রোজা
চট্টগ্রামে রোজার প্রথম দিনেই ওয়াসার পানির সংকট
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই পানি সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে নগরবাসী।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন কমে যাওয়ায় নগরীতে এই সংকট দেখা দিয়েছে।
নগরীর অনেক এলাকায় সারা দিনই পানি মিলছে না। উঁচু এলাকায় পানির সংকট আরও বেশি দেখা দিয়েছে।
মহানগরীর চকবাজার, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, হালিশহর, পতেঙ্গা, কাট্টলী, আগ্রাবাদ, দেওয়ান বাজার ও মুরাদপুর এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দারা গত কয়েকদিন ধরে ওয়াসার পানি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। অনেকের অভিযোগ, মাঝরাতে সেহরির সময়ও তারা পানি পাননি। এত রাতে দোকানপাটও বন্ধ ছিল। এতে প্রথম সেহরিতেই তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
বহদ্দার হাটের মর্জিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘সোমবার রাত থেকে বাড়িতে পানি নেই। সেহরিতে বোতলজাত পানি কিনে খেয়েছি, কিন্তু ওজু-গোসল কীভাবে করব বুঝতে পারছি না। প্রতি বছর শুনি ওয়াসার নতুন নতুন প্রকল্প হয়, কিন্তু গ্রীষ্মকাল এলেই তাদের সব জারিজুরি শেষ হয়ে যায়। রমজানে পানির সংকটের বিষয়টি আগে থেকেই ভাবা উচিত ছিল। অথচ মাসে মাসে ঠিকই ওয়াসাকে পানির বিল নিচ্ছে।’
ওয়াসার কর্তৃপক্ষ জানান, উৎসগুলো থেকে লবণ পানি উঠে আসায় ওয়াসার পানি পরিশোধন কমে গেছে। তাতে নগরজুড়ে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। আবার রোজায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়াসার প্রতি লিটার পানিতে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ২১০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লবণ পাওয়া যাচ্ছে। মূলত কাপ্তাই লেকে পানি কমে যাওয়া এবং হালদার বিভিন্ন শাখা খালে বাঁধ দেওয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘আমরা এখন রেশনিং করে পানি সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এলাকা ভাগ করে একদিন পরপর পানি সরবরাহ দেওয়া হবে। পানির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ৪৫টি গভীর নলকূপ আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণেও পানির উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকে স্বাভাবিক অবস্থায় সর্বোচ্চ পানি থাকে ১০৯ ফুট। কিন্তু বর্তমানে পানির স্তর কমে ৮৩ ফুটে নেমে এসেছে। লেকে পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। কাপ্তাই লেক থেকে পানি না ছাড়ার কারণে হালদায় লবণাক্ততা বেড়ে গেছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির উৎস হালদা ও কর্ণফুলী নদী। পানির উচ্চতা নিচে নেমে যাওয়ায় ভাটার সময় নদী থেকে পানি নেওয়া যাচ্ছে না। আবার জোয়ারের সময় লবণাক্ততা বেড়ে যায়। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য ওয়াসার থেকে বিকল্প কোনো সোর্স নেই। এখন দৈনিক প্রায় ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন কমে গেছে। নগরীতে রেশনিং করে পানি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়াসা মদুনাঘাটে শেখ রাসেল ও মোহরা পানি শোধনাগারের জন্য হালদা নদী থেকে এবং রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত কর্ণফুলী শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ১ ও ২ এর জন্য কর্ণফুলী নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে। কিন্তু এখন দুটি নদীতে পানির উচ্চতা কমে গেছে। কাপ্তাই লেকে পানির স্তর কমে যাওয়ায় পানি ছাড়া হচ্ছে না। এতে জোয়ারের সময় হালদার অনেক ভেতরে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ছে।
নদীর পানিতে লবণাক্ততা বিষয়ে ওয়াসা পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লবণাক্ততার মাত্রাটা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। লবণাক্ততা দূরীকরণে শোধনাগারের জন্য নদীর যেখান থেকে পানি সংগ্রহ করা হয় সেখানে ‘রিভার্জ অসনোসিস সিস্টেম’ বসানো যেতে পারে। তখন গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করা পানিতে লবণের মাত্রা থাকবে না।
চট্টগ্রাম ওয়াসা বর্তমানে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-১ থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার, মোহরা পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার, শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার ও গভীর নলকূপ থেকে দৈনিক ৪ কোটি লিটার নিয়ে দৈনিক মোট ৪৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। নগরে বর্তমানে পানির চাহিদা প্রায় ৫৫ কোটি লিটার। কিন্তু লবণাক্ততার কারণে উৎপাদন আরও কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি।
আরও পড়ুন: সুপেয় পানির সংকট নিরসনের দাবিতে খালি কলসি মিছিল!
৮ মাস আগে
আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে: হাইকোর্ট
এ আদেশের ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে।
এর আগে রবিবার রমজানের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
ঢাকায় শুরু হয়েছে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের ডিগ্রিতে ইউসিবি’র আর্লি এনরোলমেন্ট গ্র্যান্ট
৮ মাস আগে
বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপহাস: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, রমজানে বরই দিয়ে রোজা ভাঙতে মন্ত্রীর যে পরামর্শ, সেটি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করা।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকারের মতোই এখন তারা জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করছে।
সোমবার সকালে শাজাহানপুরের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মির্জা আব্বাস প্রশ্ন করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইফতারের সময় আমদানি করা দামি ফল দিয়ে রোজা ভাঙবেন কিন্তু মানুষকে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, এরা কেমন দায়িত্বশীল সরকার?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে দেশের মানুষ চাপ ও ভয় ছাড়া ধর্মীয় কর্মকাণ্ড করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যের কারণে মানুষ ভয়ানক সময় পার করছে অথচ আওয়ামী লীগ নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা ভাবছে না
বিএনপি নেতা বলেন, তার দল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নয়, বরং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি যাতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা শুরুতেই চক্রান্ত করেছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে ব্যাপক হামলা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের’ পর, ‘ডামি সরকার’ তাদের সময় মুক্তভাবে উপভোগ করছে না কারণ তারা সবসময় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকে।
নিজের কারাবাসের কথা স্মরণ করে বিএনপি নেতা বলেন, এবারের জেল জীবন ছিল ভয়ানক কারণ আমরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কারাগারে বন্দি।
৮ মাস আগে
পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দায় পরিণত হওয়ার সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ চলে এই মাসে। সেই সঙ্গে থাকে পুরোনো সব ভুল-ত্রুটি শুধরে এক নিষ্পাপ মানুষে পরিণত হওয়ার অফুরন্ত সুযোগ। তাই মাসের প্রত্যেকটি দিনের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। এই ধর্মীয় জীবনধারণকে সাবলীল করতে সহায়ক হতে পারে উন্নত প্রযুক্তি। কেননা রোজার মাসটিকে সঠিকভাবে ইবাদতপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপ। চলুন, সেগুলোর মধ্য থেকে সেরা ১০টি রমজান মোবাইল অ্যাপ্সের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
রমজানে সুশৃঙ্খলভাবে ইবাদত বন্দেগীর জন্য সহায়তাকারী মোবাইল অ্যাপ্স
আল কুরআন (তাফসির এ্যান্ড বাই ওয়ার্ড)
রমজানে সুশৃঙ্খলভাবে ইবাদত বন্দেগীর জন্য সহায়তাকারী মোবাইল অ্যাপ্স আল কুরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড) কুরআন বোঝা এবং মুখস্থের জন্য একটি নিবেদিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৬-এর ২৬ অগাস্ট এই অ্যাপটি তৈরি করে গ্রিনটেক অ্যাপ্স ফাউন্ডেশন। এতে রয়েছে বাংলাসহ ৩৫টিরও বেশি ভাষায় প্রতিটি শব্দের অনুবাদ এবং ৭০টিরও বেশি তাফসির। কুরআন তেলাওয়াত শোনার জন্য রয়েছে ৩০ টিরও বেশি তেলাওয়াতকারীর অডিও।
রোজার মাসে কুরআন খতমের জন্য এটি হতে পারে সর্বোৎকৃষ্ট অ্যাপ। কেননা এখানে প্রতিবার তেলাওয়াতের সময় আগে শেষ করা আয়াতগুলোর একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। আয়াত বুকমার্কের সুযোগটির কারণে এর স্বয়ংসম্পূর্ণ লাইব্রেরিটি কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে রোজা রাখা ডায়েট করা থেকে বেশি উপকারী
বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজেশনের উপায়সহ এই যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে একদম ফ্রিতে। এমনকি অ্যাপ চালানোর সময় কোনও বিজ্ঞাপন দেখার বিড়ম্বনাও নেই।
২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ আপডেটকৃত এই অ্যাপের বর্তমান সংস্করণ ১ দশমিক ২৬ দশমিক ১। অ্যাপ চালানোর জন্য স্মার্টফোনের ওএস (অপারেটিং সিস্টেম) হতে হবে নূন্যতম অ্যান্ড্রয়েড ৫। ২১ এমবি (মেগাবাইট)-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে ৫০ লক্ষাধিকবার।
২ লাখ ৮৪ হাজার রিভিউ দাতাদের কাছ থেকে এটি গড়পড়তায় ৪ দশমিক ৮ তারকা রেটিং পেয়েছে।
অন্যদিকে, ২৬ দশমিক ২ এমবির আইওএসের অ্যাপটি ৩৪৮ জনের কাছ থেকে পেয়েছে ৪ দশমিক ৯ তারকা। আইওএস ১৪ দশমিক ২ বা তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে অ্যাপটি চালানো যাবে।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
তার্তীলঃ কুরআন মেমোরাইজেশন
সরাসরি কুরআন শরীফ দেখে তেলাওয়াতের থেকেও দারুণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে তার্তীল। অ্যাপটি এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তেলাওয়াতকারির ভয়েস ট্র্যাক করে। প্রতিবার তেলাওয়াত শোনার সময় স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয় সংশ্লিষ্ট আয়াতটি। এটি বিনামূল্যে কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। তবে এর প্রিমিয়াম সংস্করণ আছে, যেখানে তেলাওয়াতে ত্রুটি সংশোধনের মতো নানা ধরনের অ্যাডভান্সড ফিচার আছে।
২০১৬-এর ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত হওয়া তার্তীল অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তার্তীল ইনকরপোরেশন। অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন ফোন ভেদে এর জন্য স্টোরেজ প্রয়োজন ১০৮ থেকে ১২০ এমবি। ওএস থাকতে হবে অ্যান্ড্রয়েড ৫ বা তার বেশি। ২০২৪-এর ৬ মার্চ আপডেটের পর এর সর্বশেষ সংস্করণ ৫ দশমিক ৩৮ দশমিক ১। এখন পর্যন্ত ১০ লক্ষাধিকবার ডাউনলোডকৃত অ্যাপটির ৩৮ হাজার রিভিউ থেকে প্রাপ্ত রেটিং ৪ দশমিক ৭ তারকা।
আর আইওএসের জন্য বানানো অ্যাপটির সাইজ ১৯৮ দশমিক ৭ এমবি। ওএস হিসেবে কমপক্ষে আইওএস ১৩ দশমিক ৪ থাকা প্রয়োজন। আড়াই হাজারেরও বেশি রেটিং দাতা অ্যাপটিকে ৪ দশমিক ৭ তারকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
কুরআন মাজিদ - রমজান ২০২৪
পাকডাটা নির্মিত এই অ্যাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হচ্ছে এর ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। এখানে কুরআন পড়া বা মুখস্ত করার সময় বিনামূল্যে আয়াতের পুনরাবৃত্তি, বিরতি এবং গতি কমবেশি করা যায়। অ্যাপটির আরও একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এর কিবলার দিক নির্ণয়ের কম্পাস। এছাড়া মক্কা ও মদিনা থেকে লাইভ স্ট্রিমিং, হিজরি ক্যালেন্ডার, এবং কুরআনিক এনগেজমেন্ট মিটার অ্যাপটিকে পরিপূর্ণতা দান করেছে।
২০১৪-এর ১৮ আগস্ট নির্মিত অ্যাপটি সর্বশেষ হালনাগাদ হয়েছে ২০২৪ সালের ৮ মার্চ। সংস্করণ ৭ দশমিক ৩ দশমিক ২ সংস্করণটি চালাতে ওএস প্রয়োজন অ্যান্ড্রয়েড ৫ কিংবা তার বেশি। ৫৪ এমবি থেকে ১২০ এমবি স্টোরেজ ক্ষমতার অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ১ কোটিরও বেশিবার। ৭ লাখ ৯৩ হাজার রিভিউ থেকে রেটিং এসেছে ৪ দশমিক ৭ তারকা।
অন্যদিকে আইওসের অ্যাপে ২ লাখেরও বেশি রেটিং থেকে এসেছে ৪ দশমিক ৮ তারকা। ১৩৭ দশমিক ৫ এমবি সাইজের অ্যাপটি আইওএস ১২ বা তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে চলবে।
আরও পড়ুন: চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
৮ মাস আগে
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও আশপাশের গ্রামসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হয়েছে।
রবিবার(১০ মার্চ) সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরীসহ বিভিন্ন সূত্র ইউএনবিকে জানায়, এসব এলাকার মুসল্লিরা তারাবিহর নামাজও আদায় করেছেন এবং ভোরে সেহরী খাবেন।
পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এ দরবার শরীফের পীরজাদা ও অনুসারীরা।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাতে সেহরি খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রোজায় সুস্থ থাকার ৫টি উপায়
তিনি আরও জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক তার মরহুম দাদা মাওলানা ইসহাক (রহ.)।
১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মওলানা ইসহাক সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহে চাঁদ দেখা গেলে তাদের সঙ্গে মিল রেখে রোজাপালন , ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।
তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ সোমবার থেকে আমাদের গ্রামসহ ৪০ গ্রামে রোজা শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজায় কমল স্কুল-কলেজ খোলা রাখার সময়
রাত ১০টায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল মহরম আলী ওয়ার্কফ এস্টেট জামে মসজিদের মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. হাবিব উল্লাহ জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে সেহরিও খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলার সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভোলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, গ্রামে রোজা শুরু হয়েছে। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী , ছটাকীএবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের সহস্র বাসিন্দারা একইভাবে আগাম রোজা পালন ও দুই ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
৮ মাস আগে
সৌদি আরবে আজ রোজা শুরু
সৌদি আরবে রবিবার(১০ মার্চ) সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আজ সোমবার (১১ মার্চ) পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে।
এর আগে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছিল সৌদি আরব। খালি চোখে বা দূরবীন দিয়ে যারাই অর্ধচন্দ্র দেখবেন, তাঁদের নিকটস্থ আদালতে রিপোর্ট করতে এবং পর্যবেক্ষণ নথিভুক্ত করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ব্রুনাইসহ আরও কয়েকটি দেশ ১২ মার্চ থেকে রমজান মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ওমানও ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ১২ মার্চ, মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাস শুরু করবে, কারণ রবিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যায়নি।
৮ মাস আগে
রমজানের শেষ ১৫ দিন মেট্রোরেলের সময় বাড়বে এক ঘণ্টা
রমজান মাসের শেষ ১৫ দিন দুই দিকেই এক ঘণ্টা করে ট্রেন চলাচলের সময় বাড়বে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। তবে প্রথম ১৫ দিন মেট্রোরেল চলাচলে সময়ের কোনো পরিবর্তন হবে না।
রবিবার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের সক্ষমতা বাড়ায় মিরপুর-মতিঝিল রুটে কমেছে বাস চলাচল
রমজান শেষেও বাড়তি এক ঘণ্টা চলবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাত্রী চাহিদা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমএএন ছিদ্দিক আরও জানান, ইফতারের সময়ের আগে-পরে ২৫০ এমএল বোতল বহন করা যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই পানির বোতল বিনে ফেলতে হবে। যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না। ট্রেনের ভেতর ও বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ইফতারের সময়সূচি প্রদর্শিত হবে।
নারীদের জন্যে আরেকটি কোচ বাড়ানো সম্ভব কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে ৬টি কোচ চলছে, ভবিষ্যতে ৮টি কোচ চালু না হওয়া পর্যন্ত নারীদের জন্য আলাদা কোচ বাড়ানো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুুন: ঢাকা মেট্রোরেলের এমআরটি, র্যাপিড পাস পাওয়ার উপায়
৮ মাস আগে
রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে: হাইকোর্ট
রমজানের প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক এবং ও ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহমুদা খানম এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান জানান, হাইকোর্ট প্রাথামিক ও মাধ্যমিক স্কুল রোজার মধ্যে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন।
এছাড়া দুই মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ জারি করে রুল দিয়েছেন। এ আদেশের ফলে রোজার মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে শুরু বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায় জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।
আগামী ১১ থেকে ২৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের এই বিজ্ঞপ্তি দুইটি চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে ১৫ দিন খোলা থাকবে স্কুল
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়। সেই রিটের উপর রবিবার শুনানি হয়।
৮ মাস আগে
সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
প্রতি বছরের মতো এই রমজানেও আগেভাগেই বাড়ছে বিদেশি ফলের দাম। ইফতারের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের পাশাপাশি কমলা, আপেল, আঙ্গুর ও মাল্টার দাম এখন সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। ডলার-সংকট ও বাড়তি দরে শুল্কায়ণের কারণে গত বছরের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে এবারের ফলের বাজার। তাই সেহরি ও ইফতারে ফলের চাহিদা মেটানোর একমাত্র উপায় দেশি ফল। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন জেনে নেই, কোন কোন দেশি ফলগুলো এবারের ইফতার ও সেহরিতে বিদেশি ফলের সেরা বিকল্প হতে পারে।
যে দেশি ফলগুলো সেহরি ও ইফতারে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে
বেল
কাঁচা ও পাঁকা দুই অবস্থাতেই সমান জনপ্রিয় ফল বেল। এতে থাকা ট্যানিক এবং ফেনোলিক উপাদান দুটি মূলত উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আলসার, ডায়রিয়া, আমাশয় এবং অন্যান্য হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় অনেক উপকারী। রোযার সময় নতুন খাদ্যাভাসের কারণে অনেকেই প্রথম দিকে নানা ধরণের হজম জনিত জটিলতায় ভুগেন। এমতাবস্থায় বেল হতে পারে সেরা প্রতিষেধক।
বেলে থাকা রাইবোফ্লাভিন এবং থায়ামিন পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বেলের রস কিডনির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এর মধ্যে রয়েছে রেচক বৈশিষ্ট্য। ফলে এটি প্রাকৃতিক ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম নিয়ন্ত্রণে অংশ নিতে পারে।
বেলের শরবতের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে শরীরের দুর্বলতা এবং ক্লান্তি ভাব দূর হয়। ১১ মাস পর হঠাৎ দিনের একটা বিরাট সময় উপোস থাকার ক্ষেত্রে ক্লান্তি ভাব আসাটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বেলের এই আইটেমটি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
পেঁপে
তরকারি, শুকনো ফল, সালাদ সব ভাবেই প্রতিদিনের আহারে রাখার মতো একটি ফল হচ্ছে পেঁপে। এতে থাকা প্যাপেইন নামক এনজাইমটি হজমে অবদান রাখে। পেঁপেতে যথেষ্ট পরিমাণে পানি ও ফাইবার রয়েছে, যা যুগ্মভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে ও পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন ও পটাশিয়াম। ইফতারের মুখরোচক খাবার যারা একদমি এড়িয়ে যেতে পারেন না, তাদের খাদ্য তালিকায় পেঁপে যোগ করা উচিত। অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া কোলেস্টেরল ও সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সেখানে পেঁপের মতো পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
এই ফলের সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ রাসায়নিক উপাদানটি হচ্ছে কোলিন। একটি স্বাস্থ্যকর ঘুম, পেশীর যথাযথ নড়াচড়া এবং স্মৃতিশক্তির বিকাশে একটি বহুমুখী পুষ্টি উপাদান এই কোলিন। এর কার্যকারিতার মধ্যে রয়েছে কোষ ঝিল্লির গঠন বজায় রাখা, মস্তিষ্কের নিউরনের উন্নয়ন সাধন, চর্বি শোষণ এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমানো।
আরও পড়ুন: অপরাজিতা ফুলের নীল চা: জাদুকরী স্বাস্থ্যগুণ, বানানোর পদ্ধতি
আনারস
ইফতারের আয়োজনে দারুণ এক সংযোজন হতে পারে আনারস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ম্যাঙ্গানিজ হজমে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোযা অবস্থায় শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এড়াতে সহায়তা করে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মূলত প্রচুর পরিমাণে ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে ঘটে, যা নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু কিছু ক্যান্সারের দিকেও ধাবিত করে।
আনারসে ব্রোমেলাইন নামক পাচক এনজাইমের একটি গ্রুপ রয়েছে, যা মাংসের হজম সহজ করতে পারে। ব্রোমেলাইন প্রোটিন অণুগুলোকে ভেঙে দেয়, ফলে ক্ষুদ্রান্ত্রের শোষণ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
তাই সেহরিতে গরু বা মুরগির মাংস দিয়ে ভারী খাবারের পর আনারস খাওয়া যেতে পারে।
এই ফলে আরও আছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা সামগ্রিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
কলা
বারমাসি জনপ্রিয় ফল কলা ইফতার ও সেহরি দুই সময়ের জন্যই ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। ফাইবার ও প্রতিরোধী স্টার্চের উৎস হওয়ায় কলা সারাদিন উপবাস অভ্যাসের সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। প্রতিরোধী স্টার্চ দেহে স্বল্প পরিমাণে পূর্ণতার এক অনুভূতি সৃষ্টি করে।
শুধু তাই নয়, এতে বিদ্যমান পটাসিয়াম তৃষ্ণা নিবারণ করে এবং রোযাদারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে। এক কথায়, তিন বেলা আহারের বিপরীতে ৮ ঘন্টা দূরত্বে দুই বেলা খাবারের ধাক্কা সামলানোর জন্য কলা একটি সেরা ফল।
পেয়ারা
কমলার চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি, আনারসের চেয়ে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন ও ৪ গুণ বেশি ফাইবার, এবং কলার চেয়ে বেশি পটাসিয়াম। আর এই পরিসংখ্যানই পেয়ারাকে সব ফলের উপরে আধিপত্য দিয়েছে।
ভিটামিন সি-এর কাজ সামঞ্জস্যপূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত শক্তি হিসেবে যোগ হয় পেয়ারায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে এই ফলের প্রধান পুষ্টি উপাদান হচ্ছে ফাইবার, যা মলকে নরম করে পেট পরিষ্কার ও হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক লক্ষণেই শরীরে পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষা গঠন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
বরই
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে আরও একটি প্রয়োজনীয় ফল বরই। এর প্রধান পুষ্টি উপাদান ফেনোলিক যৌগ এবং ভিটামিন সি সম্মিলিতভাবে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংসে অংশ নেয়। ফলশ্রুতিতে, কোষের ক্ষতি হ্রাস সহ হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে আসে। একই সঙ্গে ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন ও কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে শরীর প্রস্তুত থাকে যে কোন ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য।
এছাড়াও বরইয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে করে কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন রোধ হয়, ফলে রক্ত ধমনীতে প্লেক তৈরির আশঙ্কা দূর হয়। উপরন্তু, এই ফলে উচ্চ মাত্রার ফাইবার অন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণ কমায়, যা রক্তের উন্নত লিপিড প্রোফাইলের নিশ্চায়ক।
বরইয়ের কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। এর ফাইবার উপাদান অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য পুষ্টি প্রদান করে। এই প্রক্রিয়া পুষ্টি শোষণ, নরম মলত্যাগ ও সঠিক হজমের মাধ্যমে সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সেহরি ও ইফতারের মাঝের সময়গুলোতে খাদ্যতালিকা থেকে অস্বাস্থ্যকর খাবার সরিয়ে বরই যোগ করাটা উত্তম। কেননা এটি উপবাস ছাড়া সময়ে দেহে প্রবেশকৃত খাবারগুলোর সঠিক প্রক্রিয়াকরণ করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস সতর্কতা: কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি
তরমুজ
রমজান মাসে অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে পানি থেকেও বিরত থাকতে হয়। তাই সঠিক বিপাকের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় দেহের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। এই প্রয়োজনীয়তার পুরোটাই পূরণ করতে পারে তরমুজ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি এই ফলে রয়েছে লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি-এর সংমিশ্রণ। তাই আনারস ও বরইয়ের মতো প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে তরমুজও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
তরমুজে বিদ্যমান সিট্রুলাইন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যায়ামের সময় কর্মক্ষমতা উন্নত করা এবং পেশীর ব্যথা কমাতে কাজ করে। তাই খাদ্য তালিকায় তরমুজ থাকলে রোযা রেখে শরীর চর্চা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
তরমুজের মোট ওজনের থেকেও বেশি পরিমাণে পানি আর সঙ্গে অল্প ফাইবার স্বাস্থ্যকর হজমের জন্য উপযোগী। এই পুষ্টি মিশ্রণটি পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে বর্জ্য নিষ্কাশন করে অন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে।
আরও পড়ুন: রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?
আমলকী
বিপাক জনিত যাবতীয় সমস্যা নিরসণে আরও একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আমলকী। তবে এর শ্রেষ্ঠ ক্ষমতা হচ্ছে এর উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি, যা শরীরকে অন্যান্য পুষ্টি গ্রহণে সব সময় প্রস্তুত রাখে। ১০০ গ্রাম আমলকী থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের দৈনিক প্রয়োজনীয় চাহিদার দ্বিগুণেরও বেশি। ভিটামিন সি-এর উচ্চ ঘনত্ব শরীরে নোরপাইনফ্রিন তৈরি করে। এটি মূলত একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যা ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
আমলকীর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো সুরক্ষিত থাকে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। তাই রমজান মাসে শরীরকে যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে একটি দুর্গ বানানোর জন্য সেরা ফল আমলকী।
ডাব/নারিকেল
সারাদিন রোযায় শরীরের হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ডাবের পানি খাওয়া। শরীরে প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণের পুরোটাই দিতে পারে এই উপকূলীয় ফলটি। পটাসিয়ামে ভরপুর এই ফল একই সঙ্গে ভারী খাবারেরও পরিপূরক। কেননা এতে আছে উচ্চ ক্যালোরি এবং চিনি। তাই শুধু তৃষ্ণা মেটাতেই নয়, অধিক সময় ধরে দেহে পূর্ণতা বজায় রাখার জন্য ডাবের পানি বা শ্বাস উৎকৃষ্ট খাদ্য।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
বাঙ্গি
যেহেতু গ্রীষ্ম ও রমজান একসঙ্গেই আসছে, তাই পানিশূন্যতা থেকে শরীরকে বাঁচানোর জন্য খাবারের তালিকায় রাখা যেতে পারে বাঙ্গি। এটি রোদ্রের দাবদাহ থেকে শুধু রক্ষাই করে না, সারা শরীরে শীতল অনুভূতিরও সঞ্চার করে।
ভিটামিন সি সহ এতে থাকা অন্যান্য ভিটামিনগুলো শরীরের শ্বেত রক্তকণিকাকে উদ্দীপিত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন এ এবং ফাইটোকেমিক্যাল অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এছাড়া এর ফাইবার পানির অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পেটকে ঠান্ডা রাখে।
প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ বাঙ্গি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এই পটাসিয়ামে স্ট্রেস উপশমকারী বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এর উপস্থিতি মনোনিবেশ এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধের মানসিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
পরিশিষ্ট
সেহরি ও ইফতারের জন্য এই দেশি ফলগুলো দামের দিক থেকে বিদেশি ফলের তুলনায় তুলনামুলক ভাবে বেশ সাশ্রয়ী। তাছাড়া আনারস, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, বরই, ও ডাবের যথেষ্ট সরবরাহ থাকায় তা সর্বশ্রেণীর ক্রেতাদের জন্য সহায়ক হবে। ইতোমধ্যে তরমুজও বাজারে চলে আসায় গরম থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও মিলছে।
তৃষ্ণা নিবারণ থেকে শুরু করে হাল্কা নাস্তা; এমনকি ভারী খাবারের চাহিদা পূরণেও এই ফলগুলো যথেষ্ট। অর্থাৎ শুধু মূল্যের দিক থেকেই নয়, এই ফলগুলো দিয়ে অনায়াসেই রোযার মাসটিকে স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
৮ মাস আগে
যেসব কারণে রোজা রাখা ডায়েট করা থেকে বেশি উপকারী
প্রতিদিনের আহারের একটি বিরাট অংশ ভূমিকা রাখে দেহের স্বাভাবিক বিপাকে। পরিমিত পরিমাণে খাবার গ্রহণে বজায় থাকে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান। তবে বয়সের ওপর ভিত্তি করে এই খাদ্য শরীরের কাঠামোর ওপর ভিন্ন রকম প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে সব সময় দেহকে সুনির্দিষ্ট গড়নে ধরে রাখতে খাদ্য গ্রহণে কম বেশি করা হয়। আর এখানেই দরকার পড়ে ক্যালোরির হিসাব-নিকাশের; তথা ডায়েটের। কিন্তু দিনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিরতিহীন ভাবে আহার থেকে বিরত থাকা অধিক স্বাস্থ্যসম্মত। চলুন, বিজ্ঞানের আলোকে জেনে নেওয়া যাক, কেন রোজা ডায়েট অপেক্ষা বেশি উপকারী।
কেন রোজা রাখা ডায়েট করা থেকে অধিক স্বাস্থ্যসম্মত
বেশি ক্যালোরি খরচ ও অধিক মেদ কমায়
দেহে খাদ্য প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায়। ফলে বিপাকসহ দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কার্যকলাপে চিনির ভূমিকা বাড়ে। এটি শরীরকে হৃষ্ট-পুষ্ট করে বটে, কিন্তু শরীর বঞ্চিত থেকে যায় শক্তি তৈরি থেকে। ঘণ্টা খানেক পর পর আহারেও এটি অব্যাহত থাকে তবে ধীর গতিতে। কিন্তু ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। এ সময় শরীর যথেষ্ট পরিমাণে চর্বি পোড়াতে শুরু করে এবং কিটোন তৈরি করে, যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
বিরতিহীন উপবাস শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এর জন্য প্রতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩ বেলা আহারকে ৮ ঘণ্টা দূরত্বে দুই বেলা আহার দিয়ে প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হবে। এতে করে ডায়েটের চেয়েও তুলনামূলক কম সময়ে মেদ কমে আসাটা দৃশ্যমান হবে।
ক্যালোরির হিসাব রাখার প্রয়োজন পড়ে না
বিরতিহীন উপবাস প্রথাগত ক্যালোরি গণনার ক্লান্তি এবং সময় থেকে মুক্তি দেয়। এর থেকে কাঙ্ক্ষিত গড়নের অবয়ব দেখার জন্য দিন গোণাটা একই সঙ্গে সহজতর এবং প্রত্যাশার ব্যাঞ্জক।
শুধু তাই নয়, অক্ষরে অক্ষরে ডায়েট মেনে চলতে যেয়ে ব্যয়বহুল খাবার কেনার ধকল সামলাতে হয়। অন্যদিকে রোজার ক্ষেত্রে খাবারের ধরন নয়; খাবারটা খাওয়া মূখ্য। যারা ইতোমধ্যে সামষ্টিকভাবে একটি সীমাবদ্ধ ক্যালোরি সংখ্যা পূরণের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছেন, তাদের জন্য এটি একটি কার্যকর বিকল্প।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
৮ মাস আগে