রোজা
রোজার শুরুতেই খুলনার বাজারে আকাশছোঁয়া দাম
খুলনার বাজারগুলোতে রোজার শুরুতেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষ করে বেগুনি, শসা ও লেবুসহ ইফতারি সামগ্রীর দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন-চারগুণ। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর কেসিসির বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে।
প্রকারভেদে বেগুন কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫ থেকে ৩০ টাকা ছিল। শসা কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজার, রূপসা বাজার, ময়লাপোতা বাজার ঘুরে জানা যায়, ‘ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজি প্রতি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, লেয়ার ৩২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাজারে অহেতুক দাম বাড়ালে ছাড় নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের এক বিক্রেতার কাছে বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খামার থেকে মুরগি কম সরবরাহ হওয়ার কারণে এখন দাম একটু বাড়তি। তবে রমজানে মুরগির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে থাকবে।’
কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের মায়ের দোয়া ভেজিটেবল সপ-এর বিক্রেতা জানান, ‘দুদিনের ব্যবধানে আড়তে পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। সরবরাহ আগের মতো রয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকার কারণে আড়তদাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সাধারণ ক্রেতার কাছে জবাবদিহিতার শিকার হচ্ছি।’
তাসলিমা নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এ বছর রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে ভেবেছিলাম, কিন্তু চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়ে যাচ্ছে।
‘গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছিল। কেসিসি দাম না কমিয়ে আরও ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। সে কারণে মুরগিও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে,’ অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাগালের বাইরে চাল ও তেলের দাম
যদিও খুলনা জেলা প্রশাসন প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
২৩ দিন আগে
চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা শুরু
আগামীকাল রবিবার থেকে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে। শনিবার (১ মার্চ) ছয়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রবিবার (২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু। ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
২৪ দিন আগে
রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
পবিত্র রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংযম ও শৃঙ্খলা অনুশীলনের এক পরম সুযোগ। ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি এই আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি দৈহিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্র তৈরি করে। ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একটানা পানাহার থেকে বিরত থাকা স্বাভাবিক জীবন ধারণে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসে। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য শরীর ও মন দুটোকেই আগে থেকে প্রস্তুত করা উচিত। চলুন, রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা কী এবং এর বাস্তবায়নের জন্য কী ধরণের কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হবে- তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
রমজানে মাসব্যাপী রোজা রাখতে স্বাস্থ্যগত পূর্বপ্রস্তুতি কেন জরুরি
পুরো এক মাস টানা রোজা রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো স্বাস্থ্যগত জটিলতা। সব রকম পানাহার থেকে বিরত থাকার পরেও পর্যাপ্ত শক্তির মাত্রা বজায় রাখার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করা দরকার। খাওয়া এবং ঘুমের ধরণে আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে ক্লান্তি, পানিশূন্যতা এবং হজমের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে মাসের প্রথম রোজাগুলোতে এরকম অবস্থা সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক।
তাই রমজানের আগেই খাদ্যাভ্যাসে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনা হলে এই ধাক্কা সামলানো সহজ হয়ে ওঠে। এই প্রস্তুতি শরীরে শক্তির ভারসাম্য এবং মনোনিবেশে সহায়তা করে, যা রমজানের ধর্মীয় মাহাত্ম্য বজায় রাখার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম, পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে শরীর দীর্ঘ সময় আহার থেকে বিরত থাকার সময়কে মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় সহনশীলতা অর্জন করে। এই সঙ্গতিপূর্ণতা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যতীত রমজান পরবর্তী তিন বেলা আহারের জীবনে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়ক।
পবিত্র রমজানে এক মাস রোজা রাখার পূর্বে শারীরিক প্রস্তুতি
.
প্রতি বেলার আহারে সময়ানুবর্তিতা
প্রস্তুতিপর্বটা শুরু করতে হবে রমজানের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে ধীরে ধীরে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে। আসন্ন রোজার সময়সূচির সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে ভারী খাবারের পরিবর্তে নিয়মিত বিরতিতে হাল্কা খাবার গ্রহণ করা যায়। সারা দিনের জন্য ডিনারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো উচিত। কেননা এই অভ্যাস হজমকে ব্যাহত করে এবং রোজার সময় অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ভিমরুলের কামড় কতটা ভয়ংকর? সাবধানতা ও করণীয়
পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের প্রতি অধিক মনোযোগী হতে হবে। বীজ জাতীয় খাবার, ফল এবং চর্বিহীন প্রোটিন দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে সাহায্য করে। অপরদিকে চিনি ও অস্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের দুর্বলতার কারণ হয়। এই নতুন খাদ্যাভ্যাস ভোর রাতে খেয়ে সারা দিন রোজা রাখার জন্য শরীরকে ভারসাম্যপূর্ণভাবে তৈরি করে।
সব সময় হাইড্রেটেড থাকা
সমগ্র মাসব্যাপী রোজা মানে প্রতিদিন এক বিপুল পরিসরের সময় শরীরের অভ্যন্তর ভাগ শুষ্ক থাকা। এ অবস্থায় শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির যোগানের জন্য আগে থেকেই নিয়মিত পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। শরীরের পর্যাপ্ত হাইড্রেশনের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করার প্রয়োজন। নারকেলের পানি, তাজা ফলের রস এবং তরমুজের মতো পানিসমৃদ্ধ ফলগুলো হাইড্রেশনের জন্য সহায়ক। এভাবে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করলে রোজার সময় ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং অন্যান্য ডিহাইড্রেশন-সংক্রান্ত লক্ষণগুলো থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস
দীর্ঘ মেয়াদে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে স্বাস্থ্যকর ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। সেহরি ও ইফতারের সময়গুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য করার জন্য আগে থেকেই ঘুমের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনতে হবে। যারা রাতে খুব তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েন, তাদের জন্য এই পরিবর্তন আনা অনেকটাই সহজ ব্যাপার।
ঘুমের অনিয়ম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে এবং হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। এতে করে দেহের সামগ্রিক শক্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলশ্রুতিতে রোজা রাখার মুহূর্তগুলো ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, রাতে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া এবং ভোরের কিছুক্ষণ আগে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা হলে রমজানের রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়। ঘুমের এই অনুশীলন কেবল শরীরের জন্যই নয়, মনের স্বাস্থ্যের জন্যও উপযোগী।
আহারে ধীরে ধীরে ক্যাফেইন এবং চিনির পরিমাণ কমানো
রোজার প্রথম দিনগুলোতে আকস্মিকভাবে ক্যাফেইন ও চিনি গ্রহণ থেকে বিরত থাকা মাথাব্যথা, বিরক্তি এবং ক্লান্তির কারণ হতে পারে। এই উপসর্গগুলো এড়াতে রমজান মাসের আগে থেকে ধীরে ধীরে এ ধরণের খাদ্য উপাদানগুলো পরিহার করা উচিত।
কফি, এনার্জি ড্রিংক্স এবং চিনিযুক্ত স্ন্যাকসের বদলে ভেষজ চা এবং তাজা ফল খাওয়া শুরু করা যেতে পারে। চিনি ও ক্যাফেইনের এই ক্রমান্বয়ে হ্রাস শরীরকে আকস্মিক ধাক্কা থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া পরিশোধিত চিনি গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া রক্তে শর্করার মাত্রাকে স্থিতিশীল করে ও ক্ষুধা হ্রাস করে। এটি সারা দিন ধরে শক্তি ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট কার্যকর।
এক মাস রোজা পালনের পূর্বে মানসিক প্রস্তুতি
.
প্রাত্যহিক জীবনকে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা
পুরো রমজান মাস জুড়ে রোজা রাখা সম্পূর্ণ একটি নতুন জীবন ধারণের সমতূল্য। তাই নতুন নিয়মের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যথাযথ মানসিক প্রস্তুতি অপরিহার্য। রমজানের প্রথম দিন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সবকিছু বদলে ফেলার পরিবর্তে আগে থেকে ধীরে ধীরে পবির্তন আনা উচিত।
আরও পড়ুন: ক্যান্সারের নতুন অ্যান্টিবডি চিকিৎসা টিউমার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গবেষণা
ইবাদত-বন্দেগী থেকে শুরু করে ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া প্রতিটি কাজের জন্য নতুন রুটিনে অভ্যস্ত হওয়া শুরু করতে হবে। ধৈর্য্য ধারণের উপর অধিক মনোনিবেশ করা জরুরি। এর সঙ্গে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি যুক্ত করা হলে তা মানসিক চাপ কমানোর জন্য সহায়ক হবে।
অপ্রয়োজনীয় কাজ এবং বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকতে হবে। এর পরিবর্তে ইবাদতের পাশাপাশি সৃজনশীল কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।
সহনশীলতার অনুশীলন
রোজার দিনগুলোতে মানসিক উন্নতির পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা হলো সহনশীলতা বা ধৈর্য্য। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও রোজা পালনে ধৈর্য্যের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। এর সঙ্গে মানসিক নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা হাল্কা ধ্যান দিয়ে এই অনুশীলন শুরু করা যেতে পারে। এই ক্রিয়াকলাপ কঠিন মুহূর্তগুলো অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। একজন সহনশীল ব্যক্তি তার চিন্তাগুলোকে সুসংগঠিত করতে পারেন, যা তার উদ্বেগ কমাতে এবং মনকে শান্ত করতে কাজে লাগে।
একই সঙ্গে নিজের সময়টাও কাটাতে হবে সমমনা লোকদের সঙ্গে। ধর্মীয় বিষয়ে সৃজনশীল আলোচনা পরস্পরের মধ্যে রোজা রাখার উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। মসজিদে গিয়ে সবার সঙ্গে একত্রে নামাজ পড়া এবং গরীব-মিসকিনদের সাহায্য করা মানসিক জীর্ণতা দূর করার মোক্ষম উপায়। এতে মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটে, যা ক্ষুধা বা ক্লান্তির মতো কঠিন মুহূর্তগুলো মোকাবিলা করার উৎকৃষ্ট হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: প্রাণে বাঁচলেও নীরবে শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন নারীরা
কুরআন তেলাওয়াতের প্রয়োজনীয় অ্যাপস ব্যবহার
বর্তমান সময়ের সমগ্র জীবন যখন প্রযুক্তিতে নিমজ্জিত, তখন সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা যেতে পারে ইবাদতের কাজে। এখন কুরআন পড়া ও শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মোবাইল অ্যাপ্স রয়েছে। এগুলো ঘরে ও বাইরে যেকোনো স্থানে চলতে ফিরতে কুরআন পাঠ বা দোয়ার মধ্যে থাকার জন্য যথেষ্ট উপযোগী।
‘তার্তিল’, ‘দ্বীন’, ‘মুসলিম বাংলা’, এবং আল কুরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড)-এর মতো অ্যাপগুলোতে সাবলীলভাবে কুরআন পড়া এবং শোনা যায়। এগুলোতে রয়েছে ভয়েস-কমান্ড, বুকমার্ক, এবং সঠিক উচ্চারণ যাচাইয়ের ফিচার। এছাড়াও এগুলোর শাব্দিক অনুবাদ ও তাফসিরের সুবিধাগুলো কুরআন গভীরভাবে বোঝার জন্যও উপযোগী।
স্মার্টফোনে অতিক্রান্ত সময় নিয়ন্ত্রণ
ইবাদতের প্রতি মনোনিবেশ এবং সহনশীলতা বিনষ্টকরণের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে স্মার্টফোনে অতিরিক্ত সময় দেওয়া। প্রয়োজনীয় কাজের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিনোদনমূলক অ্যাপগুলোতে দিনের একটা বিরাট অংশ অতিবাহিত হয়। এতে উৎপাদন ও সৃজনশীল কাজের প্রতি নিরুৎসাহ সৃষ্টি হয়। সেখানে রমজান মাসে এই কার্যকলাপ ধর্মীয় কার্যক্রমের প্রতি উদাসিন করে তোলে। ফলশ্রুতিতে নষ্ট হয় রোজা পালনের ভাবমূর্তি। তাই স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করে গরীব-মিসকিনদের সাহায্য, কুরআন পড়া ও তাফসির আলোচনা এবং নামাজ পড়ার প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। উপরন্তু, স্মার্টফোনের নীল আলো ঘুমের জন্যও ক্ষতিকর, যা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার দিকে ধাবিত করে। ফলে সেহরি ও ফজরের নামাজ বাদ পড়ে যায় এবং পরবর্তীতে সারাদিন পানাহার থেকে বিরতি থাকার অভিজ্ঞতা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।
পরিশিষ্ট
কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়া সঠিক ভাবগাম্ভীর্য মেনে রমজানের রোজা পালনের জন্য শারীরিক ও মানসিক পূর্বপ্রস্তুতি অপরিহার্য। নিত্যদিনের আহার ও ঘুমে রুটিন মেনে চলা এবং সার্বক্ষণিক হাইড্রেটেড থাকা শরীরকে যেকোনো দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। অপরদিকে, নিয়মতান্ত্রিক জীবনধারণ এবং সহনশীলতার চর্চা মননশীলতা বিকাশে সহায়ক হবে। এই পদ্ধতিতে ত্বরান্বিত করতে পারে কুরআন তেলাওয়াতের অ্যাপ ব্যবহার এবং স্মার্টফোন ব্যবহারে পরিমিতিবোধ। সার্বিকভাবে এই পদক্ষেপগুলোর যথাযথ অনুসরণের সম্ভব সুস্থ দেহ ও মন নিয়ে পুরো রোজার মাসটি অতিবাহিত করা।
আরও পড়ুন: শীতে ওজন বেড়ে যাচ্ছে? জেনে নিন কারণ ও সমাধান
৩৭ দিন আগে
চট্টগ্রামে রোজার প্রথম দিনেই ওয়াসার পানির সংকট
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই পানি সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে নগরবাসী।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন কমে যাওয়ায় নগরীতে এই সংকট দেখা দিয়েছে।
নগরীর অনেক এলাকায় সারা দিনই পানি মিলছে না। উঁচু এলাকায় পানির সংকট আরও বেশি দেখা দিয়েছে।
মহানগরীর চকবাজার, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, হালিশহর, পতেঙ্গা, কাট্টলী, আগ্রাবাদ, দেওয়ান বাজার ও মুরাদপুর এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দারা গত কয়েকদিন ধরে ওয়াসার পানি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। অনেকের অভিযোগ, মাঝরাতে সেহরির সময়ও তারা পানি পাননি। এত রাতে দোকানপাটও বন্ধ ছিল। এতে প্রথম সেহরিতেই তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
বহদ্দার হাটের মর্জিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘সোমবার রাত থেকে বাড়িতে পানি নেই। সেহরিতে বোতলজাত পানি কিনে খেয়েছি, কিন্তু ওজু-গোসল কীভাবে করব বুঝতে পারছি না। প্রতি বছর শুনি ওয়াসার নতুন নতুন প্রকল্প হয়, কিন্তু গ্রীষ্মকাল এলেই তাদের সব জারিজুরি শেষ হয়ে যায়। রমজানে পানির সংকটের বিষয়টি আগে থেকেই ভাবা উচিত ছিল। অথচ মাসে মাসে ঠিকই ওয়াসাকে পানির বিল নিচ্ছে।’
ওয়াসার কর্তৃপক্ষ জানান, উৎসগুলো থেকে লবণ পানি উঠে আসায় ওয়াসার পানি পরিশোধন কমে গেছে। তাতে নগরজুড়ে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। আবার রোজায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়াসার প্রতি লিটার পানিতে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ২১০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লবণ পাওয়া যাচ্ছে। মূলত কাপ্তাই লেকে পানি কমে যাওয়া এবং হালদার বিভিন্ন শাখা খালে বাঁধ দেওয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘আমরা এখন রেশনিং করে পানি সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এলাকা ভাগ করে একদিন পরপর পানি সরবরাহ দেওয়া হবে। পানির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ৪৫টি গভীর নলকূপ আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণেও পানির উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকে স্বাভাবিক অবস্থায় সর্বোচ্চ পানি থাকে ১০৯ ফুট। কিন্তু বর্তমানে পানির স্তর কমে ৮৩ ফুটে নেমে এসেছে। লেকে পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। কাপ্তাই লেক থেকে পানি না ছাড়ার কারণে হালদায় লবণাক্ততা বেড়ে গেছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির উৎস হালদা ও কর্ণফুলী নদী। পানির উচ্চতা নিচে নেমে যাওয়ায় ভাটার সময় নদী থেকে পানি নেওয়া যাচ্ছে না। আবার জোয়ারের সময় লবণাক্ততা বেড়ে যায়। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য ওয়াসার থেকে বিকল্প কোনো সোর্স নেই। এখন দৈনিক প্রায় ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন কমে গেছে। নগরীতে রেশনিং করে পানি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়াসা মদুনাঘাটে শেখ রাসেল ও মোহরা পানি শোধনাগারের জন্য হালদা নদী থেকে এবং রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত কর্ণফুলী শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ১ ও ২ এর জন্য কর্ণফুলী নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে। কিন্তু এখন দুটি নদীতে পানির উচ্চতা কমে গেছে। কাপ্তাই লেকে পানির স্তর কমে যাওয়ায় পানি ছাড়া হচ্ছে না। এতে জোয়ারের সময় হালদার অনেক ভেতরে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ছে।
নদীর পানিতে লবণাক্ততা বিষয়ে ওয়াসা পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লবণাক্ততার মাত্রাটা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। লবণাক্ততা দূরীকরণে শোধনাগারের জন্য নদীর যেখান থেকে পানি সংগ্রহ করা হয় সেখানে ‘রিভার্জ অসনোসিস সিস্টেম’ বসানো যেতে পারে। তখন গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করা পানিতে লবণের মাত্রা থাকবে না।
চট্টগ্রাম ওয়াসা বর্তমানে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-১ থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার, মোহরা পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার, শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার ও গভীর নলকূপ থেকে দৈনিক ৪ কোটি লিটার নিয়ে দৈনিক মোট ৪৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। নগরে বর্তমানে পানির চাহিদা প্রায় ৫৫ কোটি লিটার। কিন্তু লবণাক্ততার কারণে উৎপাদন আরও কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি।
আরও পড়ুন: সুপেয় পানির সংকট নিরসনের দাবিতে খালি কলসি মিছিল!
৩৭৮ দিন আগে
আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে: হাইকোর্ট
এ আদেশের ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে।
এর আগে রবিবার রমজানের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
ঢাকায় শুরু হয়েছে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের ডিগ্রিতে ইউসিবি’র আর্লি এনরোলমেন্ট গ্র্যান্ট
৩৭৮ দিন আগে
বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপহাস: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, রমজানে বরই দিয়ে রোজা ভাঙতে মন্ত্রীর যে পরামর্শ, সেটি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করা।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকারের মতোই এখন তারা জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করছে।
সোমবার সকালে শাজাহানপুরের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মির্জা আব্বাস প্রশ্ন করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইফতারের সময় আমদানি করা দামি ফল দিয়ে রোজা ভাঙবেন কিন্তু মানুষকে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, এরা কেমন দায়িত্বশীল সরকার?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে দেশের মানুষ চাপ ও ভয় ছাড়া ধর্মীয় কর্মকাণ্ড করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যের কারণে মানুষ ভয়ানক সময় পার করছে অথচ আওয়ামী লীগ নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা ভাবছে না
বিএনপি নেতা বলেন, তার দল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নয়, বরং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি যাতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা শুরুতেই চক্রান্ত করেছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে ব্যাপক হামলা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের’ পর, ‘ডামি সরকার’ তাদের সময় মুক্তভাবে উপভোগ করছে না কারণ তারা সবসময় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকে।
নিজের কারাবাসের কথা স্মরণ করে বিএনপি নেতা বলেন, এবারের জেল জীবন ছিল ভয়ানক কারণ আমরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কারাগারে বন্দি।
৩৭৯ দিন আগে
পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দায় পরিণত হওয়ার সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ চলে এই মাসে। সেই সঙ্গে থাকে পুরোনো সব ভুল-ত্রুটি শুধরে এক নিষ্পাপ মানুষে পরিণত হওয়ার অফুরন্ত সুযোগ। তাই মাসের প্রত্যেকটি দিনের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। এই ধর্মীয় জীবনধারণকে সাবলীল করতে সহায়ক হতে পারে উন্নত প্রযুক্তি। কেননা রোজার মাসটিকে সঠিকভাবে ইবাদতপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপ। চলুন, সেগুলোর মধ্য থেকে সেরা ১০টি রমজান মোবাইল অ্যাপ্সের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
রমজানে সুশৃঙ্খলভাবে ইবাদত বন্দেগীর জন্য সহায়তাকারী মোবাইল অ্যাপ্স
আল কুরআন (তাফসির এ্যান্ড বাই ওয়ার্ড)
রমজানে সুশৃঙ্খলভাবে ইবাদত বন্দেগীর জন্য সহায়তাকারী মোবাইল অ্যাপ্স আল কুরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড) কুরআন বোঝা এবং মুখস্থের জন্য একটি নিবেদিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৬-এর ২৬ অগাস্ট এই অ্যাপটি তৈরি করে গ্রিনটেক অ্যাপ্স ফাউন্ডেশন। এতে রয়েছে বাংলাসহ ৩৫টিরও বেশি ভাষায় প্রতিটি শব্দের অনুবাদ এবং ৭০টিরও বেশি তাফসির। কুরআন তেলাওয়াত শোনার জন্য রয়েছে ৩০ টিরও বেশি তেলাওয়াতকারীর অডিও।
রোজার মাসে কুরআন খতমের জন্য এটি হতে পারে সর্বোৎকৃষ্ট অ্যাপ। কেননা এখানে প্রতিবার তেলাওয়াতের সময় আগে শেষ করা আয়াতগুলোর একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। আয়াত বুকমার্কের সুযোগটির কারণে এর স্বয়ংসম্পূর্ণ লাইব্রেরিটি কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে রোজা রাখা ডায়েট করা থেকে বেশি উপকারী
বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজেশনের উপায়সহ এই যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে একদম ফ্রিতে। এমনকি অ্যাপ চালানোর সময় কোনও বিজ্ঞাপন দেখার বিড়ম্বনাও নেই।
২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ আপডেটকৃত এই অ্যাপের বর্তমান সংস্করণ ১ দশমিক ২৬ দশমিক ১। অ্যাপ চালানোর জন্য স্মার্টফোনের ওএস (অপারেটিং সিস্টেম) হতে হবে নূন্যতম অ্যান্ড্রয়েড ৫। ২১ এমবি (মেগাবাইট)-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে ৫০ লক্ষাধিকবার।
২ লাখ ৮৪ হাজার রিভিউ দাতাদের কাছ থেকে এটি গড়পড়তায় ৪ দশমিক ৮ তারকা রেটিং পেয়েছে।
অন্যদিকে, ২৬ দশমিক ২ এমবির আইওএসের অ্যাপটি ৩৪৮ জনের কাছ থেকে পেয়েছে ৪ দশমিক ৯ তারকা। আইওএস ১৪ দশমিক ২ বা তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে অ্যাপটি চালানো যাবে।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
তার্তীলঃ কুরআন মেমোরাইজেশন
সরাসরি কুরআন শরীফ দেখে তেলাওয়াতের থেকেও দারুণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে তার্তীল। অ্যাপটি এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তেলাওয়াতকারির ভয়েস ট্র্যাক করে। প্রতিবার তেলাওয়াত শোনার সময় স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয় সংশ্লিষ্ট আয়াতটি। এটি বিনামূল্যে কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। তবে এর প্রিমিয়াম সংস্করণ আছে, যেখানে তেলাওয়াতে ত্রুটি সংশোধনের মতো নানা ধরনের অ্যাডভান্সড ফিচার আছে।
২০১৬-এর ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত হওয়া তার্তীল অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তার্তীল ইনকরপোরেশন। অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন ফোন ভেদে এর জন্য স্টোরেজ প্রয়োজন ১০৮ থেকে ১২০ এমবি। ওএস থাকতে হবে অ্যান্ড্রয়েড ৫ বা তার বেশি। ২০২৪-এর ৬ মার্চ আপডেটের পর এর সর্বশেষ সংস্করণ ৫ দশমিক ৩৮ দশমিক ১। এখন পর্যন্ত ১০ লক্ষাধিকবার ডাউনলোডকৃত অ্যাপটির ৩৮ হাজার রিভিউ থেকে প্রাপ্ত রেটিং ৪ দশমিক ৭ তারকা।
আর আইওএসের জন্য বানানো অ্যাপটির সাইজ ১৯৮ দশমিক ৭ এমবি। ওএস হিসেবে কমপক্ষে আইওএস ১৩ দশমিক ৪ থাকা প্রয়োজন। আড়াই হাজারেরও বেশি রেটিং দাতা অ্যাপটিকে ৪ দশমিক ৭ তারকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
কুরআন মাজিদ - রমজান ২০২৪
পাকডাটা নির্মিত এই অ্যাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হচ্ছে এর ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। এখানে কুরআন পড়া বা মুখস্ত করার সময় বিনামূল্যে আয়াতের পুনরাবৃত্তি, বিরতি এবং গতি কমবেশি করা যায়। অ্যাপটির আরও একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এর কিবলার দিক নির্ণয়ের কম্পাস। এছাড়া মক্কা ও মদিনা থেকে লাইভ স্ট্রিমিং, হিজরি ক্যালেন্ডার, এবং কুরআনিক এনগেজমেন্ট মিটার অ্যাপটিকে পরিপূর্ণতা দান করেছে।
২০১৪-এর ১৮ আগস্ট নির্মিত অ্যাপটি সর্বশেষ হালনাগাদ হয়েছে ২০২৪ সালের ৮ মার্চ। সংস্করণ ৭ দশমিক ৩ দশমিক ২ সংস্করণটি চালাতে ওএস প্রয়োজন অ্যান্ড্রয়েড ৫ কিংবা তার বেশি। ৫৪ এমবি থেকে ১২০ এমবি স্টোরেজ ক্ষমতার অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ১ কোটিরও বেশিবার। ৭ লাখ ৯৩ হাজার রিভিউ থেকে রেটিং এসেছে ৪ দশমিক ৭ তারকা।
অন্যদিকে আইওসের অ্যাপে ২ লাখেরও বেশি রেটিং থেকে এসেছে ৪ দশমিক ৮ তারকা। ১৩৭ দশমিক ৫ এমবি সাইজের অ্যাপটি আইওএস ১২ বা তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে চলবে।
আরও পড়ুন: চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
৩৭৯ দিন আগে
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও আশপাশের গ্রামসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হয়েছে।
রবিবার(১০ মার্চ) সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরীসহ বিভিন্ন সূত্র ইউএনবিকে জানায়, এসব এলাকার মুসল্লিরা তারাবিহর নামাজও আদায় করেছেন এবং ভোরে সেহরী খাবেন।
পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এ দরবার শরীফের পীরজাদা ও অনুসারীরা।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাতে সেহরি খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রোজায় সুস্থ থাকার ৫টি উপায়
তিনি আরও জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক তার মরহুম দাদা মাওলানা ইসহাক (রহ.)।
১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মওলানা ইসহাক সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহে চাঁদ দেখা গেলে তাদের সঙ্গে মিল রেখে রোজাপালন , ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।
তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ সোমবার থেকে আমাদের গ্রামসহ ৪০ গ্রামে রোজা শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজায় কমল স্কুল-কলেজ খোলা রাখার সময়
রাত ১০টায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল মহরম আলী ওয়ার্কফ এস্টেট জামে মসজিদের মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. হাবিব উল্লাহ জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে সেহরিও খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলার সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভোলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, গ্রামে রোজা শুরু হয়েছে। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী , ছটাকীএবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের সহস্র বাসিন্দারা একইভাবে আগাম রোজা পালন ও দুই ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
৩৭৯ দিন আগে
সৌদি আরবে আজ রোজা শুরু
সৌদি আরবে রবিবার(১০ মার্চ) সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আজ সোমবার (১১ মার্চ) পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে।
এর আগে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছিল সৌদি আরব। খালি চোখে বা দূরবীন দিয়ে যারাই অর্ধচন্দ্র দেখবেন, তাঁদের নিকটস্থ আদালতে রিপোর্ট করতে এবং পর্যবেক্ষণ নথিভুক্ত করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ব্রুনাইসহ আরও কয়েকটি দেশ ১২ মার্চ থেকে রমজান মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ওমানও ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ১২ মার্চ, মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাস শুরু করবে, কারণ রবিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যায়নি।
৩৭৯ দিন আগে
রমজানের শেষ ১৫ দিন মেট্রোরেলের সময় বাড়বে এক ঘণ্টা
রমজান মাসের শেষ ১৫ দিন দুই দিকেই এক ঘণ্টা করে ট্রেন চলাচলের সময় বাড়বে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। তবে প্রথম ১৫ দিন মেট্রোরেল চলাচলে সময়ের কোনো পরিবর্তন হবে না।
রবিবার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের সক্ষমতা বাড়ায় মিরপুর-মতিঝিল রুটে কমেছে বাস চলাচল
রমজান শেষেও বাড়তি এক ঘণ্টা চলবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাত্রী চাহিদা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমএএন ছিদ্দিক আরও জানান, ইফতারের সময়ের আগে-পরে ২৫০ এমএল বোতল বহন করা যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই পানির বোতল বিনে ফেলতে হবে। যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না। ট্রেনের ভেতর ও বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ইফতারের সময়সূচি প্রদর্শিত হবে।
নারীদের জন্যে আরেকটি কোচ বাড়ানো সম্ভব কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে ৬টি কোচ চলছে, ভবিষ্যতে ৮টি কোচ চালু না হওয়া পর্যন্ত নারীদের জন্য আলাদা কোচ বাড়ানো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুুন: ঢাকা মেট্রোরেলের এমআরটি, র্যাপিড পাস পাওয়ার উপায়
৩৮০ দিন আগে