জমি
সেচ সংকটে শান্তিগঞ্জের কয়েকশ হেক্টর জমি, হুমকিতে বোরো ফসল
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাওরের কয়েকশ হেক্টর বোরো ফসলি জমিতে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে ফেটে গেছে ফসলি জমি। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষকদের স্বপ্নের বোরো ফসল। উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের জ্বীবদাড়া বাজারের দক্ষিণের হাওরের জলমহালগুলোতে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষক পরিবারগুলো পড়েছেন এই সংকটে।
স্থানীয়রা বলছেন, হাওরের জলমহালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই হাওরে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। জলমহালগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে খনন না করলে আগামীতে এই হাওরের ফসলি জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বোরো চাষে সার-কীটনাশক নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা
উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র কাযার্লয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের উকারগাঁও মৌজার মোট ১৩ দশমিক ৩০ একর জমির সুরাইয়া বিল নামে একটি জলমহাল রয়েছে। ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র কাযার্লয়ের ৮৯৪ নম্বর স্মারকে জলমহালটি বাংলা বর্ষ অনুযায়ী ১৪৩০ থেকে ১৪৩২ সনের জন্য জ্বীবদাড়া আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড ইজারা পেয়েছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরজমিনে দেখা যায়, জ্বীবদাড়া বাজারের দক্ষিণের হাওরজুড়ে কয়েকশত হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের মাঠ। সবুজ রঙের ধান গাছগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। বিস্তীর্ণ হাওরজুড়ে বোরো ফসল রোপণ করেছেন কৃষকরা। তবে জমিতে চরম সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। হাওরের মধ্যখানে ‘সুরাইয়া বিল জলমহালটিতে কোনো পানি নাই। সেজন্য বিল আর জমি চেনা বড় দায় হয়ে পড়েছে। হাওরের পলি পড়ে বিলটি ভরাট হয়ে গেছে। তাই জমি ও জলমহাল একই সমান্তরাল হয়ে গেছে। কোথাও পানি নাই, যা পানি ছিলো তা, কৃষকরা ব্যবহার করে ফেলেছেন গত কয়েকদিনে।
তবে সুরাইয়া বিল জলমহালের ইজারাদার সমিতির লোকজন কিছু কিছু জায়গায় নিজ উদ্যোগে খনন করে ডোবা তৈরি করছেন, তবে সেটিও খুব সীমিত। জলমহালটিতে বিগত বছরে সমিতির লোকজন যে কয়েকটি ডোবা তৈরি করেছিলেন তার অধিকাংশই ভরাট হয়ে গেছে। আর যেগুলোতে কিছুটা পানি ছিল—সেগুলোও শুকিয়ে গেছে।
হাওরের কৃষক মো. এনামুল হক জানান, এই হাওরের আমার অনেক জমি আছে, অনেক ব্যয় করে জমিগুলো চাষাবাদ করেছি। এখন হাওরে চরম সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। হাওরের সুরাইয়া বিল জলমহালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদের এমন দুভোর্গের সৃষ্টি হয়েছে। কৃষিজমি বাঁচাতে সুরাইয়া বিল জলমহালটি খনন করতে হবে।
তিনি বলেন, বিলের ইজারাদাররাও প্রতি বছর খনন করেন, তবে এটি খুবই সামান্য। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ব্যাপকভাবে এই জলমহাল খনন করা হলে, একদিকে কৃষি জমিও বাঁচবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
জ্বীবদাড়া গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া জানান, জলমহালটি ভরাট হয়ে আমাদের জমি আর বিল সমান্তরাল হয়ে গেছে। এই বছর বৃষ্টি না হলে রোপণ করা ফসল ঘরে তোলা অনিশ্চিত হবে। হাওরের এই জলমহাল খনন করা হলে, জমিতে ধান ফলাতে পারব। আর তা না হলে আগামীতে এই হাওরের সব জমিই অনাবাদি থেকে যাবে। গ্রামের লোকজন এই বিল ইজারা নিয়েছেন, ভরাট হওয়ার কারণে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে অপরিকল্পিত সড়কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বোরো চাষিরা
তিনি বলেন, বিল খনন করলে সরকার ও কৃষকের লাভ হবে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে,আর কৃষকরা সোনালী ফসল ফলাতে পারবেন। সরকারের কাছে আমাদের দাবি— জলমহাল যেন দ্রুত খনন করা হয়।
সুরাইয়া বিল জলমহালের ইজারাদার জ্বীবদাড়া আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সাজিরুল ইসলাম জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতেই হাওরের কৃষকরা বিলের পানি দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু জলমহালটি একেবারেই ভরাট হয়ে গেছে। প্রতি বছরই নিজেদের অর্থায়নে বিলের কিছু কিছু অংশ খনন করে ডোবা তৈরি করা হয়। কিন্তু এটায় কুলায় না। বৃহৎভাবে জলমহাল খনন করা প্রয়োজন। বিলটি ইজারা নিয়ে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। খনন করলে সরকারেরও রাজস্ব আয় বাড়বে। বিলেও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ থাকবে। কৃষরাও ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে পারবেন। চলতি বছরেও বিলটিতে পানি ধরে রাখার জন্য সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব টাকায় সীমানায় একটি বাঁধ নিমার্ণ করছেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, এই হাওরের জমিতে প্রচুর পরিমাণে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। তবে এখানে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করব। সেই সঙ্গে সেচ সংকট নিরসনে বিএডিসিকেও অবগত করব। লক্ষ্যমাত্র অজর্ন নির্বিঘ্নে বোরো চাষাবাদ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ: কৃষি মন্ত্রণালয়
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সুকান্ত সাহা জানান, বিলটি ভরাট হওয়ার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত আবেদন করনেনি।
তিনি বলেন, প্রতিটি জলমহালই খনন করা প্রয়োজন। এলাকার লোকজন বিলটি খননের জন্য আবেদন করলে ,আমরা তা যাচাই বাছাই করে খননের জন্য অনুমতি দিতে পারব অথবা কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে সেটি খনন করাতে পারব। সবার আগে কৃষিকে বাঁচাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারও খুবই আন্তরিক।
২৮ দিন আগে
চিত্রনায়িকা পপির বিরুদ্ধে জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ, থানায় জিডি
এবার চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার মেজো বোন ফিরোজা পারভীন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চিত্রনায়িকা পপির বোন এই জিডি করেন জানিয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। ইউএনবিকে তিনি বলেছেন, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা ঘটনাটির তদন্ত করছেন।
জিডির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পৈতৃক জমি দখলের নেওয়ার জন্য কল্লোল মজুমদার, শিপন ও স্বামী আদনান উদ্দিন কামালসহ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিববাড়ি এলাকার নিজেদের ভাড়া দেওয়া বাড়িটির সামনে যান পপি। এ সময় তাদের বাধা দিলে পপি ও তার স্বামী মিলে বোন ফিরোজা পারভীনকে হুমকি দেন।
এ বিষয়ে পপির মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েটা আগে ভালোই ছিল, কিন্তু বিয়ের পর পাঁচ-ছয় বছর ধরে স্বামীর প্ররোচনায় আমাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তার বাবার জমি দখলের চেষ্টা করছে। আমাদের প্রতিনিয়ত হয়রানির মধ্যে রেখেছে। এই বয়সে আমরা কোথায় যাব!’
বোন ফিরোজা পারভীন বলেন, ‘আমরা চার বোন, দুই ভাই। পপি সবার বড়। অনেক বছর ধরেই সে আমাদের বাবার জমি দখলের চেষ্টা করছে। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘পপি ছাড়া আমরা সবাই এক আছি। আগেও আমাদের ভয় দেখানো হয়েছে। পপি সবার জমি একাই দখল করতে চায়।’
আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ককটেলসহ ভিজিডি ও টিসিবির পণ্য জব্দ
এসআই গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিষয়টি তাদের পারিবারিক। সে কারণে দুপক্ষকে ডেকে কথা বলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে পর্দায় অভিষেক হয় পপির। প্রথম সিনেমা দিয়েই সাফল্য পান এই অভিনেত্রী। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমায় কাজ করেছেন। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি।
এদিকে প্রায় চার বছর ধরে একপ্রকার অন্তরালে রয়েছেন গ্ল্যামার গার্ল পপি। এর আগে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে ব্যক্তিজীবনে পাকাপোক্ত হওয়ার গুঞ্জনও ওঠে। এবার জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বামীকে নিয়ে তার প্রকাশ্যে আসার দাবি করলেন বোন।
৪২ দিন আগে
সিলেটে ভাইয়ের সঙ্গে জমির বিরোধে খুনের অভিযোগ
সিলেটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সুলতান আহমদ নামের এক যুবক আপন চাচাতো ভাই হুসেন আহমদকে গলাকেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বাউরভাগ নয়াগাউ গ্রামে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে গ্রামবাসী সুলতানকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে হুসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সুলতান ও তার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে সুলতান ধারালো অস্ত্র দিয়ে আপন চাচাতো ভাই হুসেনকে গলকেটে হত্যা করে।
এসময় সুলতানকে গ্রামবাসীরা আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং সুলতানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুলতানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুনের অভিযোগ
১৩০ দিন আগে
হবিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে ভাইকে হত্যার অভিযোগ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বটোয়ারা নিয়ে বড় ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বানিয়াচং উপজেলার দোয়াখানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নিহত নওশাদ মিয়া (৪০) ঐ এলাকার মৃত কিম্মত আলীর ছেলে। এ ঘটনার পর থেকেই ছোট ভাই জুনেদ মিয়া (২৫) পালিয়ে গেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বটোয়ারা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জুনেদ ধারাল অস্ত্র দিয়ে নওশাদকে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর জুনেদ পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নিরাপত্তা কর্মী নিহত
১৯৬ দিন আগে
সিলেটে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিহত ১
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আব্দুর রাজ্জাক (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে পুর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মেঘারগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইন্সুরেন্স কর্মী নিহত, আটক ১
আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার পুর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর রাজনগর গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন, একই গ্রামের তাজুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম।
জানা গেছে, দুই একর জমি নিয়ে উত্তর রাজনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও মেঘারগাঁও গ্রামের ইমাম উদ্দিনের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে গুরুতর আহত হন আব্দুর রাজ্জাক। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান বলেন, ‘জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটকও করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২১
নিহত তামিমের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা জবি প্রশাসনের
২২৮ দিন আগে
জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় আহত হয়েছেন অপর ভাই শাহীন মিয়া।
শনিবার (৮ জুন) ভোরের দিকে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামছুল হুদা।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট: রবিবার প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি
নিহত সামছুল হুদা তালুককানুপুর গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে।
ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম শ্যামল পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর গ্রামে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের কোদালের আঘাতে গুরুতর আহত হন তার দুই ভাই সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে বড় ভাই সামছুল হুদার সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সামছুল ও শাহীনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আনোয়ারুল তার হাতে থাকা একটি কোদাল দিয়ে সামছুলের মাথায় ও শাহীনের শরীরে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় সামছুলকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শাহীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরের দিকে মারা যান সামছুল হুদা।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত করে স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে। ঘটনার দিনেই নিহত সামছুল হুদার স্ত্রী লাবনী বেগম বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি আনোয়ারুল ইসলাম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপি বেগমকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
২৮২ দিন আগে
জমি নিয়ে বিরোধ: বাগেরহাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
বাগেরহাটের কচুয়ায় জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মশিউর রহমান হাজরা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) সকালে কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘনায় অভিযুক্ত দুই ফুফাতো ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মশিউর রহমান হাজরা বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মাসুদ হাজরার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবক খুন, চাচাতো ভাইসহ আটক ৪
আটক দুই ভাই হলেন- একই গ্রামের হাজরা পাড়া এলাকার ইনদাদ শেখের ছেলে মো. সাব্বির ও মো. বায়েজিদ।
স্থানীয়রা জানায়, সম্পত্তি নিয়ে ফুফাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল মশিউরদের। এর জেরে বুধবার সকালে মশিউরকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান তারা। পরে স্থানীয়রা মশিউরকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনি শংকর পাইক বলেন, মশিউরকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তার ফুসফুসের বামপাশে ছুরিকাঘাতের চিহৃ রয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভিযুক্ত দুই ফুফাতো ভাইকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
নরসিংদীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
২৯৩ দিন আগে
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আছকির মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রজনপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে মাটিবাহী ট্রাক্টরচাপায় গৃহবধূ নিহত, আহত ৩
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমিতে কাজের জন্য যান আছকির মিয়া। এ সময় মিছির আলিসহ তার লোকজনেরা আছকির ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুইজনকে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আছকির মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে মিছির আলী পলাতক রয়েছেন।
কুলাউড়া (সার্কেলের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে ফুটবল খেলোয়াড় নিহত
খুলনায় স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১
৩০৬ দিন আগে
জমিতে পানি দেওয়ার দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ
বগুড়া সদরে ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে আব্দুল করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত করিম ওই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে চুপ থেকে বিএনপি-জামায়াত গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর জাহিদ জানান, ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে বগারপাড়া গ্রামের আলাল মিঞার সঙ্গে করিমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। করিম সকালে শ্যালক খায়রুলকে নিয়ে নতুন ফসলি জমিতে পানি সরবরাহ করতে গেলে আলাল ও তার অজ্ঞাত দুই সহযোগী তাদের বাধা দেন।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে করিম জমির মধ্যে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে করিমকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে আলাল ও তার সহযোগীরা পলাতক৷
এসআই আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাতাহাতির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধাক্কায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে করিম মারা গেছেন। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
৩৮২ দিন আগে
এক ইঞ্চি জমিও কেউ অবৈধভাবে দখল করতে পারবে না: মেয়র
এক ইঞ্চি জমিও কেউ আর অবৈধভাবে দখল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিল মিডল সার্কুলার রোড কাঁচাবাজারের দোকানগুলোর বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কটি একটি আধুনিক ব্যতিক্রমধর্মী পার্ক: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, এসব দোকান ১৯৯৭ সালে মেয়র মোহাম্মদ হানিফের আমলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সময় প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্তরা সেসব দোকান বুঝে পায়নি। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে অনেক দোকান অবৈধ দখলদাররা ভোগ করে আসছিল। কিন্তু আমরা থাকতে সিটি করপোরেশনের এক ইঞ্চি জমিও কেউ আর অবৈধভাবে দখল করতে পারবে না। তাই আজ প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্তদের সেসব দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির চতুর্থ ঢাকা মেয়র কাপের পর্দা উঠছে শনিবার
শেখ তাপস বলেন, যারা প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্ত তারাই সেখানে সঠিকভাবে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করবে। তারা আমাদের অংশীজন, হকদার। তাই তাদের বরাদ্দ বুঝিয়ে দিতে কোনো ধরনের প্রতিকূলতা আমাদের বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। আমরা সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করব, ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক পুলিশের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে সিটি মেয়রদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
৩৯৩ দিন আগে