ক্রিকেটার
স্ত্রীর মামলায় ক্রিকেটার আল-আমিনের বিচার শুরু
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাসা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রবিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আল-আমিনের বিরেুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শুনালে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল
অপরদিকে, আসামির আইনজীবী আব্দুর রহমান সুমন অব্যাহতির আবেদন করেন।
দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সাক্ষীর জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা।
তদন্ত শেষে গত ২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
‘বিতর্কিত’ সাকিবকে শুভেচ্ছা দূত না রাখার সিদ্ধান্ত দুদকের
অল-রাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে চুক্তি নবায়ন করবে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের অনুসন্ধান বিভাগের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
তিনি বলেন, 'চুক্তি অনুযায়ী তিনি এখনও শুভেচ্ছাদূত হলেও চুক্তি নবায়ন করা হবে না। তিনি আসন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না’, নিয়ম অনুযায়ী তার সঙ্গে দুদকের এখনও চুক্তি রয়েছে। তবে সাকিব আল হাসানকে এখন বিভিন্ন ইস্যুতে 'বিতর্কিত' হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দুদক কোনো বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে চায় না বলে জানান হক।
এর আগে, অল-রাউন্ডার সাকিবকে বাংলাদেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য দুর্নীতি বিরোধী পর্যবেক্ষকের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ ঘোষণা দেয় দুদক।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: পেসারদের ওপর আস্থা বেড়েছে সাকিবের
লিটন-সাকিবের ব্যাটে পাকিস্তানকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল
বাংলাদেশের ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা পারিবারিক সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. রেজাউল করিম চৌধুরী গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
উভয় পক্ষকে আদালতে হাজির হতে বলে আদালত। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ৩ পরিবর্তন
এর আগে একই দিনে(বুধবার, ১২ অক্টোবর) মামলার শুনানির জন্য আল-আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
শুনানির সময় আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের কৌঁসুলি শামসুজ্জামান দাবি করেন, অভিযুক্তের বিবাহবিচ্ছেদের দাবি সম্পর্কে তার মক্কেলের কোনো ধারণা নেই।
৬ অক্টোবর আল-আমিন আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে দাবি করেন যে তিনি ২৫ আগস্ট ইসরাতকে তালাক দিয়েছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় আল-আমিনকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেন।
বিচারক শফি উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাতকে বিয়ে করেন এবং তার স্ত্রী পরবর্তীতে দুই ছেলের জন্ম দেন।
এজাহারে উল্লেখ আছে, ইসরাত দাবি করেন যে আল-আমিন অনেক দিন ধরে তার দুই ছেলের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার খরচ জোগায়নি। আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করত। তিনি ২৫ আগস্ট তাদের দুই সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
উল্লেখ্য, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসরাত। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে ইসরাতকে বার্তা পাঠান যে তিনি তার ভরণ-পোষণ দেবেন না এবং তাকে তালাক দিয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় আল-আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৪৮ রানে হারল বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে ২০৯ রানের লক্ষ্য দিল কিউইরা
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
স্ত্রীর দায়ের করা পারিবারিক সহিংসতা মামলায় ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার শুনানির জন্য আল-আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেন।
শুনানির সময় আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের কৌঁসুলি শামসুজ্জামান দাবি করেন, অভিযুক্তের বিবাহবিচ্ছেদের দাবি সম্পর্কে তার মক্কেলের কোনো ধারণা নেই।
৬ অক্টোবর আল-আমিন আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে দাবি করেন যে তিনি ২৫ আগস্ট ইসরাতকে তালাক দিয়েছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় আল-আমিনকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর করা মামলায় আগাম জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
বিচারক শফি উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাতকে বিয়ে করেন এবং তার স্ত্রী পরবর্তীতে দুই ছেলের জন্ম দেন।
এজাহারে উল্লেখ আছে, ইসরাত দাবি করেন যে আল-আমিন অনেক দিন ধরে তার দুই ছেলের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার খরচ জোগায়নি। আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করত। তিনি ২৫ আগস্ট তাদের দুই সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে টি২০ স্কোয়াড: চার বছর পর দলে আল-আমিন
উল্লেখ্য, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসরাত। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে ইসরাতকে বার্তা পাঠান যে তিনি তার ভরণ-পোষণ দেবেন না এবং তাকে তালাক দিয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় আল-আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
শেয়ার কারসাজিতে সাকিবের কোম্পানি জড়িত: ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে, যার চেয়ারম্যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদনে কীভাবে কারসাজি হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
তদন্তে দেখা যায়, শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসান। ওই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাকিব আল হাসান।
এ ঘটনায় আবুল খায়ের হিরোসহ গ্রুপের অন্যদের তিন কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। জরিমানার টাকা আদায়ের জন্য বিএসইসিও এক আদেশ জারি করেছে। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির জন্য তিন কোটি টাকা এবং বিডিকমের শেয়ার কারসাজির জন্য বাকি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএসই’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সময় ১১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিল।
জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন-আবুল খায়ের হিরো, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, বাবা আবুল কালাম মাতবর ও বোন কনিকা আফরোজ।
আরও পড়ুন: বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলেন সাকিব
এর সুবিধাভোগী সংস্থাগুলো হলো- ক্যান্ডেলস্টোন ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার ও তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানি হলো- জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন সুজ ও সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস।
জানা গেছে, সাকিব আল হাসান, জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন সুজ ও সোনালী পেপারের নামে হিরো শেয়ার লেনদেনের তত্ত্বাবধান করেছে।
ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ২০ টাকা ১০ পয়সা হয়েছে, অর্থাৎ শতকরা ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিএসই’র তদন্তে জানা গেছে, আবুল খায়ের হিরোর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান (ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের ক্লায়েন্ট কোড # ৩৮৯৮) এই সময়ে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের শীর্ষ ক্রেতা ছিলেন।
আরও পড়ুন: জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
করোনার জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙ্গে নতুন বিতর্কে সাকিব
স্ত্রীর করা মামলায় আগাম জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন। আট সপ্তাহ পরে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসর্মপণ করার জন্য বলেছেন আদালত।
আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন জানালে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহাবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জামিন আবেদন করেন আল-আমিনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আল আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরপর তাঁকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধের জন্য স্ত্রী ইসরাত জাহানের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ক্রিকেটার মো. আল-আমিন হোসেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্ত্রীকে মারধর করেন আল-আমিন।
পরে এসব অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরে তা মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ: টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান
থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর ইসরাত জাহান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আল আমিন তাকে অত্যাচার ও মারধর করেন। এরপর দুটি বাচ্চাসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর আল আমিন অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে বাসায় উঠেছেন।
গত ২৫ আগস্ট মারধর করে বাসা থেকে বাচ্চাসহ ইসরাতকে বের করে দেয়। এরপর মিরপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে ইসরাত।এর আগেও থানায় নির্যাতনের অভিযোগে জিডি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি দলের পরামর্শক নিয়োগ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টি-টোয়েন্টি দলের নতুন পরামর্শক হিসেবে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীধরন শ্রীরামকে নিয়োগ দিয়েছে। আগামী ২৭শে আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপের আগে টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগ দেবেন তিনি।
শুক্রবার বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করবেন শ্রীধরন।
নাজমুল হাসান জানান, ঘরোয়া পরিসরে বেশ কয়েকটি দলকে কোচিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্রীধরনের। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তার যোগ দেয়া নিয়ে আলোচনা করতে চলতি সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন শ্রীধরন।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘শ্রীধরন এই সপ্তাহে আসছেন। তিনি শুধু টি-টোয়েন্টির টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে আসছেন। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত কাজ করবেন তিনি। হাই-গ্রেডের টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।’
ইউএনবি জানতে পেরেছে, রবিবার শ্রীধরনের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
তামিলনাড়ুতে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটার ভারতের হয়ে মাত্র আটটি ওয়ানডে খেলেছেন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ৩২টি সেঞ্চুরি এবং মোট ৯ হাজার ৫৩৯ রান করেছেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মতো দলকে কোচিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্রীধরনের। অস্ট্রেলিয়ার স্পিন-বোলিং কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের ভূমিকায় কে থাকবেন তা নিশ্চিত নয়।
নাজমুল হাসান বলেন, এই আসরের জন্য তারা এখনো প্রধান কোচ চূড়ান্ত করতে পারেননি।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘আগামী ২২শে আগস্ট আমরা সব সিদ্ধান্ত নেব। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোচ থাকবেন ডমিঙ্গো। তবে এশিয়া কাপে কে কোচ হবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
বিসিবি এমন একজন কোচ নিয়োগ করতে চেয়েছিল যার পাওয়ার হিট করার ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষত্ব রয়েছে।
তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, আপাতত এই ভূমিকা পালন করবেন জেমি সিডন্স।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা একজন পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছি। তবে জেমি বলেছেন, তিনি এই ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। এই এশিয়া কাপে নয়, আমরা অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে নজর দিচ্ছি। অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করা আমাদের জন্য সবসময়ই কঠিন। তাই আমরা এই এশিয়া কাপে কিছু পরিবর্তন করার অপেক্ষায় আছি।’
এশিয়া কাপ ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই আসরের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ খেলবে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে এশিয়া কাপের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: নাঈমের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয় পেল বাংলাদেশ
নতুন এফটিপিতে যাদের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
ক্রিকেটার মোশাররফের কবর সংরক্ষণের নির্দেশ মেয়র আতিকের
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশররফ হোসেন রুবেলের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এর আগে সদ্য প্রয়াত ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন মোশাররফের স্ত্রী চৈতি ফারহানা গণমাধ্যমের মাধ্যমে তার কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য মেয়রের প্রতি মৌখিকভাবে আবেদন জানান।
ক্রিকেটার মোশাররফের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘মোশাররফ হোসেন রুবেল নিজের জন্য খেলেনি, দেশের জন্য খেলেছেন। তার অবদান দেশের মানুষকে গর্বিত করেছে। সে কারণে তার কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করছি।’
আরও পড়ুন: ক্যানসারের কাছে হার মানলেন ক্রিকেটার মোশাররফ
মেয়র আতিক ওমরা পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন। দেশে ফিরে বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ক্রিকেটার মোশারফের কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হব বলেও জানান তিনি।
গত ১৯ এপ্রিল মোশাররফ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর।
আরও পড়ুন: নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার সাতটি পার্ক ও মাঠ: মেয়র আতিক
ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক ক্রিকেটার বিপু আর নেই
ক্যানসারের কাছে হার মানলেন ক্রিকেটার মোশাররফ
ব্রেন ক্যান্সারের কাছে চিরদিনের জন্য হার মানলেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৪০।
২০১৯ সালে রুবেলের প্রথম ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। ওই বছরের মার্চ মাসে সিঙ্গাপুরে তার একটি অপারেশন করা হয়েছিল এবং কেমোথেরাপির সম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্পন্ন করা হয়।
কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তার আবারও ক্যান্সার ধরা পরে।
আরও পড়ুন: খালেদকে জরিমানা করল আইসিসি
গত মাসে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অনবদ্য পারফরম্যান্স সত্ত্বেও মোশাররফ বাংলাদেশের হয়ে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন।
তার শেষ আন্তর্জাতিক উপস্থিতি ছিল ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
বাঁহাতি অলরাউন্ডার মোশাররফ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০১৩-এর ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে ঘরোয়া স্তরে তার অসংখ্য ম্যাচ জয়ী পারফরম্যান্স ছিল।
মোশাররফ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ৫০০-এর বেশি উইকেট শিকার করেছেন।
আরও পড়ুন: দ.আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩২ রানের হার বাংলাদেশের
ক্রিকেটার আকরাম খানের ছোট ভাই আকবর খানের মৃত্যু
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক আকরাম খানের ছোট ভাই সাবেক ক্রিকেটার আকবর খান (৪৫) মারা গেছেন। তিনি ক্রিকেটার তামিম ইকবালের ছোট চাচা। বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সাত ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে আকবর ছিলেন সবার ছোট। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
আকবর খান স্টার ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনীসহ বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন। ২০১২ সালে তিনি খেলাধুলা থেকে অবসর নেন। তার দুই ছেলের একজন চট্টগ্রাম অনুর্ধ-১৬ বিভাগীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়ার।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
আকবর খানও একসময় ক্রিকেটার ছিলেন জানিয়ে ক্রিকেটার তামিম বলেন, আমার প্রথম ক্রিকেট কোচ ছিলেন তিনিই। ক্রিকেটের মৌলিক শিক্ষার অনেকটুকুই আমি পেয়েছিলাম তার কাছ থেকে। ক্রিকেট বলে আমার প্রথম ম্যাচটিও খেলেছিলাম তার তত্ত্বাবধানে। ক্রিকেটের পথে আজ যতদূর আসতে পেরেছি, উনি যত্ন করে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বলেই। মহান আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাতবাসী করুন। আমার চাচা ও তার পরিবারের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি’।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আকবর খান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ‘চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু
বৃহস্পতিবার বাদ আসর চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে আকবর খানের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে, আকবর খানের মৃত্যুতে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মো. আলমগীর ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন শোক প্রকাশ করেছেন।