উন্নতি
কৃষির উন্নতি নিয়ে সরকার কাজ করছে: কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কৃষির উন্নতি নিয়ে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, কৃষকের উন্নতি না হলে কৃষির উন্নতি হবে না। আর কৃষির উন্নতি না হলে দেশের উন্নতি হবে না।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) উপদেষ্টা গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে কিন্তু আবাদযোগ্য ভূমি বাড়েনি।
তিনি আরও বলেন, এই জমিতে দেশের ১৭ কোটিরও বেশি লোকের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে এই কৃষিখাত। এ খাতের যথাযথ মূল্যায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি বন্যাকবলিত এলাকায় কৃষকদের বীজ, চারা ও নগদ অর্থ পাঠানো হয়েছে। যেসব জায়গায় ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেখানে অন্য জায়গা থেকে আমনের চারা উৎপাদন করে দেওয়া হয়েছে। ২২ তারিখের পর আমন ধান আর রোপন করা যাবে না। সেসব জাগায় সরিষাসহ অন্যান্য ফসল কীভাবে চাষাবাদ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
বাজার সিন্ডিকেটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় খুব শিগগিরই বাজার সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। যদি কোনো সিন্ডিকেট থাকে সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভেঙে দেবে।
আসন্ন দুর্গাপূজা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। এবারের পূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। এজন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবার পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকে। এবার র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও এয়ারফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ ইউছুব আকন্দ, জেলা প্রাশাসক নাফিসা আরিফীন, পুলিশ সুপার আবুল কালাম।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে দিনরাত পরিশ্রম করছি: প্রধান উপদেষ্টা
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিনরাত পরিশ্রম করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরের বেদনা জানিয়ে তার প্রতিকার পেতে কিছু মানুষ প্রতিদিন ঘেরাও কর্মসূচি দিচ্ছেন। তারা আমার আহ্বানে সাড়া দিলেও আবারও তাদের কর্মসূচি দিয়ে যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন। ব্যাঘাত সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
ইউনূস বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের ন্যায্য আবেদনের কথা ভুলে যাব না। আমরা সব অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের দায়িত্বকালে যথাসম্ভব সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: অধ্যাপক ইউনূস
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প এসব এলাকায় শ্রমিক ভাইবোনেরা তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য ক্রমাগতভাবে এই শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন। এটা আমাদের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটা মোটেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই ছাত্র-শ্রমিক জনতার বিপ্লবের পর যে অর্থনীতি আমরা পেয়েছি সেটা নিয়ম নীতিবিহীন দ্রুত ক্ষীয়মাণ একটা অর্থনীতি। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আমরা এই অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা করছি।’
এই সময়ে আমাদের শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে, অকার্যকর হয়ে গেলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট আঘাত পড়বে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, শ্রমিক ভাইবোনদের দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে আপনাদের মূল জীবিকাই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে সেটা ঠিক হবে না। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে সেটা ঠিক হবে না। মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এসব সমস্যার সমাধান আমরা অবশ্যই বের করব।
শ্রমিকদের উদ্দেশে ইউনূস বলেন, আপনারা কারখানা খোলা রাখুন। অর্থনীতির চাকা সচল রাখুন। দেশের অর্থনীতিকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে দিন। আমরা আপনাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। অর্থনীতির দুর্বল স্বাস্থ্যকে সবল করে তুলতে মালিক পক্ষকে শ্রমিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে কারখানা সচল রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ওষুধ শিল্প ও তৈরি পোশাক শিল্প দেশের গৗরব উল্লেখ করে এই দুই শিল্পকে তাদের সম্ভাব্য শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এই দুই শিল্পের কোথায় কোথায় বাধা আছে, সমস্যা আছে সেগুলো চিহ্নিত করে তাকে বাধা মুক্ত করতে চাই। আমরা বিদেশি ক্রেতাদের একত্রিত করে তাদের সহযোগিতা চাইব যেন বাংলাদেশের এই শিল্প দুটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের চাইতে বেশি আস্থাশীল হয়ে উঠতে পারে।’
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সরকারের প্রথম মাস কাটল। দ্বিতীয় মাস থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি হিসেবে নতুন শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের সূচনা করতে চাই। এটা দেশের সবার কাম্য। দেশের নতুন প্রজন্ম নির্ভয়ে যেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
ড. ইউনূস বলেন, ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে তুলতে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজে আমাদের হাত দিতে হবে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনকে দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এরমধ্যে হত্যা মামলা ছাড়া বাকি প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার সবাই মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগের বড় সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। যোগ্যতম ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়াতে মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগসহ অনেকগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ এবং অন্যান্য নিয়োগ সবকটাই সম্পন্ন হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সন্ত্রাস দমন আইন ও ডিজিটাল/সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ বহুল আলোচিত ৫টি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির জন্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
২ মাস আগে
সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি
সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি এসেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ৫৩ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির স্থান ৬৬তম।
এর আগের ২দিন অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার সকালে শহরটির একিউআই স্কোর ছিল যথাক্রমে ৬৭ ও ৬৩।
এদিকে, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা, উগান্ডার কাম্পালা ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৭১, ১৬৪ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বুধবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
৪ মাস আগে
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমেছে, পানিবন্দি প্রায় ২০ হাজার মানুষ
শেরপুরে নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমায় নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উজানের দিকে উন্নতি হয়েছে।
তবে ওই তিনটি উপজেলায় নিন্মাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামে এখনও পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
প্রায় ছয় দিন ধরে পানিবন্দি এসব পরিবারগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারিভাবে কয়েকটি এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
এদিকে, গত তিন দিন ধরে উজান থেকে আসা পানিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীতে পানি বেড়েছ। এতে কামারেরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর চর ও ৭ নম্বর চর এবং চরপক্ষীমারি ইউনিয়নে কুলুরচর, বেপারীপাড়া, জঙ্গলদী ও ভাগলদী গ্রামের নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে অনেক কৃষকের খেত ডুবে গেছে ও নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানির তীব্র স্রোত সৃষ্টি হওয়ায় ৬ নম্বর চরের পশ্চিম পাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা এবং দশানী নদীর ৭ নম্বর চর বাজার থেকে ব্রহ্মপুত্রের মোহনা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উভয় নদীতে পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত দুই দিনের ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে অন্তত ১০০ মিটার সরে এসে ভিটেমাটি গ্রাস করেছে। হুমকিতে রয়েছে ৭ নম্বর চর বাজার ও জামে মসজিদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘নদী ভাঙনের কারণে সাতটি পরিবার তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বেশকিছু ফসলি জমি ডুবে গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ‘উজানের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে শেরপুরের বেশ কয়েকটি নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা নদীগুলোর ভাঙন এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
৪ মাস আগে
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি
বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নের ৬৭ হাজার ৭২৯ পরিবার।
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে পাট, আউশ ধান ও আমন বীজতলাসহ আড়াই হাজার হেক্টরের অধিক জমির ফসল। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের।
পানি ওঠায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, শনিবার ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার বাড়লেও বিপৎসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধার যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষ শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বড় আকার ধারণ করেছে গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: চলমান বন্যায় ১৫টি জেলার ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত: দুর্যোগমন্ত্রী
জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গাইবান্ধার সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, সুন্দরগঞ্জের ৯টি, সাঘাটার ৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।
এই ২৯ ইউনিয়নে পানিবন্দি রয়েছে ৬৭ হাজার ৭২৯টি পরিবার।
তবে স্থানীয়দের দাবি বাস্তবে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা আরও বেশি। পানিবন্দি এসব মানুষের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি, সুন্দরগঞ্জে ৪৮টি, ফুলছড়িতে ২৩টি, সদরে ২৪টি, সাদুল্যাপুরে ৩৩টি, পলাশবাড়ীতে ৬টি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা রয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘চলমান বন্যায় ৪ উপজেলায় ২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও শাকসবজি পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতি কম হবে। অন্যথায় ফসল পচে নষ্ট হয়ে যাবে।’
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, ‘এ পর্যন্ত সদরসহ চার উপজেলার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬৫ টন জিআর চাল (প্রাকৃতিক দুর্যোগ), ১০ লাখ টাকা জিআর নগদ চারটি উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৬৫ টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে।
৪ মাস আগে
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ভোগান্তি এখনো কমেনি তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষের।
কয়েক দিন ধরে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় শনিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৯টায় আরও কমে তা ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিদ্যুৎহীন সিলেটের ১২ হাজার গ্রাহক
গত বুধবার সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে স্বল্প বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে শুক্রবার সকাল থেকে পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
সদর উপজেলার গোকুন্ডা, কালমাটি, আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন, চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ি-ঘরে এখনো পানি রয়েছে। পানিতে ডুবে আছে আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি।
এদিকে নদীর চর ও নিম্নাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা জেগে উঠলেও জমে আছে কাদামাটি। ফলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি।
কিছুটা উঁচু বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরে বাইরে জমে আছে কাদামাটি। ফলে তাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। এখনো অনেক বাড়িতে নলকূপ, টয়লেট পানিতে তলিয়ে আছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেটের বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
৪ মাস আগে
সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
বৃষ্টি ও উজানের ঢল কমে আসায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। একই সঙ্গে নদ-নদীর পানিও কমেছে।
গত দুই দিন রৌদ্রজ্জ্বল থাকায় বন্যার পানি কমেছে সিলেটের উপজেলাগুলোতে।
সিলেট শহরে সুরমা নদীর পানি কমে বর্তমানে বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাসাবাড়ি থেকে নামতে শুরু করেছে পানি। কিছু এলাকায় পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অনেক পরিবার বাড়িতে চলে গেছেন।
তবে সিলেট শহর এলাকার ড্রেন, ছড়া, খাল পরিষ্কার না থাকা এবং এক ড্রেনের সঙ্গে অন্য ড্রেনের সংযোগ না থাকায় পানি নামছে না। ড্রেনের ময়লা উপরে উঠে এসে ভয়ংকর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। বাসাবাড়িতেও জমে আছে ময়লা পানি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ের পর আর কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে আগামী ৩ দিন সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার (২২ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। তবে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি অন্যান্য পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।
সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে শনিবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে শনিবার সকালে বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শনিবার সকাল ৯টায় কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শনিবার সকাল ৯টায়ও একই মাত্রায় প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে গতকালের তুলনায় আরও কমেছে। শনিবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে শুক্রবার এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এছাড়া আজ শনিবার লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি আরও কমেছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে পানিবন্দি মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছেন। বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।জেলা প্রশাসন জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে সূর্য ওঠায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। সরকারি বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের সুরমা, খাসিয়ামারা ও চিলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে শুরু করায় অনেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে কিছু কিছু স্থানে এখনো পানি রয়েছে।
পানি নেমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, খাবারের সংকট রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিদ্যুৎহীন সিলেটের ১২ হাজার গ্রাহক
বাজিতপুরের মো. কামাল উদ্দিন বলেন, পানিতে দুই বার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথমবার ক্ষতির পরিমাণ কম হলেও দ্বিতীয়বার সব শেষ হয়ে গেছে। গ্রামের অনেকেরই এখন ঘরে থাকাই বিপজ্জনক হয়ে গেছে।
শ্মশানঘাট এলাকার উৎস রেস্টুরেন্টের মালিক বিশ্বনাথ রায় বলেন, নদীর পানি শুক্রবার থেকে দ্রুত নামতে শুরু করেছে। এতে এ এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
এদিকে হাওর পাড়ের ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা কাটছে না। শ্রীপুর, পলিরচর, আফছন নগর, ডালার পার ও হাওড় পাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহার নিগার তনু বলেন, পানি কমতে শুরু করলেও দুর্গত মানুষদের ত্রাণ সহায়তা পেতে কোনো সমস্যা হবে না। পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা রয়েছে।
হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্ট শেরপুর, মার্কুলী ও আজমিরীগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় এ পর্যন্ত ৭৮৩ হেক্টর আউশ ও ১৭৫ হেক্টর শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন বলেন, বন্যার পানি কিছুটা কমছে। বন্যায় এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া এলজিআরডি'র ৫৭ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
এদিকে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যার্তদের জন্য ২ হাজার ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
৪ মাস আগে
সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু কিছু ওয়ার্ডে এখনো পানি রয়েছে। ওইসব এলাকাসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখনো ত্রাণ সেবা অব্যাহত রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৪ দিন টানা বর্ষণ না হলে সুরমা নদীর পানি আরও কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
গত সোমবার সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঠেছিল এবং ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
কাউন্সিলররা জানিয়েছে, সিসিকের বেশির ভাগ এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নেওয়া মানুষ অনেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে সিসিকের পক্ষ থেকে এখনো আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবারসহ ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সিলেট মহানগরীর প্রায় ২৮টি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। স্থানীয় কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে বেশকয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। সেখানে নিয়মিত রান্না করা খাবার ও ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, ধীরে কমছে নদীর পানি
ধীরগতিতে হলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা
৫ মাস আগে
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, ধীরে কমছে নদীর পানি
গেল ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কম হওয়ায় সিলেট নগরীসহ ৭ উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। শনিবার পানি বাড়লেও রবিবার থেকে কমতে শুরু হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
রবিবার (২ জুন) সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা থেকে সামান্য (১ সে.মি.) নিচে নেমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিন দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৮০ থেকে ১ সে. মি. কমে ১০ দশমিক ৭৯ সে. মি. নিচে নেমে এসেছে। টানাবৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে বলে জানায় পাউবো।
সিলেট নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার পর থেকে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বিভিন্নভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: নগরীর ৪ হাজার পরিবার আক্রান্ত
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা দেখা দেয়। তবে বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বেশির ভাগ এলাকার। তাছাড়া বন্যার ঝুঁকিতে আছে এমন সব ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে তাদের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। সুরমা তীরবর্তী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনগুলো রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়ছে।
সাজলু লস্কর বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ও আমাদের নিজস্ব তথ্যমতে আনুমানিক চার হাজার পরিবার বন্যাকবলিত আছে।
সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডসহ ৮টি উপজেলার বন্যাকবলিত ৬ লাখ ৮ হাজার ৩৩৫ জন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
এদিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের জাফলং এলাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার পরিমাণ ছিল ১১৩ মিলিমিটার। তাছাড়া অন্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কম ছিল বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: ধীরগতিতে হলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা
সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
৫ মাস আগে
সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। জেলার গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে।
পানি যত কমছে, ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ততই ভেসে উঠছে। নষ্ট হয়ে গেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ নথি, যানবাহন, দোকানের মালামাল এবং ভেঙে গেছে সড়ক, ভেসে গেছে মাছের ঘের।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা আশা করছেন, নতুন করে বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকালে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার (৩১ মে) বিকাল দিকে তা কমে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: বিজিবির উদ্ধারকাজ ও খাবার বিতরণ
এখনও প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। যেসব এলাকার উচুঁ স্থান ও ঘর-বাড়ি থেকে পানি কমে গেলেও জলাবদ্ধতার কারণে বানের কাদা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ছে এবং পানিবাহিত রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এখনো ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকাল থেকে উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভেসে উঠছে।
পাউবোর তথ্যমতে, উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৬৩ মেট্রিকটন জিআর চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ কেজি ওজনের ২০০টি বিশেষ প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও এই উপজেলায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও ৫ হাজারপ্যাকেট শুকনো খাবার ১০ লাখ টাকা জিআর ক্যাশ, শিশু খাদ্য ক্রয়ের নিমিত্ত ৫ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয়ের নিমিত্ত ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা চেয়ে পত্র দিয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সিলেট জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জামাল খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ সমন্বয়ে গঠিত টিম উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, সড়ক, ব্রিজ-কালভার্টের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি, গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, কোম্পানীগঞ্জ পাহাড়ি ঢলের পানি শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হলে মানুষকে উদ্ধার ও সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিমসহ উপজেলা প্রশাসনের একাধিক টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে নদী ও খালের পার্শ্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থানের বাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও সেতুগুলোকে সংস্কার করে যানবাহন লাচল উপযোগী করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: নগরীর ৪ হাজার পরিবার আক্রান্ত
সিলেটের ৭ উপজেলায় বন্যা, সাড়ে ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি
৫ মাস আগে