ছাত্রলীগ নেতা
পোশাক শ্রমিকদের উসকানিদাতা ছাত্রলীগ নেতা নেত্রকোণা থেকে গ্রেপ্তার
পোশাক খাতে নাশকতা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিল্পে অস্থিতিশীলতার উসকানিদাতা হিসেবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ইসতিয়াক আহম্মেদ হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোণা জেলা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার
একটি ভিডিওতে তাকে পোশাক শ্রমিকদের লুটপাট ও রাস্তায় নামতে উসকানি দিয়ে রপ্তানিমুখী পোশাক খাতে অস্থিরতাকে উসকে দিতে দেখা গেছে।
সাধারণ মানুষ পরিচয় দিলেও তিনি আসলে ছাত্রলীগ নেতা ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র বলে নেত্রকোনার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী শাহজাহান রাজধানীতে গ্রেপ্তার
২ মাস আগে
সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা আটক
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মিশুকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) উপজেলার দক্ষিণ চরসাহাভিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। একই কেন্দ্রে তিনি দোয়াত–কলম প্রতীকের পোলিং এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।
এ ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ সাফায়াত বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইয়াকুব আলীকে আটক করেন।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহসানুল বারী ভূইয়া বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে বুথের সামনে সিল মারা ব্যালটের ছবি তোলার বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নির্দেশে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসার পর তিনি লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে যান।
ছবিতে দেখা যায়, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনকে দোয়াত–কলম প্রতীকে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাখাওয়াতুল হক বিটুকে টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট দেন। ভোট প্রদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) প্রচার করে তিনি লিখেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
এ বিষয়ে ইয়াকুব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভোট শুরু হয়েছে তাই এমনি দিয়েছি।
ব্যালটে ভোট দিয়ে এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা আইনসিদ্ধ কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভুল করেছি, ছোট ভাই হিসেবে মাফ করে দিয়েন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বলেন, ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপরও ওই ব্যক্তি কীভাবে মোবাইল ব্যবহার করছেন তা বোধগম্য নয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ সাফায়াত বলেন, বুথের ভেতরে সিল মারা ব্যালট পেপার (ছবি তুলে) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করায় একজন ভোটারকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের বেতন-বোনাস আটকে দিয়েছে পিএসজি
লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
৫ মাস আগে
লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা সজিবের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনার চারদিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে গাছের গুঁড়ির আঘাতে যুবকের মৃত্যু
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যদির পুকুর পাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ চারজন আহত হয়।
সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ।
এদিকে হামলার ঘটনার সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে।
এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনা সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা।
একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের উপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় পাঠিয়েছিল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
কক্সবাজারে হোটেলের সুইমিংপুলে ডুবে শিশু পর্যটকের মৃত্যু
৭ মাস আগে
সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা, গ্রেপ্তার ১
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে সুন্দরবনের বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরণখোলা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার জসিম বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের নিয়ামুলের ছেলে এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদের সমর্থক।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
জানা যায়, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে শরণখোলা বাজারে সুন্দরবন বিভাগের স্টাফদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বন বিভাগের ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় ৩ জন আহত হন।
আহত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান এবং স্প্রীডবোর্ড চালক সিরাজুল ইসলাম। এদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় বন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া সাইফুল ইসলাম রুবেল, মাকসুদুর রহমান রনি ও আমির হাসান চয়নের নাম উল্লেখ করা হয়। এরা সবাই আসাদের সমর্থক। এদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শরণখোলা বাজারে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আসাদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ঠেকাতে এসে আরও তিনজন গ্রামবাসী আহত হয়। বন বিভাগের পক্ষ্য থেকে একরাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় অটোরিকশাচালক নিহত, আহত ভাই-ভাতিজা
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরতে না দেওয়ায় আসাদ তার লোকজন নিয়ে বন বিভাগের স্টাফদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলার পর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (বর্তমানে কমিটি স্থগীত) আসাদ জানান, দুই বছর ধরে সে সুন্দরবনে মাছ ধরার ব্যবসা করে। বন বিভাগ থেকে সরকারি অনুমতি (পাশ) নিয়ে তার জেলেরা সুন্দরবনে মাছ আহরণ করে। সুন্দরবনের ধানসি এবং দুধরাজ এলাকায় তার জেলেরা মাছ ধরছিল। এসময় অন্য জেলেরা তাদেরকে সেখান থেকে তুলে দিয়েছে। বিষয়টি বন বিভাগের স্টাফদের কাছে জানতে চেয়ে ছিল। এনিয়ে বন বিভাগের স্টাফদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। তার দাবি, অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে তার জেলেরা অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা এবং সরকারি কাজে ব্যাধা দেওয়ার অভিযোগে থানা মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এজাহার নামীয় আসামি জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে তাকে বাগেরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাতের হামলায় ২ পুলিশ আহত, গাড়িচাপায় ডাকাতের পা বিচ্ছিন্ন
৮ মাস আগে
সিলেটে ট্রাক আটকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
সিলেটের কোম্পানীঞ্জে পাথর ভর্তি ট্রাক আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাধীনসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ইসলামপুর ফুয়েল পাম্পের সামনে। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় উপজেলার ভোলাগঞ্জ আদর্শগ্রাম এলাকার পাথর ব্যবসায়ী মো. তোফাজ্জল হোসেন রাজু বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাধীন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মহিষখেড় গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ভোলাগঞ্জের মেসার্স মায়ের দোয়া ওয়াশিং প্লান্ট-১ থেকে ৪৭৬ ফুট সিঙেল (নুড়ি পাথর) ক্রয় করে ট্রাক দিয়ে জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। গাড়িটি সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ইসলামপুর এলাকার ধলাই ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাধীনসহ কয়েকজনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাড়ির গতিরোধ করেন।
এসময় চালককে টেনে হিচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে তারা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন চালকের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে ব্যবসায়ী মো. তোফাজ্জল হোসেন রাজুকে ফোন দিয়ে বলে- এই ট্রাকটি আটক করেছি। ট্রাকটি ছাড়িয়ে নিতে চাইলে ১ লাখ টাকা দিতে হবে নয়তো পুড়িয়ে ফেলব।
ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ী রাজু পৌঁছামাত্র ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীনের হাতে থাকা চাকু দেখিয়ে বলে, বাঁচতে চাইলে ১ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে দে। কোনো উপায় না দেখে ব্যবসায়ী রাজু নগদ ৮ হাজার ৫০০ টাকা ও তাদের ০১৬২২৪৯৫৮৯৩ নম্বারে একটি বিকাশে সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেন।
এর আধাঘন্টা পর গাড়িটি উপজেলার বর্ণি পয়েন্টে পৌঁছালে সেখানে আবারও আটক করে চাঁদা দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন। কিছুক্ষণ পর উপস্থিত কয়েকজনের মধ্যস্থতায় ট্রাকটি সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাধীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এমন যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আমাকে সংগঠন যে শাস্তি দেবে তা আমি মাথা পেতে নেব।
এবিষয়ে অভিযোগকারী রাজু বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ১০/১২জন সিঙ্গেল পাথর বোঝাই আমার ট্রাকটি আটক করে। পরে ১৬ হাজার টাকা দিয়ে আমার গাড়িটি ছাড়িয়ে নেই। টাকা লেনদেনের ডকুমেন্টস আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায়।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার অভিযোগ, রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর
নাটোরে ট্রাকচাপায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে গোপন ভিডিও ধারনের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ব্যায়ামাগারে গোপনে ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় এক নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর ৯৯৯-এ কল করলে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাব নামে একটি জিমে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় রাতেই গ্রেপ্তার তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ওই নারীর ভাসুর।
লিখিত অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও তার বোন শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস সেন্টারে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। সেখানে মেয়েদের ব্যায়াম করার আলাদা ব্যবস্থা থাকায় দুই বোন সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে জিমের ট্রেইনার মিতু আক্তার গোপনে ভিডিও ধারণ করেন বলে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা নিশ্চিত হন ট্রেইনার মিতু গোপনে তাদের ভিডিও ধারণ করেছে। বুধবার বিকালে তারা দুই বোন ট্রেইনার মিতুকে ভিডিও করার কথা জিজ্ঞেস করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ট্রেইনার মিতু জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লবকে জানায়।
এই খবর পেয়ে বিপ্লব তাদের দুই বোনের কাছে যান মিতুকে নিয়ে। সেখানে মিতু ওই নারীকে মারধর শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি
একপর্যায়ে জিমে থাকা শহরের উত্তর পৈরতলার সোহেল মিয়া তাদের বাঁচাতে এলে বিপ্লবসহ তার সহযোগীরা তাদের সবাইকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখে। আশপাশের সড়কে উৎসুক মানুষ জমায়েত হয়ে ভিডিও করে ঘটনাটি ফেসবুকে দেয়।
শেষে ৯৯৯- এ কল পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। গুরুতর আহত হওয়ায় ওই নারী ও সহায়তা করতে আসা সোহেলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর জিমের পরিচালক বিপ্লব, ট্রেইনার মিতু ও সাইমকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভিডিও ধারণের বিষয়ে একজন নারীর ফোন পেয়ে ব্যায়ামাগারে যাওয়ার সময় সোহেল নামে একজন ফোন করে গালিগালাজ করে। কয়েকজন লোক নিয়ে ব্যায়ামাগারে আসেন। ব্যায়ামাগারে ভাঙচুর দেখে সোহেলকে আটক করা হয়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নেওয়ার সময় পেছন থেকে আমাকে ছুরিকাঘাত করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, জিমে দুই বোনের ছবি উঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওই জিমের মালিক ও ট্রেইনার পক্ষের লোকজনদের সঙ্গে ওই দুই নারীর পরিবারের লোকজনদের ঝগড়া হয়। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাত ১০টার দিকে শিবগঞ্জের ফতেপুর গ্রামের একটি আম বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা আবুল হাসান নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ও সাবেক লাভাঙা গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপন বৈঠকে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধারের দাবি
জানা যায়, আবুল হাসান রাত ১০টার দিকে নয়ালাভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ফতেপুর গ্রাম পার হওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত আবুল হাসানকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি আমবাগানে তুলে নিয়ে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়ারা গুরুতর আহত অবস্থায় আবুল হাসানকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ জানান, ছাত্রলীগ নেতাকে আহত করার ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফাইনাল উপলক্ষে পিকনিক, আর্জেন্টাইন সমর্থককে কুপিয়ে জখম
শ্রমিক নেতাকে কুপিয়ে জখম: কাউন্সিলরসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ থেকে ২ শতাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলের তিনটি কক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র দুই শতাধিক জিআই পাইপ, ১৩টি রড, দু’টি দা উদ্ধার করেছে হল কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৩ জুন) বিকালে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বিকালে হলটির ২০০৬, ৩০০৫ এবং ৫০০৯ নম্বর কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেন প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া। বিষয়টি তিনি ওই দিন রাত ১০টার দিকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, কক্ষগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা তাহমিদ জামান নাভিদ এবং একই বর্ষের ইংরেজি বিভাগের তানজিম মঞ্জুসহ তাদের অনুসারীরা অবস্থান করে থাকেন। অভিযানকালে কক্ষগুলো থেকে এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রুম্মান ইসলাম জানান, হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাভিদ, মঞ্জু এবং আরও কয়েকজনকে শুক্রবার গভীর রাতে হলে অস্ত্র ঢুকাতে দেখে। পরে শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ২০০৬ নম্বর কক্ষে তালা লাগিয়ে প্রভোস্টকে খবর দেয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি টের পেয়ে কক্ষটিতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা জানালা দিয়ে দুইটি দা নিচে ফেলে দেয়। পরে প্রভোস্ট এসে তালা খুলে এই কক্ষ থেকে দুই বস্তাবন্দী ২৫টি জিআই পাইপ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও তিনজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, ২০০৬ নম্বর কক্ষে অভিযান পরিচালনা করার পর ৩০০৫ এবং ৫০০৯ নম্বর কক্ষে অভিযান চালানো হয়। সেই কক্ষ দুইটি থেকে দেড় শতাধিক জিআই পাইপ, বেশকিছু রড উদ্ধার করা হয়। এসব কক্ষগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা নাভিদ এবং মঞ্জু নিয়ন্ত্রণ করতো।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
সন্ধ্যায় মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ইরাজ রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা নানাভাবে গড়িমসি করেছে। আমরা চাই বিশ্বিবদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখতে এবং সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, বিকালে একটি কক্ষ তালা দেবার খবর পেয়ে দ্রুত আমি হলে যাই এবং শিক্ষার্থীদের সামনে ২০০৬ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করি। সেখান থেকে ২৫ টি জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। কক্ষটিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তানজিদ মনজু, তাহমিদ জামান নাভিদ থাকে৷
তিনি আরও বলেন, এরপর আরও দুটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে কিছু রড, দা ও জিআই পাইপ পাওয়া গেছে। দাগুলো আগে আনা ছিল হয়তো।
এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনার পর কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
১ বছর আগে
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ সালের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় মামলাগুলো করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযুক্তদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা, সরকারি বিসিএস কর্মকর্তা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আসামিরা হলেন- রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এনামুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. স্বপন হোসেন।
জনপ্রশাসন অধিদপ্তর, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ আবু হানিফ মো. তানভীর আহমেদ, কাওসার আলী বিদ্যুৎ, মো. মাইনুল ইসলাম, মো. আব্দুর রকিব, মো. ইসরাফিল হোসেন, জাহিদ আল হাসান সিয়াম, রূপম সরকার ও শেখ আবু হানিফ।
বাকি চারজনের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদের মধ্যে হাসিবুল, শেখ আবু হানিফ, এনামুল হক ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. ইসরাফিল হোসেন ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাহিদ আল হাসান সিয়ামের প্রক্সি প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন।
তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৪২৪ নম্বর কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া হাসিবুল ইসলাম শান্ত এনামুল হককে ৫০ হাজার টাকায় নিয়োগ দেন। তিনি প্রধান প্রার্থী তানভীর আহমেদের পক্ষে প্রক্সি দেন।
শেখ আবু হানিফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আসল প্রার্থী রূপম সরকারের পক্ষে হাজির হন।
ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করেছি। এখন বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বলেন, গতকাল যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: রাবিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে তিনি মূল অপরাধী নন।
আশা করছি শিগগিরই মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারব। একই সঙ্গে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা খুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, নারীসহ আহত ৩০
নিহত ইকরাম আহমেদ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক সোহরাব আল হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে রিমোর চাচাতো ভাই রায়হানের সঙ্গে ইকরামের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান ইকরামকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোহরাব আল হোসেন আরও জানান, রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা
কুষ্টিয়ায় ঘুমন্ত স্বামীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্ত্রী পলাতক
১ বছর আগে