সীমান্তবর্তী
রঘুনাথপুর সীমান্তবর্তী মাঠ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
বেনাপোলের রঘুনাথপুর সীমান্তবর্তী একটি মাঠ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে বন্দর থানা পুলিশ সদস্যরা।
নিহত যুবকের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানায়।
রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান,বেলা ১২ টার দিকে গ্রামের কৃষকরা মাঠে কাজ করার সময় একটি লাশ দেখে বেনাপোল বন্দর থানাকে জানালে পুলিশ এসে অজ্ঞাত এই যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন:চুয়াডাঙ্গায় ডাকবাংলো থেকে বিআরটিএ পরিদর্শকের লাশ উদ্ধার
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান,স্থানীয়দের খবরে জানতে পারি,বেনাপোলের রঘুনাথপুর সীমান্তবর্তী মাঠের মধ্যে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে আছে, এমন খবরে পুলিশ পাঠিয়ে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান,মৃত যুবকের শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কে বা কারা তাকে হত্যা করে মাঠের মধ্যে লাশ ফেলে রেখে গেছে।
লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:নাটোরে দাখিল পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খুলনায় ২ ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট: সীমান্তবর্তী হওয়ায় ঝুঁকিতে খুলনা বিভাগ
দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও খুলনা জেলাসহ বিভাগে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে ও ভারতে করোনা প্রকোপ থাকায় এ বিভাগকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে খুলনা অন্যান্য বিভাগ থেকে ভালো অবস্থানে আছে বলে দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের দাবি ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এখনও মাস্ক ব্যবহার সুনিশ্চিত করা যায়নি।
খুলনার ব্যবসায়ী আজমল উল্লাহ বলেন, ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে কেনাকাটা নিয়মিত থাকতো। সেক্ষেত্রে একসঙ্গে চাপ পড়তো না। বন্ধ রাখার পর হঠাৎ খুলে দেওয়ায় চাপ বেড়ে যায় যা করোনা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে আরও ৩৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৭.৯১ শতাংশ
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর খুলনার আহ্বায়ক এডভোকেট কুদরত ই খুদা বলেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে লোকজনের খুলনায় আসা, প্রতিরোধে দায়িত্বশীল বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না থাকা এবং অসচেতনতার কারণে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাজার, দোকানপাট সব কিছু খুলে দিয়ে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ওয়ার্ড ও এলাকাভিত্তিক তালিকা করে একদিন এক এক ওয়ার্ড বা এলাকার লোকজনকে বের হতে না দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা কিন্তু ঘরে আটকে নেই। তাহলে এভাবে কী লাভ হচ্ছে। করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলো সমন্বিত হওয়া দরকার।’
আরও পড়ুন: ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার সুযোগ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ড. রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘খুলনা বিভাগ রাজশাহী বিভাগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। শুধু ভারতের করোনা প্রকোপের কারণে সীমান্ত সংলগ্ন কয়েকটি জেলা থাকায় খুলনাকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। বাস্তবে খুলনা বিভাগে করোনা পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে।’
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ‘এপ্রিল মাসে খুলনা জেলায় গড়ে ২৩ শতাংশ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। কিন্তু মে মাসে এখনও করোনা পজিটিভ ২০ শতাংশ পার হয়নি। এ হিসাবে খুলনা জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। মাঝে মাঝে পজিটিভ শনাক্তের হার সামান্য বেড়ে যায়। সেটা অসচেতনতার কারণে হয়। এখনও বাজার, দোকান, সড়কে মাস্ক ছাড়া লোকজনকে ঘুরতে দেখা যায়। আমরা এ বিষয়ে কঠোর হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৯২ ছাড়ালো
তিনি বলেন, ‘খুলনায় স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে চমৎকার সমম্বয়ে রয়েছে। ফলে খুলনায় এখনও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আরও ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন খুলনার ২ জন, সাতক্ষীরা , চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুরে একজন করে।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে ২৯ মে সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩৩ জনে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ হাজার ২০৩ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা য়ায়, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১১৮ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হজার ১০৫ জন।
এছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫১৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৬ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৩১৫ জন। যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮৩০ জন, মারা গেছেন ৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৮ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৬৮ জন, মারা গেছেন ২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৮১৫ জন। মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৫৩ জন, মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৮৯ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৮ জন, মারা গেছেন ৫৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৭২৬ জন। কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯০০ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৩৫ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৫৬ জন, মারা গেছেন ৬০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১১ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৬ জন। মারা গেছেন ২২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৩৫ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯১ জন। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় দুজন করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেন।
৩ বছর আগে
টেকনাফ থেকে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার
টেকনাফ থেকে রবিবার ভোরে ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
৪ বছর আগে
জয়পুরহাটে ‘বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত
জয়পুরহাটের সদর উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক শীর্ষ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহতের কথা জানিয়েছে র্যাব।
৪ বছর আগে