বিস্ফোরক মামলা
শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে বিএনপির ২২ নেতা-কর্মী
শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২২ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানার ৪টি মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
এর আগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী শ্রীবরদীর জিআর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান ভুঁইয়া শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে তাদের প্রিজনভ্যানে করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম.কে মুরাদজ্জামান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে শেরপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মাহমুমুদল হক রুবেলকে প্রধান আসামি করে চারটি মামলা দায়ের করে।
ওইসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীণ জামিন নিয়েছিলেন নেতা-কর্মীরা। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার শেরপুরের শ্রীবরদীর আমলি আদালতে হাজির হয়ে চার মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে- বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
যুবলীগ নেতাকে মারধরের মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলর
৯ মাস আগে
বিস্ফোরক মামলা: বিএনপির সভাপতিসহ বিএনপির ৯ নেতা কারাগারে
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নয় নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদের আদালতের ওই নয়জন উপস্থিত হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
তবে বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি চৌধুরী টিপু ও দপ্তর সম্পাদক শাহিন হোসেন, উপজেলার কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর ফারুক, বালুভরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ হোসেন, মিঠাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রুস্তম আলী এবং বদলগাছী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি দুলাল মোহরী।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় বদলগাছী উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের শোক র্যালিতে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ছানাউল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে বদলগাছী থানায় মামলা করেন।
ওই দিন রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
বুধবার দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে ওই মামলার নয় আসামি হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
১ বছর আগে
সিলেট কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হুজি নেতা সালামের মৃত্যু
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম মারা গেছেন। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হুজি নেতা বার্ধক্যজনিত কারণে হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, হুজির এ নেতা বার্ধক্যজনিত সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এসব কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
কারা সূত্রে আরও জানা যায়, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম দীর্ঘ দিন ধরে কারাগারে ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর সর্বশেষ তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছিল। তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। এর বাইরেও তার বিরুদ্ধে আরও ৯টি মামলা চলমান। মামলাগুলোর হাজিরার জন্য সিলেট ও ঢাকায় তাকে আনা নেয়া করতে হতো।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, তার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শেখ আব্দুস সালাম বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার পেঁচিবাড়ি এলাকার মৃত শেখ মাজাহার আলীর ছেলে। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৩ ‘হুজি’ সদস্য গ্রেপ্তার
হুজি’র রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডারসহ গ্রেপ্তার ২
৩ বছর আগে
ফরিদপুরে বিস্ফোরক মামলায় ৪ জনকে দশ বছরের কারাদণ্ড
ফরিদপুর, ০৯ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- বিস্ফোরক মামলায় চার জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
৫ বছর আগে