পোশাক শিল্প
শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে আনুমানিক প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কিছু অর্ডার প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। আগস্টে মার্কিন পোশাক আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া চীন থেকে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ভারত থেকে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া থেকে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ আমদানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইউরোপে আমদানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে ভারত থেকে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, কম্বোডিয়া ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম থেকে ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ আমদানি বেড়েছে।
এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে রয়েছে।
তবে রফিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জিং সময় পেরিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে বিজিএমইএ বোর্ড কার্যকরভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারছে।
তিনি বলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারা পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সামরিক সহায়তায় বিজিএমইএ কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছে।
পোশাক কারখানার আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এটি মোকাবিলা করতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩৯ পোশাক কারখানার জন্য সহজ শর্তে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেক কারখানা এখনও নানারকম ঝুঁকির মধ্যে আছে। তবে এসব কারখানার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিতে পারছে না। এসব কারখানার বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।
পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিজিএমইএ'র অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক কারখানার স্টিলের কাঠামোর জন্য অগ্নি প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ধারণের শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিজিএমইএর গভীর দুঃখ প্রকাশ; পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
১ মাস আগে
পোশাক শিল্পের কাস্টমস ও বন্ড সমস্যা সমাধানে এনবিআরকে বিজিএমইএর আহ্বান
পোশাক শিল্পের কাস্টমস ও বন্ড সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে ছিলেন- সহসভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান, পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক রাজীব চৌধুরী, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
এছাড়াও বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমও ছিলেন।
পোশাক শিল্পের উদ্বেগ তুলে ধরতে ও সমস্যাগুলো নিরসনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কাস্টমস বন্ড সংক্রান্ত যেসব বিষয় নিয়ে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে সেসবে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা পোশাক শিল্পের সার্বিক কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে ও মসৃণভাবে পরিচালনা করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর ও সহজতর করা, আমদানি করা কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দ্রুত খালাসসহ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিনিধিরা বলেন, পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে কাস্টমস সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলোর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে যেয়ে শিল্পে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোতেও অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হয়।
তারা আরও বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার এ সময়ে বিশ্বব্যাপী পোশাক পণ্যের চাহিদা ও ব্যয় কমা সত্ত্বেও পণ্যের দরপতন হচ্ছে ও বিপরীতে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে শিল্পের প্রতিযোগিতাপূর্ণ সক্ষমতা ধরে রাখতে কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলোকে সহজ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান প্রতিনিধিরা।
পোশাক শিল্পে কাস্টমস ও বন্ড সংক্রান্ত বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধানে- বিশেষ করে কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর ও সহজতর করতে কাস্টমস হাউজ ও বন্ড কমিশনারেটদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনেরও প্রস্তাবনা দেন বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বিজিএমইএ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে বলেন, পোশাক শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে পোশাক শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর ও সহজতর করতে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি হলে বাণিজ্য বাড়বে, বিনিয়োগ বাড়বে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সুপারিশগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
৩ মাস আগে
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ ও সাবেক সাসটেইনেবল অ্যাপারেল কোয়ালিশন (ক্যাসকেল)।
পোশাক শিল্পে পরিবেশগত ও সামাজিক সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়ন ও অডিট করার জন্য প্রটোকলগুলোকে একত্রিত করতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে ক্যাসকেলের সিইও কলিন ব্রাউন ও বিজিএমইএ নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ বৈঠক আয়োজিত হয়।
আরও পড়ুন: ইউএসআইটিসির শুনানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী।
বৈঠকে সোশ্যাল ও টেকনিক্যাল অডিটের জন্য শিল্পে সর্বজনস্বীকৃত একটি সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফাইড কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।
বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের সুবিধার্থে এ ধরনের একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ক্যাসক্যালকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, এটি ছাড়া শিল্পকে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা সম্ভব হবে না।
ক্যাসকেলের সিইও বলেন, বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল একসঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিয়ে পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে সাপ্লাই চেইন জুড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, শিল্পের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকে শিল্পের আরও বিকাশের জন্য, ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেকটিভের মতো আসন্ন প্রবিধানগুলো অনুসরণ করা এবং কর্মীদের কল্যাণ বাড়াতে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য শেযার, অনুশীলন ও উদ্ভাবনামূলক সমাধানের বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে ক্যাসকেলের সিইও, সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়নের বিষয়ে সদস্যদের প্রতি বিজিএমইএর প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠিত করতে ক্যাসকেলের সদস্যদের এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।
কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ক্যাসকেল কারখানা পর্যায়ে আচরণবিধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবে বলে জানিয়েছে উভয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
৪ মাস আগে
পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
পোশাক শিল্পের কাস্টমস সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে সহযোগিতা করতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বুধবার (১৫ মে) কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে এর কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে আমদানিকৃত ওভেন ফেব্রিক্সের চালান ছাড়করণে ও রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পণ্য চালান জাহাজীকরণে ওজন নিয়ে সমস্যা, ডকুমেন্টেশন সমস্যা এবং আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাসকালে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতাসহ কাস্টমস সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোতে বিদ্যমান জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ সভাপতির মা মারা গেছেন
পোশাক শিল্পের সার্বিক কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে ও মসৃণভাবে পরিচালনা করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর এবং সহজতর করা, আমদানিকৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি দ্রুত খালাসসহ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো সহজীকরণের ওপর জোর দেন বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে কাস্টমসে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো মোকাবিলা করতে গিয়ে শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। যার ফলে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোতেও অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হয়।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার এ সময়ে বিশ্বব্যাপী পোশাকের চাহিদা ও ব্যয় কমলেও শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এ অবস্থায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করতে হবে।
বৈশ্বিক ফ্যাশন বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য লিড টাইম কমানোর ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এস এম মান্নান বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য ও শিল্পে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এ খাতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের নিন্দা করে তিনি বলেন, বিজিএমইএ কখনোই এ ধরনের কাজ সমর্থন করে না। যারা দেশের অর্থনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
যারা রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করে এবং রপ্তানিকারকদের হয়রানি করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রামের কমিশনারকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
পোশাকখাতের সুবিধার্থে অনতিবিলম্বে কাস্টমস সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করে কাস্টমস পরিষেবাগুলোকে আরও সহজীকরণ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার জন্য কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রামকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা।
এ সময় কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, পোশাক শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রাম একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সুপারিশগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে ছিলেন- প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী এবং বিজিএমইএর পরিচালক এম. আহসানুল হক, মোহাম্মদ মুসা, গাজী মো. শহীদউল্লাহ্, শোভন ইসলাম, হারুন অর রশিদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), শামস্ মাহমুদ, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, মো. নুরুল ইসলাম, বিজিএমইএর প্রাক্তন প্রথম সহসভাপতি এস.এম. আবু তৈয়ব, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), প্রাক্তন পরিচালক এম. মাহাবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, সাইফ উল্লাহ মনসুর, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন)।
কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন- জয়েন্ট কমিশনার মো. তারেক হাসান, জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ নাজিউর রহমান মিয়া, ডেপুটি কমিশনার ইমাম গাজ্জালীসহ আরও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেনসহ পোশাক শিল্পের মালিকরা।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বিসিসিসিআইয়ের সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
৬ মাস আগে
বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৩
ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৩ আয়োজন করছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় অপরচুনেটিস প্রসপেক্টস ইন এসইআইপি অ্যান্ড প্রবাবল কেরিয়ার বিল্ড আপ ইন আরএমজি সেক্টর শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্কিল ফর এমপ্লোয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম এসইআইপির অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ প্রজেক্ট ডিরেক্টর, এনভাইরনমেন্টাল প্রোডাক্ট ডিক্লারেশনের (ইপিডি) ফাতেমা রহিম ভিনা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বিজিএমইএ’র সহসভাপতি (অর্থ) ও বিজিএমইএ—এসইআইপি প্রজেক্টের অলটারনেটিভ চেয়ারপার্সন খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং এসইআইপির যুগ্ম সচিব, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. সারোয়ার জাহান ভূঁইয়া উপস্থিত থাকবেন।
এদিনও ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলবে ক্যারিয়ার সেশন ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য।
আরও পড়ুন: আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
১১ মাস আগে
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
সরকারের গঠন করা মজুরি বোর্ড ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাক শিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড। ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৭টি গ্রেডের জায়গায় ৫টি গ্রেড করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তার জন্য এই মজুরি দেওয়াই কঠিন হবে। এছাড়াও প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
নূন্যতম মজুরি বোর্ড নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পর বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কারখানা ভাঙচুর করায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়- এমন কাজ না করতেও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কারখানায় কাজ করবেন বলে আশা করছেন ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
১ বছর আগে
পরিবেশবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও তৈরি পোশাক শিল্পের মতো দৃষ্টি পাচ্ছে না পাট: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবেশবান্ধব কৃষিপণ্য হওয়া সত্ত্বেও দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মতো পাট প্রত্যাশিত মনোযোগ ও প্রণোদনা পায়নি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন এবং ছয়টি নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে গার্মেন্টস শিল্পকে প্রণোদনা দিই… কৃষিপণ্য হওয়া সত্ত্বের পাটকে ততটা দেয়া হয় না। পাটের জরুরি ভিত্তিতে সেই সুযোগ দরকার। আমি ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য 'আসুন দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি, সোনার বাংলা গড়ি'।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় পাট দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে এসেছে এবং এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে গভীরভাবে সচেতন করে তোলার ফলে সেই সুযোগ আবারও দেখা দিয়েছে। পাট একটি পরিবেশবান্ধব পণ্য। পাট থেকে অসংখ্য পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, দেশের গবেষকরা এ বিষয়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। পাটের ওপর আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি’র (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম এবং বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বস্ত্র খাতের উন্নয়নে অবদানরাখার জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন জেলায় ছয়টি নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে।
কলেজগুলো হচ্ছে- গোপালগঞ্জে শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের গৌরনদীতে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, নওগাঁয় শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সিরাজগঞ্জে বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, ভোলা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং জামালপুরে শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট।
আরও পড়ুন: সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন: আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
১৩ দশমিক ৪২ ও ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাক খাত যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ ও ১০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ডিসেম্বরে পোশাক শিল্প ভালোই চলেছে। ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে চার দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা এক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা ক্যালেন্ডার বছরের তথ্য বিবেচনা করি তাহলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই বাংলাদেশ ২০২২ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। বিজিএমইএ-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।’
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘নিটওয়্যার খাত থেকে রপ্তানি আয় ২৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে ওভেন খাত থেকে আয় ২০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। উভয় খাতে ২০২২ সালে যথাক্রমে ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ ও ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি হয়েছে।’
ইপিবি অনুসারে, ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
পোশাক কারখানার উন্নয়নে বিশেষ তহবিল থেকে ঋণের সুদের হার ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। উন্নয়ন সংস্থা ও সরকারের সহায়তায় ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে নিরাপত্তা সংস্কার, প্রতিকার ও পরিবেশগত উন্নয়নে সহায়তা’- শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই প্রকল্পের অধীনে আগের ৭ শতাংশের বিপরীতে বর্তমানে ঋণের সুদের হার হবে ৫ শতাংশ। নতুন ও পুরাতন সব ঋণেই ৫ শতাংশ সুদের হার প্রযোজ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ জন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আড়াই শতাংশ সুদে তহবিল পাবে, যা আগে ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বিনিয়োগ অনুদান দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্টস শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের অংশগ্রহণে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। যার লক্ষ্যগুলো হলো- অগ্নিনির্বাপণ, কর্ম পরিবেশের উন্নতি, শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি পরিবেশ বান্ধব বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৬ দশমিক ৪২ কোটি ইউরো প্রকল্পে উন্নয়ন সংস্থা এএফডি থেকে পাঁচ কোটি ইউরো ঋণ রয়েছে। বাকি অর্থ আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কেএফডব্লিউ, জিআইজেড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে।
এ পর্যন্ত ১৭টি কারখানা এই তহবিল থেকে ১৭০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে এবং দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা অনুদান বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, পোশাক খাতকে চাঙ্গা করতে ঋণের সুদের হার কমানো হয়েছে। যাতে আরও বেশি কারখানা এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তাদের কার্যক্রম বিকাশে এগিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডিলারদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানত হিসাব খোলার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের
২ বছর আগে
‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অবস্থান তুলে ধরতে মিডিয়ার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স। অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। কেননা বিশ্বকে দেখানোর মতো এ শিল্পের প্রচুর ‘অর্জন ও ইতিবাচক গল্প’ আছে।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের বিকাশে সাংবাদিকদের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গার্মেন্টস সেক্টরের গৌরবময় যাত্রা, বিশেষ করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই শিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়নে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শুক্রবার ঢাকা ক্লাবে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বিজিএমইএ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে: বিজিএমইএ
তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের প্রতি আপনাদের আন্তরিক সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ,এটি এমন একটি খাত যা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে ব্যাপক অবদান রাখছে। যেটা লাখ লাখ মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।’
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, গত চার দশক ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরে মহান ও গৌরবময় অবদান থাকা সত্ত্বেও, সেসব গল্পের বেশিরভাগই প্রায়ই অকথিত থেকে গেছে এমনকি পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল তথ্য দিয়ে নেতিবাচকভাবে শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। যার ফলে শিল্প সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং শ্রমিকদের কল্যাণে শিল্পের অবস্থান তুলে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়। বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ ব্র্যান্ড হিসেবে ‘মেড ইন বাংলাদেশকে’ তুলে ধরতে সাংবাদিকদের একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
২ বছর আগে