ধর্ম মন্ত্রণালয়
হজ প্যাকেজ ঘোষণা রবিবার: এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩টি প্যাকেজ, কমছে খরচ
আগামী বছরের হজযাত্রীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিমান ভাড়া কিছুটা কমায় চলতি বছরের তুলনায় খরচও কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নির্বাহী কমিটির সভা শেষে প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে চলতি বছর ২টি হজ প্যাকেজ ছিল। অন্যদিকে চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য একটি প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। হজ এজেন্সিগুলো এর নিচে কোন প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে না।
রবিবার বিকালে সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এই কমিটির সভাপতি হিসেবে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এ সভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদিত হলে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের হজে বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। বহু দেন-দরবারের পরও হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমোদিত পেলো ৩৩ ব্যাংক
জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরেই হজের বিমান ভাড়া নির্ধারণের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছিল। দুই উপদেষ্টা একসঙ্গে সভায় ছিলেন। কিন্তু, ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে ঐক্যমত হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিমান ভাড়া এক হাজার ডলার (এক লাখ ২২ হাজার টাকা-শুল্ক ছাড়া) নির্ধারণের বিষয়ে অনড় অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে, বিমান মন্ত্রণালয় গত হজের বিমান ভাড়া (এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা) ধরে প্যাকেজ ঘোষণার অনুরোধ জানায়। পরবর্তী সময়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে ভাড়া কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে তা জানানো হবে।
গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিমান ও উপর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের দপ্তরে বৈঠকে বসেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। বৈঠকে দুই উপদেষ্টা ছাড়াও ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শেষ পর্যন্ত আগামী হজের বিমান ভাড়া এক হাজার ১০০ ডলার নির্ধারণের (এক লাখ ৩৪ হাজার ২০০ টাকা-শুল্ক ছাড়া) বিষয়ে অনড় থাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
কিন্তু বিমান মন্ত্রণালয় ভাড়া এক হাজার ২০০ ডলার ধরে হজ প্যাকেজ ঘোষণার অনুরোধ জানায়। তারা আরও কিছুটা সময় নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে ভাড়া আরও কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তখন যাতে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া সমন্বয় করে নেওয়া হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী হজের বিমান ভাড়া এক লাখ ৫৫ হাজার থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে চলতি বছরের থেকে ভাড়া ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কমতে পারে।
এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘বিমান ভাড়া নিয়ে একটা আলোচনা হয়েছে। বিমান ভাড়ার ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক ও সিভিল এভিয়েশনের ফি কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। রবিবার প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা হজের বিমান ভাড়া চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছি। একটা নির্ধারিত হয়েছে তবে সেটা আমরা এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না।
আগামী হজ কার্যক্রম আগেভাগে শেষ করতে হবে: কোটাসহ সময়সীমা দিল সৌদি সরকার
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক হাজার ১০০ ডলার প্রস্তাব করেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেখেন, আমার প্রচেষ্টার কোনো অন্ত নেই। আমরা চেষ্টা করছি যতটা কমানো যায়। কিন্তু আমরা যদি এখন এমন একটা সংখ্যা বলি, যেটা যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, সেটা তো ভালো হবে না। প্রাথমিকভাবে একটা চূড়ান্ত হিসাব আমরা তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি সেখান থেকে যদি আরও ভালো কিছু করা যায়।’
চলতি বছর হজে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর ভিত্তিতে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিগুলো।
আগামী বছর হারাম শরীফের একেবারে কাছাকাছি ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে হোটেলের সুবিধা দিয়ে একটি প্যাকেজ হবে। গত বছরের প্যাকেজ-২ এ আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে এই প্যাকেজটি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে খরচও পড়বে সবচেয়ে বেশি।
আরেকটি প্যাকেজ হবে হারাম শরীফের ২ কিলোমিটারের মধ্যে। যেটি এবার প্যাকেজ-১ ছিল। এবার এ প্যাকেজের খরচ গতবারের থেকে কিছুটা কমবে।
আরেকটি প্যাকেজ হবে হারাম শরীফ থেকে দূরবর্তী আজিজিয়া এলাকায় আবাসন সুবিধা সম্বলিত। এটি হবে সাশ্রয়ী প্যাকেজ। এই প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে সাড়ে চার লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে এজেন্সিগুলোর জন্য যে প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, সেক্ষেত্রে চলতি বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগামী বছর খাবার খরচ ও কোরবানি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে নাকি বাইরে থাকবে সেই বিষয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে হজ অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
আগামী হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেল ১৫৫ এজেন্সি
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের (২০২৬) হজের কার্যক্রম বেশ আগেভাগেই সম্পন্ন করতে হবে। গত কয়েক বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। যদিও গত দুই হজে বাংলাদেশের কোটা পূরণ হয়নি।
আগামী বছর হজে যেতে চার লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন চললেও রোডম্যাপ অনুযায়ী, এবার ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্যাকেজের পুরো টাকা নিয়ে হজের নিবন্ধন শেষ করতে হবে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৫৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ১৩৫ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। হজ প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় অর্থাৎ কত খরচ হবে সেটি নির্ধারিত না হওয়ায় হজযাত্রীরা নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছর হজ হয়েছিল ৫ জুন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার।
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, বর্তমানে হজ নিবন্ধনের গতি কম। আমরা চাই হজ প্যাকেজ দ্রুত ঘোষণা করা হোক। প্যাকেজ ঘোষণা দেরি হওয়ার কারণে নিবন্ধনে গতি অনেক কম। প্যাকেজ ঘোষণা হলে আশা করি নিবন্ধনে গতি বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি হজযাত্রীদের স্বার্থে হজের বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবেই নির্ধারণ করা হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
৬৮ দিন আগে
আগামী হজ কার্যক্রম আগেভাগে শেষ করতে হবে: কোটাসহ সময়সীমা দিল সৌদি সরকার
আগামী ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রম সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী অনেক আগেভাগেই সম্পন্ন করতে হবে। এ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশসহ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য কঠোর সময়সূচি নির্ধারণ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন, অর্থ স্থানান্তর ও সেবা চুক্তি সম্পন্ন না হলে হজে অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
ইতোমধ্যে সৌদি সরকারের ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যদিও গত দুই বছর এই কোটা পূরণ হয়নি। হজ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে। তবে এবার ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজ নিবন্ধন সম্পন্ন করে পূর্ণ অর্থ জমা দিতে হবে। এরপর ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সৌদি প্রান্তে সেবা প্যাকেজের অর্থ পাঠাতে হবে।
২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি ও ২০ জানুয়ারি হজযাত্রীদের আবাসন ও পরিবহনের অর্থ স্থানান্তর শুরু করতে হবে। বাংলাদেশ-সৌদি দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি সই হবে ৯ নভেম্বর। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এত আগেভাগে জটিল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
চলতি বছরের হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর। আগামী বছরের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন রোববার (২৭ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে। চলতি বছর হজ হয়েছিল ৫ জুন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার।
আগামী হজকে সামনে রেখে এখন প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে সরকারের বড় কাজ। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এখন সৌদি প্রান্তের খরচ ও দেশে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণের অপেক্ষা করছেন। আগস্টের মধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন তারা।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর প্যাকেজ-২ এ হজ পালনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর ভিত্তিতে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিগুলো।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী হজেও দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা নিয়ে কাজ হচ্ছে। সাধারণ প্যাকেজ হিসেবে প্যাকেজ-১ এর খরচ কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। চলতি বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। আগামী বছর তা দেড় লাখের নিচে নামিয়ে আনতে চায় মন্ত্রণালয়।
এ প্যাকেজের ভিত্তিতেই এজেন্সিগুলো তাদের প্যাকেজ নির্ধারণ করবে। অন্যদিকে সরকারি প্যাকেজ-২ হবে বিশেষ প্যাকেজ। এ প্যাকেজে হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। খরচও হবে বেশি। এ প্যাকেজের খরচ হবে ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এ প্যাকেজের বাড়ি বা হোটেল থাকবে হারাম শরীফের ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে।
চার লাখ টাকা দিয়ে রোববার থেকে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাচ্ছে। তবে হজ এজেন্সি মালিকরা এর বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, প্রাথমিক নিবন্ধনে ৪ লাখ টাকা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এতে সাড়া কম পাওয়া যাবে। কারণ, হজের এত আগে একসঙ্গে এত টাকা দেওয়ার অনেকের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। এ ছাড়া প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় হজে গমনেচ্ছুরা জানতে পারাছেন না যে এবার হজ পালন তার সাধ্যের মধ্যে থাকছে নাকি থাকছে না।
এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক ইউএনবিকে বলেন, ‘সৌদি সরকার হজ নিয়ে রোডম্যাপ দিয়েছে। কারণ হজ হচ্ছে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বিষয়। এবার হজ নিয়ে একটু আগেই কাজ শুরু করতে হবে। এটা নিয়ে আমরা হাবের সঙ্গে বসেছি। হজ প্যাকেজ ঘোষণাসহ যে সব কাজ রয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে করতে হবে।’
সচিব বলেন, ‘সৌদি প্রান্তের খরচের হিসাব না পাওয়া ও বিমান ভাড়া নির্ধারিত না হওয়ায় আমরা প্যাকেজটা করতে পারছি না। সৌদি প্রান্তে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর কাছে চুক্তি, মিনা-আরাফায় তাবু ভাড়া, বাড়ি ভাড়া আগে আগেই করতে হবে।’
হজ প্যাকেজ কবে নাগাদ হতে পারে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘হজ প্যাকেজ আগস্টের মধ্যেই করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তবে সৌদি প্রান্তের খরচের হিসাব পাওয়ার পর প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি প্রান্তের খরচের হিসাব পাওয়ার বিষয়ে সৌদি আরবে আমাদের হজ মিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমাদের এদিকেও কিছু কাজ রয়েছে। বিমান ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি রয়েছে। বিমান ভাড়া নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। খরচগুলো পেলে আমরা যত দ্রুত পারি নির্বাহী কমিটি সভায় বসে প্যাকেজ ঘোষণা করে দেব।’
আরেক প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আমরা চাই হজের খরচ কমুক। যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ার সুযোগ পায়। ওই প্রান্তের ও আমাদের প্রান্তের খরচ যদি কমাতে পারি, তাহলে খরচ কমবে।’
‘অনেকে একটা বিশেষ প্যাকেজ নেওয়ার কথা বলেছে। তারা বলেছেন, আরও কাছাকাছি থাকতে চান। ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে করা যায় কিনা, আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। আমরা এটা নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব। কিছু কিছু মানুষ আছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হারাম শরীফে পড়তে চান, এজন্য তারা বেশি খরচ করতেও রাজি।’
ইতোমধ্যে সৌদি সরকার আমাদের কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আগামী বছরের হজে বাংলাদেশের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। নুসুক মাসার প্লাটফর্মে সৌদি সরকার কোটা জানিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের কোটা এটাই ছিল।’
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘আগামী হজ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তবে এবার সৌদি সরকারের যে টাইমলাইন, সেটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারন গত বছর থেকে এবার সময় এগিয়ে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হজযাত্রীদের তো মাথায় থাকে যে হজের দু-তিন মাস আগে সব করবেন। কিন্তু সৌদি সরকার এবার ছয় মাস আগেই সব কাজ শেষ করতে চাইছে। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার হাজিরা বলছেন, আরও কাছে থাকতে চাইছেন। বেশি সুযোগ-সুবিধা চান তারা। তাই প্যাকেজ-২ বিশেষ প্যাকেজ হিসেবে রাখার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। প্যাকেজ-১ এ তিন কিলোমিটারের মধ্যে হোটেলের ব্যবস্থা করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা হাজিদের দেড় থেকে দুই মিলোমিটারের মধ্যে রাখতে পেরেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হাজিকে দূরে রাখা যাবে না। এবারও এটা আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে। আমরা হাজিদের সেবাটা নিশ্চিত করতে চাই।’
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (হাব) এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী এবার হজ প্যাকেজ আগে বাদে ঘোষণা করতে হবে। সৌদি রোডম্যাপের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কিছুটা তো চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নিবন্ধনের সময় যে চার লাখ টাকা দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে, এটা একটু বেশি। মানুষের তো প্রাথমিকভাবে এত টাকার প্রস্তুতি থাকে না। আমাদের দাবি ছিল, এই টাকাটা দুইভাগে নেওয়ার জন্য। প্রাথমিক টাকা যাতে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে থাকে। এটা হজযাত্রীদের দাবি, আমাদেরও দাবি।’
মহাসচিব বলেন, এবার কোরবানি ও খাবার সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবস্থাপনায় নিয়ে নিচ্ছে। এটা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশের হাজিরা কেউ ৫০০ রিয়াল দিয়ে কোরবানি দেয়, কেউ পনের শ’ রিয়াল দিয়েও দেয়। কোরবানিটা তো যার যার সামর্থ্যের বিষয়। একই ফরমেটে রাখলে তো সমস্যা দেখা দেবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকার খাবার দিলে হাজীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে, কারণ তাদের খাবারটা মানে ভালো নয়। তারা যদি এক মাস ধরে খাবারের দায়িত্ব নেয়, তাহলে হাজিদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি হজে মিনা ও আরাফায় সৌদি কর্তৃপক্ষ ৩/৪ দিনের খাবার দিত, এটা নিয়েই হজযাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টা মন্ত্রণালয়ও জানে। আশা করি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকার এ বিষয়গুলো সুরাহা করবে।’
হজ ২০২৬: শুরু হয়েছে প্রাথমিক নিবন্ধন, জমা দিতে হবে ৪ লাখ টাকা
২০২৬ সালের হজে অংশ নিতে আগ্রহীদের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় চার লাখ টাকা জমা দিয়ে হজে যেতে ইচ্ছুকরা প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি সরকারের নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, এ বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রাথমিক নিবন্ধনের পাশাপাশি হজ প্যাকেজের বাকি অর্থ জমা দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে চূড়ান্ত নিবন্ধন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে আগ্রহীরা ই-হজ সিস্টেমের ওয়েবসাইট (www.hajj.gov.bd), ‘লাব্বাইক’ মোবাইল অ্যাপ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম অফিস এবং আশকোনা হজ অফিস থেকে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবেন।
অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে আগ্রহীদের জন্য অনুমোদিত হজ এজেন্সির মাধ্যমেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন না হলে হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তাই সময়মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হজে আগ্রহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: আগামী হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেল ১৫৫ এজেন্সি
১২৮ দিন আগে
সৌদিতে পৌঁছেছেন ৩৪ হাজার ৭৭৬ হজযাত্রী
এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৭৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছে গেছেন। তবে, এক হাজার ৭৯৭ হজযাত্রীর ভিসা এখনো হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, ৮৬টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে গেছেন মোট ৩৪ হাজার ৭৭৬ জন হজযাত্রী। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এখনো যাওয়ার বাকি ৫২ হাজার ৩২৪ জন।
আরও পড়ুন: পারমিট ছাড়া হজ পালন না করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
এছাড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ৮৫ হাজার ৩০৩ জনের ভিসা হয়েছে। এখনো ১ হাজার ৭৯৭ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।
২১০ দিন আগে
দুর্গাপূজা: নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে তা জানানোর জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
পূজয় কোনো প্রকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটলে ০১৭৬৬৮৪৩৮০৯ মোবাইল নম্বরে কল করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অবহিত করা যাবে।রবে। এছাড়া সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ১৪ তলায় ১৪২৪ নম্বর কক্ষেও সরাসরি তথ্য পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ১ সিনিয়র সচিবসহ ২ সচিব ওএসডি, ২ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
৪২০ দিন আগে
৮ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন: মন্ত্রণালয়
এ বছর সৌদি আরবে মারা যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৯ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ ও ২২ জন নারী।
৮ জুলাই রাতে প্রকাশিত মন্ত্রণালয়ের হজ বুলেটিনে প্রকাশ করা হয়েছে যে মক্কায় ৭৫ জন, মদিনায় পাঁচজন, মিনায় সাতজন, আরাফাতে দুইজন এবং জেদ্দা ও মুজদালিফায় একজন করে হজযাত্রী মারা গেছেন।
রবিবার পর্যন্ত হজ সম্পন্ন করে ৭৬টি ফ্লাইটে মোট ২৯ হাজার ৪৪ জন হজযাত্রী দেশে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তিনটি এয়ারলাইন এই ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৮ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে, সৌদি এয়ারলাইন্স ৩১ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে এবং ফ্লাইনাস ১৭ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
এই বছর, ৩২৫ টি ফ্লাইটে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হাজী হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন।
প্রথম ফিরতি ফ্লাইটটি ২ জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। শেষ ফিরতি ফ্লাইটটি ২ আগস্ট ফেরার কথা।
আরও পড়ুন: ফিরতি হজ ফ্লাইট: ফ্লাইনাসের ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৩৩ হাজি
হজ সফরে জেদ্দায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
৮৭৯ দিন আগে
হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল
হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে আরও বলা হয়, নিবন্ধন কোটা পূরণ হলে হজ নিবন্ধনের সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে ৯ জানুয়ারি হজ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে সরকারের একটি চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
এ বছর ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি হজযাত্রী জেদ্দা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন এবং বাকি ৩০ শতাংশ মদিনা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন।
এদিকে, সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ইচ্ছুক হজযাত্রীদের জন্য একটি সার্ভিস চার্জ কমানোয় সরকার সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়েছে।
১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে এ বছর হজ করতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনকারীদের প্রত্যেককে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা দিতে হবে।
এছাড়া যারা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন তাদের প্রত্যেককে টাকা বাদ দিয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা দিতে হবে।
৯৮৩ দিন আগে
হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজ প্যাকেজের দাম কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও আদালতের আদেশের অনুলিপি পাইনি। যদি নতুন কোনও সিদ্ধান্ত হয়, আমরা পরে আপনাকে জানাব।’
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান প্যাকেজের অধীনে হজের নিবন্ধন আজ শেষ হচ্ছে। ইচ্ছুক হজযাত্রীদের এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।
রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ানো হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মতিউল।
১৫ মার্চ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৫৬৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ২৪৬ জন হজে নিবন্ধন করেছেন।
আরও পড়ুন: আজ শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন
তিনি বলেন, নিবন্ধনের জন্য এখনও ২৫ হাজার ৪৮০টি খালি কোটা রয়েছে।
বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে হজ প্যাকেজ খরচ কমানোর উদ্যোগ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
চলতি বছর হজের উচ্চ ব্যয় নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা শুনে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার আদালত প্রশ্ন তোলেন যে সরকার নির্ধারিত প্যাকেজের খরচে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজ করবে।
এতে প্রশ্ন করা হয়, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সরকার কেন হজের জন্য বাজেট বরাদ্দ করে না?
এ বছর সরকারের দেয়া হজ প্যাকেজ সংশোধন নিয়ে এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি স্মারকলিপিতে ২০২৩ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে।
প্যাকেজ অনুসারে, একজন ব্যক্তিকে এই বছর হজ করতে ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা খরচ করতে হবে; ২০২২ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
বেসরকারি হজ প্যাকেজে ন্যূনতম খরচ ৬.৭২ লাখ টাকা: হাব
৯৯৪ দিন আগে
আজ শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন। এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের টাকা জমা দিতে হবে এবং ব্যাংকে নিবন্ধন করতে হবে।
তিনি বলেন, নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া ১৫ মার্চ দুপুর পর্যন্ত হজ্জের নিবন্ধন হয়েছে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৫৬৯ জন।
আরও পড়ুন: সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ নির্ধারণ
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান
তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ২৪৬ জন। কোটা অনুযায়ী এখনও বাকি আছে ২৫ হাজার ৪৮০ জন।
তিনি বলেন, হজের প্যাকেজ কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আদালতের নির্দেশনার কোনো আর্জির কপি আমরা পাইনি এখনও। পরবর্তীতে যদি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয় সেটা তখন জানাতে পারবো।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হজ প্যাকেজে ন্যূনতম খরচ ৬.৭২ লাখ টাকা: হাব
সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
৯৯৪ দিন আগে
হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রযুক্তি নির্ভর হজ ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের জন্য হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
মঙ্গলবার সকালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র হজ ২০২২ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার অংশ হিসেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে হজযাত্রীদের হজ পালন করতে হতে পারে। বর্তমানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে পবিত্র ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।'
আরও পড়ুন: হজ্জ ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন করতে সংসদে বিল উত্থাপন
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতিতে আগামী ২০২২ সালে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে সৌদি আরব সরকারের পক্ষ হতে দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের প্রেক্ষিতে হজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী, হজ গাইড, হজ এজেন্সির প্রতিনিধি ও হজযাত্রীদের আগে থেকেই সচেতন করা হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রস্তুত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এছাড়া আগামী হজের সার্বিক দিক নির্দেশনার জন্য পরবর্তী বাংলাদেশ-সৌদি হজ চুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল আওয়াল হাওলাদারের সভাতিত্বে অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম,ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান, হজ অফিস ঢাকার পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের পরিচালক মো. বজলুল হক বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এবছরও বিদেশিদের হজে যেতে নিষেধাজ্ঞা
সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
১৫২১ দিন আগে
মসজিদে নামাজ আদায়ে যেসব নির্দেশনা ফের দিল ধর্ম মন্ত্রণালয়
কঠোর লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে নামাজ পড়তে ফের নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ১ জুলাই দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনের আগে এই একই নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৬৬, শনাক্ত ৯,৬৩২
প্রজ্ঞাপনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাগুলো হলো, মসজিদে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, প্রতিটি মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সাবান, পানি ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে, মুসল্লিদের নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে এবং সু্ন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদের মেঝেতে কার্পেট বিছানো যাবেনা। মুসল্লিদের তাদের ব্যক্তিগত জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে যেতে হবে।
এছাড়াও প্রজ্ঞাপনে বৃদ্ধ, শিশুদের পাশাপাশি অসুস্থদের মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে ধর্ম মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, যারা এই নির্দেশাবলী লঙ্ঘন করবেন তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিলের পর সরকার দেশব্যাপী শুক্রবার, ২৩ জুলাই থেকে আবারও ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে ।
আরও পড়ুন: ১৮ হলেই টিকা নেয়া যাবে, শিগগিরই বাস্তবায়ন
করোনা: কুষ্টিয়ায় আরও ১৭ মৃত্যু
১৫৯৫ দিন আগে