষ্টাকেও প্রতিহত করতে পারে।’
‘প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহার’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শনিবার বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস ২০২২- উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশন-এর ‘কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সনস টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহারের প্রেক্ষাপটে মানব পাচার প্রতিরোধ বিষয়ে একটি জাতীয় পরামর্শ সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক মানব পাচারের প্রবণতা, পরবর্তী পরিস্থিতি এবং সাইবার স্পেসে মানব পাচারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক অংশীদার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ মানব পাচারের ক্ষেত্রে উৎস, ট্রানজিট ও গন্তব্য দেশ। যদিও বাংলাদেশ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিকিং ইন পারসনস প্রতিবেদন ২০২২ অনুয়ায়ী ‘টায়র ২’-এ অবস্থান করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে অনেক ভাল উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মানুষ পাচার একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। আমরা এই ভয়াবহ অপরাধের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি। পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সব পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। মানব পাচার প্রতিরোধে অনলাইনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের মতে, ‘পাচারের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হন। তারা হয়রানি, জোরপূর্বক শ্রম, জোরপূর্বক ও অবৈধ বিয়ে, মৃত্যুর মত পরিস্থিতিতে পরেন। সর্বস্তরে মানব পাচার প্রতিরোধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন উল্লেখ করেন, ‘মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের যথেষ্ট আইন ও নীতি রয়েছে। এছাড়াও, অভিবাসন সংক্রান্ত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ব্যক্তি পাচার নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এখন জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে এই আইন ও কমপ্যাক্টের কার্যকর বাস্তবায়ন করে, মানব পাচারের মত জঘন্য অপরাধের অবসান ঘটাতে হবে।’
প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা মানব পাচারের কার্যক্রম জোরদার করছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের নিয়োগ, শোষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাচারকারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নানা টুল ব্যবহার করছে। এছাড়া পাচারকারীরা সহজে ভুক্তভোগীদের পরিবহন, বাসস্থান, বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলোভন দেখানো, অন্য পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগেও প্রযুক্তির সহযোগিতা নিচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারকারীরা পরিচয় গোপন করছে। দ্রুত গতিতে এবং অল্প খরচে যোগাযোগ করতেও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস উল্লেখ করেন, ‘প্রযুক্তি পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবেও অনেক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মানব পাচার নির্মূলের প্রচেষ্টায় ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য আইন প্রয়োগকারী এবং অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনের সমন্বয়কারী আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেন, ‘ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপদ ব্যবহারের ওপর প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করলে মানব পাচারের ঝুঁকি কমবে। মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে সহায়তার জন্য টেকসই প্রযুক্তি-ভিত্তিক সমাধানে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে আমরা বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারি।’
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বিদেশ যান। যাদের মধ্যে অনেকেই পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তু হন। কোন কোন অভিবাসী ঋণ, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন শোষণ, জোরপূর্বক বিয়ে এবং আধুনিক দাসত্বের শিকার হন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জেরেমি ওপ্রিটেসকো, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন স্কট ব্র্যান্ডন এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
২ বছর আগে
মাইক্রোসফটের উদ্ভাবন কার্যক্রম পরিদর্শন প্রতিমন্ত্রী পলকের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে বিশ্বপ্রযুক্তির টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মাইক্রোসফট টিমের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
এসময় তিনি মাইক্রোসফটের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও বিস্ময়কর উদ্ভাবনগুলো প্রত্যক্ষ করেন।
২ বছর আগে
মাছের টিকা উদ্ভাবন করলেন সিকৃবির শিক্ষক
বাংলাদেশে মাছের জন্য প্রথম টিকা উদ্ভাবন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) এক শিক্ষক। এই টিকা মাছের ব্যাকটেরিয়াজনিত একাধিক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে ও মৃত্যুহার কমিয়ে উৎপাদন বাড়াবে বলে আশা এর উদ্ভাবক সিকৃবির মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনের।
২০১৬ সাল থেকে মাছের টিকা উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণা করা এই শিক্ষক জানান, এরোমোনাস হাইড্রোফিলা নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাছের ক্ষত রোগ, পাখনা পচাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এতে প্রতি বছর প্রচুর মাছ মারা যায়। তবে এই উপমহাদেশে মাছের টিকা নিয়ে তেমন কাজ হয়নি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন উদ্ভাবিত টিকার নাম দেয়া হয়েছে ‘বায়োফ্লিম’।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিকৃবির গবেষণাগারে কিছু পাঙ্গাশ মাছের শরীরে এই টিকা প্রবেশ করিয়ে ৮৪ শতাংশ সফলতা পেয়েছি। এরপর মাঠ পর্যায়ে এটি প্রয়োগ করা হবে।’
পড়ুন: বিশ্ব সুরক্ষায় বাংলাদেশি তরুণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ
‘আগামী মার্চ থেকে সিলেটের বিভিন্ন পুকুরের মাছের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে কয়েকটি পুকুরও নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগে সফলতা মিললেই বাণিজ্যিক উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হবে,’ বলেন এই উদ্ভাবক।
এই টিকা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে মাছকে খাওয়ানো হবে জানিয়ে মামুন বলেন, ‘এই টিকা ব্যাপক আকারে উৎপাদনের সক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের যে সক্ষমতা আছে তাতে প্রতি মাসে ১০০ মিলিলিটার উৎপাদন করতে পারব। এই পরিমাণ টিকা ১ কেজি মাছের খাবারের সঙ্গে মেশানো যাবে।
তিনি জানান, এই গবেষণা কাজে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মাছই ক্ষত রোগে আক্রান্ত হয়। একে মাছের ক্যান্সারও বলা হয়। প্রতি বছর অনেক মাছ ক্ষত রোগে মারা যায়।
তিনি বলেন, ‘বাইরের অনেক দেশে মাছের শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হলেও আমাদের দেশে এখনও শুরু হয়নি। ক্ষত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে আমরা সাধারণত জলাশয়ে চুন ও লবণ ব্যবহার করে থাকি। মাছের টিকা উদ্ভাবন সফল হলে উৎপাদন অনেক বাড়বে।’
পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো ভার্টিক্যাল ফ্লোটিং বেড পদ্ধতি উদ্ভাবন
পাঙ্গাসের মড়ক রোধে সিকৃবিতে ‘বায়োফিল্ম’ ভ্যাকসিন উদ্ভাবন
সিকৃবির মৎস্য অনুষদ সূত্রে জানা যায়, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, চিলিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাছের জন্য ২৮ ধরনের টিকা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের টিকা উদ্ভাবন হয়েছে। স্বাদু পানিতে চাষযোগ্য মাছে এই টিকা প্রয়োগ করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান হাওলাদার জানান, বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ টন মাছ উৎপাদন হয়। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। তবে মাছের বিভিন্ন রোগের কারণে মড়ক দেখা দেয়। এতে প্রচুর পরিমাণ মাছ মারা যাওয়ায় চাষি ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এই টাকায় আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। আমার আশা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপাদিত টিকা মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের আমিষের চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে।’
৩ বছর আগে