রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের জনসংখ্যা প্রতিবছর ২২-২৩ লাখ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ নানান কারণে চাষের জমি কমছে। এই স্বল্প জমি থেকেই মানুষের খাদ্য এবং প্রাণি ও পোল্ট্রির ফিডের যোগান দিতে হবে। সেজন্য কৃষি বিভাগের সকলকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, কর্মকর্তাদের শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে থেকে গতানুগতিক কাজ করলে হবে না। বরং মাঠপর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শনে যেতে হবে। দেশের কোন এলাকায় কী চাষ করা যাবে বা সম্ভাবনা আছে তা চিহ্নিত করে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। যাতে করে কৃষি উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়।
এবার ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) বাস্তবায়নে ২য় স্থান অর্জন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এপিএ সম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে পরপর দুবার ২য় স্থান অর্জন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: দেশে কাজু বাদাম চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল: কৃষিমন্ত্রী
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে পরপর দুবার কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, এই সাফল্যের পরও আমাদের সকলকে আরও তৎপর থাকতে হবে এবং এপিএ বাস্তবায়নে নিষ্ঠাবান হতে হবে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাটির গুরুত্ব অপরিসীম: কৃষিমন্ত্রী
ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের সমূলে উৎপাটন করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতেই ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা: কৃষিমন্ত্রী